ক্রীড়া ডেস্ক
টেস্ট ক্রিকেটের সৌন্দর্য এখানেই। কখনো প্রতিপক্ষকে বাগে পেয়েও সহজ জয় না পাওয়া। আবার কখনো ম্যাচই হেরে যেতে হয় এগিয়ে থাকা দলকে। সামর্থ্য দেখানোর দুর্দান্ত সুযোগ থাকে বলেই কোনো ব্যাটার বা বোলার একাই প্রতিপক্ষের মুখের হাসি কেড়ে নিতে পারেন।
হায়দরাবাদ টেস্টে ঠিক এ কাজটাই করেছেন ওলি পোপ। দুই দলের প্রথম ইনিংস শেষে ১৯০ রানে এগিয়ে থাকা ভারত যখন সহজ জয়ই দেখছিল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, ঠিক তখনই বুক চিতিয়ে মাঠে দাঁড়িয়ে পড়লেন পোপ। সময়টা আরও দুর্বিষহ হয়ে ওঠে ইংল্যান্ড যখন দ্বিতীয় ইনিংস ব্যাটিং করতে নামে। ১৬৩ রান ৫ উইকেট হারিয়ে তারা হয়তো তখন হারের প্রহর গুনছিল।
অন্যদিকে ভারতের মুখে হাসি ফুটছিল। কেননা, তখন পর্যন্ত ভারত ২৭ রানে এগিয়ে ছিল। তবে এর পরেই ভারতের মুখ থেকে হাসি মিইয়ে যেতে থাকে ধীরে ধীরে। যদিও শুরুটা তিনে নেমেই করেছিলেন পোপ। কিন্তু তাঁকে একা রেখে নিয়মিত বিরতিতে ড্রেসিংরুমে ফিরছিলেন সতীর্থরা।
তাই ষষ্ঠ উইকেট জুটি থেকেই মূলত পোপের লড়াইটা শুরু হয়। দলের শেষ স্বীকৃত ব্যাটার বেন ফোকসকে নিয়ে শুধু শুরুর ধাক্কাই সামলে নেননি, ইংল্যান্ডকে লড়াই করার মতো একটা পুঁজি এনে দেওয়ার ভিত তৈরি করেছিলেন তিনি। দুজনে ষষ্ঠ উইকেটে ১১২ রানের জুটি গড়েন। এই জুটি গড়ার পথে গত দিনই ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছিলেন পোপ। গতকাল ৩৪ রানে ফোকস বিদায় নিলে তাঁদের জুটি ভেঙে যায়।
পরে রেহান আহমেদকে তৃতীয় দিনের বাকি সময় শেষ করেছিলেন পোপ। গত দিন শেষে দলের ১২৬ রানের লিডকে আজ ২৩০ রানে দাঁড় করিয়েছেন এই ব্যাটার। তাঁকে অবশ্য যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন টম হার্টলি এবং গত দিনের অপরাজিত ব্যাটার রেহান। দুজনের সঙ্গেই ষাটোর্ধ্ব দুটি জুটি গড়েছেন। তাঁদের এই জুটিগুলোর ওপর ভর করেই ২৩১ রানের লক্ষ্য দিয়েও জয়ের স্বপ্ন দেখতে পারে ইংল্যান্ড। ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম উইকেটে পঞ্চাশোর্ধ্ব জুটি গড়ায় একটা রেকর্ডও হয়েছে। ভারতের মাটিতে প্রথমবার এমনটা হয়েছে। সব মিলিয়ে এই কীর্তিটি তিনবার হয়েছে।
আজ দিনের খেলাটা দেখেশুনেই শুরুটা করেছিলেন পোপ-রেহান জুটি। তবে খুব বেশিক্ষণ তাঁদের জুটিকে টিকতে দেননি জাসপ্রিত বুমরা। রেহানকে ২৮ রানে ফিরিয়ে দুই ইংলিশ ব্যাটারের ৬৪ রানের জুটি ভাঙেন তিনি। ব্যক্তিগত ১৬ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিলেন রেহান। রেহান আউট হলেও দমে যাননি নিঃসঙ্গ শেরপার মতো লড়ে যাওয়া পোপ।
অষ্টম উইকেটে অভিষিক্ত হার্টলিকে নিয়ে আরও বড় জুটি গড়েন পোপ। দুজনে ৮০ রানের জুটি গড়েন। তবে হার্টলিক ব্যক্তিগত ৩৪ রানে রবিচন্দ্রন অশ্বিন বোল্ড করলে নিজেই এবার একটা শঙ্কায় পড়েন পোপ। সেই শঙ্কাটা হচ্ছে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি করতে পারবেন কি না। নবম ব্যাটার হিসেবে মার্ক উঠও শূন্য রানে ফিরে গেলে চাপটা আরও বেড়ে যায়।
কেননা, সে সময় ডাবল সেঞ্চুরির খুব কাছেই পোপ। বাউন্ডারি মারলেই ২০০ রানের ফিগার স্পর্শ করতে পারবেন। তাই শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার সময় একটু ঝুঁকিই নিলেন। তবে সেটা ফলপ্রসূ হলো না। ১০৩ ওভার করতে আসা বুমরার প্রথম বল রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হলেন ২৬ বছর বয়সী ব্যাটার। তাঁর আউটের মধ্য দিয়ে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস থাকে ৪২০ রানে।
এতে ভারতকে চাপে ফেললেও পোপের ৪ রানের আক্ষেপ থেকেই গেল। ২৭৮ বলে ১৯৬ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ২১ চারে। দুর্দান্ত ইনিংসটি খেলার পথে দুবার জীবন পেয়েছেন তিনি। ১১০ ও ১৮৬ রানের সময়। ডাবল সেঞ্চুরি করতে পারলে অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার (২৩২*) ও ব্রেন্ডন ম্যাককালামের (২২৫) পাশে বসতে পারতেন। ভারতের মাঠে সফরকারী দলের ব্যাটার হিসেবে এ দুই কিংবদন্তিই দ্বিতীয় ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরি করতে পেরেছেন। ৪ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের সেরা বোলার বুমরা।
টেস্ট ক্রিকেটের সৌন্দর্য এখানেই। কখনো প্রতিপক্ষকে বাগে পেয়েও সহজ জয় না পাওয়া। আবার কখনো ম্যাচই হেরে যেতে হয় এগিয়ে থাকা দলকে। সামর্থ্য দেখানোর দুর্দান্ত সুযোগ থাকে বলেই কোনো ব্যাটার বা বোলার একাই প্রতিপক্ষের মুখের হাসি কেড়ে নিতে পারেন।
হায়দরাবাদ টেস্টে ঠিক এ কাজটাই করেছেন ওলি পোপ। দুই দলের প্রথম ইনিংস শেষে ১৯০ রানে এগিয়ে থাকা ভারত যখন সহজ জয়ই দেখছিল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, ঠিক তখনই বুক চিতিয়ে মাঠে দাঁড়িয়ে পড়লেন পোপ। সময়টা আরও দুর্বিষহ হয়ে ওঠে ইংল্যান্ড যখন দ্বিতীয় ইনিংস ব্যাটিং করতে নামে। ১৬৩ রান ৫ উইকেট হারিয়ে তারা হয়তো তখন হারের প্রহর গুনছিল।
অন্যদিকে ভারতের মুখে হাসি ফুটছিল। কেননা, তখন পর্যন্ত ভারত ২৭ রানে এগিয়ে ছিল। তবে এর পরেই ভারতের মুখ থেকে হাসি মিইয়ে যেতে থাকে ধীরে ধীরে। যদিও শুরুটা তিনে নেমেই করেছিলেন পোপ। কিন্তু তাঁকে একা রেখে নিয়মিত বিরতিতে ড্রেসিংরুমে ফিরছিলেন সতীর্থরা।
তাই ষষ্ঠ উইকেট জুটি থেকেই মূলত পোপের লড়াইটা শুরু হয়। দলের শেষ স্বীকৃত ব্যাটার বেন ফোকসকে নিয়ে শুধু শুরুর ধাক্কাই সামলে নেননি, ইংল্যান্ডকে লড়াই করার মতো একটা পুঁজি এনে দেওয়ার ভিত তৈরি করেছিলেন তিনি। দুজনে ষষ্ঠ উইকেটে ১১২ রানের জুটি গড়েন। এই জুটি গড়ার পথে গত দিনই ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছিলেন পোপ। গতকাল ৩৪ রানে ফোকস বিদায় নিলে তাঁদের জুটি ভেঙে যায়।
পরে রেহান আহমেদকে তৃতীয় দিনের বাকি সময় শেষ করেছিলেন পোপ। গত দিন শেষে দলের ১২৬ রানের লিডকে আজ ২৩০ রানে দাঁড় করিয়েছেন এই ব্যাটার। তাঁকে অবশ্য যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন টম হার্টলি এবং গত দিনের অপরাজিত ব্যাটার রেহান। দুজনের সঙ্গেই ষাটোর্ধ্ব দুটি জুটি গড়েছেন। তাঁদের এই জুটিগুলোর ওপর ভর করেই ২৩১ রানের লক্ষ্য দিয়েও জয়ের স্বপ্ন দেখতে পারে ইংল্যান্ড। ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম উইকেটে পঞ্চাশোর্ধ্ব জুটি গড়ায় একটা রেকর্ডও হয়েছে। ভারতের মাটিতে প্রথমবার এমনটা হয়েছে। সব মিলিয়ে এই কীর্তিটি তিনবার হয়েছে।
আজ দিনের খেলাটা দেখেশুনেই শুরুটা করেছিলেন পোপ-রেহান জুটি। তবে খুব বেশিক্ষণ তাঁদের জুটিকে টিকতে দেননি জাসপ্রিত বুমরা। রেহানকে ২৮ রানে ফিরিয়ে দুই ইংলিশ ব্যাটারের ৬৪ রানের জুটি ভাঙেন তিনি। ব্যক্তিগত ১৬ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিলেন রেহান। রেহান আউট হলেও দমে যাননি নিঃসঙ্গ শেরপার মতো লড়ে যাওয়া পোপ।
অষ্টম উইকেটে অভিষিক্ত হার্টলিকে নিয়ে আরও বড় জুটি গড়েন পোপ। দুজনে ৮০ রানের জুটি গড়েন। তবে হার্টলিক ব্যক্তিগত ৩৪ রানে রবিচন্দ্রন অশ্বিন বোল্ড করলে নিজেই এবার একটা শঙ্কায় পড়েন পোপ। সেই শঙ্কাটা হচ্ছে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি করতে পারবেন কি না। নবম ব্যাটার হিসেবে মার্ক উঠও শূন্য রানে ফিরে গেলে চাপটা আরও বেড়ে যায়।
কেননা, সে সময় ডাবল সেঞ্চুরির খুব কাছেই পোপ। বাউন্ডারি মারলেই ২০০ রানের ফিগার স্পর্শ করতে পারবেন। তাই শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার সময় একটু ঝুঁকিই নিলেন। তবে সেটা ফলপ্রসূ হলো না। ১০৩ ওভার করতে আসা বুমরার প্রথম বল রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হলেন ২৬ বছর বয়সী ব্যাটার। তাঁর আউটের মধ্য দিয়ে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস থাকে ৪২০ রানে।
এতে ভারতকে চাপে ফেললেও পোপের ৪ রানের আক্ষেপ থেকেই গেল। ২৭৮ বলে ১৯৬ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ২১ চারে। দুর্দান্ত ইনিংসটি খেলার পথে দুবার জীবন পেয়েছেন তিনি। ১১০ ও ১৮৬ রানের সময়। ডাবল সেঞ্চুরি করতে পারলে অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার (২৩২*) ও ব্রেন্ডন ম্যাককালামের (২২৫) পাশে বসতে পারতেন। ভারতের মাঠে সফরকারী দলের ব্যাটার হিসেবে এ দুই কিংবদন্তিই দ্বিতীয় ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরি করতে পেরেছেন। ৪ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের সেরা বোলার বুমরা।
পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে রয়েছে বাংলাদেশ দল। সফরের অংশ হিসেবে ১৭ ও ১৮ নভেম্বর হবে ২ দিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ। এই ম্যাচের মাধ্যমে প্রস্তুতি নেওয়ার দারুণ সুযোগ পাচ্ছেন মেহেদী হাসান মিরাজরা। মূল টেস্ট সিরিজের আগে কিছুটা আত্মবিশ্বাসও বাড়তে পারে তাঁদের। ম্যাচটি হবে অ্যান্টিগায়র স্যার ভিভ
৬ ঘণ্টা আগেভারতের আপত্তিতে পাকিস্তানের তিন শহরে ট্রফি সফর বাতিল করেছে আইসিসি। দীর্ঘ ২৮ বছর পর আইসিসির কোনো টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে তারা। তবে শুরু থেকেই বিভিন্ন আপত্তি তুলছে ভারত।
৬ ঘণ্টা আগেদ্বিতীয় দিনের ছন্দ ধরে রেখে আজ তৃতীয় দিন বাকি দুই উইকেটও নিজের ঝুলিতে নিলেন আনশুল কাম্বোজ। সঙ্গে সঙ্গে বিরল এক রেকর্ড তাঁর নামের পাশে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে একাই ১০ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখালেন হরিয়ানার এই পেসার।
৭ ঘণ্টা আগে