ক্রীড়া ডেস্ক
ম্যালকম মার্শাল-কার্টলি অ্যামব্র্রোসদের সামনে ব্যাট হাতে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা ছিল কঠিন ব্যাপার। বুক চিতিয়ে একাই লড়লেন রমিজ রাজা। ক্যারিবিয়ান দানবদের বাউন্স সামলে ১০২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন এই ওপেনার। তাঁর সঙ্গে ৫৭ রানে অপরাজিত থাকেন জাভেদ মিয়াঁদাদ।
তবুও সংগ্রহটা কেবল ২ উইকেটে ২২০ রান হয় পাকিস্তানের। কিন্তু ব্যাট হাতে ব্রায়ান লারা ও ডেসমন্ড হেইনস সেদিন ওয়াসিম আকরাম ও আকিব জাবেদদের কোনো সুযোগই দেননি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ১০ উইকটে হেরে ১৯৯২ ওয়ানডে বিশ্বকাপ শুরু করেছিল পাকিস্তান।
পরের ম্যাচেই জিম্বাবুয়েকে ৫৩ রানে হারায় ইমরান খানের দল। এর পর যেন দলটির ওপর মহাকাশই ভেঙে পড়ে। ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টানা হার এবং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হলে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠাই দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়ায় রমিজদের।
কিন্তু সেখান থেকেই যেন ঘুরে দাঁড়ানোর মন্ত্র শিখেছে পাকিস্তান। পার্থে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কাকে এবং ক্রাইস্টচার্চে আরেক স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডকে উড়িয়ে দিয়ে ১৯৯২ ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিতে ওঠে দলটি।
৯ দল নিয়ে বিশ্বকাপের প্রথম পর্ব হয়েছিল রবিন রাউন্ড লিগ পদ্ধতিতে। পয়েন্টের ভিত্তিতে সেরা চার দল নিয়ে সেমিফাইনাল হয়। ৯ পয়েন্ট নিয়ে ৪ নম্বর দল হিসেবে কোনোরকম সেমিতে উঠেছিল পাকিস্তান।
’৯২ এর স্মৃতি সঙ্গে নিয়েই যেন এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পথ চলছেন বাবর আজমরা। সুপার টুয়েলভে টানা ভারত ও জিম্বাবুয়ের কাছে হেরে বিদায়ের রাগিণী বেজে ওঠার উপক্রম হয়েছিল। কিন্তু নেদারল্যান্ডসের কাছে দক্ষিণ আফ্রিকার অপ্রত্যাশিত হার পাল্টে দেয় শেষ চারের চিত্র। দুই হারের পর ’৯২ এর মতো শেষ তিন ম্যাচে টানা জিতে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে পাকিস্তান।
ইংল্যান্ডের পারফরম্যান্সও যেন ওই বিশ্বকাপের মতোই। ভারতকে হারিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছিলেন ইয়ান বোথামরা। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে জয় পায় জস বাটলারের দল। ওই বিশ্বকাপের মতো এবারও গ্রুপের দুই নম্বর দল হয়ে সেমিতে উঠে ইংল্যান্ড।
’৯২ বিশ্বকাপের স্মৃতি যেন এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরতে পরতে লেগে আছে। সেবারের মতো এবারও টেবিলের শীর্ষে থেকে সেমিতে উঠে নিউজিল্যান্ড। ঠিক ওই বিশ্বকাপের মতোই এবারও শেষ চারে সাক্ষাৎ হয় পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ডের। পরে ব্যাট করে ’৯২ তে পাকিস্তান জিতেছিল ৪ উইকেটে, এবার জিতল ৭ উইকেটে। প্রোটিয়াদের হারিয়ে ফাইনালে উঠে ইংল্যান্ড, এবার ভারতকে ১০ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে ইংলিশরা।
সেই অস্ট্রেলিয়া, সেই মেলবোর্ন— শিরোপা লড়াইয়ের সামনে এবারও পুরোনো দল দুটি, পার্থক্য শুধু সময় এবং খেলোয়াড়ের। বাকি সবকিছুই যেন ‘নাইনটি টু’।
ইতিহাস ফিরিয়ে আনায় পাকিস্তান-ইংল্যান্ডকে অভিনন্দন জানিয়েছেন '৯২ বিশ্বকাপের জয়ের নায়ক ওয়াসিম আকরাম। সাবেক পাকিস্তানি পেসার বলেছেন, ‘বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলা অনেক বড় ব্যাপার। তাই আগে পাকিস্তান ও ইংল্যান্ডকে অভিনন্দন জানাতে হয়। তারা এটা করে দেখিয়েছে।’
পাকিস্তান সেমিফাইনালে ওঠার পর মেলবোর্নে উড়ে গেছেন পিসিবি সভাপতি রমিজ রাজাও। ’৯২ এর উপমা দিয়ে উত্তরসূরীদের বললেন, ‘শান্ত ও আত্মবিশ্বাসী থাকো। খেলাটা উপভোগ করো। (১৯৯২ বিশ্বকাপে) ইমরান খান আমাদের বলেছিলেন, এই দিনটা তোমাদের ক্যারিয়ারে হয় তো আর আসবে। শান্ত থাকো এবং খেলাটি উপভোভগ করো।' উত্তরসূরিদের উদ্দেশ্যে '৯২ এর বার্তা দিয়ে রাখলেন রমিজ।
সেমিফাইনালের খেলা হওয়ার আগেই ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক কেভিন পিটারসেন ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, 'টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল হতে যাচ্ছে যথাসম্ভব '৯২ এর মতোই।'
ম্যালকম মার্শাল-কার্টলি অ্যামব্র্রোসদের সামনে ব্যাট হাতে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা ছিল কঠিন ব্যাপার। বুক চিতিয়ে একাই লড়লেন রমিজ রাজা। ক্যারিবিয়ান দানবদের বাউন্স সামলে ১০২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন এই ওপেনার। তাঁর সঙ্গে ৫৭ রানে অপরাজিত থাকেন জাভেদ মিয়াঁদাদ।
তবুও সংগ্রহটা কেবল ২ উইকেটে ২২০ রান হয় পাকিস্তানের। কিন্তু ব্যাট হাতে ব্রায়ান লারা ও ডেসমন্ড হেইনস সেদিন ওয়াসিম আকরাম ও আকিব জাবেদদের কোনো সুযোগই দেননি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ১০ উইকটে হেরে ১৯৯২ ওয়ানডে বিশ্বকাপ শুরু করেছিল পাকিস্তান।
পরের ম্যাচেই জিম্বাবুয়েকে ৫৩ রানে হারায় ইমরান খানের দল। এর পর যেন দলটির ওপর মহাকাশই ভেঙে পড়ে। ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টানা হার এবং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হলে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠাই দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়ায় রমিজদের।
কিন্তু সেখান থেকেই যেন ঘুরে দাঁড়ানোর মন্ত্র শিখেছে পাকিস্তান। পার্থে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কাকে এবং ক্রাইস্টচার্চে আরেক স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডকে উড়িয়ে দিয়ে ১৯৯২ ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিতে ওঠে দলটি।
৯ দল নিয়ে বিশ্বকাপের প্রথম পর্ব হয়েছিল রবিন রাউন্ড লিগ পদ্ধতিতে। পয়েন্টের ভিত্তিতে সেরা চার দল নিয়ে সেমিফাইনাল হয়। ৯ পয়েন্ট নিয়ে ৪ নম্বর দল হিসেবে কোনোরকম সেমিতে উঠেছিল পাকিস্তান।
’৯২ এর স্মৃতি সঙ্গে নিয়েই যেন এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পথ চলছেন বাবর আজমরা। সুপার টুয়েলভে টানা ভারত ও জিম্বাবুয়ের কাছে হেরে বিদায়ের রাগিণী বেজে ওঠার উপক্রম হয়েছিল। কিন্তু নেদারল্যান্ডসের কাছে দক্ষিণ আফ্রিকার অপ্রত্যাশিত হার পাল্টে দেয় শেষ চারের চিত্র। দুই হারের পর ’৯২ এর মতো শেষ তিন ম্যাচে টানা জিতে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে পাকিস্তান।
ইংল্যান্ডের পারফরম্যান্সও যেন ওই বিশ্বকাপের মতোই। ভারতকে হারিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছিলেন ইয়ান বোথামরা। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে জয় পায় জস বাটলারের দল। ওই বিশ্বকাপের মতো এবারও গ্রুপের দুই নম্বর দল হয়ে সেমিতে উঠে ইংল্যান্ড।
’৯২ বিশ্বকাপের স্মৃতি যেন এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরতে পরতে লেগে আছে। সেবারের মতো এবারও টেবিলের শীর্ষে থেকে সেমিতে উঠে নিউজিল্যান্ড। ঠিক ওই বিশ্বকাপের মতোই এবারও শেষ চারে সাক্ষাৎ হয় পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ডের। পরে ব্যাট করে ’৯২ তে পাকিস্তান জিতেছিল ৪ উইকেটে, এবার জিতল ৭ উইকেটে। প্রোটিয়াদের হারিয়ে ফাইনালে উঠে ইংল্যান্ড, এবার ভারতকে ১০ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে ইংলিশরা।
সেই অস্ট্রেলিয়া, সেই মেলবোর্ন— শিরোপা লড়াইয়ের সামনে এবারও পুরোনো দল দুটি, পার্থক্য শুধু সময় এবং খেলোয়াড়ের। বাকি সবকিছুই যেন ‘নাইনটি টু’।
ইতিহাস ফিরিয়ে আনায় পাকিস্তান-ইংল্যান্ডকে অভিনন্দন জানিয়েছেন '৯২ বিশ্বকাপের জয়ের নায়ক ওয়াসিম আকরাম। সাবেক পাকিস্তানি পেসার বলেছেন, ‘বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলা অনেক বড় ব্যাপার। তাই আগে পাকিস্তান ও ইংল্যান্ডকে অভিনন্দন জানাতে হয়। তারা এটা করে দেখিয়েছে।’
পাকিস্তান সেমিফাইনালে ওঠার পর মেলবোর্নে উড়ে গেছেন পিসিবি সভাপতি রমিজ রাজাও। ’৯২ এর উপমা দিয়ে উত্তরসূরীদের বললেন, ‘শান্ত ও আত্মবিশ্বাসী থাকো। খেলাটা উপভোগ করো। (১৯৯২ বিশ্বকাপে) ইমরান খান আমাদের বলেছিলেন, এই দিনটা তোমাদের ক্যারিয়ারে হয় তো আর আসবে। শান্ত থাকো এবং খেলাটি উপভোভগ করো।' উত্তরসূরিদের উদ্দেশ্যে '৯২ এর বার্তা দিয়ে রাখলেন রমিজ।
সেমিফাইনালের খেলা হওয়ার আগেই ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক কেভিন পিটারসেন ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, 'টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল হতে যাচ্ছে যথাসম্ভব '৯২ এর মতোই।'
১২৮ বছর পর অলিম্পিকে ফিরছে ক্রিকেট। ১৯০০ প্যারিস অলিম্পিকে সবশেষ ক্রিকেট হয়েছিল। ব্যাপক আলোচনার পর ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক দিয়ে আবারও ফিরছে ক্রিকেট। তবে এখানেও ক্রিকেট নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেপাকিস্তান ক্রিকেট দল বাজে খেললে কোনো কথাই নেই। আহমেদ শেহজাদ তখন সামাজিক মাধ্যমে তখন করতে থাকেন একের পর এক বিদ্রুপাত্মক মন্তব্য। অস্ট্রেলিয়ার কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের পর পাকিস্তানকে আবারও খোঁচা মারলেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগেঅর্থের ঝনঝনানি, জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন—কী থাকে না আইপিএলে! ভারতের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলতে মুখিয়ে থাকেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ক্রিকেটার। তবে রিশাদ হোসেন আইপিএল নিয়ে বেশি একটা ভাবছেন না।
৬ ঘণ্টা আগে