অনলাইন ডেস্ক
মহাকাশ এক রহস্যময় স্থান যেখানে নক্ষত্র, গ্রহ, উপগ্রহ, চাঁদ, ধূমকেতু, উল্কা ও ব্ল্যাকহোলসহ জানা–অজানা বহু বস্তু এবং শক্তির উপস্থিতি রয়েছে। নতুন নতুন মহাজাগতিক বস্তু আবিষ্কারের পর এগুলোর একটা করে উপযুক্ত নাম দেওয়া হয়। গ্রহ এবং এদের চাঁদের নামকরণ একটি বৈজ্ঞানিক এবং ঐতিহাসিক প্রক্রিয়া, যা প্রাচীন সংস্কৃতি এবং আধুনিক মহাকাশ সংস্থা উভয়ের সমন্বয়ে নির্ধারণ করা হয়।
সৌরজগতের গ্রহ-উপগ্রহের নামকরণ করে থাকে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়ন (আইএইউ)। ১৯১৯ সালে এই সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। গ্রহ–উপগ্রহসহ মহাজাগতিক বস্তুর নামকরণের জন্য আইএইউ একমাত্র স্বীকৃত সংস্থা। এই সংস্থার প্রত্যেক সদস্যই পেশাদার মহাকাশচারী।
আইএইউ বলছে, জ্যোতির্বিদ্যা একটি প্রাচীন বিজ্ঞান। তাই অনেক গ্রহের নাম দীর্ঘকাল ধরে চলে আসা ঐতিহ্য এবং ইতিহাসের ভিত্তিতে রাখা হয়। সৌরজগতের বেশির ভাগ বস্তুর বেশ পুরোনো আমলেই নামকরণ করা হয়েছে, যা সাধারণত গ্রিক বা রোমান পুরাণ থেকে এসেছে। এই কারণেই আইএইউ সৌরজগতের কিছু ধরনের বস্তুর নামকরণের নিয়মে এই ঐতিহ্যকে গ্রহণ করেছে।
সৌরজগতে পৃথিবী বাদে সবগুলো গ্রহের নাম রোমান অথবা গ্রিক দেব–দেবীর নামে রাখা হয়েছে। গ্রহগুলোর সঙ্গে দেব–দেবীদের বৈশিষ্ট্যের মিল দেখেই এমন নামকরণ।
পৃথিবী: Earth শব্দটি এসেছে ইংরেজি এবং জার্মান শব্দ ‘eor (th) e/ertha’ এবং ‘erde’ থকে, যার অর্থ ground বা’ ভূমি’।
বুধ (মার্কারি) : রোমান দেবতা মার্কারি। তিনি বাণিজ্য, বার্তা আদান–প্রদান এবং গতির দেবতা। তাঁর প্রতি সম্মান জানিয়ে এই গ্রহের নামকরণ করা হয়েছে।
শুক্র (ভেনাস) : প্রেম এবং সৌন্দর্যের দেবী ভেনাস। তিনি রোমান দেবী। গ্রহটির উজ্জ্বলতা ও সৌন্দর্যকে ধারণ করে এই নাম। কারণ চাঁদ এবং সূর্যের পর পৃথিবী থেকে ভেনাসকে সবচেয়ে উজ্জ্বল দেখায়।
মঙ্গল (মার্স) : রোমানদের যুদ্ধের দেবতা মার্স। রক্তলাল রঙের কারণে এই নামটি নেওয়া হয়েছে। গ্রহটি যোদ্ধা চরিত্রকে প্রতিনিধিত্ব করে।
বৃহস্পতি (জুপিটার) : রোমান দেবতা জুপিটার। তিনি দেবতাদের রাজা। বৃহস্পতি সৌরজগতের সবচেয়ে বড় গ্রহ। এ কারণেই এমন নাম।
শনি (স্যাটার্ন) : কৃষি এবং সময়ের রোমান দেবতা স্যাটার্নের নামে এই গ্রহটির নামকরণ।
ইউরেনাস: ১৭৮১ সালে উইলিয়াম হারশেল ইউরেনাস গ্রহ আবিষ্কার করেন। গ্রহটির নাম গ্রিক আকাশ দেবতা ইউরেনাসের নামে রাখা হয়, যা গ্রহটির ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্বকে প্রতিফলিত করে।
নেপচুন: ১৮৪৬ সালে আবিষ্কৃত এই গ্রহের নাম রোমান সাগর দেবতা নেপচুনের নামে রাখা। গ্রহটির গভীর নীল রঙের সঙ্গে মিলিয়ে এমন নাম রাখা হয়েছে।
প্লুটো: ১৯৩০ সালে আবিষ্কৃত প্লুটোর নামকরণ একটি বিশেষ ঘটনা। ১১ বছর বয়সী ভেনেটিয়া বার্নি গ্রহটির নাম ‘প্লুটো’ প্রস্তাব করেছিল, যা রোমান অন্ধকারের দেবতা প্লুটোর নামে রাখা। জুপিটার ও নেপচুনের ভাই হচ্ছেন প্লুটো। তিনি আন্ডারওয়ার্ল্ড বা পাতালপুরীর দেবতা। ধারণা করা হয়, পাতাল খুব ঠান্ডা আর অন্ধকার। প্লুটো গ্রহটিও ঠান্ডা এবং অন্ধকারাচ্ছন্ন।
সম্প্রতি আবিষ্কৃত গ্রহের প্রাকৃতিক উপগ্রহগুলোর জন্য প্রথমে একটি ‘প্রাথমিক’ বা অস্থায়ী নাম দেওয়া হয়। এরপর এদের অস্তিত্ব নিশ্চিত করতে অধিকতর পর্যবেক্ষণ করা হয়। এই প্রাথমিক নামটি সাধারণত আবিষ্কারের বছরের সঙ্গে কিছু সংখ্যা যুক্ত করে তৈরি করা হয়। এই সংখ্যা আবিষ্কৃত গ্রহটির ক্রম নির্দেশ করে। উদাহরণস্বরূপ, একটি নতুন গ্রহাণু আবিষ্কৃত হলে তা ‘2024 AB’ বা ‘S/ 2024 N 1’ ইত্যাদি নাম পেতে পারে।
ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিকাল ইউনিয়ন প্রস্তাবিত নামগুলো পর্যালোচনা করে। সংস্থাটির নামকরণ কমিটি নিশ্চিত করে যে, নামটি বৈজ্ঞানিকভাবে সঠিক এবং আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য।
গ্রহ ও এদের চাঁদের নামকরণের ক্ষেত্রে গ্রিক ও রোমান উপকথা, সাহিত্যিক চরিত্র বা অন্যান্য ঐতিহ্যগত সূত্র, আবিষ্কারকের নিজের নাম অনুসরণ করা হয়।
একবার নাম অনুমোদিত হলে আইএইউ–এর অফিশিয়াল বুলেটিন বা অন্যান্য বৈজ্ঞানিক প্রকাশনায় সেটি ঘোষণা করা হয়। নতুন নামটি বিজ্ঞানবিষয়ক লেখ, গবেষণা এবং শিক্ষামূলক বইয়ে ব্যবহার করা হয়।
মহাকাশ এক রহস্যময় স্থান যেখানে নক্ষত্র, গ্রহ, উপগ্রহ, চাঁদ, ধূমকেতু, উল্কা ও ব্ল্যাকহোলসহ জানা–অজানা বহু বস্তু এবং শক্তির উপস্থিতি রয়েছে। নতুন নতুন মহাজাগতিক বস্তু আবিষ্কারের পর এগুলোর একটা করে উপযুক্ত নাম দেওয়া হয়। গ্রহ এবং এদের চাঁদের নামকরণ একটি বৈজ্ঞানিক এবং ঐতিহাসিক প্রক্রিয়া, যা প্রাচীন সংস্কৃতি এবং আধুনিক মহাকাশ সংস্থা উভয়ের সমন্বয়ে নির্ধারণ করা হয়।
সৌরজগতের গ্রহ-উপগ্রহের নামকরণ করে থাকে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়ন (আইএইউ)। ১৯১৯ সালে এই সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। গ্রহ–উপগ্রহসহ মহাজাগতিক বস্তুর নামকরণের জন্য আইএইউ একমাত্র স্বীকৃত সংস্থা। এই সংস্থার প্রত্যেক সদস্যই পেশাদার মহাকাশচারী।
আইএইউ বলছে, জ্যোতির্বিদ্যা একটি প্রাচীন বিজ্ঞান। তাই অনেক গ্রহের নাম দীর্ঘকাল ধরে চলে আসা ঐতিহ্য এবং ইতিহাসের ভিত্তিতে রাখা হয়। সৌরজগতের বেশির ভাগ বস্তুর বেশ পুরোনো আমলেই নামকরণ করা হয়েছে, যা সাধারণত গ্রিক বা রোমান পুরাণ থেকে এসেছে। এই কারণেই আইএইউ সৌরজগতের কিছু ধরনের বস্তুর নামকরণের নিয়মে এই ঐতিহ্যকে গ্রহণ করেছে।
সৌরজগতে পৃথিবী বাদে সবগুলো গ্রহের নাম রোমান অথবা গ্রিক দেব–দেবীর নামে রাখা হয়েছে। গ্রহগুলোর সঙ্গে দেব–দেবীদের বৈশিষ্ট্যের মিল দেখেই এমন নামকরণ।
পৃথিবী: Earth শব্দটি এসেছে ইংরেজি এবং জার্মান শব্দ ‘eor (th) e/ertha’ এবং ‘erde’ থকে, যার অর্থ ground বা’ ভূমি’।
বুধ (মার্কারি) : রোমান দেবতা মার্কারি। তিনি বাণিজ্য, বার্তা আদান–প্রদান এবং গতির দেবতা। তাঁর প্রতি সম্মান জানিয়ে এই গ্রহের নামকরণ করা হয়েছে।
শুক্র (ভেনাস) : প্রেম এবং সৌন্দর্যের দেবী ভেনাস। তিনি রোমান দেবী। গ্রহটির উজ্জ্বলতা ও সৌন্দর্যকে ধারণ করে এই নাম। কারণ চাঁদ এবং সূর্যের পর পৃথিবী থেকে ভেনাসকে সবচেয়ে উজ্জ্বল দেখায়।
মঙ্গল (মার্স) : রোমানদের যুদ্ধের দেবতা মার্স। রক্তলাল রঙের কারণে এই নামটি নেওয়া হয়েছে। গ্রহটি যোদ্ধা চরিত্রকে প্রতিনিধিত্ব করে।
বৃহস্পতি (জুপিটার) : রোমান দেবতা জুপিটার। তিনি দেবতাদের রাজা। বৃহস্পতি সৌরজগতের সবচেয়ে বড় গ্রহ। এ কারণেই এমন নাম।
শনি (স্যাটার্ন) : কৃষি এবং সময়ের রোমান দেবতা স্যাটার্নের নামে এই গ্রহটির নামকরণ।
ইউরেনাস: ১৭৮১ সালে উইলিয়াম হারশেল ইউরেনাস গ্রহ আবিষ্কার করেন। গ্রহটির নাম গ্রিক আকাশ দেবতা ইউরেনাসের নামে রাখা হয়, যা গ্রহটির ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্বকে প্রতিফলিত করে।
নেপচুন: ১৮৪৬ সালে আবিষ্কৃত এই গ্রহের নাম রোমান সাগর দেবতা নেপচুনের নামে রাখা। গ্রহটির গভীর নীল রঙের সঙ্গে মিলিয়ে এমন নাম রাখা হয়েছে।
প্লুটো: ১৯৩০ সালে আবিষ্কৃত প্লুটোর নামকরণ একটি বিশেষ ঘটনা। ১১ বছর বয়সী ভেনেটিয়া বার্নি গ্রহটির নাম ‘প্লুটো’ প্রস্তাব করেছিল, যা রোমান অন্ধকারের দেবতা প্লুটোর নামে রাখা। জুপিটার ও নেপচুনের ভাই হচ্ছেন প্লুটো। তিনি আন্ডারওয়ার্ল্ড বা পাতালপুরীর দেবতা। ধারণা করা হয়, পাতাল খুব ঠান্ডা আর অন্ধকার। প্লুটো গ্রহটিও ঠান্ডা এবং অন্ধকারাচ্ছন্ন।
সম্প্রতি আবিষ্কৃত গ্রহের প্রাকৃতিক উপগ্রহগুলোর জন্য প্রথমে একটি ‘প্রাথমিক’ বা অস্থায়ী নাম দেওয়া হয়। এরপর এদের অস্তিত্ব নিশ্চিত করতে অধিকতর পর্যবেক্ষণ করা হয়। এই প্রাথমিক নামটি সাধারণত আবিষ্কারের বছরের সঙ্গে কিছু সংখ্যা যুক্ত করে তৈরি করা হয়। এই সংখ্যা আবিষ্কৃত গ্রহটির ক্রম নির্দেশ করে। উদাহরণস্বরূপ, একটি নতুন গ্রহাণু আবিষ্কৃত হলে তা ‘2024 AB’ বা ‘S/ 2024 N 1’ ইত্যাদি নাম পেতে পারে।
ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিকাল ইউনিয়ন প্রস্তাবিত নামগুলো পর্যালোচনা করে। সংস্থাটির নামকরণ কমিটি নিশ্চিত করে যে, নামটি বৈজ্ঞানিকভাবে সঠিক এবং আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য।
গ্রহ ও এদের চাঁদের নামকরণের ক্ষেত্রে গ্রিক ও রোমান উপকথা, সাহিত্যিক চরিত্র বা অন্যান্য ঐতিহ্যগত সূত্র, আবিষ্কারকের নিজের নাম অনুসরণ করা হয়।
একবার নাম অনুমোদিত হলে আইএইউ–এর অফিশিয়াল বুলেটিন বা অন্যান্য বৈজ্ঞানিক প্রকাশনায় সেটি ঘোষণা করা হয়। নতুন নামটি বিজ্ঞানবিষয়ক লেখ, গবেষণা এবং শিক্ষামূলক বইয়ে ব্যবহার করা হয়।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, জিপিএসের সাহায্য ছাড়াই এআই ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া থেকে কোনো ব্যক্তির সাম্প্রতিক অবস্থান চিহ্নিত করা যাবে।
২ দিন আগেটয়লেটে ফোন নিয়ে যাওয়ার অভ্যাস আছে অনেকেরই। এমনও হতে আপনি হয়তো টয়লেটে বসেই মোবাইলে লেখাটি পড়ছেন। শৌচাগারে যে কাজটি ৩ মিনিটে করা সম্ভব সেটি কিছু পড়া, স্ক্রল এবং পোস্ট করে অন্তত ১৫ মিনিট পার করে দিচ্ছেন অনায়াসে। আপাতদৃষ্টিতে এটি সময় কাটানোর নির্দোষ উপায় মনে হলেও চিকিৎসকেরা বলছেন, এটি আপনার স্বাস্থ্যের
২ দিন আগেসৌরজগতের সপ্তম গ্রহ ইউরেনাস ও এর পাঁচটি চাঁদ সম্পর্কে নতুন তথ্য জানাল বিজ্ঞানীরা। এই গ্রহ ও এর চাঁদগুলো একেবারে নিষ্প্রাণ নয়, বরং ইউরেনাসের চাঁদগুলোতে সমুদ্র থাকতে পারে। ফলে চাঁদগুলোয় জীবন ধারণের উপযোগী পরিবেশ থাকতে পারে। নতুন এক গবেষণায় এমন সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
৩ দিন আগেসৌরজগৎ থেকে ৪ হাজার আলোকবর্ষ দূরে পৃথিবীর মতো একটি গ্রহ আবিষ্কার করেছেন একদল জ্যোতির্বিজ্ঞানী। এই পাথুরে গ্রহটির ভর পৃথিবীর মতোই এবং এটি শ্বেতবামন তারার চারপাশে আবর্তিত হচ্ছ। সাজেটেরিয়াস নক্ষত্রমণ্ডলীতে এই তারাটি অবস্থিত।
৫ দিন আগে