নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে ভালোবাসার সরকার আখ্যা দিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেছেন, ‘এই সরকার আমাদের ভালোবাসার সরকার, এই সরকারকে আমরা সমর্থন করি, এই সরকার ছাত্র-জনতার সরকার। এই সরকার জুলুমবাজদের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে। হাসিনা নাই, তাঁর করা মামলা থাকবে কেন? হাসিনা নাই কোর্ট-কাচারি তো এখন মুক্ত। এই বিষয়গুলো এই সরকারকে ভাবতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব উদ্যোগ নিয়ে এগুলো বাতিল করতে হবে।’
আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের উদ্যোগে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক সমাবেশে শামসুজ্জামান দুদু এসব কথা বলেন।
দেশের সব রাজনৈতিক দলের আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিকে এখন বিতর্কিত করা যাবে না। সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে এই সংকট মোকাবিলা করতে হবে। নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে, এসব ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। যদি এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে না পারি, তাহলে দেশে যে সংকট তৈরি হবে, তাতে অস্তিত্ব সংকটে পড়বে দেশ।’
দুদু বলেন, ‘বিএনপির জন্ম না হলে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরে আসত না। ’৭৫–পরবর্তী সময়ে দেশে যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছিল, আইনের সংকট সৃষ্টি হয়েছিল—তা থেকে উত্তরণের জন্যই বিএনপির জন্ম হয়েছে। বিএনপির জন্মের পরই বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষ কৃষক-শ্রমিক-জনতা আশা দেখেছিল। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, স্বাধীনতার ঘোষক, রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা, বীর উত্তম শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি এবং আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, আল্লাহ যেন তাঁকে জান্নাতবাসী করেন।’
বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বল্পকালীন দেশ পরিচালনার পরে এ দেশে স্বৈরাচার ফিরে আসে। দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করার পাঁয়তারা করেছে স্বৈরাচারী এরশাদ। পরবর্তী সময়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিএনপির হাল ধরে দীর্ঘ ৯ বছর সংগ্রাম করে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি (বেগম খালেদা জিয়া) নারীদের উন্নয়ন করেছেন, কৃষিতে উন্নয়ন করেছেন, দেশের সব সেক্টরেই তিনি উন্নয়ন করেছেন। তাঁকেও ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকার নানা মিথ্যা মামলায় জর্জরিত করে দীর্ঘ ছয় বছর বন্দী করে রেখেছিল।’
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘দেশনায়ক তারেক রহমান এখনো দেশের বাইরে নির্বাসিত জীবন যাপন করছেন। তাঁর সব মামলা প্রত্যাহার করা দরকার, দেশনেত্রীর মামলা প্রত্যাহার করা দরকার। বিএনপির মহাসচিবসহ বিরোধী দলগুলোর নেতা-কর্মী যারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে, তাদের মামলা এখনো প্রত্যাহার করা হয় নাই। ৬০ লাখ আসামির আড়াই লাখ মামলা—এই মামলাগুলো যতক্ষণ না প্রত্যাহার করা হবে, ততক্ষণ প্রশ্ন থেকেই যাবে যে এই সরকার গণতন্ত্রের পক্ষে কাজ শুরু করেছে কি না।’
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে জরুরি কাজ হচ্ছে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা। তিনটি নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। মানুষ যাতে ভোট দিতে পারে, তার অবস্থা তৈরি করে নির্বাচন দেওয়া। সেই নির্বাচনে জনগণ যাকে নির্বাচিত করবে, আমরা তাকে সাধুবাদ জানাব। আর বিএনপি জনগণের দল হিসেবে ভবিষ্যতে কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষের জন্য কাজ করতে চায়। বিএনপি মানুষের জন্য কাজ করতে চায় বলেই ৩১ দফা রাষ্ট্র মেরামতের কথা বলেছে। এর থেকে বড় সংস্কার বাংলাদেশে আপাতত আর কেউ দিতে পারেনি।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন কবির ব্যাপারী সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষক দল নেতা সাদি, সহসাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম, যোগাযোগবিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রাজিসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা–কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে ভালোবাসার সরকার আখ্যা দিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেছেন, ‘এই সরকার আমাদের ভালোবাসার সরকার, এই সরকারকে আমরা সমর্থন করি, এই সরকার ছাত্র-জনতার সরকার। এই সরকার জুলুমবাজদের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে। হাসিনা নাই, তাঁর করা মামলা থাকবে কেন? হাসিনা নাই কোর্ট-কাচারি তো এখন মুক্ত। এই বিষয়গুলো এই সরকারকে ভাবতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব উদ্যোগ নিয়ে এগুলো বাতিল করতে হবে।’
আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের উদ্যোগে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক সমাবেশে শামসুজ্জামান দুদু এসব কথা বলেন।
দেশের সব রাজনৈতিক দলের আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিকে এখন বিতর্কিত করা যাবে না। সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে এই সংকট মোকাবিলা করতে হবে। নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে, এসব ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। যদি এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে না পারি, তাহলে দেশে যে সংকট তৈরি হবে, তাতে অস্তিত্ব সংকটে পড়বে দেশ।’
দুদু বলেন, ‘বিএনপির জন্ম না হলে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরে আসত না। ’৭৫–পরবর্তী সময়ে দেশে যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছিল, আইনের সংকট সৃষ্টি হয়েছিল—তা থেকে উত্তরণের জন্যই বিএনপির জন্ম হয়েছে। বিএনপির জন্মের পরই বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষ কৃষক-শ্রমিক-জনতা আশা দেখেছিল। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, স্বাধীনতার ঘোষক, রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা, বীর উত্তম শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি এবং আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, আল্লাহ যেন তাঁকে জান্নাতবাসী করেন।’
বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বল্পকালীন দেশ পরিচালনার পরে এ দেশে স্বৈরাচার ফিরে আসে। দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করার পাঁয়তারা করেছে স্বৈরাচারী এরশাদ। পরবর্তী সময়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিএনপির হাল ধরে দীর্ঘ ৯ বছর সংগ্রাম করে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি (বেগম খালেদা জিয়া) নারীদের উন্নয়ন করেছেন, কৃষিতে উন্নয়ন করেছেন, দেশের সব সেক্টরেই তিনি উন্নয়ন করেছেন। তাঁকেও ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকার নানা মিথ্যা মামলায় জর্জরিত করে দীর্ঘ ছয় বছর বন্দী করে রেখেছিল।’
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘দেশনায়ক তারেক রহমান এখনো দেশের বাইরে নির্বাসিত জীবন যাপন করছেন। তাঁর সব মামলা প্রত্যাহার করা দরকার, দেশনেত্রীর মামলা প্রত্যাহার করা দরকার। বিএনপির মহাসচিবসহ বিরোধী দলগুলোর নেতা-কর্মী যারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে, তাদের মামলা এখনো প্রত্যাহার করা হয় নাই। ৬০ লাখ আসামির আড়াই লাখ মামলা—এই মামলাগুলো যতক্ষণ না প্রত্যাহার করা হবে, ততক্ষণ প্রশ্ন থেকেই যাবে যে এই সরকার গণতন্ত্রের পক্ষে কাজ শুরু করেছে কি না।’
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে জরুরি কাজ হচ্ছে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা। তিনটি নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। মানুষ যাতে ভোট দিতে পারে, তার অবস্থা তৈরি করে নির্বাচন দেওয়া। সেই নির্বাচনে জনগণ যাকে নির্বাচিত করবে, আমরা তাকে সাধুবাদ জানাব। আর বিএনপি জনগণের দল হিসেবে ভবিষ্যতে কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষের জন্য কাজ করতে চায়। বিএনপি মানুষের জন্য কাজ করতে চায় বলেই ৩১ দফা রাষ্ট্র মেরামতের কথা বলেছে। এর থেকে বড় সংস্কার বাংলাদেশে আপাতত আর কেউ দিতে পারেনি।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন কবির ব্যাপারী সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষক দল নেতা সাদি, সহসাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম, যোগাযোগবিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রাজিসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা–কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
চায়ের আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত মেগান বোল্ডিনের বাসভবনে গেলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
১০ ঘণ্টা আগেজুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলন সফল হওয়ার পেছনে খোদ আওয়ামী লীগের সাধারণ সমর্থকদেরও ভূমিকা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল রিসার্চ (বিআইএসআর) ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. খুরশিদ আলম। তিনি ২০০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়নকারী ও নীতিমালা প্রস্তুতকারী ছিলেন
১০ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে যাওয়ার পরবর্তী তিন মাস ‘মবের মুল্লুক’ মনে হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারে যারা আছেন তাঁরা চেষ্টা করছেন সংস্কার করার। তাঁদের সফলতা-ব্যর্থতা নিয়ে এখনই মন্তব্য করা ঠিক হবে না। সময় দিতে হবে।’
১১ ঘণ্টা আগেসংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল চেয়েছেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে জারি করা রুলের শুনানিতে তিনি বলেন, ‘সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ এক ধরনের বাক্স্বাধীনতাকে খর্ব করে। এ জন্য ৭০ অনুচ্ছেদ আমরা বাতিল চাই।’
১২ ঘণ্টা আগে