নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আজ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) আলোচ্যসূচিতে মূল বিষয় ছিল গঠনতন্ত্রের (২০২২ সালের সংশোধিত) দুটি উপ অনুচ্ছেদে পরিবর্তন। সেই পরিবর্তনের চেয়ে কাউন্সিলরদের কাছে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে, বর্তমান বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে এই মেয়াদ তো বটেই। কাউন্সিলরদের কেউ কেউ তাঁদের বক্তব্যে বলেছেন, পরের মেয়াদেও যেন পাপনই বিসিবি সভাপতি হিসেবে থাকেন।
গত চার বছরে পাপন একাধিকবার জানিয়েছেন, তিনি আর বিসিবি সভাপতি হিসেবে থাকতে চান না। এমনকি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেও তিনি বলেছিলেন, ‘আমি আর বেশি দিন নাই। এই মেয়াদ তো বেশি দিন নাই। এরপর আরেকটা বছর আছে।’ পুনরায় সংসদ সদস্য হওয়ার পর ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী হওয়ার পর পাপনের বিসিবি সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে জোর আলোচনা হয়।
পাপন অবশ্য এ মেয়াদে থেকে যাচ্ছেনই, কাউন্সিলরদের একটি বড় অংশ তাঁকে পরের মেয়াদেও বিসিবি সভাপতির পদে থেকে যেতে বলেছেন। আজ এজিএম শেষে এক কাউন্সিলর আজকের পত্রিকাকে বললেন, ‘আমরা সবাই সভাপতিকে বলেছি, কাউন্সিলররা আপনাকে নির্বাচিত করেছি। আমরা যত দিন না বলব, আপনিই আমাদের সভাপতি হিসেবে থাকবেন। আপনি চাইলেও আমরা না বলা পর্যন্ত আপনি থাকবেন। এই হলো আমাদের বড় দাবি। আপনি পরের মেয়াদেও থাকবেন। এটা আজ সবাই বলেছি।’
এজিএমের পর সংবাদ সম্মেলনে আসে বিসিবির গঠনতন্ত্র পরিবর্তনের বিষয়টি। গঠনতন্ত্রের যে জায়গায় সংশোধন আনা হচ্ছে, সেটি হলে বিসিবি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে রূপ নেবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিসিবি মনে করে, সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন পেলে বিসিবি যেকোনো তফসিল ব্যাংক থেকে ঋণ, এলসি খুলতে পারবে। স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বন্ধক রাখতে পারবে। এফডিআরের অর্থ ঝুঁকিবিহীন লাভজনক বিনিয়োগ করতে পারবে। যেকোনো বাণিজ্যিক ও সামাজিক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবে। এত দিন গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, একটি ক্রীড়া সংস্থা হিসেবে তারা তা করতে পারত না। এখন সংশোধনীর মাধ্যমে বিষয়গুলোর আইনত বৈধতা নিতে চাচ্ছে তারা।
বিষয়টির ব্যাখ্যায় বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, ‘আর্থিক লেনদেন, বোর্ডের ব্যাংকিং কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন যেকোনো আর্থিক লেনদেনে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনেক শর্ত পূরণ করতে হয়। আমাদের আইনি পরামর্শকের পরামর্শেই এই দুই অনুচ্ছেদে পরিবর্তন আনা হয়েছে।’ আর বিসিবি কেন বিনিয়োগের কথা ভাবছে, সে ব্যাখ্যায় পাপন বলেছেন, ‘ক্রিকেটের বাইরে (কিছু) যাবে না। আমাদের বিনিয়োগ কোথায় হবে? আমরা তো শেয়ার কিনতে চাচ্ছি না। ওটা তো আরও ঝুঁকিপূর্ণ।’
বিসিবির আগামী অর্থ বছরের বাজেটও অনুমোদন হয়েছে এজিএমে। পাপন জানিয়েছেন, এবার তাঁদের সম্ভাব্য আয় ৪৪৬ কোটি, সম্ভাব্য ব্যয় ৪০৭ কোটি, উদ্বৃত্ত থাকবে ৩৯ কোটি টাকা। পাপনের চিন্তা এখানেই, ‘আয় একই রকম আছে, কিন্তু ব্যয় কী হারে বেড়েছে আর্থিক মন্দায়। ওই মাত্রার সঞ্চয় এবার হবে না। সামনে কী হবে, সে চিন্তায় আছি।’
ঘরোয়া ক্রিকেটের সব খেলা দেখাতে আসছে বিসিবি টিভি। টিভির অনুমোদন নিতেও গঠনতন্ত্রে আর্থিক বিষয়ে পরিবর্তন আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিসিবি। জেলা পর্যায়ে বিসিবি টাকা বাড়িয়েছে, ২ লাখ থেকে করা হয়েছে ৪ লাখ টাকা। আর একাধিক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হলে তাদের দেওয়া হবে ৬ লাখ টাকা।
দেশের ক্রিকেট বিকেন্দ্রীকরণ করার দাবিটা বহু পুরোনো। এ মেয়াদে পাপন ফের বিসিবি সভাপতি হয়ে ঘোষণা দিয়েছিলেন আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা চালু করবেন। বরিশাল বাদে বাকি সব বিভাগে আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা গঠন করতে অ্যাডহক কমিটি করেছে বিসিবি। এ বছর প্রতিটি আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থাকে ২০ লাখ করে টাকা দেওয়া হচ্ছে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য।
আরও পড়ুন:
আজ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) আলোচ্যসূচিতে মূল বিষয় ছিল গঠনতন্ত্রের (২০২২ সালের সংশোধিত) দুটি উপ অনুচ্ছেদে পরিবর্তন। সেই পরিবর্তনের চেয়ে কাউন্সিলরদের কাছে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে, বর্তমান বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে এই মেয়াদ তো বটেই। কাউন্সিলরদের কেউ কেউ তাঁদের বক্তব্যে বলেছেন, পরের মেয়াদেও যেন পাপনই বিসিবি সভাপতি হিসেবে থাকেন।
গত চার বছরে পাপন একাধিকবার জানিয়েছেন, তিনি আর বিসিবি সভাপতি হিসেবে থাকতে চান না। এমনকি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেও তিনি বলেছিলেন, ‘আমি আর বেশি দিন নাই। এই মেয়াদ তো বেশি দিন নাই। এরপর আরেকটা বছর আছে।’ পুনরায় সংসদ সদস্য হওয়ার পর ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী হওয়ার পর পাপনের বিসিবি সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে জোর আলোচনা হয়।
পাপন অবশ্য এ মেয়াদে থেকে যাচ্ছেনই, কাউন্সিলরদের একটি বড় অংশ তাঁকে পরের মেয়াদেও বিসিবি সভাপতির পদে থেকে যেতে বলেছেন। আজ এজিএম শেষে এক কাউন্সিলর আজকের পত্রিকাকে বললেন, ‘আমরা সবাই সভাপতিকে বলেছি, কাউন্সিলররা আপনাকে নির্বাচিত করেছি। আমরা যত দিন না বলব, আপনিই আমাদের সভাপতি হিসেবে থাকবেন। আপনি চাইলেও আমরা না বলা পর্যন্ত আপনি থাকবেন। এই হলো আমাদের বড় দাবি। আপনি পরের মেয়াদেও থাকবেন। এটা আজ সবাই বলেছি।’
এজিএমের পর সংবাদ সম্মেলনে আসে বিসিবির গঠনতন্ত্র পরিবর্তনের বিষয়টি। গঠনতন্ত্রের যে জায়গায় সংশোধন আনা হচ্ছে, সেটি হলে বিসিবি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে রূপ নেবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিসিবি মনে করে, সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন পেলে বিসিবি যেকোনো তফসিল ব্যাংক থেকে ঋণ, এলসি খুলতে পারবে। স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বন্ধক রাখতে পারবে। এফডিআরের অর্থ ঝুঁকিবিহীন লাভজনক বিনিয়োগ করতে পারবে। যেকোনো বাণিজ্যিক ও সামাজিক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবে। এত দিন গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, একটি ক্রীড়া সংস্থা হিসেবে তারা তা করতে পারত না। এখন সংশোধনীর মাধ্যমে বিষয়গুলোর আইনত বৈধতা নিতে চাচ্ছে তারা।
বিষয়টির ব্যাখ্যায় বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, ‘আর্থিক লেনদেন, বোর্ডের ব্যাংকিং কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন যেকোনো আর্থিক লেনদেনে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনেক শর্ত পূরণ করতে হয়। আমাদের আইনি পরামর্শকের পরামর্শেই এই দুই অনুচ্ছেদে পরিবর্তন আনা হয়েছে।’ আর বিসিবি কেন বিনিয়োগের কথা ভাবছে, সে ব্যাখ্যায় পাপন বলেছেন, ‘ক্রিকেটের বাইরে (কিছু) যাবে না। আমাদের বিনিয়োগ কোথায় হবে? আমরা তো শেয়ার কিনতে চাচ্ছি না। ওটা তো আরও ঝুঁকিপূর্ণ।’
বিসিবির আগামী অর্থ বছরের বাজেটও অনুমোদন হয়েছে এজিএমে। পাপন জানিয়েছেন, এবার তাঁদের সম্ভাব্য আয় ৪৪৬ কোটি, সম্ভাব্য ব্যয় ৪০৭ কোটি, উদ্বৃত্ত থাকবে ৩৯ কোটি টাকা। পাপনের চিন্তা এখানেই, ‘আয় একই রকম আছে, কিন্তু ব্যয় কী হারে বেড়েছে আর্থিক মন্দায়। ওই মাত্রার সঞ্চয় এবার হবে না। সামনে কী হবে, সে চিন্তায় আছি।’
ঘরোয়া ক্রিকেটের সব খেলা দেখাতে আসছে বিসিবি টিভি। টিভির অনুমোদন নিতেও গঠনতন্ত্রে আর্থিক বিষয়ে পরিবর্তন আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিসিবি। জেলা পর্যায়ে বিসিবি টাকা বাড়িয়েছে, ২ লাখ থেকে করা হয়েছে ৪ লাখ টাকা। আর একাধিক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হলে তাদের দেওয়া হবে ৬ লাখ টাকা।
দেশের ক্রিকেট বিকেন্দ্রীকরণ করার দাবিটা বহু পুরোনো। এ মেয়াদে পাপন ফের বিসিবি সভাপতি হয়ে ঘোষণা দিয়েছিলেন আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা চালু করবেন। বরিশাল বাদে বাকি সব বিভাগে আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা গঠন করতে অ্যাডহক কমিটি করেছে বিসিবি। এ বছর প্রতিটি আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থাকে ২০ লাখ করে টাকা দেওয়া হচ্ছে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য।
আরও পড়ুন:
পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে রয়েছে বাংলাদেশ দল। সফরের অংশ হিসেবে ১৭ ও ১৮ নভেম্বর হবে ২ দিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ। এই ম্যাচের মাধ্যমে প্রস্তুতি নেওয়ার দারুণ সুযোগ পাচ্ছেন মেহেদী হাসান মিরাজরা। মূল টেস্ট সিরিজের আগে কিছুটা আত্মবিশ্বাসও বাড়তে পারে তাঁদের। ম্যাচটি হবে অ্যান্টিগায়র স্যার ভিভ
৪ ঘণ্টা আগেভারতের আপত্তিতে পাকিস্তানের তিন শহরে ট্রফি সফর বাতিল করেছে আইসিসি। দীর্ঘ ২৮ বছর পর আইসিসির কোনো টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে তারা। তবে শুরু থেকেই বিভিন্ন আপত্তি তুলছে ভারত।
৪ ঘণ্টা আগেদ্বিতীয় দিনের ছন্দ ধরে রেখে আজ তৃতীয় দিন বাকি দুই উইকেটও নিজের ঝুলিতে নিলেন আনশুল কাম্বোজ। সঙ্গে সঙ্গে বিরল এক রেকর্ড তাঁর নামের পাশে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে একাই ১০ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখালেন হরিয়ানার এই পেসার।
৫ ঘণ্টা আগে