রানা আব্বাস, দুবাই থেকে
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গত ২৭ অক্টোবর বাংলাদেশ ম্যাচের আগে আবুধাবির জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সামনে যে জনারণ্য দেখা গিয়েছিল, গতকাল সেটিও উধাও। টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের প্রতিটি ম্যাচেই স্টেডিয়ামে দর্শকদের উপস্থিতি দেখার মতো। দলের পারফরম্যান্স যেটাই হোক, দর্শকেরা প্রতি ম্যাচেই এসেছেন মাহমুদউল্লাহদের সমর্থন জোগাতে।
তবে গতকালের দৃশ্যটা ভিন্ন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচের আগে আবুধাবি স্টেডিয়ামে সামনে চেনা ভিড়টা দেখা যায়নি। গ্যালারিতে শোনা যায়নি বাংলাদেশের দর্শকদের সেই গর্জন। হতে পারে তপ্ত দুপুরে গাঁটের পয়সা খরচ করে দূর-দূরান্ত থেকে মূল্যবান কর্মঘণ্টা বিসর্জন দিয়ে আসতে চাননি দর্শকেরা। খেলা যে দেখতে আসবেন, ফল তো একই—হার, শুধুই হার। গতকালও ব্যতিক্রম কিছু হয়নি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পরাজয়টা ৬ উইকেটের।
হারের বৃত্তে আটকে থাকা দল, বোঝার ওপর শাকের আঁটির মতো চোটে ছিটকে পড়া দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় সাকিব আল হাসানকে ছাড়া প্রথমবারের মতো বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের ম্যাচ খেলতে নামল বাংলাদেশ। ১৩ জনে পরিণত হওয়া দল থেকে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট একাদশ সাজিয়েছে মোস্তাফিজুর রহমানকে বসিয়ে আর রুবেল হোসেন তো আগে থেকেই ‘অতিথি’ হয়ে আছেন। অথচ আবুধাবির এই উইকেট যে যথেষ্ট পেস সহায়ক ছিল, সেটি দুই দলের পেসারদের পারফরম্যান্সই বলে দিল।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামা বাংলাদেশ কেঁপেছে কাগিসো রাবাদা-আনরিখ নর্কিয়ে-ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসের নিখুঁত লাইন-লেংথ আর গতিময় বোলিংয়ে। যদিও দুই ওপেনার লিটন দাস আর মোহাম্মদ নাঈম বেশ সতর্ক শুরু করেছিলেন। মন্থর গতিতে এগোতে থাকা বাংলাদেশ দলের উদ্বোধনী জুটি ৩.৫ ওভারে তোলে ২২ রান। চতুর্থ ওভারের পঞ্চম বলে রাবাদার বলে নাঈম মিড উইকেটে হেন্ডরিকসকে ক্যাচ দেওয়ার পরই বিপর্যয়ের শুরু। রাবাদার গতিময় দুর্দান্ত ইয়র্কারে ব্যাট নামানোরই সুযোগ পাননি তিনে নামা সৌম্য সরকার (০)।
এ ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশের ব্যাটাররা জুটি গড়বেন কী, রাবাদা আর নর্কিয়ের গতির ঝড় সামলেই কূল পাচ্ছিলেন না। দলের বিপদ বাড়িয়ে পঞ্চম ওভারের তৃতীয় বলে রাবাদার বলে হেন্ডরিকসকে স্লিপে ক্যাচ দিলেন মুশফিকুর রহিম (০)। অষ্টম ওভারে নর্কিয়ের লাফিয়ে ওঠা বলের কোনো উত্তর ছিল না মাহমুদউল্লাহর (৩) কাছে। ৮ ওভারে ৩৪ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে লিটন কিছুটা আশা দিলেও সেটি মরুর মরীচিকা ছাড়া কিছুই নয়। তাঁর ৬৬.৬৬ স্ট্রাইক রেটে ৩৬ বলে ২৪ রানের ইনিংসটি দেখে কে বলবে, তিনি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে নেমেছেন।
চোখের পলকে টপ অর্ডার, মিডল অর্ডার ধসে যাওয়ার পর শামীম হোসেন আর মেহেদী হাসানের সপ্তম উইকেট জুটি যা একটু মান বাঁচিয়েছে। ১৯ রানের ছোট্ট জুটি হলেও তা ১০০ রানের স্কোর গড়তে যথেষ্ট ছিল না। মেহেদী তবু ১০০ পেরোনো স্ট্রাইকরেটে ২৫ বলে ২৭ করলেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজেকে ‘স্লগার’ হিসেবে চেনানো শামীম যেন একেবারেই সেঁধিয়ে ছিলেন, ২০ বলে করেছেন ১১ রান। দক্ষিণ আফ্রিকান বোলারদের খেলা এতটাই কঠিন হলো, বাংলাদেশের পুরো ইনিংসে চার ৪টি আর ছক্কা ১টি। তৃতীয় ওভারের শেষে একটি বাউন্ডারি পেতে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয়েছে পরের ১০ ওভার—এই পারফরম্যান্সে প্রশ্ন জাগতেই পারে, টি-টোয়েন্টির দুনিয়ায় বাংলাদেশ কতটা পিছিয়ে।
৮৫ রানের মামুলি এক লক্ষ্য দিয়ে প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানদের বাংলাদেশ দলের দুই পেসার তাসকিন আহমেদ আর শরিফুল ইসলাম যেভাবে পরীক্ষা নিয়েছেন, তাতে দুই পেসার নিয়ে খেলার সিদ্ধান্ত কিছুটা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। ৮৫ রান তুলতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে খেলতে হয়েছে ১৩.৩ ওভার, হারাতে হয়েছে ৪ উইকেট। বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা তাসকিন অবশ্য একাদশ নিয়ে নয়, তাঁর আফসোস ঝরেছে স্কোরবোর্ডে আরও ৩০-৪০ রান না ওঠার।
বাংলাদেশের এমন আফসোসের গল্পই বেশি এই বিশ্বকাপে। হতাশার মাঝে কিছুটা আলো ছড়ানো তাসকিন বড় অসহায় কণ্ঠে বললেন, কোনো হারই মজার নয়! হারতে কার ভালো লাগে, বলুন? অনেক আশা-স্বপ্ন নিয়ে এসেছিলাম বিশ্বকাপে, কিছুই পূরণ হয়নি।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গত ২৭ অক্টোবর বাংলাদেশ ম্যাচের আগে আবুধাবির জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সামনে যে জনারণ্য দেখা গিয়েছিল, গতকাল সেটিও উধাও। টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের প্রতিটি ম্যাচেই স্টেডিয়ামে দর্শকদের উপস্থিতি দেখার মতো। দলের পারফরম্যান্স যেটাই হোক, দর্শকেরা প্রতি ম্যাচেই এসেছেন মাহমুদউল্লাহদের সমর্থন জোগাতে।
তবে গতকালের দৃশ্যটা ভিন্ন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচের আগে আবুধাবি স্টেডিয়ামে সামনে চেনা ভিড়টা দেখা যায়নি। গ্যালারিতে শোনা যায়নি বাংলাদেশের দর্শকদের সেই গর্জন। হতে পারে তপ্ত দুপুরে গাঁটের পয়সা খরচ করে দূর-দূরান্ত থেকে মূল্যবান কর্মঘণ্টা বিসর্জন দিয়ে আসতে চাননি দর্শকেরা। খেলা যে দেখতে আসবেন, ফল তো একই—হার, শুধুই হার। গতকালও ব্যতিক্রম কিছু হয়নি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পরাজয়টা ৬ উইকেটের।
হারের বৃত্তে আটকে থাকা দল, বোঝার ওপর শাকের আঁটির মতো চোটে ছিটকে পড়া দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় সাকিব আল হাসানকে ছাড়া প্রথমবারের মতো বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের ম্যাচ খেলতে নামল বাংলাদেশ। ১৩ জনে পরিণত হওয়া দল থেকে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট একাদশ সাজিয়েছে মোস্তাফিজুর রহমানকে বসিয়ে আর রুবেল হোসেন তো আগে থেকেই ‘অতিথি’ হয়ে আছেন। অথচ আবুধাবির এই উইকেট যে যথেষ্ট পেস সহায়ক ছিল, সেটি দুই দলের পেসারদের পারফরম্যান্সই বলে দিল।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামা বাংলাদেশ কেঁপেছে কাগিসো রাবাদা-আনরিখ নর্কিয়ে-ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসের নিখুঁত লাইন-লেংথ আর গতিময় বোলিংয়ে। যদিও দুই ওপেনার লিটন দাস আর মোহাম্মদ নাঈম বেশ সতর্ক শুরু করেছিলেন। মন্থর গতিতে এগোতে থাকা বাংলাদেশ দলের উদ্বোধনী জুটি ৩.৫ ওভারে তোলে ২২ রান। চতুর্থ ওভারের পঞ্চম বলে রাবাদার বলে নাঈম মিড উইকেটে হেন্ডরিকসকে ক্যাচ দেওয়ার পরই বিপর্যয়ের শুরু। রাবাদার গতিময় দুর্দান্ত ইয়র্কারে ব্যাট নামানোরই সুযোগ পাননি তিনে নামা সৌম্য সরকার (০)।
এ ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশের ব্যাটাররা জুটি গড়বেন কী, রাবাদা আর নর্কিয়ের গতির ঝড় সামলেই কূল পাচ্ছিলেন না। দলের বিপদ বাড়িয়ে পঞ্চম ওভারের তৃতীয় বলে রাবাদার বলে হেন্ডরিকসকে স্লিপে ক্যাচ দিলেন মুশফিকুর রহিম (০)। অষ্টম ওভারে নর্কিয়ের লাফিয়ে ওঠা বলের কোনো উত্তর ছিল না মাহমুদউল্লাহর (৩) কাছে। ৮ ওভারে ৩৪ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে লিটন কিছুটা আশা দিলেও সেটি মরুর মরীচিকা ছাড়া কিছুই নয়। তাঁর ৬৬.৬৬ স্ট্রাইক রেটে ৩৬ বলে ২৪ রানের ইনিংসটি দেখে কে বলবে, তিনি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে নেমেছেন।
চোখের পলকে টপ অর্ডার, মিডল অর্ডার ধসে যাওয়ার পর শামীম হোসেন আর মেহেদী হাসানের সপ্তম উইকেট জুটি যা একটু মান বাঁচিয়েছে। ১৯ রানের ছোট্ট জুটি হলেও তা ১০০ রানের স্কোর গড়তে যথেষ্ট ছিল না। মেহেদী তবু ১০০ পেরোনো স্ট্রাইকরেটে ২৫ বলে ২৭ করলেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজেকে ‘স্লগার’ হিসেবে চেনানো শামীম যেন একেবারেই সেঁধিয়ে ছিলেন, ২০ বলে করেছেন ১১ রান। দক্ষিণ আফ্রিকান বোলারদের খেলা এতটাই কঠিন হলো, বাংলাদেশের পুরো ইনিংসে চার ৪টি আর ছক্কা ১টি। তৃতীয় ওভারের শেষে একটি বাউন্ডারি পেতে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয়েছে পরের ১০ ওভার—এই পারফরম্যান্সে প্রশ্ন জাগতেই পারে, টি-টোয়েন্টির দুনিয়ায় বাংলাদেশ কতটা পিছিয়ে।
৮৫ রানের মামুলি এক লক্ষ্য দিয়ে প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানদের বাংলাদেশ দলের দুই পেসার তাসকিন আহমেদ আর শরিফুল ইসলাম যেভাবে পরীক্ষা নিয়েছেন, তাতে দুই পেসার নিয়ে খেলার সিদ্ধান্ত কিছুটা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। ৮৫ রান তুলতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে খেলতে হয়েছে ১৩.৩ ওভার, হারাতে হয়েছে ৪ উইকেট। বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা তাসকিন অবশ্য একাদশ নিয়ে নয়, তাঁর আফসোস ঝরেছে স্কোরবোর্ডে আরও ৩০-৪০ রান না ওঠার।
বাংলাদেশের এমন আফসোসের গল্পই বেশি এই বিশ্বকাপে। হতাশার মাঝে কিছুটা আলো ছড়ানো তাসকিন বড় অসহায় কণ্ঠে বললেন, কোনো হারই মজার নয়! হারতে কার ভালো লাগে, বলুন? অনেক আশা-স্বপ্ন নিয়ে এসেছিলাম বিশ্বকাপে, কিছুই পূরণ হয়নি।
পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে রয়েছে বাংলাদেশ দল। সফরের অংশ হিসেবে ১৭ ও ১৮ নভেম্বর হবে ২ দিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ। এই ম্যাচের মাধ্যমে প্রস্তুতি নেওয়ার দারুণ সুযোগ পাচ্ছেন মেহেদী হাসান মিরাজরা। মূল টেস্ট সিরিজের আগে কিছুটা আত্মবিশ্বাসও বাড়তে পারে তাঁদের। ম্যাচটি হবে অ্যান্টিগায়র স্যার ভিভ
৪ ঘণ্টা আগেভারতের আপত্তিতে পাকিস্তানের তিন শহরে ট্রফি সফর বাতিল করেছে আইসিসি। দীর্ঘ ২৮ বছর পর আইসিসির কোনো টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে তারা। তবে শুরু থেকেই বিভিন্ন আপত্তি তুলছে ভারত।
৪ ঘণ্টা আগেদ্বিতীয় দিনের ছন্দ ধরে রেখে আজ তৃতীয় দিন বাকি দুই উইকেটও নিজের ঝুলিতে নিলেন আনশুল কাম্বোজ। সঙ্গে সঙ্গে বিরল এক রেকর্ড তাঁর নামের পাশে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে একাই ১০ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখালেন হরিয়ানার এই পেসার।
৫ ঘণ্টা আগে