নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে কোন চুক্তি হয়নি, শুধুমাত্র সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আজ শুক্রবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সমাবেশ ও শোভাযাত্রা কর্মসূচিতে এ কথা বলেন তিনি।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘সফরে যাওয়ার আগে অনেক কথা বলেছিলেন। অনেক চুক্তি হবে। কিন্তু কোন চুক্তি হয় নাই। হয়েছে সমঝোতা স্মারক। সমঝোতা স্মারক অর্থ হচ্ছে ইচ্ছা প্রকাশ করা। এটার ইচ্ছা প্রকাশ করছি, ওটার ইচ্ছা প্রকাশ করছি কিন্তু চুক্তি না হলে এসবের কোন মূল্য নেই। অর্থাৎ আজকে কূটনীতিতেও এই সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ। এই সফরে বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থের কোন কথা হয় নাই। আমরা জানি না সফরে অন্য কোন কিছু আছে কিনা। দেশের জনগণ জানতে চায় দেশের প্রধানমন্ত্রী ভারতে গিয়ে দেশের জন্য কী নিয়ে এসেছেন।’
খন্দকার মোশাররফ হোসেন আরও বলেন, ‘কিছুদিন আগে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে গিয়েছিলেন। আপনারা যেখানেই যাবেন আমাদের দেশের কূটনীতিকে শক্তিশালী করার জন্য যাবেন। এটাই জনগণের প্রত্যাশা। কিন্তু তিনি গিয়ে কী নিয়ে এসেছেন? প্রত্যেকবার তিনি ভারতে গিয়েছেন, কেবল দিয়ে এসেছেন, কিছু নিয়ে এসেছেন বলে দাবি করতে পারেননি। তিনি নিজেও স্বীকার করেছেন যে ভারতকে তিনি যা দিয়েছেন সারা জীবন ভারত স্মরণ রাখবে। কিন্তু আমরা স্মরণ রাখার মতো এমন কিছু তিনি এখনও আনতে পারেন নাই।’
বিএনপির এই প্রবীণ নেতা বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া একটি বানোয়াট মামলায় অসুস্থ অবস্থায় অন্তরীণ হয়ে আছেন। তিনি বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নেবেন সেই সুযোগটাও এই স্বৈরাচারী সরকার দিচ্ছে না। দেশে কোন গণতন্ত্র, ভোটের অধিকার নেই। দেশের অর্থনীতি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘মানুষের বিশ্বাস ছিল, ভারতের সঙ্গে আলোচনা করলে কমপক্ষে সীমান্তে হত্যা বন্ধ হবে। কিন্তু এটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কোন আলোচনা করেননি। এটাই তো প্রধান ইস্যু। পৃথিবীর আর কোন সীমান্ত এত রক্তাক্ত নয়। তিস্তা নদীর পানি আপনি (প্রধানমন্ত্রী) আনতে পারেননি। তাহলে কী চুক্তি হয়েছে? আসল চুক্তি কী? কার্পেটের তলায় কী চুক্তি হয়েছে? কার্পেটের ভেতরে যে কাগজপত্র আছে প্রধানমন্ত্রী তা বাংলাদেশের জনগণকে জানাবেন না।’
রিজভী আরও বলেন, ‘সারা দেশের ইউনিয়ন, ওয়ার্ড, থানা রক্তাক্ত হয়েছে শেখ হাসিনার কারণে। তিনজন নিহত এবং অসংখ্য নেতৃবৃন্দকে বন্দী করা হয়েছে। এখন আন্দোলন, মিছিল দেখামাত্রই গুলি হয়। যারা সামান্য মিছিলেও গুলি ছোড়ে তারা কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচনে বিশ্বাস করবে না। তারা অন্যের কাছ থেকে ক্ষমতা নিয়ে অন্যের আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে ক্ষমতায় থাকতে চায়।’
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে রিজভী বলেন, ‘দেশের জনগণ যেটাকে সাদা মনে করে আপনি সেটাকে কালো মনে করেন। আর জনগণ যেটাকে কালো মনে করে আপনি সেটাকে সাদা মনে করেন। কারণ আপনাকে এখন মিথ্যা, ছলচাতুরী, প্রতারণা এবং লুটতরাজের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় থাকতে হয়।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহমেদসহ প্রমুখ। সমাবেশ শেষে একটি শোভাযাত্রা বের করেন দলের নেতৃবৃন্দ।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে কোন চুক্তি হয়নি, শুধুমাত্র সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আজ শুক্রবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সমাবেশ ও শোভাযাত্রা কর্মসূচিতে এ কথা বলেন তিনি।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘সফরে যাওয়ার আগে অনেক কথা বলেছিলেন। অনেক চুক্তি হবে। কিন্তু কোন চুক্তি হয় নাই। হয়েছে সমঝোতা স্মারক। সমঝোতা স্মারক অর্থ হচ্ছে ইচ্ছা প্রকাশ করা। এটার ইচ্ছা প্রকাশ করছি, ওটার ইচ্ছা প্রকাশ করছি কিন্তু চুক্তি না হলে এসবের কোন মূল্য নেই। অর্থাৎ আজকে কূটনীতিতেও এই সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ। এই সফরে বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থের কোন কথা হয় নাই। আমরা জানি না সফরে অন্য কোন কিছু আছে কিনা। দেশের জনগণ জানতে চায় দেশের প্রধানমন্ত্রী ভারতে গিয়ে দেশের জন্য কী নিয়ে এসেছেন।’
খন্দকার মোশাররফ হোসেন আরও বলেন, ‘কিছুদিন আগে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে গিয়েছিলেন। আপনারা যেখানেই যাবেন আমাদের দেশের কূটনীতিকে শক্তিশালী করার জন্য যাবেন। এটাই জনগণের প্রত্যাশা। কিন্তু তিনি গিয়ে কী নিয়ে এসেছেন? প্রত্যেকবার তিনি ভারতে গিয়েছেন, কেবল দিয়ে এসেছেন, কিছু নিয়ে এসেছেন বলে দাবি করতে পারেননি। তিনি নিজেও স্বীকার করেছেন যে ভারতকে তিনি যা দিয়েছেন সারা জীবন ভারত স্মরণ রাখবে। কিন্তু আমরা স্মরণ রাখার মতো এমন কিছু তিনি এখনও আনতে পারেন নাই।’
বিএনপির এই প্রবীণ নেতা বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া একটি বানোয়াট মামলায় অসুস্থ অবস্থায় অন্তরীণ হয়ে আছেন। তিনি বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নেবেন সেই সুযোগটাও এই স্বৈরাচারী সরকার দিচ্ছে না। দেশে কোন গণতন্ত্র, ভোটের অধিকার নেই। দেশের অর্থনীতি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘মানুষের বিশ্বাস ছিল, ভারতের সঙ্গে আলোচনা করলে কমপক্ষে সীমান্তে হত্যা বন্ধ হবে। কিন্তু এটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কোন আলোচনা করেননি। এটাই তো প্রধান ইস্যু। পৃথিবীর আর কোন সীমান্ত এত রক্তাক্ত নয়। তিস্তা নদীর পানি আপনি (প্রধানমন্ত্রী) আনতে পারেননি। তাহলে কী চুক্তি হয়েছে? আসল চুক্তি কী? কার্পেটের তলায় কী চুক্তি হয়েছে? কার্পেটের ভেতরে যে কাগজপত্র আছে প্রধানমন্ত্রী তা বাংলাদেশের জনগণকে জানাবেন না।’
রিজভী আরও বলেন, ‘সারা দেশের ইউনিয়ন, ওয়ার্ড, থানা রক্তাক্ত হয়েছে শেখ হাসিনার কারণে। তিনজন নিহত এবং অসংখ্য নেতৃবৃন্দকে বন্দী করা হয়েছে। এখন আন্দোলন, মিছিল দেখামাত্রই গুলি হয়। যারা সামান্য মিছিলেও গুলি ছোড়ে তারা কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচনে বিশ্বাস করবে না। তারা অন্যের কাছ থেকে ক্ষমতা নিয়ে অন্যের আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে ক্ষমতায় থাকতে চায়।’
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে রিজভী বলেন, ‘দেশের জনগণ যেটাকে সাদা মনে করে আপনি সেটাকে কালো মনে করেন। আর জনগণ যেটাকে কালো মনে করে আপনি সেটাকে সাদা মনে করেন। কারণ আপনাকে এখন মিথ্যা, ছলচাতুরী, প্রতারণা এবং লুটতরাজের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় থাকতে হয়।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহমেদসহ প্রমুখ। সমাবেশ শেষে একটি শোভাযাত্রা বের করেন দলের নেতৃবৃন্দ।
অভ্যন্তরীণ হস্তক্ষেপ না করার মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এগোতে পারে বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আজ শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পানি বণ্টন সংকটের মীমাংসা খুঁজতে ‘অভিন্ন নদীর পানি ও ভারত...
১৭ ঘণ্টা আগেসুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন আয়োজন করাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান।
১৮ ঘণ্টা আগেআওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা যদি ভালো হয়ে যেতে চান, তাহলে সকল সহযোগিতা থাকবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের
১৯ ঘণ্টা আগেদেশে গণ-অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী বিপ্লবী সরকার গঠিত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম। তিনি বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের শক্তির ওপর দাঁড়িয়ে অন্তর্বর্তীকালীন বিপ্লবী সরকার গঠিত হয়নি। ফলে শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে পেরেছেন
১ দিন আগে