মিল্কিওয়ের রহস্যময় আলো ও ইউএফও

বিজ্ঞান ডেস্ক
প্রকাশ : ২৮ জুলাই ২০২১, ২১: ৩০

সোলার সিস্টেমের বাইরে এবার মিল্কওয়েতে পর্যবেক্ষণ করা হলো রহস্যময় আলো। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা ও ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির (ইসা) বিজ্ঞানীরা এই আলো কোনো বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত, নাকি ইউএফওর সঙ্গে জড়িত, সেটি নিয়ে কাজ করছেন।

গবেষণা বিষয়ক অনলাইন পোর্টাল সায়েন্স ডেইলির এ সম্পর্কিত প্রতিবেদনে বলা হয়, মিল্কিওয়েতে প্রথমবারের মতো বিশেষ এক ধরনের আলোর ঝলকানির দেখা পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। পৃথিবীতে বসানো দুটি অত্যন্ত শক্তিশালী রেডিও টেলিস্কোপ—দ্য কানাডিয়ান হাইড্রোজেন ইনটেনসিটি ম্যাপিং এক্সপেরিমেন্ট (কাইম) ও সার্ভে ফর ট্রানজিয়েন্ট অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল রেডিও ইমিশনে (স্টেয়ার-২) ধরা পড়েছে এই রহস্যময় আলোর ঝলক। নাসা ও ইসার বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটি ভিনগ্রহের কোনো ব্যাপার সাপার হতে পারে। অথবা এটি হতে পারে বিশেষ কোনো বিস্ফোরণ। তবে আপাতত এটি ভিনগ্রহের কোনো মহাকাশযান কিনা, সেটি নিয়েই বেশি উৎসাহী বিজ্ঞানীরা।

এদিকে হঠাৎ ইউএফও নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে। সেই আলোচনার ঢেউ এখন ইউরোপের জার্মানিতে।

জার্মান ইউএফও গবেষক রবার্ট ফ্লেচার এ বিষয়ে জার্মানির শীর্ষ সংবাদমাধ্যম ডয়চেভেলে বেশ কিছু মতামতও দিয়েছেন। তাঁর মতে, ‘অসীম মহাবিশ্বে আমরা একটি ক্ষুদ্র নীল গ্রহে বসবাস করছি। এই বৃহৎ মহাবিশ্বে আমাদের অজানা অনেক কিছুই থাকতে পারে।’

রবার্ট ফ্লেচার বলেন, ‘আমাদের মিল্কিওয়েতেই (আকাশগঙ্গা) রয়েছে প্রায় ১০০ বিলিয়ন (১০ হাজার কোটি) তারা। সূর্যকে কেন্দ্র করে যেমন পৃথিবী ঘোরে, তেমনি এসব তারাকে ঘিরে অনেক গ্রহ ঘোরে। আমাদের মিল্কিওয়ে ছাড়াও এই মহাবিশ্বে প্রায় ২০ হাজার কোটি গ্যালাক্সি রয়েছে। এক গ্যালাক্সি থেকে আরেকটির দূরত্ব এতই বেশি যে, এ ধরনের দূরত্বে ভ্রমণ আমরা এখনো বাস্তবে শুরু করতে পারিনি। তাই এত বড় মহাবিশ্বে ইউএফওর মতো বিষয় যে নিছক কল্পনা, তা হতে পারে না।

জার্মানির লিপজিগ শহরে বসবাসকারী এই গবেষক সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা ও ইনটেলিজেন্স বিভাগ ইউএফও নিয়ে যে ছবি প্রকাশ করেছে এবং গুরুত্ব দিয়ে এ–সংক্রান্ত যে তথ্য প্রকাশ করেছে, সেটির প্রতি সবাইকে মনোযোগী করে তোলার চেষ্টা করেন। বিষয়টি তাঁকে বেশ ভাবিয়ে তুলেছে বলেও তিনি জানান।

এদিকে, গত মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমস সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার একটি সাক্ষাৎকার ছাপে। সেখানে ওবামা বলেন, এমন কিছু অডিও ও ভিডিও ক্লিপস তাঁকে গোয়েন্দা বিভাগ সরবরাহ করেছিল, যা বেশ কৌতূহলোদ্দীপক।

জার্মানির সেন্ট্রাল রিসার্চ নেটওয়ার্ক ফর এক্সট্রাঅর্ডিনারি অ্যারোস্পেস ফেনোমেনার গবেষক হান্সজারগেন কোহলার বলছেন, তাঁরাও যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক ইউএফও–সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে বেশ আগ্রহী। বিশেষ করে বারাক ওবামার সাক্ষাৎকার পড়ার পর, তাঁরা তাঁদের গবেষণা তৎপরতা আরও বাড়িয়েছেন। মহাবিশ্বে যদি এলিয়েন থাকে তাহলে তাদের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ কেমন হতে পারে, সে বিষয়ে কিছু প্রস্তাবও তাঁরা তুলে ধরেছেন।

আর অ্যাসোসিয়েশন ফর ইউএফও রিসার্চের প্রধান হান্স ওয়ার্নার পেইনিগার এলিয়েন নিয়ে বেশ আশাবাদী। তিনি বলছেন, কল্পবিজ্ঞানের জগৎ ছেড়ে যেকোনো সময় বাস্তব জগতে চলে আসতে পারে এলিয়েন। সাম্প্রতিক ইউএফও–সংক্রান্ত তথ্যগুলো সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরাসরি সমুদ্রপথে বাণিজ্য সম্পর্কের ঐতিহাসিক যুগে বাংলাদেশ–পাকিস্তান, শঙ্কায় ভারত

হাসিনা ক্ষমতা ছাড়ার পর দেশ ‘মবের মুল্লুক’: সামিনা লুৎফা

অধিকৃত অঞ্চলে প্রাকৃতিক সম্পদের সার্বভৌম মালিকানা ফিলিস্তিনিদের, জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস

গাজীপুরে বেতন পেলেন ৫ কারখানার সাড়ে ৩ হাজার শ্রমিক, কাজে যোগ দেবে কাল

বিসিএস নিয়োগ: নিজেই রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার তথ্য দিয়ে ফেঁসে যাচ্ছেন অনেকে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত