অনলাইন ডেস্ক
তীব্র গরম সহ্য করতে না পেরে অনেকেই ঝাঁপিয়ে পড়ছেন নদী কিংবা লেকের পানিতে। শরীর শীতল রাখতে সাঁতার কাটছেন অনেকেই, পানিতে দীর্ঘ সময় কাটিয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু এমন আরামদায়ক প্রাকৃতিক পানিতেই লুকিয়ে থাকে ভয়ানক এক ঘাতক। নায়েগ্লেরিয়া ফোলেরি নামে এই ঘাতকটি আসলে একটি অ্যামিবা। মানব শরীরে প্রবেশ করলে এটি মস্তিষ্ক খেতে শুরু করে। সম্প্রতি আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে মস্তিষ্ক খেকো অ্যামিবার আক্রমণে একাধিক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এ অবস্থায় ভয়ংকর অ্যামিবা নায়েগ্লেরিয়া ফোলেরি সম্পর্কে নানা ধরনের তথ্য উদ্ঘাটন করছেন গবেষকেরা।
নায়েগ্লেরিয়া ফোলেরি আসলে কী
মানুষের মস্তিষ্ক নষ্ট করে দেয় বলেই নায়েগ্লেরিয়া ফোলেরিকে ‘ব্রেইন ইটিং’ বা মস্তিষ্ক খেকো অ্যামিবা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
এর সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) বলেছে, পানির সংস্পর্শে গেলে, বিশেষ করে—মুখে পানির ঝাঁপটা দিলে কিংবা সাঁতার কাটার সময় এই অ্যামিবা মানুষের নাক দিয়ে প্রবেশ করে। পরে এটি মানুষের মস্তিষ্কে পৌঁছে যায় এবং মস্তিষ্কে সংক্রমণ ঘটায়। এই অ্যামিবাটিকে ‘থার্মোফিলিক’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে সিডিসি। এর মানে হলো এটি উষ্ণ পরিবেশে থাকতে পছন্দ করে।
প্রাকৃতিক পরিবেশে অহরহই দেখা মেলে অ্যামিবাটির
ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার অধ্যাপক ইমা এইচ উইলসন বলেন, প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রায়ই নায়েগ্লেরিয়া ফোলেরির দেখা মেলে। তবে এর দ্বারা সংক্রমণের ঘটনা খুবই কম। যুক্তরাষ্ট্রের হিসেব মাথায় নিলে, প্রতি বছর দেশটিতে গড়ে তিনজন ব্যক্তি এই অ্যামিবার আক্রমণের শিকার হন।
সিডিসির দেওয়া তথ্য মতে—বিশ্বজুড়ে উষ্ণ এবং পরিষ্কার পানির নদী, লেক এবং জলাধারগুলোতে এই অ্যামিবাটি বসবাস করে। এটি মাটিতেও থাকতে পারে। তবে এটি নোনা পানিতে টিকতে পারে না। বলতে গেলে, নোনা পানির মধ্যে এটিকে এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি।
এটি ক্লোরিনের সংস্পর্শেও থাকে না। এ জন্যই হয়তো সুইমিং পোলেও এটিকে কখনো দেখা যায় না। তবে সুইমিং পোলের পানি ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ না হলে সেখানে অ্যামিবাটি চলে আসতে পারে।
মস্তিষ্ক খেকো অ্যামিবা সংক্রমণের লক্ষণ
যুক্তরাষ্ট্রের ক্লিভল্যান্ড হাসপাতালের দেওয়া তথ্যমতে, হঠাৎ করেই এই অ্যামিবার আক্রমণের লক্ষণ প্রকাশ পায় এবং এটি শুরুতেই মারাত্মক হতে পারে।
সিডিসি জানিয়েছে, সাধারণত সংক্রমণের পাঁচ দিনের মধ্যে এটির লক্ষণ প্রকাশ পায়। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ১২ দিন পরেও লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে।
এসব লক্ষণের মধ্যে রয়েছে, তীব্র মাথা-ব্যথা, জ্বর, সর্দি এবং বমিও হতে পারে। এ ছাড়া কোনো কোনো ক্ষেত্রে ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া, দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভোগা, আশপাশের মানুষ এবং পরিবেশে মনোযোগ কমে যাওয়া, খিঁচুনি, হ্যালুসিনেশন, এমনকি কোমায়ও চলে যেতে পারে মানুষ।
সিডিসি বলছে, কারও মধ্যে যদি এ ধরনের লক্ষণ দেখা যায় এবং তিনি যদি লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার আগের কয়েক দিনের মধ্যে নদী কিংবা লেকের পানিতে সাঁতার কেটে থাকেন তবে তাঁকে শিগগির চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
মস্তিষ্ক খেকো অ্যামিবার চিকিৎসা আসলে কী
সংক্রমণের মাত্রা এখনো অনেক কম হওয়ায় মস্তিষ্ক খেকো অ্যামিবার চিকিৎসা বিষয়ে এখনো সুস্পষ্ট কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি চিকিৎসকেরা। তবে সিডিসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মিলটেফোসিনের মতো ওষুধ এর বিরুদ্ধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। অন্তত এর কিছু কার্যকারিতার প্রমাণ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ১৯৬২ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে অ্যামিবাটির সংক্রমণের পরও বেঁচে যাওয়া চারজনের মধ্যে তিনজনকে ওই ওষুধটি প্রয়োগ করা হয়েছিল।
ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার অধ্যাপক ইমা এইচ উইলসন বলেন, এই সংক্রমণটিকে একসময় অনিরাময়যোগ্য ভাবা হতো। তবে বর্তমানে এটিকে দ্রুত শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে। ফলে দ্রুত চিকিৎসার মধ্য দিয়ে মানুষের বেঁচে যাওয়ার হার বাড়ছে।
যদি কারও মস্তিষ্কে অ্যামিবাটির সংক্রমণ ধরা পড়ে, তবে তাঁকে আতঙ্কগ্রস্ত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ইমা।
অ্যামিবাটির সংক্রমণ এড়াতে সিডিসির পরামর্শ হলো-নদী কিংবা লেকের পানিতে গোসল কিংবা সাঁতার কাটতে গেলে পানি যেন নাকের গভীরে প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে সতর্ক থাকা উচিত। আর বিশেষ করে, এ ধরনের উন্মুক্ত জলাশয়ে লাফ দিয়ে কিংবা ঝাঁপিয়ে না পড়াই ভালো।
তীব্র গরম সহ্য করতে না পেরে অনেকেই ঝাঁপিয়ে পড়ছেন নদী কিংবা লেকের পানিতে। শরীর শীতল রাখতে সাঁতার কাটছেন অনেকেই, পানিতে দীর্ঘ সময় কাটিয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু এমন আরামদায়ক প্রাকৃতিক পানিতেই লুকিয়ে থাকে ভয়ানক এক ঘাতক। নায়েগ্লেরিয়া ফোলেরি নামে এই ঘাতকটি আসলে একটি অ্যামিবা। মানব শরীরে প্রবেশ করলে এটি মস্তিষ্ক খেতে শুরু করে। সম্প্রতি আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে মস্তিষ্ক খেকো অ্যামিবার আক্রমণে একাধিক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এ অবস্থায় ভয়ংকর অ্যামিবা নায়েগ্লেরিয়া ফোলেরি সম্পর্কে নানা ধরনের তথ্য উদ্ঘাটন করছেন গবেষকেরা।
নায়েগ্লেরিয়া ফোলেরি আসলে কী
মানুষের মস্তিষ্ক নষ্ট করে দেয় বলেই নায়েগ্লেরিয়া ফোলেরিকে ‘ব্রেইন ইটিং’ বা মস্তিষ্ক খেকো অ্যামিবা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
এর সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) বলেছে, পানির সংস্পর্শে গেলে, বিশেষ করে—মুখে পানির ঝাঁপটা দিলে কিংবা সাঁতার কাটার সময় এই অ্যামিবা মানুষের নাক দিয়ে প্রবেশ করে। পরে এটি মানুষের মস্তিষ্কে পৌঁছে যায় এবং মস্তিষ্কে সংক্রমণ ঘটায়। এই অ্যামিবাটিকে ‘থার্মোফিলিক’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে সিডিসি। এর মানে হলো এটি উষ্ণ পরিবেশে থাকতে পছন্দ করে।
প্রাকৃতিক পরিবেশে অহরহই দেখা মেলে অ্যামিবাটির
ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার অধ্যাপক ইমা এইচ উইলসন বলেন, প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রায়ই নায়েগ্লেরিয়া ফোলেরির দেখা মেলে। তবে এর দ্বারা সংক্রমণের ঘটনা খুবই কম। যুক্তরাষ্ট্রের হিসেব মাথায় নিলে, প্রতি বছর দেশটিতে গড়ে তিনজন ব্যক্তি এই অ্যামিবার আক্রমণের শিকার হন।
সিডিসির দেওয়া তথ্য মতে—বিশ্বজুড়ে উষ্ণ এবং পরিষ্কার পানির নদী, লেক এবং জলাধারগুলোতে এই অ্যামিবাটি বসবাস করে। এটি মাটিতেও থাকতে পারে। তবে এটি নোনা পানিতে টিকতে পারে না। বলতে গেলে, নোনা পানির মধ্যে এটিকে এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি।
এটি ক্লোরিনের সংস্পর্শেও থাকে না। এ জন্যই হয়তো সুইমিং পোলেও এটিকে কখনো দেখা যায় না। তবে সুইমিং পোলের পানি ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ না হলে সেখানে অ্যামিবাটি চলে আসতে পারে।
মস্তিষ্ক খেকো অ্যামিবা সংক্রমণের লক্ষণ
যুক্তরাষ্ট্রের ক্লিভল্যান্ড হাসপাতালের দেওয়া তথ্যমতে, হঠাৎ করেই এই অ্যামিবার আক্রমণের লক্ষণ প্রকাশ পায় এবং এটি শুরুতেই মারাত্মক হতে পারে।
সিডিসি জানিয়েছে, সাধারণত সংক্রমণের পাঁচ দিনের মধ্যে এটির লক্ষণ প্রকাশ পায়। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ১২ দিন পরেও লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে।
এসব লক্ষণের মধ্যে রয়েছে, তীব্র মাথা-ব্যথা, জ্বর, সর্দি এবং বমিও হতে পারে। এ ছাড়া কোনো কোনো ক্ষেত্রে ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া, দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভোগা, আশপাশের মানুষ এবং পরিবেশে মনোযোগ কমে যাওয়া, খিঁচুনি, হ্যালুসিনেশন, এমনকি কোমায়ও চলে যেতে পারে মানুষ।
সিডিসি বলছে, কারও মধ্যে যদি এ ধরনের লক্ষণ দেখা যায় এবং তিনি যদি লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার আগের কয়েক দিনের মধ্যে নদী কিংবা লেকের পানিতে সাঁতার কেটে থাকেন তবে তাঁকে শিগগির চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
মস্তিষ্ক খেকো অ্যামিবার চিকিৎসা আসলে কী
সংক্রমণের মাত্রা এখনো অনেক কম হওয়ায় মস্তিষ্ক খেকো অ্যামিবার চিকিৎসা বিষয়ে এখনো সুস্পষ্ট কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি চিকিৎসকেরা। তবে সিডিসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মিলটেফোসিনের মতো ওষুধ এর বিরুদ্ধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। অন্তত এর কিছু কার্যকারিতার প্রমাণ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ১৯৬২ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে অ্যামিবাটির সংক্রমণের পরও বেঁচে যাওয়া চারজনের মধ্যে তিনজনকে ওই ওষুধটি প্রয়োগ করা হয়েছিল।
ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার অধ্যাপক ইমা এইচ উইলসন বলেন, এই সংক্রমণটিকে একসময় অনিরাময়যোগ্য ভাবা হতো। তবে বর্তমানে এটিকে দ্রুত শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে। ফলে দ্রুত চিকিৎসার মধ্য দিয়ে মানুষের বেঁচে যাওয়ার হার বাড়ছে।
যদি কারও মস্তিষ্কে অ্যামিবাটির সংক্রমণ ধরা পড়ে, তবে তাঁকে আতঙ্কগ্রস্ত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ইমা।
অ্যামিবাটির সংক্রমণ এড়াতে সিডিসির পরামর্শ হলো-নদী কিংবা লেকের পানিতে গোসল কিংবা সাঁতার কাটতে গেলে পানি যেন নাকের গভীরে প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে সতর্ক থাকা উচিত। আর বিশেষ করে, এ ধরনের উন্মুক্ত জলাশয়ে লাফ দিয়ে কিংবা ঝাঁপিয়ে না পড়াই ভালো।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, জিপিএসের সাহায্য ছাড়াই এআই ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া থেকে কোনো ব্যক্তির সাম্প্রতিক অবস্থান চিহ্নিত করা যাবে।
৪ দিন আগেটয়লেটে ফোন নিয়ে যাওয়ার অভ্যাস আছে অনেকেরই। এমনও হতে আপনি হয়তো টয়লেটে বসেই মোবাইলে লেখাটি পড়ছেন। শৌচাগারে যে কাজটি ৩ মিনিটে করা সম্ভব সেটি কিছু পড়া, স্ক্রল এবং পোস্ট করে অন্তত ১৫ মিনিট পার করে দিচ্ছেন অনায়াসে। আপাতদৃষ্টিতে এটি সময় কাটানোর নির্দোষ উপায় মনে হলেও চিকিৎসকেরা বলছেন, এটি আপনার স্বাস্থ্যের
৪ দিন আগেসৌরজগতের সপ্তম গ্রহ ইউরেনাস ও এর পাঁচটি চাঁদ সম্পর্কে নতুন তথ্য জানাল বিজ্ঞানীরা। এই গ্রহ ও এর চাঁদগুলো একেবারে নিষ্প্রাণ নয়, বরং ইউরেনাসের চাঁদগুলোতে সমুদ্র থাকতে পারে। ফলে চাঁদগুলোয় জীবন ধারণের উপযোগী পরিবেশ থাকতে পারে। নতুন এক গবেষণায় এমন সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
৬ দিন আগেসৌরজগৎ থেকে ৪ হাজার আলোকবর্ষ দূরে পৃথিবীর মতো একটি গ্রহ আবিষ্কার করেছেন একদল জ্যোতির্বিজ্ঞানী। এই পাথুরে গ্রহটির ভর পৃথিবীর মতোই এবং এটি শ্বেতবামন তারার চারপাশে আবর্তিত হচ্ছ। সাজেটেরিয়াস নক্ষত্রমণ্ডলীতে এই তারাটি অবস্থিত।
৮ দিন আগে