নিজস্ব প্রতিবেদক
সম্প্রতি হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে নাশকতার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জে ৭টি মামলা দায়ের করা হয়। এরমধ্যে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায়ই ৬টি মামলা হয়েছে। আসামি করা হয়েছে প্রায় চার হাজার জনকে। তবে মামলার ৮ দিনের মাথায় ৬টি মামলায় মাত্র ৭ জনকে গ্রেফতার করতে পেরেছে সিদ্ধিরগঞ্জ পুলিশ। গত হরতালে সারাদেশে দায়ের হওয়া অন্তত ৩৩টি মামলায় নামে বেনামে অর্ধ লক্ষাধিক জনকে আসামি করা হয়েছিল।
নাশকতার এসব মামলায় সোমবার পর্যন্ত হেফাজতের কোনো কেন্দ্রীয় নেতা গ্রেফতার হয়নি। তবে মামলায় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা না হলেও বাড়ি বাড়ি গিয়ে হয়রানির অভিযোগ করেছেন হেফাজতে ইসলামের নেতারা।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মশিউর রহমান সোমবার বিকালে আজকের পত্রিকাকে বলেন, তার থানায় হরতালের নাশকতার ঘটনায় ছয়টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরমধ্যে পুলিশ বাদি হয়ে পাঁচটি এবং র্যাব বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। ছয় মামলায় এ পর্যন্ত সাত আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সবশেষ সোমবার ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সানাড়পার এলাকা থেকে সিদ্ধিরগঞ্জ শ্রমিক দলের সভাপতি আকবার হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। নাশকতার মামলায় বিএনপি নেতারা গ্রেফতার হলেও হেফাজত নেতাকর্মীরা কেনো গ্রেফতার হচ্ছে না জানতে চাইলে ওসি বলেন, আমরা যাচাই বাছাই করছি। যারা নাশকতায় ঘটনাস্থলে ছিলেন তাদেরকেই গ্রেফতার করা হচ্ছে।
নাশকতার ঘটনায় সম্প্রতি হেফাজতের ইসলামি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সারাদেশে অন্তত ৩৩টি মামলা করে পুলিশ। এরমধ্যে ঢাকায় ৯টি, নারায়ণগঞ্জে ৭টি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৭টি, কিশোরগঞ্জে ২টি, হবিগঞ্জে ১টি, চট্টগ্রামে ৭টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অগ্নিসংযোগ, পুলিশের কাজে বাধাদান, থানায় আক্রমণসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আতাউল্লাহ আমিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, হরতালের পর গত এক সপ্তাহে নাশকতার মামলায় আমাদের তেমন নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়নি। কোনো কেন্দ্রীয় নেতা এখন পর্যন্ত গ্রেফতার হননি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, তবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হেফাজত নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে। কিন্তু হেফাজত নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের ব্যাপারে তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জে কেন্দ্রীয় নেতা মামুনুল হকের ঘটনায় বিভিন্ন এলাকায় মিছিল থেকে কিছু হেফাজত নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি সোহেল রানা আজকের পত্রিকাকে জানান, সদর দপ্তর থেকে হেফাজতের মামলাগুলো মনিটরিং করা হচ্ছে। আমরা আসামিদের সনাক্তের কাজ করছি। যাচাই বাছাই করে আইনের আওতায় আনা হবে। হেফাজতের নেতাদের গ্রেফতার না করে বিএনপি নেতাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা কোন দল অথবা মত দেখছি না। আমাদের কাজ হচ্ছে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া। নাশকতায় যারাই জড়িত ছিলো তাদেরকেই গ্রেফতার করা হবে।
পুলিশ সদর দপ্তরের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, হেফাজতের ব্যাপারে ধীরে চলা নীতি নিয়েছে পুলিশ। হেফাজত যদি শান্ত থাকে, কোনো ধরণের জ্বালাও পোড়াও না করে তাহলে তাদেরকে আপাতত গ্রেফতার করে পরিস্থিতি অশান্ত করা হবে না। আবার যদি জ্বালাও পোড়াও নাশকতা করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হবে পুলিশ। পুলিশ আপাতত তাদের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, হেফাজতের ঢাকায় নাশকতার ঘটনার কিছু আসামি আমরা সনাক্ত করেছি। আমরা তাদের গ্রেফতারেও কাজ করছি। সাম্প্রতিক সময়ে ২০১৩ সালের নাশকতার ঘটনায় আসামিদের কয়েকজনকে সনাক্ত করা হয়েছে। বর্তমান মামলার আসামি এবং আগের মামলার আসামি পর্যালোচনা করে আইনের আওতায় আনা হবে তাদের । আগের মামলার তদন্তও দ্রুত নিষ্পত্তি কাজ চলছে।
২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলামের ঢাকা অবরোধ কর্মসূচিতে শাপলা চত্বরের সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে দেশের অন্তত ৭টি জেলায়। ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতের বিরুদ্ধে নাশকতার ৮৩ মামলা হয়। এরমধ্যে ঢাকার ৫৩টি মামলার মধ্যে এখনো তদন্ত শেষ হয়নি ৪৭ মামলার। ৪টির অভিযোগপত্র দেয়া হলেও বিচার শেষ হয়নি। ২০১৩ সালের মামলায় সংগঠনটির শীর্ষ নেতা জুনায়েদ বাবুনগরীসহ আসামি করা হয় ৩ হাজার ৪১৬ জনকে। অজ্ঞাতনামা আসামির সংখ্যা ৮৪ হাজার ৭৯৬ জন।
সম্প্রতি হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে নাশকতার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জে ৭টি মামলা দায়ের করা হয়। এরমধ্যে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায়ই ৬টি মামলা হয়েছে। আসামি করা হয়েছে প্রায় চার হাজার জনকে। তবে মামলার ৮ দিনের মাথায় ৬টি মামলায় মাত্র ৭ জনকে গ্রেফতার করতে পেরেছে সিদ্ধিরগঞ্জ পুলিশ। গত হরতালে সারাদেশে দায়ের হওয়া অন্তত ৩৩টি মামলায় নামে বেনামে অর্ধ লক্ষাধিক জনকে আসামি করা হয়েছিল।
নাশকতার এসব মামলায় সোমবার পর্যন্ত হেফাজতের কোনো কেন্দ্রীয় নেতা গ্রেফতার হয়নি। তবে মামলায় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা না হলেও বাড়ি বাড়ি গিয়ে হয়রানির অভিযোগ করেছেন হেফাজতে ইসলামের নেতারা।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মশিউর রহমান সোমবার বিকালে আজকের পত্রিকাকে বলেন, তার থানায় হরতালের নাশকতার ঘটনায় ছয়টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরমধ্যে পুলিশ বাদি হয়ে পাঁচটি এবং র্যাব বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। ছয় মামলায় এ পর্যন্ত সাত আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সবশেষ সোমবার ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সানাড়পার এলাকা থেকে সিদ্ধিরগঞ্জ শ্রমিক দলের সভাপতি আকবার হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। নাশকতার মামলায় বিএনপি নেতারা গ্রেফতার হলেও হেফাজত নেতাকর্মীরা কেনো গ্রেফতার হচ্ছে না জানতে চাইলে ওসি বলেন, আমরা যাচাই বাছাই করছি। যারা নাশকতায় ঘটনাস্থলে ছিলেন তাদেরকেই গ্রেফতার করা হচ্ছে।
নাশকতার ঘটনায় সম্প্রতি হেফাজতের ইসলামি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সারাদেশে অন্তত ৩৩টি মামলা করে পুলিশ। এরমধ্যে ঢাকায় ৯টি, নারায়ণগঞ্জে ৭টি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৭টি, কিশোরগঞ্জে ২টি, হবিগঞ্জে ১টি, চট্টগ্রামে ৭টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অগ্নিসংযোগ, পুলিশের কাজে বাধাদান, থানায় আক্রমণসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আতাউল্লাহ আমিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, হরতালের পর গত এক সপ্তাহে নাশকতার মামলায় আমাদের তেমন নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়নি। কোনো কেন্দ্রীয় নেতা এখন পর্যন্ত গ্রেফতার হননি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, তবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হেফাজত নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে। কিন্তু হেফাজত নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের ব্যাপারে তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জে কেন্দ্রীয় নেতা মামুনুল হকের ঘটনায় বিভিন্ন এলাকায় মিছিল থেকে কিছু হেফাজত নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি সোহেল রানা আজকের পত্রিকাকে জানান, সদর দপ্তর থেকে হেফাজতের মামলাগুলো মনিটরিং করা হচ্ছে। আমরা আসামিদের সনাক্তের কাজ করছি। যাচাই বাছাই করে আইনের আওতায় আনা হবে। হেফাজতের নেতাদের গ্রেফতার না করে বিএনপি নেতাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা কোন দল অথবা মত দেখছি না। আমাদের কাজ হচ্ছে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া। নাশকতায় যারাই জড়িত ছিলো তাদেরকেই গ্রেফতার করা হবে।
পুলিশ সদর দপ্তরের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, হেফাজতের ব্যাপারে ধীরে চলা নীতি নিয়েছে পুলিশ। হেফাজত যদি শান্ত থাকে, কোনো ধরণের জ্বালাও পোড়াও না করে তাহলে তাদেরকে আপাতত গ্রেফতার করে পরিস্থিতি অশান্ত করা হবে না। আবার যদি জ্বালাও পোড়াও নাশকতা করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হবে পুলিশ। পুলিশ আপাতত তাদের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, হেফাজতের ঢাকায় নাশকতার ঘটনার কিছু আসামি আমরা সনাক্ত করেছি। আমরা তাদের গ্রেফতারেও কাজ করছি। সাম্প্রতিক সময়ে ২০১৩ সালের নাশকতার ঘটনায় আসামিদের কয়েকজনকে সনাক্ত করা হয়েছে। বর্তমান মামলার আসামি এবং আগের মামলার আসামি পর্যালোচনা করে আইনের আওতায় আনা হবে তাদের । আগের মামলার তদন্তও দ্রুত নিষ্পত্তি কাজ চলছে।
২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলামের ঢাকা অবরোধ কর্মসূচিতে শাপলা চত্বরের সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে দেশের অন্তত ৭টি জেলায়। ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতের বিরুদ্ধে নাশকতার ৮৩ মামলা হয়। এরমধ্যে ঢাকার ৫৩টি মামলার মধ্যে এখনো তদন্ত শেষ হয়নি ৪৭ মামলার। ৪টির অভিযোগপত্র দেয়া হলেও বিচার শেষ হয়নি। ২০১৩ সালের মামলায় সংগঠনটির শীর্ষ নেতা জুনায়েদ বাবুনগরীসহ আসামি করা হয় ৩ হাজার ৪১৬ জনকে। অজ্ঞাতনামা আসামির সংখ্যা ৮৪ হাজার ৭৯৬ জন।
অভ্যন্তরীণ হস্তক্ষেপ না করার মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এগোতে পারে বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আজ শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পানি বণ্টন সংকটের মীমাংসা খুঁজতে ‘অভিন্ন নদীর পানি ও ভারত...
২০ ঘণ্টা আগেসুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন আয়োজন করাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান।
২১ ঘণ্টা আগেআওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা যদি ভালো হয়ে যেতে চান, তাহলে সকল সহযোগিতা থাকবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের
১ দিন আগেদেশে গণ-অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী বিপ্লবী সরকার গঠিত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম। তিনি বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের শক্তির ওপর দাঁড়িয়ে অন্তর্বর্তীকালীন বিপ্লবী সরকার গঠিত হয়নি। ফলে শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে পেরেছেন
১ দিন আগে