ক্রীড়া ডেস্ক
২০২৩ বিশ্বকাপে ভারতকে হারানো যেন বেশ কঠিন কাজ। টানা পাঁচ ম্যাচ জিতে টুর্নামেন্ট শুরু করেছে স্বাগতিকেরা। অন্যদিকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের অবস্থা এবার বেশ ভয়াবহ। সেই নিষ্প্রভ ইংল্যান্ডকে আজ লক্ষ্ণৌর শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ি স্টেডিয়ামে ২৩০ রানের লক্ষ্য দিয়েছে ভারত।
টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার। ইনিংসের প্রথম ওভার করতে আসা ডেভিড উইলি মেডেন দিয়েছেন। সেই ওভার ব্যাটিং করেছেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এরপর ক্রিস ওকসের করা ওভার থেকে চার মেরে রানের খাতা খোলেন শুভমান গিল। সবচেয়ে বেশি ঝড় বয়ে গিয়েছিল ইনিংসের তৃতীয় ওভারে উইলির ওপর দিয়ে। সেই ওভার থেকে ভারত নিয়েছে ১৮ রান। যার মধ্যে রোহিত দুটি ছক্কা ও চার মেরেছেন। ভারতের স্কোর দাঁড়ায় ৩ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ২২ রান।
দুর্দান্ত শুরু করা ভারত হয়তো তখনো বুঝতে পারেনি তাদের ওপর কী বিপদ আসতে চলেছে। চতুর্থ ওভারের শেষ বলে গিলকে অসাধারণ ডেলিভারিতে বোল্ড করেন ওকস। তাতে ভারতের স্কোর দাঁড়ায় ৪ ওভারে ১ উইকেটে ২৬ রান। এরপর ব্যাটিংয়ে এসেও বিরাট কোহলি খুব সংগ্রাম করেছেন। বাউন্ডারি মারার চেষ্টা করলেও ইংলিশ ফিল্ডাররা তা ব্যর্থ করে দিয়েছেন। খুব দ্রুতই তিনি ড্রেসিংরুমে ফিরে গেছেন। সপ্তম ওভারের পঞ্চম বলে উইলিকে তুলে মারতে যান কোহলি। মিড অফে সহজ ক্যাচ তালুবন্দী করেছেন বেন স্টোকস। দারুণ ছন্দে থাকা কোহলি ৯ বল খেললেও রানের খাতা খোলার আগেই উইকেট হারিয়েছেন।
গিল, কোহলির দ্রুত বিদায়ে ভারতের স্কোর হয়ে যায় ৬.৫ ওভারে ২ উইকেটে ২৭ রান। এরপর ব্যাটিংয়ে আসেন শ্রেয়াস আয়ার। ইংল্যান্ডের দুর্দান্ত বোলিং-ফিল্ডিংয়ে রোহিত-আয়ার দুজনেই সংগ্রাম করতে থাকেন। প্রথম ১০ ওভার শেষে ভারত করতে পেরেছে ২ উইকেটে ৩৫ রান। প্রথম পাওয়ারপ্লে শেষ হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যেই আয়ারের উইকেটও হারিয়েছে ভারত। ১২ তম ওভারের পঞ্চম বলে ওকসকে তুলে মারতে গিয়ে মিড অনে মার্ক উডের তালুবন্দী হন আয়ার। ১৬ বলে ৪ রান করেছেন ভারতীয় এই ব্যাটার। ৪০ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর ব্যাটিংয়ে আসেন লোকেশ রাহুল।
সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মাঝে একপ্রান্ত আগলে খেলছিলেন রোহিত। খুব দ্রুতই ভারতের ৪ উইকেট পড়তে পারত। ১৬ তম ওভারের পঞ্চম বলে ভারতীয় অধিনায়কের বিরুদ্ধে মার্ক উড এলবিডব্লুর আবেদন করলে আউট দিয়ে দেন আম্পায়ার। রোহিত রিভিউ নিলে দেখা যায়, বল স্টাম্পে হিট করেনি। ঠিক তার পরের বলে উডকে চার মেরেছেন ভারতীয় অধিনায়ক। ভারতীয় অধিনায়ক সাবলীলভাবে খেলেছেন ইংলিশ বোলারদের। অন্যপ্রান্তে তার সঙ্গী রাহুল কিছুটা ধীর গতিতে খেলতে থাকেন। রাহুলকে নিয়ে জুটি গড়ার মধ্যেই রোহিত এবারের বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নিয়েছেন। চতুর্থ উইকেটে ১১১ বলে ৯১ রানের জুটি গড়েছেন রাহুল-রোহিত। ৫৮ বলে ৩৯ রান করা রাহুলকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন উইলি।
গিল, কোহলি, শ্রেয়াস, রাহুল-এই চার ব্যাটারের বিদায়ে ভারতের স্কোর দাঁড়ায় ৩০.২ ওভারে ৪ উইকেটে ১৩১ রান। রাহুল আউট হওয়ার পরও স্বভাবসুলভ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে যাচ্ছিলেন রোহিত। ভারতীয় অধিনায়কের ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল বিশ্বকাপ ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি পেয়ে যাবেন। রোহিতকে তা করতে দেননি আদিল রশিদ। ৩৭ তম ওভারের পঞ্চম বলে রশিদকে লেগ সাইডে তুলে মারতে যান রোহিত। ডিপ মিড উইকেটে দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেছেন লিয়াম লিভিংস্টোন। তাতে লিভিংস্টোন কিছুটা ব্যথাও পেয়েছেন। আর ১০১ বলে ১০ চার ও ৩ ছক্কায় ৮৭ রান করেছেন রোহিত।
রোহিতের আউটের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ভারত। ৫ উইকেটে ১৬৪ থেকে মুহূর্তেই হয়ে যায় ৭ উইকেটে ১৮৩ রান। রবীন্দ্র জাদেজা ও মোহাম্মদ শামি-ভারতের এই দুই উইকেট তুলে নিয়েছেন রশিদ ও উড। জাদেজা ও শামি করেছেন ৮ ও ১ রান। সতীর্থদের ড্রেসিংরুমে আসা-যাওয়ার মাঝে একপ্রান্ত আগলে খেলতে থাকেন ছয় নম্বরে নামা সূর্যকুমার যাদব। বিশ্বকাপ ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি প্রায় পেয়েই গিয়েছিলেন। ৪৭ তম ওভারের দ্বিতীয় বলে উইলিকে অফসাইডে উড়িয়ে মেরেছিলেন সূর্যকুমার। তবে ডিপ পয়েন্টে সহজ ক্যাচ ধরেছেন ওকস। ৪৭ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৪৯ রান করেছেন সূর্যকুমার।
ফিফটি মিস করা সূর্যকুমারের বিদায়ে শেষে ভারতের স্কোর দাঁড়ায় ৪৬.২ ওভারে ৮ উইকেটে ২০৮ রান। দশ নম্বর ব্যাটার হিসেবে উইকেটে আসেন কুলদীপ যাদব। নবম উইকেট জুটিতে জসপ্রীত বুমরা-কুলদীপ কেউই অবশ্য হাত খুলে খেলতে পারেননি। ইনিংসের শেষ বলে রান আউটের ফাঁদে কাটা পড়েছেন বুমরা। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ভারত করেছে ৯ উইকেটে ২২৯ রান। সর্বোচ্চ ৮৭ রান করেছেন রোহিত। ইংল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন উইলি।
২০২৩ বিশ্বকাপে ভারতকে হারানো যেন বেশ কঠিন কাজ। টানা পাঁচ ম্যাচ জিতে টুর্নামেন্ট শুরু করেছে স্বাগতিকেরা। অন্যদিকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের অবস্থা এবার বেশ ভয়াবহ। সেই নিষ্প্রভ ইংল্যান্ডকে আজ লক্ষ্ণৌর শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ি স্টেডিয়ামে ২৩০ রানের লক্ষ্য দিয়েছে ভারত।
টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার। ইনিংসের প্রথম ওভার করতে আসা ডেভিড উইলি মেডেন দিয়েছেন। সেই ওভার ব্যাটিং করেছেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এরপর ক্রিস ওকসের করা ওভার থেকে চার মেরে রানের খাতা খোলেন শুভমান গিল। সবচেয়ে বেশি ঝড় বয়ে গিয়েছিল ইনিংসের তৃতীয় ওভারে উইলির ওপর দিয়ে। সেই ওভার থেকে ভারত নিয়েছে ১৮ রান। যার মধ্যে রোহিত দুটি ছক্কা ও চার মেরেছেন। ভারতের স্কোর দাঁড়ায় ৩ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ২২ রান।
দুর্দান্ত শুরু করা ভারত হয়তো তখনো বুঝতে পারেনি তাদের ওপর কী বিপদ আসতে চলেছে। চতুর্থ ওভারের শেষ বলে গিলকে অসাধারণ ডেলিভারিতে বোল্ড করেন ওকস। তাতে ভারতের স্কোর দাঁড়ায় ৪ ওভারে ১ উইকেটে ২৬ রান। এরপর ব্যাটিংয়ে এসেও বিরাট কোহলি খুব সংগ্রাম করেছেন। বাউন্ডারি মারার চেষ্টা করলেও ইংলিশ ফিল্ডাররা তা ব্যর্থ করে দিয়েছেন। খুব দ্রুতই তিনি ড্রেসিংরুমে ফিরে গেছেন। সপ্তম ওভারের পঞ্চম বলে উইলিকে তুলে মারতে যান কোহলি। মিড অফে সহজ ক্যাচ তালুবন্দী করেছেন বেন স্টোকস। দারুণ ছন্দে থাকা কোহলি ৯ বল খেললেও রানের খাতা খোলার আগেই উইকেট হারিয়েছেন।
গিল, কোহলির দ্রুত বিদায়ে ভারতের স্কোর হয়ে যায় ৬.৫ ওভারে ২ উইকেটে ২৭ রান। এরপর ব্যাটিংয়ে আসেন শ্রেয়াস আয়ার। ইংল্যান্ডের দুর্দান্ত বোলিং-ফিল্ডিংয়ে রোহিত-আয়ার দুজনেই সংগ্রাম করতে থাকেন। প্রথম ১০ ওভার শেষে ভারত করতে পেরেছে ২ উইকেটে ৩৫ রান। প্রথম পাওয়ারপ্লে শেষ হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যেই আয়ারের উইকেটও হারিয়েছে ভারত। ১২ তম ওভারের পঞ্চম বলে ওকসকে তুলে মারতে গিয়ে মিড অনে মার্ক উডের তালুবন্দী হন আয়ার। ১৬ বলে ৪ রান করেছেন ভারতীয় এই ব্যাটার। ৪০ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর ব্যাটিংয়ে আসেন লোকেশ রাহুল।
সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মাঝে একপ্রান্ত আগলে খেলছিলেন রোহিত। খুব দ্রুতই ভারতের ৪ উইকেট পড়তে পারত। ১৬ তম ওভারের পঞ্চম বলে ভারতীয় অধিনায়কের বিরুদ্ধে মার্ক উড এলবিডব্লুর আবেদন করলে আউট দিয়ে দেন আম্পায়ার। রোহিত রিভিউ নিলে দেখা যায়, বল স্টাম্পে হিট করেনি। ঠিক তার পরের বলে উডকে চার মেরেছেন ভারতীয় অধিনায়ক। ভারতীয় অধিনায়ক সাবলীলভাবে খেলেছেন ইংলিশ বোলারদের। অন্যপ্রান্তে তার সঙ্গী রাহুল কিছুটা ধীর গতিতে খেলতে থাকেন। রাহুলকে নিয়ে জুটি গড়ার মধ্যেই রোহিত এবারের বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নিয়েছেন। চতুর্থ উইকেটে ১১১ বলে ৯১ রানের জুটি গড়েছেন রাহুল-রোহিত। ৫৮ বলে ৩৯ রান করা রাহুলকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন উইলি।
গিল, কোহলি, শ্রেয়াস, রাহুল-এই চার ব্যাটারের বিদায়ে ভারতের স্কোর দাঁড়ায় ৩০.২ ওভারে ৪ উইকেটে ১৩১ রান। রাহুল আউট হওয়ার পরও স্বভাবসুলভ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে যাচ্ছিলেন রোহিত। ভারতীয় অধিনায়কের ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল বিশ্বকাপ ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি পেয়ে যাবেন। রোহিতকে তা করতে দেননি আদিল রশিদ। ৩৭ তম ওভারের পঞ্চম বলে রশিদকে লেগ সাইডে তুলে মারতে যান রোহিত। ডিপ মিড উইকেটে দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেছেন লিয়াম লিভিংস্টোন। তাতে লিভিংস্টোন কিছুটা ব্যথাও পেয়েছেন। আর ১০১ বলে ১০ চার ও ৩ ছক্কায় ৮৭ রান করেছেন রোহিত।
রোহিতের আউটের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ভারত। ৫ উইকেটে ১৬৪ থেকে মুহূর্তেই হয়ে যায় ৭ উইকেটে ১৮৩ রান। রবীন্দ্র জাদেজা ও মোহাম্মদ শামি-ভারতের এই দুই উইকেট তুলে নিয়েছেন রশিদ ও উড। জাদেজা ও শামি করেছেন ৮ ও ১ রান। সতীর্থদের ড্রেসিংরুমে আসা-যাওয়ার মাঝে একপ্রান্ত আগলে খেলতে থাকেন ছয় নম্বরে নামা সূর্যকুমার যাদব। বিশ্বকাপ ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি প্রায় পেয়েই গিয়েছিলেন। ৪৭ তম ওভারের দ্বিতীয় বলে উইলিকে অফসাইডে উড়িয়ে মেরেছিলেন সূর্যকুমার। তবে ডিপ পয়েন্টে সহজ ক্যাচ ধরেছেন ওকস। ৪৭ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৪৯ রান করেছেন সূর্যকুমার।
ফিফটি মিস করা সূর্যকুমারের বিদায়ে শেষে ভারতের স্কোর দাঁড়ায় ৪৬.২ ওভারে ৮ উইকেটে ২০৮ রান। দশ নম্বর ব্যাটার হিসেবে উইকেটে আসেন কুলদীপ যাদব। নবম উইকেট জুটিতে জসপ্রীত বুমরা-কুলদীপ কেউই অবশ্য হাত খুলে খেলতে পারেননি। ইনিংসের শেষ বলে রান আউটের ফাঁদে কাটা পড়েছেন বুমরা। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ভারত করেছে ৯ উইকেটে ২২৯ রান। সর্বোচ্চ ৮৭ রান করেছেন রোহিত। ইংল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন উইলি।
পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে রয়েছে বাংলাদেশ দল। সফরের অংশ হিসেবে ১৭ ও ১৮ নভেম্বর হবে ২ দিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ। এই ম্যাচের মাধ্যমে প্রস্তুতি নেওয়ার দারুণ সুযোগ পাচ্ছেন মেহেদী হাসান মিরাজরা। মূল টেস্ট সিরিজের আগে কিছুটা আত্মবিশ্বাসও বাড়তে পারে তাঁদের। ম্যাচটি হবে অ্যান্টিগায়র স্যার ভিভ
১ ঘণ্টা আগেভারতের আপত্তিতে পাকিস্তানের তিন শহরে ট্রফি সফর বাতিল করেছে আইসিসি। দীর্ঘ ২৮ বছর পর আইসিসির কোনো টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে তারা। তবে শুরু থেকেই বিভিন্ন আপত্তি তুলছে ভারত।
১ ঘণ্টা আগেদ্বিতীয় দিনের ছন্দ ধরে রেখে আজ তৃতীয় দিন বাকি দুই উইকেটও নিজের ঝুলিতে নিলেন আনশুল কাম্বোজ। সঙ্গে সঙ্গে বিরল এক রেকর্ড তাঁর নামের পাশে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে একাই ১০ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখালেন হরিয়ানার এই পেসার।
২ ঘণ্টা আগে