অনলাইন ডেস্ক
আগামী দুনিয়ায় পরিষ্কার জ্বালানির চাহিদা মেটাতে নিউক্লিয়ার ফিউশন বা পারমাণবিক ফিউশন বিক্রিয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপায় হতে পারে। এ বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা এক ধাপ এগিয়ে গেছেন। তাঁদের স্থাপিত ফিউশন বিক্রিয়ার চুল্লি বা ‘কৃত্রিম সূর্যে’ তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ১০ কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠেছিল এবং অতীতের রেকর্ড ভেঙে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সময় ধরে তা সক্রিয় ছিল।
মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদন অনুসারে, তোকামাক নামের এই চুল্লিতে এর আগে এই পরিমাণ তাপ উৎপন্ন করা গেলেও তাঁর সর্বোচ্চ স্থায়িত্ব ছিল ৩০ সেকেন্ড। ২০২১ সালে এই রেকর্ড করা হয়েছিল। তবে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে পরিচালিত পরীক্ষায় ১০ কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার স্থায়িত্ব ছিল ৪৮ সেকেন্ড।
সাধারণ সূর্যসহ অন্যান্য তারকার অভ্যন্তরে নিউক্লিয়ার ফিউশন বিক্রিয়া সংঘটিত হয়। এই প্রক্রিয়া ছোট আকারের দুটি পরমাণু পরস্পরের সঙ্গে প্রচণ্ড গতিতে সংঘর্ষের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে একটি মাত্র পরমাণু গঠন করে এবং বিপুল পরিমাণ তাপ নির্গত করে। কিন্তু পৃথিবীতে সাধারণভাবে এই বিক্রিয়া ঘটানো কঠিন।
এই লক্ষ্যে একটি বিশেষ ধরনের রিয়্যাক্টর বা চুল্লি ব্যবহার করা হয়। যাকে বিজ্ঞানীরা তোকামাক নামে অভিহিত করেন। এই চুল্লিতেও সূর্যের মতো হাইড্রোজেনকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। মূলত হাইড্রোজেনকে উচ্চ তাপে প্লাজমায় পরিণত করার পর তা ব্যবহারের উপযোগী হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীদের আবিষ্কৃত এই রিয়্যাক্টরকে বলা হয় কে-স্টার। এই চুল্লির সর্বশেষ রেকর্ড সম্পর্কে বলতে গিয়ে কোরিয়ান ইনস্টিটিউট অব ফিউশন এনার্জির (কেএফই) পরিচালক সি-ও ইওন বলেছেন, ‘মূলত উচ্চ তাপে উচ্চ ঘনত্বের প্লাজমার মধ্যে নিউক্লিয়ার ফিউশন বিক্রিয়া দীর্ঘ সময়ের জন্য সংঘটিত হয়। নিউক্লিয়ার ফিউশন চুল্লির জন্য এই প্লাজমা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
তবে উচ্চ তাপমাত্রায় প্লাজমার চরিত্র প্রায়শই অস্থিতিশীল হওয়ায় এ ধরনের চুল্লিতে উচ্চ তাপমাত্রা দীর্ঘ সময়ের জন্য ধরে রাখা কঠিন বলেও জানালেন সি-ও ইওন। আর এ কারণেই তাঁর বিবেচনায় এই নতুন রেকর্ড খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিজ্ঞানীরা বলছেন, তাঁরা মূলত আগের পদ্ধতিতে খানিকটা পরিবর্তন এনে তাপ উৎপাদনের প্রক্রিয়াকে দীর্ঘায়িত করতে সক্ষম হয়েছেন। তাঁরা রিয়্যাক্টরে ‘ডাইভার্টার’ বা তাপ ও বর্জ্য সংগ্রাহক হিসেবে কার্বনের পরিবর্তে টাংস্টেন ব্যবহার করেছেন।
তবে এখনই তৃপ্তির ঢেকুর তুলছেন না বিজ্ঞানীরা। তাঁরা বলছেন, বর্তমানে সর্বোচ্চ যে তাপমাত্রা সৃষ্টি করা সম্ভব হয়েছে—১০ কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াস—তা ধরে রেখে ২০২৬ সালের মধ্যে এর স্থায়িত্ব ৩০০ সেকেন্ড বা ৫ মিনিটে উন্নীত করাই তাদের লক্ষ্য। এ বিষয়ে সি-ও ইওন বলছেন, ‘এটি একটি ক্রিটিক্যাল পয়েন্ট’। পারমাণবিক ফিউশন বিক্রিয়া চালিয়ে নিয়ে যেতে এই লক্ষ্যমাত্রা অগ্রগামী ভূমিকা রাখবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা তাঁদের এই আবিষ্কার ভাগাভাগি করতেও প্রস্তুত। তাঁরা বলছেন, ফ্রান্সে স্থাপিত ইন্টারন্যাশনাল থারমোনিউক্লিয়ার এক্সপেরিমেন্টাল রিয়্যাক্টর বা আইটিইআরের বিজ্ঞানীদেরও তাঁরা তাদের কৌশলের কথা জানাতে চান। উল্লেখ্য, ফ্রান্সে স্থাপিত এই রিয়্যাক্টর বিশ্বের সবচেয়ে বড় থারমোনিউক্লিয়ার রিয়্যাক্টর।
আগামী দুনিয়ায় পরিষ্কার জ্বালানির চাহিদা মেটাতে নিউক্লিয়ার ফিউশন বা পারমাণবিক ফিউশন বিক্রিয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপায় হতে পারে। এ বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা এক ধাপ এগিয়ে গেছেন। তাঁদের স্থাপিত ফিউশন বিক্রিয়ার চুল্লি বা ‘কৃত্রিম সূর্যে’ তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ১০ কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠেছিল এবং অতীতের রেকর্ড ভেঙে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সময় ধরে তা সক্রিয় ছিল।
মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদন অনুসারে, তোকামাক নামের এই চুল্লিতে এর আগে এই পরিমাণ তাপ উৎপন্ন করা গেলেও তাঁর সর্বোচ্চ স্থায়িত্ব ছিল ৩০ সেকেন্ড। ২০২১ সালে এই রেকর্ড করা হয়েছিল। তবে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে পরিচালিত পরীক্ষায় ১০ কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার স্থায়িত্ব ছিল ৪৮ সেকেন্ড।
সাধারণ সূর্যসহ অন্যান্য তারকার অভ্যন্তরে নিউক্লিয়ার ফিউশন বিক্রিয়া সংঘটিত হয়। এই প্রক্রিয়া ছোট আকারের দুটি পরমাণু পরস্পরের সঙ্গে প্রচণ্ড গতিতে সংঘর্ষের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে একটি মাত্র পরমাণু গঠন করে এবং বিপুল পরিমাণ তাপ নির্গত করে। কিন্তু পৃথিবীতে সাধারণভাবে এই বিক্রিয়া ঘটানো কঠিন।
এই লক্ষ্যে একটি বিশেষ ধরনের রিয়্যাক্টর বা চুল্লি ব্যবহার করা হয়। যাকে বিজ্ঞানীরা তোকামাক নামে অভিহিত করেন। এই চুল্লিতেও সূর্যের মতো হাইড্রোজেনকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। মূলত হাইড্রোজেনকে উচ্চ তাপে প্লাজমায় পরিণত করার পর তা ব্যবহারের উপযোগী হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীদের আবিষ্কৃত এই রিয়্যাক্টরকে বলা হয় কে-স্টার। এই চুল্লির সর্বশেষ রেকর্ড সম্পর্কে বলতে গিয়ে কোরিয়ান ইনস্টিটিউট অব ফিউশন এনার্জির (কেএফই) পরিচালক সি-ও ইওন বলেছেন, ‘মূলত উচ্চ তাপে উচ্চ ঘনত্বের প্লাজমার মধ্যে নিউক্লিয়ার ফিউশন বিক্রিয়া দীর্ঘ সময়ের জন্য সংঘটিত হয়। নিউক্লিয়ার ফিউশন চুল্লির জন্য এই প্লাজমা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
তবে উচ্চ তাপমাত্রায় প্লাজমার চরিত্র প্রায়শই অস্থিতিশীল হওয়ায় এ ধরনের চুল্লিতে উচ্চ তাপমাত্রা দীর্ঘ সময়ের জন্য ধরে রাখা কঠিন বলেও জানালেন সি-ও ইওন। আর এ কারণেই তাঁর বিবেচনায় এই নতুন রেকর্ড খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিজ্ঞানীরা বলছেন, তাঁরা মূলত আগের পদ্ধতিতে খানিকটা পরিবর্তন এনে তাপ উৎপাদনের প্রক্রিয়াকে দীর্ঘায়িত করতে সক্ষম হয়েছেন। তাঁরা রিয়্যাক্টরে ‘ডাইভার্টার’ বা তাপ ও বর্জ্য সংগ্রাহক হিসেবে কার্বনের পরিবর্তে টাংস্টেন ব্যবহার করেছেন।
তবে এখনই তৃপ্তির ঢেকুর তুলছেন না বিজ্ঞানীরা। তাঁরা বলছেন, বর্তমানে সর্বোচ্চ যে তাপমাত্রা সৃষ্টি করা সম্ভব হয়েছে—১০ কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াস—তা ধরে রেখে ২০২৬ সালের মধ্যে এর স্থায়িত্ব ৩০০ সেকেন্ড বা ৫ মিনিটে উন্নীত করাই তাদের লক্ষ্য। এ বিষয়ে সি-ও ইওন বলছেন, ‘এটি একটি ক্রিটিক্যাল পয়েন্ট’। পারমাণবিক ফিউশন বিক্রিয়া চালিয়ে নিয়ে যেতে এই লক্ষ্যমাত্রা অগ্রগামী ভূমিকা রাখবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা তাঁদের এই আবিষ্কার ভাগাভাগি করতেও প্রস্তুত। তাঁরা বলছেন, ফ্রান্সে স্থাপিত ইন্টারন্যাশনাল থারমোনিউক্লিয়ার এক্সপেরিমেন্টাল রিয়্যাক্টর বা আইটিইআরের বিজ্ঞানীদেরও তাঁরা তাদের কৌশলের কথা জানাতে চান। উল্লেখ্য, ফ্রান্সে স্থাপিত এই রিয়্যাক্টর বিশ্বের সবচেয়ে বড় থারমোনিউক্লিয়ার রিয়্যাক্টর।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, জিপিএসের সাহায্য ছাড়াই এআই ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া থেকে কোনো ব্যক্তির সাম্প্রতিক অবস্থান চিহ্নিত করা যাবে।
২ দিন আগেটয়লেটে ফোন নিয়ে যাওয়ার অভ্যাস আছে অনেকেরই। এমনও হতে আপনি হয়তো টয়লেটে বসেই মোবাইলে লেখাটি পড়ছেন। শৌচাগারে যে কাজটি ৩ মিনিটে করা সম্ভব সেটি কিছু পড়া, স্ক্রল এবং পোস্ট করে অন্তত ১৫ মিনিট পার করে দিচ্ছেন অনায়াসে। আপাতদৃষ্টিতে এটি সময় কাটানোর নির্দোষ উপায় মনে হলেও চিকিৎসকেরা বলছেন, এটি আপনার স্বাস্থ্যের
২ দিন আগেসৌরজগতের সপ্তম গ্রহ ইউরেনাস ও এর পাঁচটি চাঁদ সম্পর্কে নতুন তথ্য জানাল বিজ্ঞানীরা। এই গ্রহ ও এর চাঁদগুলো একেবারে নিষ্প্রাণ নয়, বরং ইউরেনাসের চাঁদগুলোতে সমুদ্র থাকতে পারে। ফলে চাঁদগুলোয় জীবন ধারণের উপযোগী পরিবেশ থাকতে পারে। নতুন এক গবেষণায় এমন সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
৩ দিন আগেসৌরজগৎ থেকে ৪ হাজার আলোকবর্ষ দূরে পৃথিবীর মতো একটি গ্রহ আবিষ্কার করেছেন একদল জ্যোতির্বিজ্ঞানী। এই পাথুরে গ্রহটির ভর পৃথিবীর মতোই এবং এটি শ্বেতবামন তারার চারপাশে আবর্তিত হচ্ছ। সাজেটেরিয়াস নক্ষত্রমণ্ডলীতে এই তারাটি অবস্থিত।
৫ দিন আগে