নিজস্ব প্রতিবেদক, ক্যান্ডি থেকে
এশিয়া কাপ থেকে ভালো রাজস্ব আয়ের কার্যকর এক সূত্রই বের করেছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)–বেশি বেশি ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ আয়োজন! এই ‘বিজনেস মডেলে’ গত বছর থেকে এশিয়া কাপের যে ফরম্যাট চালু হয়েছে, তাতে ভারত-পাকিস্তানের অন্তত দুটি, সর্বোচ্চ তিনটি ম্যাচ দেখার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
আর তাতে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তানকে মেনে নিতে হয়েছে ‘গ্রুপ অব ডেথ’কে। এই মৃত্যুকূপে সবচেয়ে বেশি হাঁসফাঁস করছে বোধ হয় বাংলাদেশ। গতবারের মতো এবারও গ্রুপ পর্ব থেকেই কি বিদায়—এমন একটি প্রশ্ন ভাবনায় রেখে আজ লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে সাকিবদের অগ্নিপরীক্ষা নিতে নামছেন রশিদরা।
গতকাল কলম্বো থেকে লাহোরে বাংলাদেশ পৌঁছেছে রাজ্যের চিন্তা নিয়ে। আফগানিস্তানকে হারালেই তো চলছে না, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আফগানরা কী করে, সেটিও দেখতে হবে।
সাকিব অবশ্য এশিয়া কাপ খেলতে যাওয়ার আগে বলে গেছেন, এই টুর্নামেন্টে ভালো না করতে পারলে বিশ্বকাপ নিয়ে নিরাশ হওয়া যাবে না। আবার এখানে ভালো করলে বিশ্বকাপে আশা অনেক বেড়ে যাবে, সেটিও নয়। তবু টানা দুটি এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্ব থেকে যদি বিদায় নিতে হয়, সেটি বড় প্রশ্ন চিহ্ন বসিয়ে দেবে বাংলাদেশের সামর্থ্য আর দক্ষতার পাশে।
ক্যান্ডির পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে গতকাল ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ দেখতে দেখতে এ মাঠে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের ছবিই যেন ফিরে আসছিল। সাকিবের মতো রোহিত শর্মাও টস জিতে ব্যাটিং নিলেন। এ ম্যাচেও থাকল বৃষ্টিবাধা। বৃষ্টিবাধায় বাংলাদেশের মতো ভারতের টপ অর্ডারও খেই হারাল।
তবে ভারতীয়দের হার্দিক পান্ডিয়া আর ইশান কিশান ছিলেন। যাঁরা ৬৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়েও পঞ্চম উইকেটে ১৪১ বলে ১৩৮ রানের জুটি গড়ে ভারতকে এনে দিলেন লড়াইয়ের স্কোর।
অভিজ্ঞ হার্দিকের সঙ্গে তরুণ ইশান—অভিজ্ঞতার সঙ্গে যখন তারুণ্যের দারুণ সমন্বয় ঘটে, তখনই ভালো ফলের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এবার বাংলাদেশ দলে এখানেই বড় ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। ওপেনিংয়ে তামিম ইকবাল সরে গেছেন আগেই। শেষ মুহূর্তে লিটন দাস ছিটকে গেলেন জ্বরে আক্রান্ত হয়ে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একেবারে অনভিজ্ঞ এক ওপেনিং জুটির দেখা মিলল।
গতকাল লাহোরের সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেও স্বীকার করলেন, অভিজ্ঞ টপ অর্ডার না থাকায় কী চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছেন তাঁরা।
শ্রীলঙ্কার চেয়ে আফগানিস্তানের বোলিং আক্রমণ আরও শক্তিশালী। হাথুরু নিজেই তো বললেন, ‘বিশ্বের অন্যতম সেরা বোলিং আক্রমণ খেলতে হবে।’ লঙ্কান বোলারদের সামলাতেই যাঁদের ত্রাহি মধুসূধন অবস্থা, তাঁরা আজ রশিদ-মুজিবদের সামলে জয়ের দেখা পাবে তো? এখানে হাথুরু অনুপ্রাণিত হচ্ছেন দেশের মাঠে সাদা বলের ক্রিকেটে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সবশেষ তিনটি জয়ে।
জুলাইয়ে ঘরের মাঠের সেই পারফরম্যান্সের পুনরাবৃত্তি আজ লাহোরে করতে পারলেই এশিয়া কাপে একটা গুরুত্বপূর্ণ ‘লাইফ লাইন’ পেতে পারে বাংলাদেশ।
লাহোরের ভালো উইকেটে বাংলাদেশ উন্মুখ হয়ে আছে সুপার ফোরের আশাটা অন্তত বাঁচিয়ে রাখতে। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক অবশ্য হাথুরুকে মনে করিয়ে দিচ্ছিলেন, বাংলাদেশ ২০১২ থেকে টানা তিনটি এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলেছে।
শ্রীলঙ্কার কাছে হারের পর বাংলাদেশ কোচ এখন ফাইনাল-টাইনাল নিয়ে ভাবার অবস্থায় নেই। হাথুরু বলছেন, ‘আগে তো দ্বিতীয় পর্বে উঠতে হবে। এটা আমাদের বাঁচা-মরার ম্যাচ। অবশ্যই আমরা নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী এখনো খেলতে পারিনি। আফগানিস্তানের সঙ্গে সেটা দেখাতে চাই।’
সামর্থ্যের সেরাটা দিতে আজ হাথুরু যে একাদশে পরিবর্তন আনতে পারেন, সেটি সংবাদ সম্মেলনেই ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন। হঠাৎ উড়িয়ে নেওয়া অভিজ্ঞ এনামুল হক বিজয়কে একাদশে রাখাটা যেন অনিবার্যই হয়ে পড়েছে। পরিবর্তন আসতে পারে লোয়ার মিডল অর্ডার এমনকি পেস বোলিং আক্রমণেও।
এশিয়া কাপ থেকে ভালো রাজস্ব আয়ের কার্যকর এক সূত্রই বের করেছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)–বেশি বেশি ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ আয়োজন! এই ‘বিজনেস মডেলে’ গত বছর থেকে এশিয়া কাপের যে ফরম্যাট চালু হয়েছে, তাতে ভারত-পাকিস্তানের অন্তত দুটি, সর্বোচ্চ তিনটি ম্যাচ দেখার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
আর তাতে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তানকে মেনে নিতে হয়েছে ‘গ্রুপ অব ডেথ’কে। এই মৃত্যুকূপে সবচেয়ে বেশি হাঁসফাঁস করছে বোধ হয় বাংলাদেশ। গতবারের মতো এবারও গ্রুপ পর্ব থেকেই কি বিদায়—এমন একটি প্রশ্ন ভাবনায় রেখে আজ লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে সাকিবদের অগ্নিপরীক্ষা নিতে নামছেন রশিদরা।
গতকাল কলম্বো থেকে লাহোরে বাংলাদেশ পৌঁছেছে রাজ্যের চিন্তা নিয়ে। আফগানিস্তানকে হারালেই তো চলছে না, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আফগানরা কী করে, সেটিও দেখতে হবে।
সাকিব অবশ্য এশিয়া কাপ খেলতে যাওয়ার আগে বলে গেছেন, এই টুর্নামেন্টে ভালো না করতে পারলে বিশ্বকাপ নিয়ে নিরাশ হওয়া যাবে না। আবার এখানে ভালো করলে বিশ্বকাপে আশা অনেক বেড়ে যাবে, সেটিও নয়। তবু টানা দুটি এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্ব থেকে যদি বিদায় নিতে হয়, সেটি বড় প্রশ্ন চিহ্ন বসিয়ে দেবে বাংলাদেশের সামর্থ্য আর দক্ষতার পাশে।
ক্যান্ডির পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে গতকাল ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ দেখতে দেখতে এ মাঠে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের ছবিই যেন ফিরে আসছিল। সাকিবের মতো রোহিত শর্মাও টস জিতে ব্যাটিং নিলেন। এ ম্যাচেও থাকল বৃষ্টিবাধা। বৃষ্টিবাধায় বাংলাদেশের মতো ভারতের টপ অর্ডারও খেই হারাল।
তবে ভারতীয়দের হার্দিক পান্ডিয়া আর ইশান কিশান ছিলেন। যাঁরা ৬৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়েও পঞ্চম উইকেটে ১৪১ বলে ১৩৮ রানের জুটি গড়ে ভারতকে এনে দিলেন লড়াইয়ের স্কোর।
অভিজ্ঞ হার্দিকের সঙ্গে তরুণ ইশান—অভিজ্ঞতার সঙ্গে যখন তারুণ্যের দারুণ সমন্বয় ঘটে, তখনই ভালো ফলের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এবার বাংলাদেশ দলে এখানেই বড় ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। ওপেনিংয়ে তামিম ইকবাল সরে গেছেন আগেই। শেষ মুহূর্তে লিটন দাস ছিটকে গেলেন জ্বরে আক্রান্ত হয়ে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একেবারে অনভিজ্ঞ এক ওপেনিং জুটির দেখা মিলল।
গতকাল লাহোরের সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেও স্বীকার করলেন, অভিজ্ঞ টপ অর্ডার না থাকায় কী চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছেন তাঁরা।
শ্রীলঙ্কার চেয়ে আফগানিস্তানের বোলিং আক্রমণ আরও শক্তিশালী। হাথুরু নিজেই তো বললেন, ‘বিশ্বের অন্যতম সেরা বোলিং আক্রমণ খেলতে হবে।’ লঙ্কান বোলারদের সামলাতেই যাঁদের ত্রাহি মধুসূধন অবস্থা, তাঁরা আজ রশিদ-মুজিবদের সামলে জয়ের দেখা পাবে তো? এখানে হাথুরু অনুপ্রাণিত হচ্ছেন দেশের মাঠে সাদা বলের ক্রিকেটে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সবশেষ তিনটি জয়ে।
জুলাইয়ে ঘরের মাঠের সেই পারফরম্যান্সের পুনরাবৃত্তি আজ লাহোরে করতে পারলেই এশিয়া কাপে একটা গুরুত্বপূর্ণ ‘লাইফ লাইন’ পেতে পারে বাংলাদেশ।
লাহোরের ভালো উইকেটে বাংলাদেশ উন্মুখ হয়ে আছে সুপার ফোরের আশাটা অন্তত বাঁচিয়ে রাখতে। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক অবশ্য হাথুরুকে মনে করিয়ে দিচ্ছিলেন, বাংলাদেশ ২০১২ থেকে টানা তিনটি এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলেছে।
শ্রীলঙ্কার কাছে হারের পর বাংলাদেশ কোচ এখন ফাইনাল-টাইনাল নিয়ে ভাবার অবস্থায় নেই। হাথুরু বলছেন, ‘আগে তো দ্বিতীয় পর্বে উঠতে হবে। এটা আমাদের বাঁচা-মরার ম্যাচ। অবশ্যই আমরা নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী এখনো খেলতে পারিনি। আফগানিস্তানের সঙ্গে সেটা দেখাতে চাই।’
সামর্থ্যের সেরাটা দিতে আজ হাথুরু যে একাদশে পরিবর্তন আনতে পারেন, সেটি সংবাদ সম্মেলনেই ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন। হঠাৎ উড়িয়ে নেওয়া অভিজ্ঞ এনামুল হক বিজয়কে একাদশে রাখাটা যেন অনিবার্যই হয়ে পড়েছে। পরিবর্তন আসতে পারে লোয়ার মিডল অর্ডার এমনকি পেস বোলিং আক্রমণেও।
পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে রয়েছে বাংলাদেশ দল। সফরের অংশ হিসেবে ১৭ ও ১৮ নভেম্বর হবে ২ দিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ। এই ম্যাচের মাধ্যমে প্রস্তুতি নেওয়ার দারুণ সুযোগ পাচ্ছেন মেহেদী হাসান মিরাজরা। মূল টেস্ট সিরিজের আগে কিছুটা আত্মবিশ্বাসও বাড়তে পারে তাঁদের। ম্যাচটি হবে অ্যান্টিগায়র স্যার ভিভ
৩ ঘণ্টা আগেভারতের আপত্তিতে পাকিস্তানের তিন শহরে ট্রফি সফর বাতিল করেছে আইসিসি। দীর্ঘ ২৮ বছর পর আইসিসির কোনো টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে তারা। তবে শুরু থেকেই বিভিন্ন আপত্তি তুলছে ভারত।
৪ ঘণ্টা আগেদ্বিতীয় দিনের ছন্দ ধরে রেখে আজ তৃতীয় দিন বাকি দুই উইকেটও নিজের ঝুলিতে নিলেন আনশুল কাম্বোজ। সঙ্গে সঙ্গে বিরল এক রেকর্ড তাঁর নামের পাশে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে একাই ১০ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখালেন হরিয়ানার এই পেসার।
৪ ঘণ্টা আগে