নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে কোনো প্রাপ্তি নেই। সীমান্ত হত্যা, তিস্তার পানিবণ্টনসহ দেশ ও দেশের মানুষের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কোনো বিষয়ে সরকার কথা বলতে পারেনি। অন্যদিকে সরকার রেল করিডর, সামরিক সহায়তা চুক্তির মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকতে দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা ভারতের হাতে তুলে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত ‘আজিজ-বেনজির-মতিউরদের অবিশ্বাস্য দুর্নীতি, মরিচের দাম বিস্ময়কর বৃদ্ধি, প্রধানমন্ত্রীর দাসখত দেওয়ার ভারত সফর’-এর প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি।
মান্না বলেন, ‘এবারের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে সরকার ভারতের কাছে সমস্ত কিছু সমর্পণ করে এসেছে। ৭ জানুয়ারি ভোট করতে পারত? ২০১৪ সালে ভোট করতে পারত? পারত না। ভারত নাক গলিয়েছে তাই পেরেছে। ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক কিন্তু এই সরকার ক্ষমতায় থাকতে দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা ভারতের হাতে তুলে দিয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘মোদির শপথ নেওয়ার আগে চলে গেছেন। এর ১৫ দিন পরেই আবার গেলেন। ছেলের বিয়ে হলেও তো মানুষ এতবার যায় না। অনেকে বলেন, তিনি হাজিরা দিতে গেছেন। গেলেন কেন? কিছু পাওয়ার জন্য? আমাদের প্রধান দাবি ছিল, ভারত আমাদের পানি দেয় না। ৫৪টা অভিন্ন নদী আছে, আন্তর্জাতিক নিয়ম আছে, এসব নদীতে বাঁধ দেওয়া যাবে না। এগুলো নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে? আমাদের প্রধানমন্ত্রী তিস্তার পানির দাবি ছেড়ে দিয়ে এসেছেন।’
ভারতের সঙ্গে রেল চুক্তি প্রসঙ্গে মান্না বলেন, ‘যা দেওয়া হয়েছে সেটা ট্রানজিট না, করিডর। যে ট্রেন করিডর দেওয়া হয়েছে, সেখানে যদি অস্ত্র যায়? সেনাবাহিনী যায়? আপনি তল্লাশি করতে পারবেন? বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারত এখন সেভেন সিস্টার্সের রাস্তা করতে চায়।’
মান্না বলেন, ‘মতিউর যেদিন গেল, সেদিনের আগে পর্যন্ত তাঁর নামে কোনো মামলা, নিষেধাজ্ঞা নেই। যাওয়ার পরে বিদেশ যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা দিল। সবগুলো আওয়ামী লীগ করে। প্রধানমন্ত্রী নিজেই তো চুরি করে, ডাকাতি করে। চোর, ডাকাত ছাড়া তো প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারে না। আবার বলে, এত লোভ মানুষের! আপনার আশপাশে যারা থাকে, তাদের লোভ নাই?’
বাংলাদেশ এখন বিশ্বে একটা লুটপাটকারীদের দেশে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ভোট ছাড়া এমপি আনার মানুষ খুন করেছিল, তাও তাঁকে আওয়ামী লীগ নমিনেশন দিয়েছিল। ইন্টারপোল তাকে লাল তালিকাভুক্ত করেছিল। আওয়ামী লীগ এখন ধর্ষণ, লুট করে যারা তাদের দল। আওয়ামী লীগ একসময় স্বাধীনতার লড়াই করেছিল, তাও ভালোমতো করে নাই। তাদের নেতারা কলকাতার বড় বড় হোটেলে গিয়ে লুকিয়ে ছিল।’
তিনি বলেন, ‘একজন গরিব কৃষক ৩০ হাজার টাকা লোন নিয়ে পরিশোধ করতে না পারলে তাকে থানায় নিয়ে যায়। কিন্তু পুলিশ, আর্মির প্রধানেরা হাজার কোটি টাকা লুট করে, কেউ দেখল না? আজিজ, বেনজীরের পাসপোর্ট আটকে রাখা হলো না কেন? সরকার এদের রক্ষা করছে।’
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রসঙ্গে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, ‘মরিচের দাম ঈদের আগে ৪০০ হয়েছিল। শেখ হাসিনার আমলে মরিচ, পেঁয়াজের এতই ঝাল অথচ প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য দিয়ে বেড়াচ্ছেন—আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে, তখন দেশের মানুষ কিছু পায়। আজিজ, বেনজীররা পায়। যারা রিকশা-ভ্যান চালায় তারা কিছু পায় না। জিনিসের দাম এতই বেশি যে পকেটভর্তি টাকা নিয়ে গেলেও বাজারের ব্যাগ ভরে না।’
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে কোনো প্রাপ্তি নেই। সীমান্ত হত্যা, তিস্তার পানিবণ্টনসহ দেশ ও দেশের মানুষের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কোনো বিষয়ে সরকার কথা বলতে পারেনি। অন্যদিকে সরকার রেল করিডর, সামরিক সহায়তা চুক্তির মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকতে দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা ভারতের হাতে তুলে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত ‘আজিজ-বেনজির-মতিউরদের অবিশ্বাস্য দুর্নীতি, মরিচের দাম বিস্ময়কর বৃদ্ধি, প্রধানমন্ত্রীর দাসখত দেওয়ার ভারত সফর’-এর প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি।
মান্না বলেন, ‘এবারের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে সরকার ভারতের কাছে সমস্ত কিছু সমর্পণ করে এসেছে। ৭ জানুয়ারি ভোট করতে পারত? ২০১৪ সালে ভোট করতে পারত? পারত না। ভারত নাক গলিয়েছে তাই পেরেছে। ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক কিন্তু এই সরকার ক্ষমতায় থাকতে দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা ভারতের হাতে তুলে দিয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘মোদির শপথ নেওয়ার আগে চলে গেছেন। এর ১৫ দিন পরেই আবার গেলেন। ছেলের বিয়ে হলেও তো মানুষ এতবার যায় না। অনেকে বলেন, তিনি হাজিরা দিতে গেছেন। গেলেন কেন? কিছু পাওয়ার জন্য? আমাদের প্রধান দাবি ছিল, ভারত আমাদের পানি দেয় না। ৫৪টা অভিন্ন নদী আছে, আন্তর্জাতিক নিয়ম আছে, এসব নদীতে বাঁধ দেওয়া যাবে না। এগুলো নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে? আমাদের প্রধানমন্ত্রী তিস্তার পানির দাবি ছেড়ে দিয়ে এসেছেন।’
ভারতের সঙ্গে রেল চুক্তি প্রসঙ্গে মান্না বলেন, ‘যা দেওয়া হয়েছে সেটা ট্রানজিট না, করিডর। যে ট্রেন করিডর দেওয়া হয়েছে, সেখানে যদি অস্ত্র যায়? সেনাবাহিনী যায়? আপনি তল্লাশি করতে পারবেন? বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারত এখন সেভেন সিস্টার্সের রাস্তা করতে চায়।’
মান্না বলেন, ‘মতিউর যেদিন গেল, সেদিনের আগে পর্যন্ত তাঁর নামে কোনো মামলা, নিষেধাজ্ঞা নেই। যাওয়ার পরে বিদেশ যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা দিল। সবগুলো আওয়ামী লীগ করে। প্রধানমন্ত্রী নিজেই তো চুরি করে, ডাকাতি করে। চোর, ডাকাত ছাড়া তো প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারে না। আবার বলে, এত লোভ মানুষের! আপনার আশপাশে যারা থাকে, তাদের লোভ নাই?’
বাংলাদেশ এখন বিশ্বে একটা লুটপাটকারীদের দেশে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ভোট ছাড়া এমপি আনার মানুষ খুন করেছিল, তাও তাঁকে আওয়ামী লীগ নমিনেশন দিয়েছিল। ইন্টারপোল তাকে লাল তালিকাভুক্ত করেছিল। আওয়ামী লীগ এখন ধর্ষণ, লুট করে যারা তাদের দল। আওয়ামী লীগ একসময় স্বাধীনতার লড়াই করেছিল, তাও ভালোমতো করে নাই। তাদের নেতারা কলকাতার বড় বড় হোটেলে গিয়ে লুকিয়ে ছিল।’
তিনি বলেন, ‘একজন গরিব কৃষক ৩০ হাজার টাকা লোন নিয়ে পরিশোধ করতে না পারলে তাকে থানায় নিয়ে যায়। কিন্তু পুলিশ, আর্মির প্রধানেরা হাজার কোটি টাকা লুট করে, কেউ দেখল না? আজিজ, বেনজীরের পাসপোর্ট আটকে রাখা হলো না কেন? সরকার এদের রক্ষা করছে।’
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রসঙ্গে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, ‘মরিচের দাম ঈদের আগে ৪০০ হয়েছিল। শেখ হাসিনার আমলে মরিচ, পেঁয়াজের এতই ঝাল অথচ প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য দিয়ে বেড়াচ্ছেন—আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে, তখন দেশের মানুষ কিছু পায়। আজিজ, বেনজীররা পায়। যারা রিকশা-ভ্যান চালায় তারা কিছু পায় না। জিনিসের দাম এতই বেশি যে পকেটভর্তি টাকা নিয়ে গেলেও বাজারের ব্যাগ ভরে না।’
চায়ের আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত মেগান বোল্ডিনের বাসভবনে গেলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
১৩ ঘণ্টা আগেজুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলন সফল হওয়ার পেছনে খোদ আওয়ামী লীগের সাধারণ সমর্থকদেরও ভূমিকা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল রিসার্চ (বিআইএসআর) ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. খুরশিদ আলম। তিনি ২০০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়নকারী ও নীতিমালা প্রস্তুতকারী ছিলেন
১৪ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে যাওয়ার পরবর্তী তিন মাস ‘মবের মুল্লুক’ মনে হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারে যারা আছেন তাঁরা চেষ্টা করছেন সংস্কার করার। তাঁদের সফলতা-ব্যর্থতা নিয়ে এখনই মন্তব্য করা ঠিক হবে না। সময় দিতে হবে।’
১৪ ঘণ্টা আগেসংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল চেয়েছেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে জারি করা রুলের শুনানিতে তিনি বলেন, ‘সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ এক ধরনের বাক্স্বাধীনতাকে খর্ব করে। এ জন্য ৭০ অনুচ্ছেদ আমরা বাতিল চাই।’
১৫ ঘণ্টা আগে