নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে গণফোরামের নেতা-কর্মীরা সব বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সার্বিক সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেন।
আজ বৃহস্পতিবার গণফোরামের ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের মধ্য দিয়ে গণফোরাম নতুন করে যাত্রা শুরু করবে। গণফোরামের নেতা-কর্মীরা ছাত্র-জনতার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশ গড়ার কাজে নিয়োজিত হবে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতা করবে।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন অ্যাডভোকেট এস এম আলতাফ হোসেন, জ্যেষ্ঠ অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, ড. মো. মিজানুর রহমান। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মোস্তফা মহসীন মন্টু।
লিখিত বক্তব্যে কামাল হোসেন বলেন, গণ-আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার এক নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে। দেশের জনগণ স্বপ্ন দেখছে এক স্বাধীন ও বৈষম্যমুক্ত নতুন বাংলাদেশের। কোনো অশুভ শক্তি বা ষড়যন্ত্র যেন এই রক্তস্নাত বিজয় ও মহান মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাধা সৃষ্টি করতে না পারে। এ অর্জনকে আরও অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
এই ইমেরিটাস সভাপতি বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে, বিগত সময়ে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো দলীয়করণের ফলে প্রায় অকার্যকর হয়ে পড়েছিল। এসব প্রতিষ্ঠান সংস্কার করতে এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে, তাদের যথাযথ সময় ও সার্বিক সহযোগিতা করা সব রাজনৈতিক দল ও জনগণের নৈতিক দায়িত্ব। যাতে অভীষ্ট সংস্কার কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হন।’
লিখিত বক্তব্য ছাড়াও সরাসরি কথা বলেন গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি বলেন, অ‘নেকেই বলে আমরা (গণফোরাম) ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু আজকে এখানে এত মানুষ দেখে মনে হচ্ছে আমরা ব্যর্থ হইনি। আমরা ব্যর্থ হয়েছি, আমি এক মুহূর্তের জন্য মনে করতে পারি না। আপনারা নিজের এলাকায় যারা প্রতিষ্ঠাতা নেতৃবৃন্দ আছেন, তাঁরা এসেছেন। কেন এসেছেন, আপনারা ওদের (আওয়ামী লীগ) মতো টাকাপয়সা মেরে ছোটেন নাই, ওদেরকে সমর্থন দেন নাই। আমরা পরীক্ষিত। আপনাদের কেউ এখানে লোভ বা টাকা দিয়ে আনছে না। সুষ্ঠু রাজনীতির জন্য আমরা একটা প্রতিষ্ঠান (গণফোরাম) করেছিলাম। সেই প্রতিষ্ঠান ধরে রাখতে পেরেছি। আমরা নিজেদের বিক্রি করি নাই।’
কামাল হোসেন বলেন, ‘যারা বিক্রি হয়েছিল তাদের কী দশা হয়েছে? মন্ত্রী হয়েছে, তথাকথিত ক্ষমতা ভোগ করেছে। কিন্তু আজকে কোথায়? দেশ ছেড়ে পালাতে হয়। এটা একটা শিক্ষা। মানুষের কাজ না করলে আমরা টিকে থাকতে পারব না। টাকা দিয়ে নির্বাচিত হলে কিছুদিন পদ ধরে রাখা যায়। এরপর দেশ ছেড়ে পলাতে হয়। এর থেকে কিছু শিক্ষা হয়েছে।’
তিনি বলেন, এ দেশের জনগণ প্রমাণ করেছে তাদের বিচার করার ক্ষমতা আছে। তারা (জনগণ) তাদেরই নেতৃত্বে দেখতে চায়; যারা তাদের জন্য কাজ করবে।
গণফোরাম তার পরীক্ষিত মানুষের প্রতিষ্ঠান উল্লেখ করে কামাল হোসেন বলেন, ‘আপনারা নিজের এলাকায় পরীক্ষিত নেতা। আপনারা এখনো এই দলকে ধরে রেখেছেন। এটা আপনাদের প্রতিষ্ঠান। আমার প্রতিষ্ঠান না। আমার নেতৃত্ব বলা হয়, কিন্তু আমি এটা মনে করি না। এটা সবার যৌথ নেতৃত্ব।’
কামাল হোসেন জানান, তিনি আমৃত্যু এ রাজনীতি করে যেতে চান। তাঁর মন্ত্রী হওয়ারও আকাঙ্ক্ষা নেই।
তিনি বলেন, এ দেশে সীমাহীনভাবে অর্থ পাচার হয়েছে। যারা আয় করে, তারা পাচার করে না। যারা আয় করে না. তারা লুটপাট করে।
আলোচনা সভায় অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, গণফোরামের যে লক্ষ্য ছিল তা পূরণ হয়নি। কারণ যারা ক্ষমতায় ছিল তারা বিরোধীদের রাজনীতি করতে দেয়নি। আজ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর স্বৈরাচার পতন হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এত দিন আমাদের শত শত কর্মী যারা ঐক্যবদ্ধ হতে পারি নাই, আগামী দিনে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনগণের কাছে যাব। আমরা নেতা-কর্মী সৃষ্টি করব। আগামীতে রাজনীতিতে যত ঘটনা আসে আমরা নেতৃত্ব দিব। গণফোরামকে অতন্দ্র প্রহরীর মতো কাজ করতে হবে।’
উল্লেখ্য, ১৯৯৩ সালের ২৭-২৯ আগস্ট তিন দিনব্যাপী ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন চত্বরে এক রাজনৈতিক জাতীয় কনভেনশন ও কর্মশালা হয়। সমাপ্তির দিন অর্থাৎ ২৯ আগস্ট ঐকমত্যের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব ও বাংলাদেশের সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গণফোরামের আত্মপ্রকাশ হয়।
আলোচনা সভায় বলা হয়, দ্রুততম সময়ে ঐক্যবদ্ধ গণফোরামের জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে গণফোরামের নেতা-কর্মীরা সব বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সার্বিক সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেন।
আজ বৃহস্পতিবার গণফোরামের ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের মধ্য দিয়ে গণফোরাম নতুন করে যাত্রা শুরু করবে। গণফোরামের নেতা-কর্মীরা ছাত্র-জনতার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশ গড়ার কাজে নিয়োজিত হবে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতা করবে।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন অ্যাডভোকেট এস এম আলতাফ হোসেন, জ্যেষ্ঠ অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, ড. মো. মিজানুর রহমান। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মোস্তফা মহসীন মন্টু।
লিখিত বক্তব্যে কামাল হোসেন বলেন, গণ-আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার এক নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে। দেশের জনগণ স্বপ্ন দেখছে এক স্বাধীন ও বৈষম্যমুক্ত নতুন বাংলাদেশের। কোনো অশুভ শক্তি বা ষড়যন্ত্র যেন এই রক্তস্নাত বিজয় ও মহান মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাধা সৃষ্টি করতে না পারে। এ অর্জনকে আরও অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
এই ইমেরিটাস সভাপতি বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে, বিগত সময়ে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো দলীয়করণের ফলে প্রায় অকার্যকর হয়ে পড়েছিল। এসব প্রতিষ্ঠান সংস্কার করতে এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে, তাদের যথাযথ সময় ও সার্বিক সহযোগিতা করা সব রাজনৈতিক দল ও জনগণের নৈতিক দায়িত্ব। যাতে অভীষ্ট সংস্কার কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হন।’
লিখিত বক্তব্য ছাড়াও সরাসরি কথা বলেন গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি বলেন, অ‘নেকেই বলে আমরা (গণফোরাম) ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু আজকে এখানে এত মানুষ দেখে মনে হচ্ছে আমরা ব্যর্থ হইনি। আমরা ব্যর্থ হয়েছি, আমি এক মুহূর্তের জন্য মনে করতে পারি না। আপনারা নিজের এলাকায় যারা প্রতিষ্ঠাতা নেতৃবৃন্দ আছেন, তাঁরা এসেছেন। কেন এসেছেন, আপনারা ওদের (আওয়ামী লীগ) মতো টাকাপয়সা মেরে ছোটেন নাই, ওদেরকে সমর্থন দেন নাই। আমরা পরীক্ষিত। আপনাদের কেউ এখানে লোভ বা টাকা দিয়ে আনছে না। সুষ্ঠু রাজনীতির জন্য আমরা একটা প্রতিষ্ঠান (গণফোরাম) করেছিলাম। সেই প্রতিষ্ঠান ধরে রাখতে পেরেছি। আমরা নিজেদের বিক্রি করি নাই।’
কামাল হোসেন বলেন, ‘যারা বিক্রি হয়েছিল তাদের কী দশা হয়েছে? মন্ত্রী হয়েছে, তথাকথিত ক্ষমতা ভোগ করেছে। কিন্তু আজকে কোথায়? দেশ ছেড়ে পালাতে হয়। এটা একটা শিক্ষা। মানুষের কাজ না করলে আমরা টিকে থাকতে পারব না। টাকা দিয়ে নির্বাচিত হলে কিছুদিন পদ ধরে রাখা যায়। এরপর দেশ ছেড়ে পলাতে হয়। এর থেকে কিছু শিক্ষা হয়েছে।’
তিনি বলেন, এ দেশের জনগণ প্রমাণ করেছে তাদের বিচার করার ক্ষমতা আছে। তারা (জনগণ) তাদেরই নেতৃত্বে দেখতে চায়; যারা তাদের জন্য কাজ করবে।
গণফোরাম তার পরীক্ষিত মানুষের প্রতিষ্ঠান উল্লেখ করে কামাল হোসেন বলেন, ‘আপনারা নিজের এলাকায় পরীক্ষিত নেতা। আপনারা এখনো এই দলকে ধরে রেখেছেন। এটা আপনাদের প্রতিষ্ঠান। আমার প্রতিষ্ঠান না। আমার নেতৃত্ব বলা হয়, কিন্তু আমি এটা মনে করি না। এটা সবার যৌথ নেতৃত্ব।’
কামাল হোসেন জানান, তিনি আমৃত্যু এ রাজনীতি করে যেতে চান। তাঁর মন্ত্রী হওয়ারও আকাঙ্ক্ষা নেই।
তিনি বলেন, এ দেশে সীমাহীনভাবে অর্থ পাচার হয়েছে। যারা আয় করে, তারা পাচার করে না। যারা আয় করে না. তারা লুটপাট করে।
আলোচনা সভায় অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, গণফোরামের যে লক্ষ্য ছিল তা পূরণ হয়নি। কারণ যারা ক্ষমতায় ছিল তারা বিরোধীদের রাজনীতি করতে দেয়নি। আজ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর স্বৈরাচার পতন হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এত দিন আমাদের শত শত কর্মী যারা ঐক্যবদ্ধ হতে পারি নাই, আগামী দিনে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনগণের কাছে যাব। আমরা নেতা-কর্মী সৃষ্টি করব। আগামীতে রাজনীতিতে যত ঘটনা আসে আমরা নেতৃত্ব দিব। গণফোরামকে অতন্দ্র প্রহরীর মতো কাজ করতে হবে।’
উল্লেখ্য, ১৯৯৩ সালের ২৭-২৯ আগস্ট তিন দিনব্যাপী ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন চত্বরে এক রাজনৈতিক জাতীয় কনভেনশন ও কর্মশালা হয়। সমাপ্তির দিন অর্থাৎ ২৯ আগস্ট ঐকমত্যের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব ও বাংলাদেশের সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গণফোরামের আত্মপ্রকাশ হয়।
আলোচনা সভায় বলা হয়, দ্রুততম সময়ে ঐক্যবদ্ধ গণফোরামের জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে।
চায়ের আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত মেগান বোল্ডিনের বাসভবনে গেলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
১৪ ঘণ্টা আগেজুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলন সফল হওয়ার পেছনে খোদ আওয়ামী লীগের সাধারণ সমর্থকদেরও ভূমিকা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল রিসার্চ (বিআইএসআর) ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. খুরশিদ আলম। তিনি ২০০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়নকারী ও নীতিমালা প্রস্তুতকারী ছিলেন
১৪ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে যাওয়ার পরবর্তী তিন মাস ‘মবের মুল্লুক’ মনে হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারে যারা আছেন তাঁরা চেষ্টা করছেন সংস্কার করার। তাঁদের সফলতা-ব্যর্থতা নিয়ে এখনই মন্তব্য করা ঠিক হবে না। সময় দিতে হবে।’
১৫ ঘণ্টা আগেসংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল চেয়েছেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে জারি করা রুলের শুনানিতে তিনি বলেন, ‘সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ এক ধরনের বাক্স্বাধীনতাকে খর্ব করে। এ জন্য ৭০ অনুচ্ছেদ আমরা বাতিল চাই।’
১৬ ঘণ্টা আগে