নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আওয়ামী লীগ নির্বাচনের আগে ভোটের জন্য মানুষের সামনে অনেক ভালো কথা বলে, মনভোলানো প্রতিশ্রুতি দেয়, কিন্তু নির্বাচনে ক্ষমতা পেয়ে গেলে জনগণের কথা ভুলে যায়। লুটপাট, নিপীড়ন আর প্রতারণার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সব অধিকার কেড়ে নেয়—এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট আয়োজিত ‘গণতন্ত্র রক্ষা ও এক দফা দাবি আদায়ে মরহুম সাইফুদ্দিন আহমেদ মনির ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই যে তারা (আওয়ামী লীগ) বিরোধী দলগুলোকে নির্বাচনে আসতে দিতে চাইছে না, তার একটাই কারণ, তা হলো তারা ওয়াকওভার পেতে চায়। আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে, আপনারা যা বলছেন, তা কি জনগণের কথা? আওয়ামী একটা দল, যারা সব সময় জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে। তারা নির্বাচনের আগে সুন্দর সুন্দর কথা বলে। তখন মানুষ তাদের ভোট দেয়। কিন্তু নির্বাচনের পরে তারাই আবার গান গায়, আগে জানলে তোর ভাঙা নৌকায় চড়তাম না। আজকে শ্রমিক, কৃষক সাধারণ মানুষের কথা একটাই—আর পারছি না।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের শেষ বার্তা দিয়ে দিয়েছেন যে, নির্বাচনকালীন শেখ হাসিনাই প্রধানমন্ত্রী থাকবেন এবং আবারও নির্বাচনে জিতে তিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন। এটাই যদি নির্ধারিত হয় তিনি নির্বাচিত হয়ে আসবেন, তাহলে নির্বাচনের আর প্রয়োজন কী?’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য যে দেশের ৫২ বছর পরেও মানুষের ভোটাধিকারের জন্য লড়াই করতে হচ্ছে। তারা বলে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। এখানে তারা সবচেয়ে বড় প্রতারণা করেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অজিমপুরে কবর হয়ে গেলে সেটার জন্য ১৭৩ দিন হরতাল করেছিলেন কেন? সে সময় জনগণের, গণতন্ত্রের স্বার্থে খালেদা জিয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন করেছিলেন।’
এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারা এখন জানে সুষ্ঠু ভোট হলে তারা ক্ষমতায় আসতে পারবে না। তাই সংবিধানের কথা বলছে। সংবিধান প্রতারণা করে পরিবর্তন করা হয়েছে। অসাংবিধানিকভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে সংশোধন আনা হয়েছে। সেই সংশোধনের ভিত্তিতেই এই সরকার হয়েছে। এই সরকার তো বেআইনি সরকার। বেআইনি সরকারের অধীনে নির্বাচন হয় কী করে? তাই জনগণের স্বার্থে আপনারা পদত্যাগ করেন।’
সভায় সভাপতির বক্তব্যে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ সভাপতির বক্তব্যে বলেন, বিএনপির সঙ্গে হেফাজতের মতো আচরণ করলে আওয়ামী লীগই শেষ হয়ে যাবে। বিএনপি আর হেফাজত এক না।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন এনডিপির চেয়ারম্যান কে এম আবু তাহের, বাংলাদেশ মাইনোরিটি জনতা পার্টির সভাপতি সুকৃতি কুমার মন্ডল, বিকল্পধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যানের অধ্যাপক নুরুল আমীন ব্যাপারী ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান প্রমুখ।
আওয়ামী লীগ নির্বাচনের আগে ভোটের জন্য মানুষের সামনে অনেক ভালো কথা বলে, মনভোলানো প্রতিশ্রুতি দেয়, কিন্তু নির্বাচনে ক্ষমতা পেয়ে গেলে জনগণের কথা ভুলে যায়। লুটপাট, নিপীড়ন আর প্রতারণার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সব অধিকার কেড়ে নেয়—এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট আয়োজিত ‘গণতন্ত্র রক্ষা ও এক দফা দাবি আদায়ে মরহুম সাইফুদ্দিন আহমেদ মনির ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই যে তারা (আওয়ামী লীগ) বিরোধী দলগুলোকে নির্বাচনে আসতে দিতে চাইছে না, তার একটাই কারণ, তা হলো তারা ওয়াকওভার পেতে চায়। আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে, আপনারা যা বলছেন, তা কি জনগণের কথা? আওয়ামী একটা দল, যারা সব সময় জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে। তারা নির্বাচনের আগে সুন্দর সুন্দর কথা বলে। তখন মানুষ তাদের ভোট দেয়। কিন্তু নির্বাচনের পরে তারাই আবার গান গায়, আগে জানলে তোর ভাঙা নৌকায় চড়তাম না। আজকে শ্রমিক, কৃষক সাধারণ মানুষের কথা একটাই—আর পারছি না।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের শেষ বার্তা দিয়ে দিয়েছেন যে, নির্বাচনকালীন শেখ হাসিনাই প্রধানমন্ত্রী থাকবেন এবং আবারও নির্বাচনে জিতে তিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন। এটাই যদি নির্ধারিত হয় তিনি নির্বাচিত হয়ে আসবেন, তাহলে নির্বাচনের আর প্রয়োজন কী?’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য যে দেশের ৫২ বছর পরেও মানুষের ভোটাধিকারের জন্য লড়াই করতে হচ্ছে। তারা বলে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। এখানে তারা সবচেয়ে বড় প্রতারণা করেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অজিমপুরে কবর হয়ে গেলে সেটার জন্য ১৭৩ দিন হরতাল করেছিলেন কেন? সে সময় জনগণের, গণতন্ত্রের স্বার্থে খালেদা জিয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন করেছিলেন।’
এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারা এখন জানে সুষ্ঠু ভোট হলে তারা ক্ষমতায় আসতে পারবে না। তাই সংবিধানের কথা বলছে। সংবিধান প্রতারণা করে পরিবর্তন করা হয়েছে। অসাংবিধানিকভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে সংশোধন আনা হয়েছে। সেই সংশোধনের ভিত্তিতেই এই সরকার হয়েছে। এই সরকার তো বেআইনি সরকার। বেআইনি সরকারের অধীনে নির্বাচন হয় কী করে? তাই জনগণের স্বার্থে আপনারা পদত্যাগ করেন।’
সভায় সভাপতির বক্তব্যে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ সভাপতির বক্তব্যে বলেন, বিএনপির সঙ্গে হেফাজতের মতো আচরণ করলে আওয়ামী লীগই শেষ হয়ে যাবে। বিএনপি আর হেফাজত এক না।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন এনডিপির চেয়ারম্যান কে এম আবু তাহের, বাংলাদেশ মাইনোরিটি জনতা পার্টির সভাপতি সুকৃতি কুমার মন্ডল, বিকল্পধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যানের অধ্যাপক নুরুল আমীন ব্যাপারী ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান প্রমুখ।
ইন্টারপোলের রেড নোটিশ থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীর নাম প্রত্যাহার করা হয়েছে। ইন্টারপোলের ওয়েব সাইট থেকে তাঁর নাম প্রত্যাহার করেছে কর্তৃপক্ষ। নাম প্রত্যাহারের জন্য পুলিশ সদর দপ্তরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোকে (এনসিবি) মতামত দিয়েছিল সিআইডি
৮ ঘণ্টা আগেষড়যন্ত্র এখনো থেমে যায়নি উল্লেখ করে নেতা-কর্মীদের সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, ‘বিভিন্ন পত্রপত্রিকার মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে, দেশের কোথাও একটা ষড়যন্ত্র চলছে। তাই জনগণকে সচেতন করতে হবে। জনগণকে সঙ্গে রাখতে হবে, থাকতে হবে।’
১০ ঘণ্টা আগেবিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে কোনো অনুষ্ঠান পালন না করতে নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ নির্দেশ দেওয়া হয়
১০ ঘণ্টা আগেনিজের নামের সঙ্গে ‘দেশনায়ক’ কিংবা ‘রাষ্টনায়ক’ না জুড়ে দিতে দলের নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ মঙ্গলবার বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা নিয়ে ঢাকা বিভাগের
১২ ঘণ্টা আগে