নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম থেকে
মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে যে একদম রানের দেখা নেই, তা নয়। সর্বশেষ ৫ টেস্টে নামের পাশে দুইটি ফিফটি। গত ডিসেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে দুই রানের জন্য আরেকটি ফিফটি হাতছাড়া করেন। তবে মুশফিকের কাছ থেকে বাংলাদেশের চাওয়াটা যে আরও বিস্তৃত।
এখন পর্যন্ত দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৮০টি টেস্ট খেলেছেন মুশফিক। আরও একটি মাইলফলকের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছেন আজই ৩৫ বসন্তে পা দেওয়া অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে টেস্টে ৫ হাজার রান থেকে আর ৬৮ রান দূরে আছেন। টেস্টে দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি তিনটি ডাবল সেঞ্চুরিও তাঁর। তাঁকে ঘিরে বাড়তি চাওয়াটা যে অমূলক নয়, সেটা নিশ্চয়ই মুশফিকও জানেন।
কিন্তু মুশফিকের সময়টা এমন যাচ্ছে, কিছুই যেন কাজে আসছে না। দলের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ব্যাটার হিসেবে সুখ্যাতি আছে মুশফিকের। সেই মুশফিক গত এক দেড় বছরে যেন নিজেকে কিছুটা হারিয়ে খুঁজছেন। দলের অসময়ে রিভার্স সুইপ খেলে সমালোচিত হয়েছেন। সর্বশেষ দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ যেটার উদাহরণ হয়ে আছে।
টেস্টে রিভার্স সুইপ না খেলার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। একই সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ডিন এলগারও রিভার্স সুইপ খেলেছেন। খেলতে গিয়ে আউটও হয়েছেন। প্রশ্নটা উঠছে, মুশফিকের রিভার্স সুইপ খেলার সময়জ্ঞান নিয়ে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ‘স্পিন-জুজু’।
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে দুই টেস্টের চার ইনিংসেই স্পিনারদের কাছে নাকাল হয়েছেন মুশফিক। দুইবার অফ স্পিনার সাইমন হারমারের বলে, বাকি দুইবার বাঁহাতি স্পিনার কেশব মহারাজের বলে।
স্পিনের জুজু যে কিছুটা হলেও মুশফিককে পেয়ে বসেছে, গত কদিনে সেটা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টাই তাঁর প্রমাণ। ঈদের ছুটি শেষে মিরপুরে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের স্পিনার দিয়ে ব্যক্তিগত অনুশীলন সেরেছেন। পাশে পেয়েছেন শৈশবের গুরু নাজমুল আবেদীন ফাহিমকে।
শ্রীলঙ্কা সিরিজ সামনে রেখে চট্টগ্রামে এসেও সেই চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন মুশফিক। আজ প্রথম টেস্টের ভেন্যু জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল। দলে থাকা দুই স্পিনার তাইজুল ইসলাম আর নাঈম হাসানকে নিয়ে নেটে বেশ কিছু সময় ব্যাটিং করেন মুশফিক। দুই স্পিনারকে পুরোনো বলে খেলার পর তাইজুলকে নতুন বলে হাত ঘোরানোর তাগাদা দেন। দ্রুত উইকেট পড়ে গেলে নতুন বলটাও যে তাঁকে সামলাতে হয়!
স্পিন ঘূর্ণি সামলাতে মুশফিক শরণাপন্ন হন প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোরও। স্পিনের বিপক্ষে পেছনের পায়ে আর সামনের পায়ে ডিফেন্সের শ্যাডো করিয়ে মুশফিককে দেখান ডমিঙ্গো। এ ক্ষেত্রে ব্যাট আর শরীরের ভারসাম্য ধরে রাখার কৌশল দেখিয়ে দেন ডমিঙ্গো। কোচের পরামর্শ ধরে দুই স্পিনারের বিপক্ষে সাবলীল খেলতে দেখা যায় মুশফিককে। শট মনমতো না হলে নিজের ওপর রাগও ঝেড়েছেন। বৃষ্টির বাগড়ায় অবশ্য বিরতি পড়ে মুশফিকের অনুশীলনে।
ঝলমলে রোদে আবার যখন অনুশীলন শুরু হয়, মুশফিকের সঙ্গে দেখা যায় ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্সকে। অস্ট্রেলিয়ান প্রশিক্ষক নিজেই বল থ্রো করেন শিষ্যকে। দারুণ কোনো কাভার ড্রাইভ কিংবা মুশফিকের বল ছেড়ে দেওয়ার মুহূর্তে সিডন্সের কণ্ঠ কানে বেজেছে, ‘নাইস’, ‘নাইস টু ওয়াচ’, ‘নাইস লিভ ম্যান’।
ব্যাটারদের মধ্যে নেটে সবচেয়ে বেশি সময় কাটিয়েছেন মুশফিক। সচরাচর তিনি যা করে থাকেন। তাঁর এবারের চেষ্টা বড় ইনিংসের দাবি মেটানোর। শিষ্যের চেষ্টাকে সাফল্যে রূপ দিতে চেষ্টার কমতি রাখছেন না ডমিঙ্গো-সিডন্সরাও।
মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে যে একদম রানের দেখা নেই, তা নয়। সর্বশেষ ৫ টেস্টে নামের পাশে দুইটি ফিফটি। গত ডিসেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে দুই রানের জন্য আরেকটি ফিফটি হাতছাড়া করেন। তবে মুশফিকের কাছ থেকে বাংলাদেশের চাওয়াটা যে আরও বিস্তৃত।
এখন পর্যন্ত দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৮০টি টেস্ট খেলেছেন মুশফিক। আরও একটি মাইলফলকের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছেন আজই ৩৫ বসন্তে পা দেওয়া অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে টেস্টে ৫ হাজার রান থেকে আর ৬৮ রান দূরে আছেন। টেস্টে দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি তিনটি ডাবল সেঞ্চুরিও তাঁর। তাঁকে ঘিরে বাড়তি চাওয়াটা যে অমূলক নয়, সেটা নিশ্চয়ই মুশফিকও জানেন।
কিন্তু মুশফিকের সময়টা এমন যাচ্ছে, কিছুই যেন কাজে আসছে না। দলের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ব্যাটার হিসেবে সুখ্যাতি আছে মুশফিকের। সেই মুশফিক গত এক দেড় বছরে যেন নিজেকে কিছুটা হারিয়ে খুঁজছেন। দলের অসময়ে রিভার্স সুইপ খেলে সমালোচিত হয়েছেন। সর্বশেষ দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ যেটার উদাহরণ হয়ে আছে।
টেস্টে রিভার্স সুইপ না খেলার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। একই সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ডিন এলগারও রিভার্স সুইপ খেলেছেন। খেলতে গিয়ে আউটও হয়েছেন। প্রশ্নটা উঠছে, মুশফিকের রিভার্স সুইপ খেলার সময়জ্ঞান নিয়ে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ‘স্পিন-জুজু’।
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে দুই টেস্টের চার ইনিংসেই স্পিনারদের কাছে নাকাল হয়েছেন মুশফিক। দুইবার অফ স্পিনার সাইমন হারমারের বলে, বাকি দুইবার বাঁহাতি স্পিনার কেশব মহারাজের বলে।
স্পিনের জুজু যে কিছুটা হলেও মুশফিককে পেয়ে বসেছে, গত কদিনে সেটা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টাই তাঁর প্রমাণ। ঈদের ছুটি শেষে মিরপুরে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের স্পিনার দিয়ে ব্যক্তিগত অনুশীলন সেরেছেন। পাশে পেয়েছেন শৈশবের গুরু নাজমুল আবেদীন ফাহিমকে।
শ্রীলঙ্কা সিরিজ সামনে রেখে চট্টগ্রামে এসেও সেই চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন মুশফিক। আজ প্রথম টেস্টের ভেন্যু জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল। দলে থাকা দুই স্পিনার তাইজুল ইসলাম আর নাঈম হাসানকে নিয়ে নেটে বেশ কিছু সময় ব্যাটিং করেন মুশফিক। দুই স্পিনারকে পুরোনো বলে খেলার পর তাইজুলকে নতুন বলে হাত ঘোরানোর তাগাদা দেন। দ্রুত উইকেট পড়ে গেলে নতুন বলটাও যে তাঁকে সামলাতে হয়!
স্পিন ঘূর্ণি সামলাতে মুশফিক শরণাপন্ন হন প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোরও। স্পিনের বিপক্ষে পেছনের পায়ে আর সামনের পায়ে ডিফেন্সের শ্যাডো করিয়ে মুশফিককে দেখান ডমিঙ্গো। এ ক্ষেত্রে ব্যাট আর শরীরের ভারসাম্য ধরে রাখার কৌশল দেখিয়ে দেন ডমিঙ্গো। কোচের পরামর্শ ধরে দুই স্পিনারের বিপক্ষে সাবলীল খেলতে দেখা যায় মুশফিককে। শট মনমতো না হলে নিজের ওপর রাগও ঝেড়েছেন। বৃষ্টির বাগড়ায় অবশ্য বিরতি পড়ে মুশফিকের অনুশীলনে।
ঝলমলে রোদে আবার যখন অনুশীলন শুরু হয়, মুশফিকের সঙ্গে দেখা যায় ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্সকে। অস্ট্রেলিয়ান প্রশিক্ষক নিজেই বল থ্রো করেন শিষ্যকে। দারুণ কোনো কাভার ড্রাইভ কিংবা মুশফিকের বল ছেড়ে দেওয়ার মুহূর্তে সিডন্সের কণ্ঠ কানে বেজেছে, ‘নাইস’, ‘নাইস টু ওয়াচ’, ‘নাইস লিভ ম্যান’।
ব্যাটারদের মধ্যে নেটে সবচেয়ে বেশি সময় কাটিয়েছেন মুশফিক। সচরাচর তিনি যা করে থাকেন। তাঁর এবারের চেষ্টা বড় ইনিংসের দাবি মেটানোর। শিষ্যের চেষ্টাকে সাফল্যে রূপ দিতে চেষ্টার কমতি রাখছেন না ডমিঙ্গো-সিডন্সরাও।
পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে রয়েছে বাংলাদেশ দল। সফরের অংশ হিসেবে ১৭ ও ১৮ নভেম্বর হবে ২ দিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ। এই ম্যাচের মাধ্যমে প্রস্তুতি নেওয়ার দারুণ সুযোগ পাচ্ছেন মেহেদী হাসান মিরাজরা। মূল টেস্ট সিরিজের আগে কিছুটা আত্মবিশ্বাসও বাড়তে পারে তাঁদের। ম্যাচটি হবে অ্যান্টিগায়র স্যার ভিভ
১০ ঘণ্টা আগেভারতের আপত্তিতে পাকিস্তানের তিন শহরে ট্রফি সফর বাতিল করেছে আইসিসি। দীর্ঘ ২৮ বছর পর আইসিসির কোনো টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে তারা। তবে শুরু থেকেই বিভিন্ন আপত্তি তুলছে ভারত।
১১ ঘণ্টা আগেদ্বিতীয় দিনের ছন্দ ধরে রেখে আজ তৃতীয় দিন বাকি দুই উইকেটও নিজের ঝুলিতে নিলেন আনশুল কাম্বোজ। সঙ্গে সঙ্গে বিরল এক রেকর্ড তাঁর নামের পাশে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে একাই ১০ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখালেন হরিয়ানার এই পেসার।
১২ ঘণ্টা আগে