নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম থেকে
টি-টোয়েন্টি খেলার ধরনটা বদলাচ্ছে দ্রুতগতিতে। ২০২৪ আইপিএলে দেখা যাচ্ছে, ২০ ওভারের ম্যাচে এখন ২৫০ রানও নিরাপদ নয়! অথচ এই সংস্করণে বাংলাদেশ এখনো পড়ে আছে ‘আদি যুগে’। জিম্বাবুয়ের মতো দলের বিপক্ষে ১২০-১৩০ রান তাড়া করতে বাংলাদেশের ব্যাটাররা কী সংগ্রামই-না করছেন।
দুই ম্যাচেই টস জিতে ব্যাটিং নেওয়ার ‘সাহস’ দেখায়নি বাংলাদেশ। পরে ব্যাটিং করেও টপ অর্ডার এগিয়েছে টি-টোয়েন্টিবিরোধী ব্যাটিং করে। কাল দলের সহকারী কোচ নিক পোথাস স্বীকার করলেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা চট্টগ্রামে সেভাবে করছেন না তাঁরা। খেলছেন সিরিজ জিততে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা যদি করতে হয়, সেটি হবে সিরিজ জেতার পর দুই ম্যাচে। সেসব হতে পারে সাকিব-সৌম্যর উপস্থিতিতে।
জিম্বাবুয়ের মতো দলের বিপক্ষে এই হিসাবি ক্রিকেট উপভোগ্য হওয়ার কথা নয় দর্শকদের। বিশ্বকাপের আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করে বাংলাদেশের ব্যাটারদের ২০০ রান তোলার অভ্যাস না তৈরি হলে আইসিসির রানপ্রসবা উইকেটে শান্তরা কীভাবে নিজেদের স্বচ্ছন্দে এগিয়ে নেবেন?
আগে ব্যাটিং করে ২০০ কিংবা পরে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০০ রান তাড়া করতে হলে নিখাদ একটা টপ অর্ডার প্রয়োজন। নিজেদের দুর্বলতা ভালো করেই জানে স্বাগতিকেরা। টস জিতে দুর্বল প্রতিপক্ষকে ব্যাটিং পাঠানো নিজেদের দুর্বলতা বিবেচনা করেই। কদিন ধরে আলোচনায় বাংলাদেশের টপ অর্ডারের স্ট্রাইকরেট। লিটন দাসের গত ১০টি-টোয়েন্টির মধ্যে ৬ ইনিংসে ১০০-এর কম স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করেছেন, সৌম্য সরকারের ক্যারিয়ার স্ট্রাইকরেটই ১২২.৩৩। সবচেয়ে বেশি চর্চা যাঁকে নিয়ে, সেই অধিনায়ক শান্তর স্ট্রাইকরেট ১১১.০৫। অথচ টপ অর্ডারই শুরুতে প্রতিপক্ষের সেরা বোলারদের ওপর রানবন্যা বইয়ে দলকে বড় স্কোর গড়তে সহায়তা করে।
২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ২০ দলের সম্ভাব্য অধিনায়কদের মধ্যেও সবচেয়ে কম স্ট্রাইকরেট নিয়ে তালিকায় ১৯ নম্বরে শান্ত। তাঁর পরে আছেন শুধু উগান্ডার অধিনায়ক ব্রায়ান মাসাবা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের গ্রুপে থাকা বাকি চার দলের অধিনায়কের চেয়েও শান্তর স্ট্রাইকরেট কম। দক্ষিণ আফ্রিকার এইডেন মার্করামের ১৫০.৬৭, শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার ১৩০.৫২, নেপালের রোহিত পাওডেলের ১২৪.৯১ ও নেদারল্যান্ডসের স্কট এডোয়ার্ডসের ১২১.৫৫।
শান্তর এমন স্ট্রাইকরেটের ব্যাটিং টি-টোয়েন্টিতে কতটা মানানসই? অধিনায়ককে নিয়ে সহকারী কোচকে এমন কঠিন প্রশ্নও শুনতে হলো। তিনি অবশ্য শান্তর স্ট্রাইকরেট নিয়ে মোটেও চিন্তিত নন, ‘হ্যাঁ, আমি মনে করি, তার ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তবে তার স্ট্রাইকরেট নিয়ে আলাপটা অপ্রাসঙ্গিক; কারণ, সে যদি বড় ইনিংস খেলতে পারে, তাহলে স্ট্রাইকরেটও বেড়ে যায়। সম্ভবত বিষয়টা হচ্ছে, কখন ওই পর্যায়ে পৌঁছাবে? কারণ, সে যদি খেলাটা ওভাবে শুরু করতে পারে, তাহলে তার স্ট্রাইকরেট আকাশ ছুঁয়ে যাবে।’
টেস্ট ও ওয়ানডেতে রানে ফিরলেও টি-টোয়েন্টিতে খুব একটা ছন্দে নেই শান্ত। গত ১৪ ম্যাচে তাঁর একটি ফিফটি। বিশ্বকাপের আগে এটা নিয়েও চিন্তিত নন পোথাস। বললেন, ‘একেবারেই না। সে দারুণ খেলছে। কিন্তু তার সম্পর্কে সবচেয়ে মুগ্ধ করার বিষয় হলো, সে যেভাবে দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছে। সে একজন তরুণ অধিনায়ক। খুবই সাহসী। ভবিষ্যতে আপনারা এর উপকারিতা দেখবেন।’
টি-টোয়েন্টি খেলার ধরনটা বদলাচ্ছে দ্রুতগতিতে। ২০২৪ আইপিএলে দেখা যাচ্ছে, ২০ ওভারের ম্যাচে এখন ২৫০ রানও নিরাপদ নয়! অথচ এই সংস্করণে বাংলাদেশ এখনো পড়ে আছে ‘আদি যুগে’। জিম্বাবুয়ের মতো দলের বিপক্ষে ১২০-১৩০ রান তাড়া করতে বাংলাদেশের ব্যাটাররা কী সংগ্রামই-না করছেন।
দুই ম্যাচেই টস জিতে ব্যাটিং নেওয়ার ‘সাহস’ দেখায়নি বাংলাদেশ। পরে ব্যাটিং করেও টপ অর্ডার এগিয়েছে টি-টোয়েন্টিবিরোধী ব্যাটিং করে। কাল দলের সহকারী কোচ নিক পোথাস স্বীকার করলেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা চট্টগ্রামে সেভাবে করছেন না তাঁরা। খেলছেন সিরিজ জিততে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা যদি করতে হয়, সেটি হবে সিরিজ জেতার পর দুই ম্যাচে। সেসব হতে পারে সাকিব-সৌম্যর উপস্থিতিতে।
জিম্বাবুয়ের মতো দলের বিপক্ষে এই হিসাবি ক্রিকেট উপভোগ্য হওয়ার কথা নয় দর্শকদের। বিশ্বকাপের আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করে বাংলাদেশের ব্যাটারদের ২০০ রান তোলার অভ্যাস না তৈরি হলে আইসিসির রানপ্রসবা উইকেটে শান্তরা কীভাবে নিজেদের স্বচ্ছন্দে এগিয়ে নেবেন?
আগে ব্যাটিং করে ২০০ কিংবা পরে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০০ রান তাড়া করতে হলে নিখাদ একটা টপ অর্ডার প্রয়োজন। নিজেদের দুর্বলতা ভালো করেই জানে স্বাগতিকেরা। টস জিতে দুর্বল প্রতিপক্ষকে ব্যাটিং পাঠানো নিজেদের দুর্বলতা বিবেচনা করেই। কদিন ধরে আলোচনায় বাংলাদেশের টপ অর্ডারের স্ট্রাইকরেট। লিটন দাসের গত ১০টি-টোয়েন্টির মধ্যে ৬ ইনিংসে ১০০-এর কম স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করেছেন, সৌম্য সরকারের ক্যারিয়ার স্ট্রাইকরেটই ১২২.৩৩। সবচেয়ে বেশি চর্চা যাঁকে নিয়ে, সেই অধিনায়ক শান্তর স্ট্রাইকরেট ১১১.০৫। অথচ টপ অর্ডারই শুরুতে প্রতিপক্ষের সেরা বোলারদের ওপর রানবন্যা বইয়ে দলকে বড় স্কোর গড়তে সহায়তা করে।
২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ২০ দলের সম্ভাব্য অধিনায়কদের মধ্যেও সবচেয়ে কম স্ট্রাইকরেট নিয়ে তালিকায় ১৯ নম্বরে শান্ত। তাঁর পরে আছেন শুধু উগান্ডার অধিনায়ক ব্রায়ান মাসাবা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের গ্রুপে থাকা বাকি চার দলের অধিনায়কের চেয়েও শান্তর স্ট্রাইকরেট কম। দক্ষিণ আফ্রিকার এইডেন মার্করামের ১৫০.৬৭, শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার ১৩০.৫২, নেপালের রোহিত পাওডেলের ১২৪.৯১ ও নেদারল্যান্ডসের স্কট এডোয়ার্ডসের ১২১.৫৫।
শান্তর এমন স্ট্রাইকরেটের ব্যাটিং টি-টোয়েন্টিতে কতটা মানানসই? অধিনায়ককে নিয়ে সহকারী কোচকে এমন কঠিন প্রশ্নও শুনতে হলো। তিনি অবশ্য শান্তর স্ট্রাইকরেট নিয়ে মোটেও চিন্তিত নন, ‘হ্যাঁ, আমি মনে করি, তার ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তবে তার স্ট্রাইকরেট নিয়ে আলাপটা অপ্রাসঙ্গিক; কারণ, সে যদি বড় ইনিংস খেলতে পারে, তাহলে স্ট্রাইকরেটও বেড়ে যায়। সম্ভবত বিষয়টা হচ্ছে, কখন ওই পর্যায়ে পৌঁছাবে? কারণ, সে যদি খেলাটা ওভাবে শুরু করতে পারে, তাহলে তার স্ট্রাইকরেট আকাশ ছুঁয়ে যাবে।’
টেস্ট ও ওয়ানডেতে রানে ফিরলেও টি-টোয়েন্টিতে খুব একটা ছন্দে নেই শান্ত। গত ১৪ ম্যাচে তাঁর একটি ফিফটি। বিশ্বকাপের আগে এটা নিয়েও চিন্তিত নন পোথাস। বললেন, ‘একেবারেই না। সে দারুণ খেলছে। কিন্তু তার সম্পর্কে সবচেয়ে মুগ্ধ করার বিষয় হলো, সে যেভাবে দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছে। সে একজন তরুণ অধিনায়ক। খুবই সাহসী। ভবিষ্যতে আপনারা এর উপকারিতা দেখবেন।’
পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে রয়েছে বাংলাদেশ দল। সফরের অংশ হিসেবে ১৭ ও ১৮ নভেম্বর হবে ২ দিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ। এই ম্যাচের মাধ্যমে প্রস্তুতি নেওয়ার দারুণ সুযোগ পাচ্ছেন মেহেদী হাসান মিরাজরা। মূল টেস্ট সিরিজের আগে কিছুটা আত্মবিশ্বাসও বাড়তে পারে তাঁদের। ম্যাচটি হবে অ্যান্টিগায়র স্যার ভিভ
১ ঘণ্টা আগেভারতের আপত্তিতে পাকিস্তানের তিন শহরে ট্রফি সফর বাতিল করেছে আইসিসি। দীর্ঘ ২৮ বছর পর আইসিসির কোনো টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে তারা। তবে শুরু থেকেই বিভিন্ন আপত্তি তুলছে ভারত।
২ ঘণ্টা আগেদ্বিতীয় দিনের ছন্দ ধরে রেখে আজ তৃতীয় দিন বাকি দুই উইকেটও নিজের ঝুলিতে নিলেন আনশুল কাম্বোজ। সঙ্গে সঙ্গে বিরল এক রেকর্ড তাঁর নামের পাশে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে একাই ১০ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখালেন হরিয়ানার এই পেসার।
৩ ঘণ্টা আগে