ক্রীড়া ডেস্ক
সেমিফাইনাল আগেই নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। লিগ পর্বের শেষ ম্যাচটি তাই তাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। তবে তাদের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তানের জন্য ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সুযোগ ছিল নিউজিল্যান্ডকে হটিয়ে শেষ দল হিসেবে শেষ চারে যাওয়ার।
তবে আগফানিস্তানের কাছে সেমিতে যাওয়ার সমীকরণটা ছিল অসম্ভবের। আগে ব্যাটিং করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে কমপক্ষে ৪৩৮ রানে হারাতে হবে তাদের। সেটা যে সম্ভব নয় তা আফগানিস্তানের ব্যাটিং শেষে নিশ্চিতও হয়েছে। শেষ বলে আফগানরা ২৪৪ রানে অলআউট হওয়াতে।
সেমির স্বপ্ন শেষ হলেও আফগানদের সুযোগ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শেষ করার। কিন্তু সেই সুযোগও দেয়নি প্রোটিয়ারা। আফগানদের দেওয়া ২৪৫ রানের লক্ষ্যে ১৫ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের জয় পেয়েছে।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেন টেম্বা বাভুমা ও কুইন্টন ডি কক। উদ্বোধনী জুটিতে ৬৪ রান যোগ করেন তাঁরা। তাঁদের দুর্দান্ত শুরুতে একটা সময় মনে করা হচ্ছিল সহজেই হয়তো জয় পাবে প্রোটিয়ারা। তবে সেমির স্বপ্ন শেষ হলেও জয়ের আশা কিন্তু ছাড়ছিল না আফগানরা।
তাই ম্যাচে ফিরতে বেশ মরিয়া ছিল আফগানরা। তার ফলও পেয়েছে তারা। ২৩ রানে বাভুমাকে আউট করে দলকে প্রথম সাফল্য এনে দেন মুজিব উর রহমান। ২ রান পর ৪১ রান করা ডি কককে ফেরান মোহাম্মদ নবী। সে যাত্রায় ম্যাচে ফিরলেও তৃতীয় উইকেটে দুর্দান্ত এক জুটি গড়ে আফগানদের এবার হতাশ করেন রাসি ফন ডার ডুসেন ও এইডেন মার্করাম।
তৃতীয় উইকেটে কাটায় কাটায় ৫০ রানের জুটি গড়েন ডুসেন–মার্করাম। ২৫ রানে মার্করামকে আউট করে এবার দলকে ম্যাচে ফেরান রশিদ খান। পাঁচে নামা হেনরিখ ক্লাসেনকে বোল্ড করে দলকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণও এনে দিয়েছিলেন রশিদ। কিন্তু এক প্রান্ত আগলে রেখে আবারও আফগানদের কাছ থেকে ম্যাচে বের করে নেন ডুসেন।
প্রথমে ডেভিড মিলারের সঙ্গে ৪৩ রানের জুটি গড়েন ডুসেন। পরে ২৪ রানে মিলার আউট হলে ষষ্ঠ উইকেটে আন্দিলে ফেলুকাওয়োর সঙ্গে দুর্দান্ত এক জুটি গড়ে দলকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। দুজনে মিলে দলীয় খাতায় যোগ করেন ৬৫ রান। ফেলুকাওয়োর ৩৯ রানের বিপরীতে ৭৬ রানের অপরাজিত থাকেন ডুসেন। দক্ষিণ আফ্রিকার ৫ উইকেটের জয়ে আফগানদের লড়াইটা বোঝা না গেলেও শেষটায় বেশ ভালোই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে তারা।
আহমেদাবাদে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৩৮ রানে জয় তো দূরে থাক আড়াই শ রানই করতে পারেনি আফগানরা। শেষ বলে অলআউট হয় ২৪৪ রানে। দেখে শুনে শুরুটা করেছিলেন গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। উদ্বোধনী জুটিতে ৪১ রান তোলেন দুজনে। ২৫ রানে গুরবাজ আউট হওয়ার পরেই যেন তাদের সামান্যটুকু আশাও মিইয়ে যায়।
দলীয় ৪১ রানে গুরবাজ আউট হওয়ার পরের ওভারেই বিদায় নেন আফগানদের হয়ে বিশ্বকাপের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান ইব্রাহিম। ১৫ রানে আউট হন তিনি। দলীয় খাতায় ৪ রান যোগ হওয়ার পর বিদায় নেন অধিনায়ক শাহীদিও। ২ রানে মহারাজের শিকার হন তিনি।
৪৫ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর আফগানদের হাল ধরেন রহমত শাহ ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই। ৪৯ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহ এনে দেওয়ার ভিত্তি তৈরি করছিল তাঁরা। তবে তাঁদের জুটিকে আর বড় হতে দেননি লুঙ্গি এনগিদি। ২৬ রান রহমত আউট হওয়ার পরেই একের পর এক উইকেট হারায় আফগানিস্তান।
এরপরেও যে ২৪৪ রানের সংগ্রহ পেয়েছে আফগানিস্তান তার পুরো কৃতিত্বই ওমরাজাইয়ের। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলে এক প্রান্ত আগলে দলকে এই সংগ্রহ এনে দেন তিনি। তবে ৩ রানের আক্ষেপ তাঁর থেকেই যাবে। কেননা বলের অভাবে সেঞ্চুরি করতে পারেননি তিনি। শেষ বল আফগানরা অলআউট হওয়ার সময় ৯৭ রানে অপরাজিত থাকেন এই অলরাউন্ডার। ৪৪ রানে ৪ উইকেট নিয়ে প্রোটিয়াদের সেরা বোলার জেরাল্ড কোয়েৎজি।
সেমিফাইনাল আগেই নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। লিগ পর্বের শেষ ম্যাচটি তাই তাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। তবে তাদের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তানের জন্য ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সুযোগ ছিল নিউজিল্যান্ডকে হটিয়ে শেষ দল হিসেবে শেষ চারে যাওয়ার।
তবে আগফানিস্তানের কাছে সেমিতে যাওয়ার সমীকরণটা ছিল অসম্ভবের। আগে ব্যাটিং করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে কমপক্ষে ৪৩৮ রানে হারাতে হবে তাদের। সেটা যে সম্ভব নয় তা আফগানিস্তানের ব্যাটিং শেষে নিশ্চিতও হয়েছে। শেষ বলে আফগানরা ২৪৪ রানে অলআউট হওয়াতে।
সেমির স্বপ্ন শেষ হলেও আফগানদের সুযোগ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শেষ করার। কিন্তু সেই সুযোগও দেয়নি প্রোটিয়ারা। আফগানদের দেওয়া ২৪৫ রানের লক্ষ্যে ১৫ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের জয় পেয়েছে।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেন টেম্বা বাভুমা ও কুইন্টন ডি কক। উদ্বোধনী জুটিতে ৬৪ রান যোগ করেন তাঁরা। তাঁদের দুর্দান্ত শুরুতে একটা সময় মনে করা হচ্ছিল সহজেই হয়তো জয় পাবে প্রোটিয়ারা। তবে সেমির স্বপ্ন শেষ হলেও জয়ের আশা কিন্তু ছাড়ছিল না আফগানরা।
তাই ম্যাচে ফিরতে বেশ মরিয়া ছিল আফগানরা। তার ফলও পেয়েছে তারা। ২৩ রানে বাভুমাকে আউট করে দলকে প্রথম সাফল্য এনে দেন মুজিব উর রহমান। ২ রান পর ৪১ রান করা ডি কককে ফেরান মোহাম্মদ নবী। সে যাত্রায় ম্যাচে ফিরলেও তৃতীয় উইকেটে দুর্দান্ত এক জুটি গড়ে আফগানদের এবার হতাশ করেন রাসি ফন ডার ডুসেন ও এইডেন মার্করাম।
তৃতীয় উইকেটে কাটায় কাটায় ৫০ রানের জুটি গড়েন ডুসেন–মার্করাম। ২৫ রানে মার্করামকে আউট করে এবার দলকে ম্যাচে ফেরান রশিদ খান। পাঁচে নামা হেনরিখ ক্লাসেনকে বোল্ড করে দলকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণও এনে দিয়েছিলেন রশিদ। কিন্তু এক প্রান্ত আগলে রেখে আবারও আফগানদের কাছ থেকে ম্যাচে বের করে নেন ডুসেন।
প্রথমে ডেভিড মিলারের সঙ্গে ৪৩ রানের জুটি গড়েন ডুসেন। পরে ২৪ রানে মিলার আউট হলে ষষ্ঠ উইকেটে আন্দিলে ফেলুকাওয়োর সঙ্গে দুর্দান্ত এক জুটি গড়ে দলকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। দুজনে মিলে দলীয় খাতায় যোগ করেন ৬৫ রান। ফেলুকাওয়োর ৩৯ রানের বিপরীতে ৭৬ রানের অপরাজিত থাকেন ডুসেন। দক্ষিণ আফ্রিকার ৫ উইকেটের জয়ে আফগানদের লড়াইটা বোঝা না গেলেও শেষটায় বেশ ভালোই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে তারা।
আহমেদাবাদে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৩৮ রানে জয় তো দূরে থাক আড়াই শ রানই করতে পারেনি আফগানরা। শেষ বলে অলআউট হয় ২৪৪ রানে। দেখে শুনে শুরুটা করেছিলেন গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। উদ্বোধনী জুটিতে ৪১ রান তোলেন দুজনে। ২৫ রানে গুরবাজ আউট হওয়ার পরেই যেন তাদের সামান্যটুকু আশাও মিইয়ে যায়।
দলীয় ৪১ রানে গুরবাজ আউট হওয়ার পরের ওভারেই বিদায় নেন আফগানদের হয়ে বিশ্বকাপের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান ইব্রাহিম। ১৫ রানে আউট হন তিনি। দলীয় খাতায় ৪ রান যোগ হওয়ার পর বিদায় নেন অধিনায়ক শাহীদিও। ২ রানে মহারাজের শিকার হন তিনি।
৪৫ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর আফগানদের হাল ধরেন রহমত শাহ ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই। ৪৯ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহ এনে দেওয়ার ভিত্তি তৈরি করছিল তাঁরা। তবে তাঁদের জুটিকে আর বড় হতে দেননি লুঙ্গি এনগিদি। ২৬ রান রহমত আউট হওয়ার পরেই একের পর এক উইকেট হারায় আফগানিস্তান।
এরপরেও যে ২৪৪ রানের সংগ্রহ পেয়েছে আফগানিস্তান তার পুরো কৃতিত্বই ওমরাজাইয়ের। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলে এক প্রান্ত আগলে দলকে এই সংগ্রহ এনে দেন তিনি। তবে ৩ রানের আক্ষেপ তাঁর থেকেই যাবে। কেননা বলের অভাবে সেঞ্চুরি করতে পারেননি তিনি। শেষ বল আফগানরা অলআউট হওয়ার সময় ৯৭ রানে অপরাজিত থাকেন এই অলরাউন্ডার। ৪৪ রানে ৪ উইকেট নিয়ে প্রোটিয়াদের সেরা বোলার জেরাল্ড কোয়েৎজি।
পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে রয়েছে বাংলাদেশ দল। সফরের অংশ হিসেবে ১৭ ও ১৮ নভেম্বর হবে ২ দিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ। এই ম্যাচের মাধ্যমে প্রস্তুতি নেওয়ার দারুণ সুযোগ পাচ্ছেন মেহেদী হাসান মিরাজরা। মূল টেস্ট সিরিজের আগে কিছুটা আত্মবিশ্বাসও বাড়তে পারে তাঁদের। ম্যাচটি হবে অ্যান্টিগায়র স্যার ভিভ
৯ ঘণ্টা আগেভারতের আপত্তিতে পাকিস্তানের তিন শহরে ট্রফি সফর বাতিল করেছে আইসিসি। দীর্ঘ ২৮ বছর পর আইসিসির কোনো টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে তারা। তবে শুরু থেকেই বিভিন্ন আপত্তি তুলছে ভারত।
৯ ঘণ্টা আগেদ্বিতীয় দিনের ছন্দ ধরে রেখে আজ তৃতীয় দিন বাকি দুই উইকেটও নিজের ঝুলিতে নিলেন আনশুল কাম্বোজ। সঙ্গে সঙ্গে বিরল এক রেকর্ড তাঁর নামের পাশে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে একাই ১০ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখালেন হরিয়ানার এই পেসার।
১০ ঘণ্টা আগে