নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সংবাদ সম্মেলন শেষে ড্রেসিংরুমে একসঙ্গেই ফিরছিলেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান আর কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে। হঠাৎ হাথুরুর মনে হলো, মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের পিচ কিউরেটর স্বদেশি গামিনি ডি সিলভার কাছ থেকে বিদায় নেওয়া দরকার।
এশিয়া কাপ খেলতে শ্রীলঙ্কায় যাচ্ছে বাংলাদেশ। দেশে যাওয়ার আগের দিন লঙ্কান সহকর্মীর সঙ্গে দেখা করতে হাথুরু রওনা দিতেই সাকিবের রসিকতা, ‘তাহলে আপনার সঙ্গে কাল (আজ) প্লেনে দেখা হচ্ছে। আপনি যাচ্ছেন তো?’ সেটির উত্তরে হাথুরুর পাল্টা রসিকতা, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই আন্তর্জাতিক টার্মিনালে। সাব্বির রহমানের মতো ডমেস্টিকে নয়।’ কোনো একবার হয়তো সাব্বির ভুলে চলে গিয়েছিলেন অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে। সেটি নিয়েই এই রসিকতা।
রসিকতা ছাপিয়ে এখানে যেটি পরিষ্কার, কোচ হাথুরু আর অধিনায়ক সাকিবের জুটি বেশ জমজমাট। গত বছর এই সময়ে এশিয়া কাপের আগে আকস্মিক টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্ব পাওয়া সাকিব গত এক বছরে ২০ ওভারের দল খুব ভালোভাবে গুছিয়ে নিয়েছেন।
তামিম ইকবাল ছেড়ে দেওয়ায় আকস্মিকভাবে এই এশিয়া কাপের আগে ওয়ানডের নেতৃত্বও পেলেন সাকিব। এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার রোমাঞ্চ আর চ্যালেঞ্জ নেওয়ার সুযোগ তাঁর মতো বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার কি আর হাতছাড়া করেন?
এবার অসাধারণ এক গেম প্ল্যানার হাথুরুর সঙ্গে ক্ষুরধার ক্রিকেট মস্তিষ্ক সাকিবের রসায়নে এশিয়া কাপে নতুন স্বপ্ন নিয়ে শ্রীলঙ্কা আর পাকিস্তানে যাচ্ছে বাংলাদেশ। স্বপ্নটা কী—সেটি এমন কোনো গোপন বিষয় নয়। গত এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কা আর আফগানিস্তানের কাছে হেরে বাংলাদেশ উঠতে পারেনি সুপার ফোরে। এবার অন্তত গ্রুপ পর্বের বৈতরণি টপকে যাওয়ার লক্ষ্য সাকিবদের। কিন্তু কাজটা বড় কঠিন। শ্রীলঙ্কাকে মোকাবিলা করতে হবে শ্রীলঙ্কার মাঠে। আফগানিস্তানকে খেলতে হবে তাদের অনেকটা চেনা পরিবেশ পাকিস্তানে।
গত পাঁচ বছরে শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ দ্বৈরথ মানে আলাদা একটা ঝাঁজ! ২০১৮ সালের মার্চে নিদাহাস ট্রফিতে হাথুরু যখন শ্রীলঙ্কার কোচ, খুব কাছ থেকে এই প্রতিবেদকের দেখার সুযোগ হয়েছিল লঙ্কান দর্শকেরা বাংলাদেশকে কীভাবে ‘অন্য চোখে’ দেখে। সেই ঝাঁজ, উত্তাপ এবারও নিশ্চিত ফিরে আসবে। পার্থক্য হচ্ছে, এবার বাংলাদেশের হয়ে লঙ্কাজয়ের ছক কষবেন একজন লঙ্কানই—উপুল চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে।
হাথুরু অবশ্য গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার দ্বৈরথকে বড় করে না দেখে দুই দলের ক্রিকেটীয় পারফরম্যান্স সামনে আনলেন, ‘এই দ্বৈরথ নিয়ে আমি অবগত নই। তবে সম্প্রতি দুই দলই ভালো খেলছে একে অন্যের বিপক্ষে। দুই দলই ভালো চ্যালেঞ্জ জানাবে। সাম্প্রতিক সময়ে ওদের বিপক্ষে আমাদের ভালো সাফল্য আছে। কোনো দ্বৈরথ নিয়ে ভাবছি না, তবে দুই দলের বিপক্ষে আমাদের কৌশল হচ্ছে কীভাবে আমরা এই পর্ব থেকে পরের পর্বে যাব।’
সাকিবেরও একই চিন্তা। সামনে বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্ট থাকলেও নিজের সিস্টেমে আপাতত দুটি ম্যাচ ‘ইনস্টল’ করে নিয়েছেন—৩১ আগস্ট ক্যান্ডিতে শ্রীলঙ্কা আর ৩ সেপ্টেম্বর লাহোরে পাকিস্তান। এর বেশি সাকিব আপাতত কিছুই ভাবতে চান না। বিশ্বকাপ তাঁর কাছে এখনো অনেক দূরের ব্যাপার। এখন সামনে এশিয়া কাপ, আরও নির্দিষ্ট করে বললে গ্রুপ পর্বের দুটি ম্যাচ। তবে তিনি মনে করেন না, এশিয়া কাপ বাংলাদেশে ব্যর্থ হলে বিশ্বকাপে নিরাশ হতে হবে কিংবা এশিয়া কাপে ভালো করলে বিশ্বকাপে অনেক আশা বেড়ে যাবে। সাকিব এমনই আবেগশূন্য, বাস্তববাদী মানুষ। এখানেই হাথুরুর সঙ্গে তাঁর সবচেয়ে বড় মিল। আর এ কারণে এই জুটিতে এবার বড় স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ।
সংবাদ সম্মেলন শেষে ড্রেসিংরুমে একসঙ্গেই ফিরছিলেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান আর কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে। হঠাৎ হাথুরুর মনে হলো, মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের পিচ কিউরেটর স্বদেশি গামিনি ডি সিলভার কাছ থেকে বিদায় নেওয়া দরকার।
এশিয়া কাপ খেলতে শ্রীলঙ্কায় যাচ্ছে বাংলাদেশ। দেশে যাওয়ার আগের দিন লঙ্কান সহকর্মীর সঙ্গে দেখা করতে হাথুরু রওনা দিতেই সাকিবের রসিকতা, ‘তাহলে আপনার সঙ্গে কাল (আজ) প্লেনে দেখা হচ্ছে। আপনি যাচ্ছেন তো?’ সেটির উত্তরে হাথুরুর পাল্টা রসিকতা, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই আন্তর্জাতিক টার্মিনালে। সাব্বির রহমানের মতো ডমেস্টিকে নয়।’ কোনো একবার হয়তো সাব্বির ভুলে চলে গিয়েছিলেন অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে। সেটি নিয়েই এই রসিকতা।
রসিকতা ছাপিয়ে এখানে যেটি পরিষ্কার, কোচ হাথুরু আর অধিনায়ক সাকিবের জুটি বেশ জমজমাট। গত বছর এই সময়ে এশিয়া কাপের আগে আকস্মিক টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্ব পাওয়া সাকিব গত এক বছরে ২০ ওভারের দল খুব ভালোভাবে গুছিয়ে নিয়েছেন।
তামিম ইকবাল ছেড়ে দেওয়ায় আকস্মিকভাবে এই এশিয়া কাপের আগে ওয়ানডের নেতৃত্বও পেলেন সাকিব। এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার রোমাঞ্চ আর চ্যালেঞ্জ নেওয়ার সুযোগ তাঁর মতো বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার কি আর হাতছাড়া করেন?
এবার অসাধারণ এক গেম প্ল্যানার হাথুরুর সঙ্গে ক্ষুরধার ক্রিকেট মস্তিষ্ক সাকিবের রসায়নে এশিয়া কাপে নতুন স্বপ্ন নিয়ে শ্রীলঙ্কা আর পাকিস্তানে যাচ্ছে বাংলাদেশ। স্বপ্নটা কী—সেটি এমন কোনো গোপন বিষয় নয়। গত এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কা আর আফগানিস্তানের কাছে হেরে বাংলাদেশ উঠতে পারেনি সুপার ফোরে। এবার অন্তত গ্রুপ পর্বের বৈতরণি টপকে যাওয়ার লক্ষ্য সাকিবদের। কিন্তু কাজটা বড় কঠিন। শ্রীলঙ্কাকে মোকাবিলা করতে হবে শ্রীলঙ্কার মাঠে। আফগানিস্তানকে খেলতে হবে তাদের অনেকটা চেনা পরিবেশ পাকিস্তানে।
গত পাঁচ বছরে শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ দ্বৈরথ মানে আলাদা একটা ঝাঁজ! ২০১৮ সালের মার্চে নিদাহাস ট্রফিতে হাথুরু যখন শ্রীলঙ্কার কোচ, খুব কাছ থেকে এই প্রতিবেদকের দেখার সুযোগ হয়েছিল লঙ্কান দর্শকেরা বাংলাদেশকে কীভাবে ‘অন্য চোখে’ দেখে। সেই ঝাঁজ, উত্তাপ এবারও নিশ্চিত ফিরে আসবে। পার্থক্য হচ্ছে, এবার বাংলাদেশের হয়ে লঙ্কাজয়ের ছক কষবেন একজন লঙ্কানই—উপুল চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে।
হাথুরু অবশ্য গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার দ্বৈরথকে বড় করে না দেখে দুই দলের ক্রিকেটীয় পারফরম্যান্স সামনে আনলেন, ‘এই দ্বৈরথ নিয়ে আমি অবগত নই। তবে সম্প্রতি দুই দলই ভালো খেলছে একে অন্যের বিপক্ষে। দুই দলই ভালো চ্যালেঞ্জ জানাবে। সাম্প্রতিক সময়ে ওদের বিপক্ষে আমাদের ভালো সাফল্য আছে। কোনো দ্বৈরথ নিয়ে ভাবছি না, তবে দুই দলের বিপক্ষে আমাদের কৌশল হচ্ছে কীভাবে আমরা এই পর্ব থেকে পরের পর্বে যাব।’
সাকিবেরও একই চিন্তা। সামনে বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্ট থাকলেও নিজের সিস্টেমে আপাতত দুটি ম্যাচ ‘ইনস্টল’ করে নিয়েছেন—৩১ আগস্ট ক্যান্ডিতে শ্রীলঙ্কা আর ৩ সেপ্টেম্বর লাহোরে পাকিস্তান। এর বেশি সাকিব আপাতত কিছুই ভাবতে চান না। বিশ্বকাপ তাঁর কাছে এখনো অনেক দূরের ব্যাপার। এখন সামনে এশিয়া কাপ, আরও নির্দিষ্ট করে বললে গ্রুপ পর্বের দুটি ম্যাচ। তবে তিনি মনে করেন না, এশিয়া কাপ বাংলাদেশে ব্যর্থ হলে বিশ্বকাপে নিরাশ হতে হবে কিংবা এশিয়া কাপে ভালো করলে বিশ্বকাপে অনেক আশা বেড়ে যাবে। সাকিব এমনই আবেগশূন্য, বাস্তববাদী মানুষ। এখানেই হাথুরুর সঙ্গে তাঁর সবচেয়ে বড় মিল। আর এ কারণে এই জুটিতে এবার বড় স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ।
ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগেই টেস্টের অধিনায়কত্ব ছেড়েছিলেন টিম সাউদি। নতুন অধিনায়ক টম লাথামের নেতৃত্বে ভারতকে পরে টেস্ট সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করে নিউজিল্যান্ড। ভারত সিরিজ শেষের প্রায় দুই সপ্তাহ পর অবসরের খবরটা জানিয়েই দিলেন সাউদি।
১ ঘণ্টা আগেবার্বাডোজে ২৯ জুন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পর উড়ছে ভারত। জিম্বাবুয়ে, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ-টানা তিনটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ ভারত জিতেছে। ভারতের সামনে এবার টানা চারটি সিরিজ জয়ের সুযোগ।
২ ঘণ্টা আগেসার্চ কমিটির দেওয়া প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই করে গতকাল ৯টি ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটি গঠন করে দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। রাত সাড়ে নয়টার পর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব আমিনুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এমনটা জানানো হয়।
২ ঘণ্টা আগেখেলার মাঠে হট্টগোলের ঘটনা খুবই পরিচিত দৃশ্য এখন। বিশ্বকাপ, কোপা আমেরিকা, ইউরোর মতো মেজর ইভেন্টে দর্শকদের মধ্যে মারাত্মক হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। উয়েফা নেশনস লিগের ম্যাচেও লেগেছে তার ছোঁয়া। গত রাতে ফ্রান্স-ইসরায়েল ম্যাচে ঘটে গেছে তুলকালাম কাণ্ড।
৩ ঘণ্টা আগে