পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টের এক ইনিংসেই বাংলাদেশের বোলারদের ধৈর্য্যশক্তির চূড়ান্ত পরীক্ষা নিয়ে ছেড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। একটা পর্যায়ে মেজাজ হারিয়ে ফেলেন পেসার খালেদ আহমেদ। অতর্কিতভাবে বল ছুড়ে মারেন প্রোটিয়া ব্যাটার কাইল ভেরেইনার দিকে। এমন কাণ্ডের পর ক্ষমাও চেয়েছিলেন তিনি। তবু শাস্তি এড়াতে পারলেন না ডানহাতি পেসার।

আইসিসির কোড অব কন্ডাক্টের ২.৯ ধারা ভঙ্গ করার দায়ে খালেদের ম্যাচ ফির ১৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি তাঁকে দেওয়া হয়েছে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট। আজ এক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইসিসি বলেছে, ‘ম্যাচ চলাকালীন খেলোয়াড়, সাপোর্ট স্টাফ, আম্পায়ার, ম্যাচ রেফারি বা যেকোনো ব্যক্তির দিকে বা কাছাকাছি ভয়ংকরভাবে বল ছুড়ে মারার ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত।’

গত দুই বছরের মধ্যে এটা খালেদের প্রথম ডিমেরিট পয়েন্ট। আগামী ২৪ মাসের মধ্যে ৪টি ডিমেরিট পয়েন্ট পেলে এক বা দুই টেস্ট থেকে নিষিদ্ধ হবেন তিনি। খালেদের বল ছুড়ে মারা নিয়ে ভালোই উত্তাপ ছড়িয়েছিল দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিন। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসের ৯৫ তম ওভারে খালেদের বল রক্ষণাত্মক কৌশলে খেলেন ভেরেইনা। পরে বল হাতে নিয়েই ভেরেইনার দিকে ছুড়ে মারেন খালেদ। যা আঘাত হানে ভেরেইনার ডান হাতের গ্লাভসে।

ওই ঘটনায় রেগে আগুন হন ভেরেইনা। খালেদ ক্ষমা চাওয়ার পরও শান্ত হতে পারছিলেন না প্রোটিয়া ব্যাটার। খুব রাগাণ্বিত মনে হয়েছির তাঁকে। পরে আম্পায়ার মারাই ইরাসমাস আলাদাভাবে কথা বলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হকের সঙ্গে। একটা পর্যায়ে নিচে নেমে আসেন বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড। তাতে করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও নির্ভার থাকতে পারলেন না খালেদ।

শাস্তি তাঁকে পেতেই হলো। দুই অন-ফিল্ড আম্পায়ার আলাউদ্দিন পালেকার ও ইরাসমাস, টিভি আম্পায়ার আড্রিয়ান হোল্ডস্টোক ও চতুর্থ আম্পায়ার বঙ্গানি জেলে ম্যাচ প্রতিবেদন খালেদের বিপক্ষে অভিযোগ দিয়েছেন। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশি পেসারকে শাস্তি দিয়েছেন ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফট। খালেদ শাস্তি মেনে নেওয়ায় আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন পড়েনি।

দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ। পরে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাই হতে হয় মুমিনুলদের। প্রথম টেস্টে ২২০ এবং দ্বিতীয়টিতে দল হেরেছে ৩৩২ রানের বিরাট ব্যবধানে। তবে দলের ভরাডুবির সিরিজে ভালোই পারফর্ম করেছেন খালেদ। দুই টেস্টে ৮ উইকেট নিয়েছেন তিনি।