ইশতিয়াক হাসান
২০১৭ সালে ৮.১ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে মেক্সিকোতে। এ সময় আকাশে খেলা করা অদ্ভুত সবুজ ও নীল আলোর ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
তেমনি মেক্সিকোর আকাপুলকো শহরের কথা বলা যেতে পারে। উঁচু সব পর্বতমালা, স্বচ্ছ জল, চমৎকার হোটেল-রিসোর্টের জন্য জায়গাটি বিখ্যাত। তবে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরের ৭ তারিখে এমন একটি ঘটনা ঘটল, যা কোনোভাবেই আকাঙ্ক্ষিত বিষয় ছিল না। ৭ মাত্রার একটি ভূমিকম্প কাঁপিয়ে দিল শহরের বালুময় সৈকত আর সাগরের ধারের উঁচু দালানগুলোকে।
তবে কাঁপতে থাকা দালান আর গাছেদের সঙ্গে অদ্ভুত একটা বিষয়ও নজর কাড়ল অনেকের। সেটি রাতের আকাশে নীল আলোর একটি ঝলক। ফল্ট লাইন বা ভূচ্যুতি বরাবর আকাশেই যেটা ঘটে।
তবে ভূমিকম্পের আগে কিংবা ভূমিকম্পের সময় এমন আলো দেখা যাওয়া নতুন কোনো ঘটনা নয়, বরং একে বলা চলে শত শত বছর ধরে গবেষকদের বিস্মিত করে রাখা বিষয়টিতে একটি পালক যুক্ত হওয়া মাত্র। এ ধরনের আলো আর্থকোয়েক লাইট নামেই পরিচিত। কেউ কেউ অবশ্য এ ধরনের আলোর সঙ্গে ভূমিকম্পের যোগকে উড়িয়ে দেন। যেমন আকাপুলাকোর ঘটনার পর অনেকে দাবি করেন ক্ষতিগ্রস্ত বৈদ্যুতিক লাইন বা ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণে এমন আলোর উদ্ভব।
বল বজ্রপাতের মতো ভূমিকম্পের এই আলো মোটামুটি বিরল এক ঘটনা। তবে বিষয়টি যুগ যুগ ধরে ঘটে এলেও বিজ্ঞানীদের বিভ্রান্তি পুরোপুরি কাটেনি একে নিয়ে। ভূমিকম্প ঘিরে এই আলোর খেলা সব সময় একই রকম হয় না। একে নিয়ে ডালপালা মেলেছে নানা তত্ত্ব। এর মধ্যে আছে সাধারণ বিদ্যুৎ-চমক থেকে শুরু করে ইউএফও, এমনকি অতিপ্রাকৃত কিছুর উপস্থিতির গল্প।
‘এই আলো বিভিন্ন আকার ও রঙের হতে পারে।’ ন্যাশনাল জিওগ্রাফিককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ২০১৪ সালে বলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সান জোসে স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও নাসার এমস রিসার্চ সেন্টারের গবেষক ফ্রিডম্যান ফ্রয়েড।
ইতিহাসের পাতা থেকে
ফ্রয়েড ও তাঁর সহকর্মীরা ৬৫টি এ ধরনের আলো তৈরির ঘটনা নিয়ে গবেষণা করে ফলাফল সিসমোলজিক্যাল রিসার্চ লেটারসে প্রকাশ করেন। তাঁরা যে ঘটনাগুলো বিবেচনা করেন, সেগুলোর মধ্যে ১৬০০ সালের ‘আর্থকোয়েক লাইটসের’ ঘটনাও আছে।
উদাহরণ হিসেবে ১৯৮৮ সালের ১২ নভেম্বরের কথা বলা যেতে পারে। কানাডার কুইবেকের সেন্ট লরেন্স নদীর কাছে উজ্জ্বল বেগুনি-গোলাপি একটি আলো দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই আলো দেখা যায় সেখানে বড় একটি ভূমিকম্পের ১১ দিন আগে।
এদিকে পেরুর পিসকোতে, ২০০৭ সালের ৮ মাত্রার এক বড় ভূমিকম্পের আগে আকাশে উজ্জ্বল আলোর ঝলক ধরা পড়ে নিরাপত্তা ক্যামেরার ভিডিওতে। এদিকে ইতালির লাকুইলায় ২০০৯ সালের ভূমিকম্পের আগে পাথুরে এক রাস্তার ওপর চার ইঞ্চির একটি উজ্জ্বল শিখার মতো দেখা যায়।
সত্যি কি এমন আলোর অস্তিত্ব আছে
এ ধরনের আলোর বিষয়ে মতামতে বেশ সতর্ক অবস্থান নিয়েছে ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে। তাদের ওয়েবসাইটে আর্থকোয়েক লাইট (ইকিউএল) সম্পর্কে বলে, ভূমিকম্প যেখানে সংঘটিত হয়, তার আশপাশের জায়গায় ও কাছাকাছি সময়ে অস্বাভাবিক আলোর যেসব খবর আসে, এগুলো নিয়ে ভূপদার্থবিদদের মধ্যে মতভেদ আছে। কেউ কেউ মনে করেন, যেসব তথ্য মেলে সেগুলো আসলেই ভূমিকম্পের কারণে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। অন্যরা আবার মনে করেন, আলো দেখার যেসব সংবাদ পাওয়া যায়, এগুলোর অন্তত কিছু ইকিউএলের উদাহরণ হতে পারে।
ভূমিকম্পের এই আলোর জন্ম কীভাবে
২০১৪ সালের গবেষণায় ৬৫টি আলো তৈরির ঘটনা নিয়ে কাজ করে ফ্রয়েড ও তাঁর সঙ্গীরা মত প্রকাশ করেন, সিসমিক বা ভূকম্পনের ঘটনায় নির্দিষ্ট ধরনের কিছু পাথর থেকে বৈদ্যুতিক চার্জের সৃষ্টি হয়ে এটি তৈরি হয়।
উদাহরণ হিসেবে ব্যাসাল্ট ও গ্যাবরো পাথরের গঠনে সামান্য ত্রুটির কারণে এরা বাতাসে বৈদ্যুতিক চার্জ ছড়াতে পারে। সে ক্ষেত্রে গোটা পৃথিবীতে যত ভূমিকম্পের জন্ম হয়, এর শূন্য দশমিক ৫ শতাংশের বেলায় কেবল এটা ঘটতে পারে, অনুমান বিজ্ঞানীদের। এ কারণেই ভূমিকম্পে এ ধরনের আলো দেখার হার একেবারে কম বলে ধারণা করা হয়। বিজ্ঞানীরা এটাও জানান, ভূমিকম্পের আগে কিংবা ভূমিকম্পের সময় এ ধরনের আলো দেখার সম্ভাবনা বেশি। ভূমিকম্পের পরে এমন আলো দেখার ঘটনা শোনা যায় কমই।
এদিকে আগের একটি গবেষণায় দেখা যায়, টেকটোনিক প্লেটগুলোর অস্থিরতার সময় কোয়ার্টজ আছে এমন পাথরগুলো শক্তিশালী তড়িৎ ক্ষেত্র তৈরি করে। এর থেকেই উদ্ভব রহস্যময় সেই আলোর। মজার ঘটনা, বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে গিয়ে কোনো কোনো বিজ্ঞানী গবেষণাগারে কৃত্রিমভাবে এমন আলো সৃষ্টির চেষ্টাও করেন।
সতর্কসংকেত
এদিকে সম্প্রতি কিছু গবেষক দাবি করছেন, তড়িৎ ক্ষেত্র বা তড়িৎ বিকিরণের কারণে আলোর জন্ম হোক-না হোক, এ সময় সৃষ্টি হওয়া তড়িৎ চুম্বকীয় সংকেত শনাক্ত করা সম্ভব। আর তাঁদের ধারণা সত্যি হলে ভূমিকম্পের মতো বড় বিপর্যয়ের আগেই এর আভাস পাওয়ার সুযোগ তৈরি হচ্ছে।
বাংলাদেশে এমন আলোর কথা শোনা না গেলেও ভারতের দিল্লিতে এ ধরনের আলো দেখার খবর মিলেছে সাম্প্রতিক সময়ে। আফগানিস্তানের কালফগ্রামে উৎপত্তি হওয়া ২১ মার্চের ওই ভূমিকম্প ভারত, তুর্কমিনিস্তান, পাকিস্তান, উজবেকিস্তানসহ আরও কিছু দেশে অনুভূত হয়। টুইটারে এক ব্যক্তি শেয়ার করেন দিল্লিতে আর্থকোয়েক লাইট দেখা যাওয়ার ভিডিও।
মোটের ওপর আর্থকোয়েক লাইট এক ধাঁধা হয়ে আছে এখনো। এটি এমন এক রহস্য, যেটি আলোড়িত করেছে ও করছে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিজ্ঞানীদেরও।
সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক, নিউ সায়েন্টিস্ট, টাইমস অব ইন্ডিয়া
২০১৭ সালে ৮.১ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে মেক্সিকোতে। এ সময় আকাশে খেলা করা অদ্ভুত সবুজ ও নীল আলোর ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
তেমনি মেক্সিকোর আকাপুলকো শহরের কথা বলা যেতে পারে। উঁচু সব পর্বতমালা, স্বচ্ছ জল, চমৎকার হোটেল-রিসোর্টের জন্য জায়গাটি বিখ্যাত। তবে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরের ৭ তারিখে এমন একটি ঘটনা ঘটল, যা কোনোভাবেই আকাঙ্ক্ষিত বিষয় ছিল না। ৭ মাত্রার একটি ভূমিকম্প কাঁপিয়ে দিল শহরের বালুময় সৈকত আর সাগরের ধারের উঁচু দালানগুলোকে।
তবে কাঁপতে থাকা দালান আর গাছেদের সঙ্গে অদ্ভুত একটা বিষয়ও নজর কাড়ল অনেকের। সেটি রাতের আকাশে নীল আলোর একটি ঝলক। ফল্ট লাইন বা ভূচ্যুতি বরাবর আকাশেই যেটা ঘটে।
তবে ভূমিকম্পের আগে কিংবা ভূমিকম্পের সময় এমন আলো দেখা যাওয়া নতুন কোনো ঘটনা নয়, বরং একে বলা চলে শত শত বছর ধরে গবেষকদের বিস্মিত করে রাখা বিষয়টিতে একটি পালক যুক্ত হওয়া মাত্র। এ ধরনের আলো আর্থকোয়েক লাইট নামেই পরিচিত। কেউ কেউ অবশ্য এ ধরনের আলোর সঙ্গে ভূমিকম্পের যোগকে উড়িয়ে দেন। যেমন আকাপুলাকোর ঘটনার পর অনেকে দাবি করেন ক্ষতিগ্রস্ত বৈদ্যুতিক লাইন বা ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণে এমন আলোর উদ্ভব।
বল বজ্রপাতের মতো ভূমিকম্পের এই আলো মোটামুটি বিরল এক ঘটনা। তবে বিষয়টি যুগ যুগ ধরে ঘটে এলেও বিজ্ঞানীদের বিভ্রান্তি পুরোপুরি কাটেনি একে নিয়ে। ভূমিকম্প ঘিরে এই আলোর খেলা সব সময় একই রকম হয় না। একে নিয়ে ডালপালা মেলেছে নানা তত্ত্ব। এর মধ্যে আছে সাধারণ বিদ্যুৎ-চমক থেকে শুরু করে ইউএফও, এমনকি অতিপ্রাকৃত কিছুর উপস্থিতির গল্প।
‘এই আলো বিভিন্ন আকার ও রঙের হতে পারে।’ ন্যাশনাল জিওগ্রাফিককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ২০১৪ সালে বলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সান জোসে স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও নাসার এমস রিসার্চ সেন্টারের গবেষক ফ্রিডম্যান ফ্রয়েড।
ইতিহাসের পাতা থেকে
ফ্রয়েড ও তাঁর সহকর্মীরা ৬৫টি এ ধরনের আলো তৈরির ঘটনা নিয়ে গবেষণা করে ফলাফল সিসমোলজিক্যাল রিসার্চ লেটারসে প্রকাশ করেন। তাঁরা যে ঘটনাগুলো বিবেচনা করেন, সেগুলোর মধ্যে ১৬০০ সালের ‘আর্থকোয়েক লাইটসের’ ঘটনাও আছে।
উদাহরণ হিসেবে ১৯৮৮ সালের ১২ নভেম্বরের কথা বলা যেতে পারে। কানাডার কুইবেকের সেন্ট লরেন্স নদীর কাছে উজ্জ্বল বেগুনি-গোলাপি একটি আলো দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই আলো দেখা যায় সেখানে বড় একটি ভূমিকম্পের ১১ দিন আগে।
এদিকে পেরুর পিসকোতে, ২০০৭ সালের ৮ মাত্রার এক বড় ভূমিকম্পের আগে আকাশে উজ্জ্বল আলোর ঝলক ধরা পড়ে নিরাপত্তা ক্যামেরার ভিডিওতে। এদিকে ইতালির লাকুইলায় ২০০৯ সালের ভূমিকম্পের আগে পাথুরে এক রাস্তার ওপর চার ইঞ্চির একটি উজ্জ্বল শিখার মতো দেখা যায়।
সত্যি কি এমন আলোর অস্তিত্ব আছে
এ ধরনের আলোর বিষয়ে মতামতে বেশ সতর্ক অবস্থান নিয়েছে ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে। তাদের ওয়েবসাইটে আর্থকোয়েক লাইট (ইকিউএল) সম্পর্কে বলে, ভূমিকম্প যেখানে সংঘটিত হয়, তার আশপাশের জায়গায় ও কাছাকাছি সময়ে অস্বাভাবিক আলোর যেসব খবর আসে, এগুলো নিয়ে ভূপদার্থবিদদের মধ্যে মতভেদ আছে। কেউ কেউ মনে করেন, যেসব তথ্য মেলে সেগুলো আসলেই ভূমিকম্পের কারণে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। অন্যরা আবার মনে করেন, আলো দেখার যেসব সংবাদ পাওয়া যায়, এগুলোর অন্তত কিছু ইকিউএলের উদাহরণ হতে পারে।
ভূমিকম্পের এই আলোর জন্ম কীভাবে
২০১৪ সালের গবেষণায় ৬৫টি আলো তৈরির ঘটনা নিয়ে কাজ করে ফ্রয়েড ও তাঁর সঙ্গীরা মত প্রকাশ করেন, সিসমিক বা ভূকম্পনের ঘটনায় নির্দিষ্ট ধরনের কিছু পাথর থেকে বৈদ্যুতিক চার্জের সৃষ্টি হয়ে এটি তৈরি হয়।
উদাহরণ হিসেবে ব্যাসাল্ট ও গ্যাবরো পাথরের গঠনে সামান্য ত্রুটির কারণে এরা বাতাসে বৈদ্যুতিক চার্জ ছড়াতে পারে। সে ক্ষেত্রে গোটা পৃথিবীতে যত ভূমিকম্পের জন্ম হয়, এর শূন্য দশমিক ৫ শতাংশের বেলায় কেবল এটা ঘটতে পারে, অনুমান বিজ্ঞানীদের। এ কারণেই ভূমিকম্পে এ ধরনের আলো দেখার হার একেবারে কম বলে ধারণা করা হয়। বিজ্ঞানীরা এটাও জানান, ভূমিকম্পের আগে কিংবা ভূমিকম্পের সময় এ ধরনের আলো দেখার সম্ভাবনা বেশি। ভূমিকম্পের পরে এমন আলো দেখার ঘটনা শোনা যায় কমই।
এদিকে আগের একটি গবেষণায় দেখা যায়, টেকটোনিক প্লেটগুলোর অস্থিরতার সময় কোয়ার্টজ আছে এমন পাথরগুলো শক্তিশালী তড়িৎ ক্ষেত্র তৈরি করে। এর থেকেই উদ্ভব রহস্যময় সেই আলোর। মজার ঘটনা, বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে গিয়ে কোনো কোনো বিজ্ঞানী গবেষণাগারে কৃত্রিমভাবে এমন আলো সৃষ্টির চেষ্টাও করেন।
সতর্কসংকেত
এদিকে সম্প্রতি কিছু গবেষক দাবি করছেন, তড়িৎ ক্ষেত্র বা তড়িৎ বিকিরণের কারণে আলোর জন্ম হোক-না হোক, এ সময় সৃষ্টি হওয়া তড়িৎ চুম্বকীয় সংকেত শনাক্ত করা সম্ভব। আর তাঁদের ধারণা সত্যি হলে ভূমিকম্পের মতো বড় বিপর্যয়ের আগেই এর আভাস পাওয়ার সুযোগ তৈরি হচ্ছে।
বাংলাদেশে এমন আলোর কথা শোনা না গেলেও ভারতের দিল্লিতে এ ধরনের আলো দেখার খবর মিলেছে সাম্প্রতিক সময়ে। আফগানিস্তানের কালফগ্রামে উৎপত্তি হওয়া ২১ মার্চের ওই ভূমিকম্প ভারত, তুর্কমিনিস্তান, পাকিস্তান, উজবেকিস্তানসহ আরও কিছু দেশে অনুভূত হয়। টুইটারে এক ব্যক্তি শেয়ার করেন দিল্লিতে আর্থকোয়েক লাইট দেখা যাওয়ার ভিডিও।
মোটের ওপর আর্থকোয়েক লাইট এক ধাঁধা হয়ে আছে এখনো। এটি এমন এক রহস্য, যেটি আলোড়িত করেছে ও করছে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিজ্ঞানীদেরও।
সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক, নিউ সায়েন্টিস্ট, টাইমস অব ইন্ডিয়া
বিজ্ঞানীরা বলছেন, জিপিএসের সাহায্য ছাড়াই এআই ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া থেকে কোনো ব্যক্তির সাম্প্রতিক অবস্থান চিহ্নিত করা যাবে।
২ দিন আগেটয়লেটে ফোন নিয়ে যাওয়ার অভ্যাস আছে অনেকেরই। এমনও হতে আপনি হয়তো টয়লেটে বসেই মোবাইলে লেখাটি পড়ছেন। শৌচাগারে যে কাজটি ৩ মিনিটে করা সম্ভব সেটি কিছু পড়া, স্ক্রল এবং পোস্ট করে অন্তত ১৫ মিনিট পার করে দিচ্ছেন অনায়াসে। আপাতদৃষ্টিতে এটি সময় কাটানোর নির্দোষ উপায় মনে হলেও চিকিৎসকেরা বলছেন, এটি আপনার স্বাস্থ্যের
২ দিন আগেসৌরজগতের সপ্তম গ্রহ ইউরেনাস ও এর পাঁচটি চাঁদ সম্পর্কে নতুন তথ্য জানাল বিজ্ঞানীরা। এই গ্রহ ও এর চাঁদগুলো একেবারে নিষ্প্রাণ নয়, বরং ইউরেনাসের চাঁদগুলোতে সমুদ্র থাকতে পারে। ফলে চাঁদগুলোয় জীবন ধারণের উপযোগী পরিবেশ থাকতে পারে। নতুন এক গবেষণায় এমন সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
৩ দিন আগেসৌরজগৎ থেকে ৪ হাজার আলোকবর্ষ দূরে পৃথিবীর মতো একটি গ্রহ আবিষ্কার করেছেন একদল জ্যোতির্বিজ্ঞানী। এই পাথুরে গ্রহটির ভর পৃথিবীর মতোই এবং এটি শ্বেতবামন তারার চারপাশে আবর্তিত হচ্ছ। সাজেটেরিয়াস নক্ষত্রমণ্ডলীতে এই তারাটি অবস্থিত।
৫ দিন আগে