নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে, এই সরকার একেবারে নরম সরকার! অন্তর্বর্তীকালীন সরকার...এটা মনে রাখতে হবে। তার দায়িত্ব একটা নির্বাচন করে দিয়ে যাবে...তাই না? জঞ্জাল জমা হয়েছে তো। এই জঞ্জাল তো সাফ করতে হবে। এ জন্য তাদের কিছু সময় তো দিতে হবে। সেইভাবে কাজ করে আমাদের সংগ্রাম জারি রাখতে হবে।’
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ৭৯ তম জন্মদিন উপলক্ষে এক দোয়া মাহফিলের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ম্যাডামের যে আদর্শ তাকে অনুসরণ করতে হবে, ম্যাডামের যে বক্তব্য তাকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। প্রেম-ভালোবাসা দিয়ে সবাইকে কাজ করতে হবে। কোনো প্রতিহিংসা নয়, কোনো প্রতিশোধ নয়।’
বর্তমান পরিস্থিতিতে সহনশীলতা ও শৃঙ্খলার মধ্যে থেকে কাজ করতে দলের নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘এই যুদ্ধ জারি রাখতে হবে, এই সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। তা না হলে আমরা কিন্তু অনেক বিপদে পড়ে যাব। এক ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করেছি আমরা। নব্য ফ্যাসিবাদ যেন না আসতে পারে, তার জন্য আমাদের সজাগ থাকতে হবে।’
দলের চেয়ারপারসনের অনুষ্ঠানে নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি কম দেখে ফখরুল বলেন, ‘আজকে ম্যাডামের জন্মদিনের অনুষ্ঠান না? কতজন এসেছেন? কালকে আপনাদের প্রোগ্রাম ছিল না? কজন আসছিলেন? সেভাবে আসে নাই...অনেক কম, আজকেও কম। কী জন্য? জয় হয়ে গেছে?’
তিনি বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ লড়াই করেছি...তারপরে যদি মনে করেন যে আমাদের লড়াই শেষ হয়ে গেছে, তাহলে ভুল করবেন। এখন দেশ অত্যন্ত একটা ভাসমান অবস্থায় আছে। ভারতে বসে আছেন শেখ হাসিনা, যে কোনো মুহূর্তে তিনি তাঁর সুযোগ গ্রহণ করতে পারেন...ইতিমধ্যে চক্রান্ত শুরু করেছে, সেই চক্রান্ত প্রতিরোধ করাই আমাদের কাজ।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা বিএনপি ১৭ বছর ধরে লড়াই করে তার একটা ভিত্তি তৈরি করেছি। সেই ভিত্তির ওপরে দাঁড়িয়ে আমাদের ছেলেরা, তরুণ-যুবক-ছাত্ররা আন্দোলনকে বিজয় পর্যায়ে নিয়ে গেছে...বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছে। আবু সাঈদ থেকে শুরু করে আরও অনেকে...প্রায় হাজার খানেক ছাত্র-শিক্ষার্থী প্রাণ দিয়েছে।’
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, ‘কখনো সংঘাত সৃষ্টি করা যাবে না। সবাইকে এক হয়ে এখন কাজ করতে হবে। উপাসনালয়-মন্দির-গির্জা পাহারায় শান্তি ব্রিগেড তৈরি করুন।’
তিনি বলেন, ‘সাম্প্রদায়িকতা, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচার, এসব কথা বলছেন না...এটা একটা চক্রান্ত। এই কথা বলে ধুয়া তুলে তারা (আওয়ামী লীগ) আরেকটা ঝগড়া করতে চায়। আপনাদের দায়িত্ব প্রত্যেকের নিজ নিজ এলাকায় নিজেরা শান্তি ব্রিগেড তৈরি করেন, শান্তি ব্রিগেড তৈরি করে পাহারা দেবেন। সমস্ত সংখ্যালঘুদের উপাসনালয়, মন্দির, গির্জা এ সমস্ত পাহারা দেবেন...তাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, তাদের জীবন-মালের দায়িত্ব কিন্তু আপনাদের।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা যখন সোশ্যাল মিডিয়ায়, পত্র-পত্রিকায় বিরূপ খবর দেখি, তখন কিন্তু আমরা আতঙ্কিত হই। আবার কোনো নতুন ষড়যন্ত্র শুরু হচ্ছে! জনগণের ভোটকে জনগণের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার জন্য আবার কোনো নব্য ফ্যাসিবাদ এসে উপস্থিত হচ্ছে কি না। এ দিক থেকে সজাগ থাকতে হবে।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর পরিচালনায় এই দোয়া মাহফিলে স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আজম খান, আসাদুজ্জামান রিপন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালামসহ আরও অনেকে অংশ নেন।
দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে, এই সরকার একেবারে নরম সরকার! অন্তর্বর্তীকালীন সরকার...এটা মনে রাখতে হবে। তার দায়িত্ব একটা নির্বাচন করে দিয়ে যাবে...তাই না? জঞ্জাল জমা হয়েছে তো। এই জঞ্জাল তো সাফ করতে হবে। এ জন্য তাদের কিছু সময় তো দিতে হবে। সেইভাবে কাজ করে আমাদের সংগ্রাম জারি রাখতে হবে।’
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ৭৯ তম জন্মদিন উপলক্ষে এক দোয়া মাহফিলের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ম্যাডামের যে আদর্শ তাকে অনুসরণ করতে হবে, ম্যাডামের যে বক্তব্য তাকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। প্রেম-ভালোবাসা দিয়ে সবাইকে কাজ করতে হবে। কোনো প্রতিহিংসা নয়, কোনো প্রতিশোধ নয়।’
বর্তমান পরিস্থিতিতে সহনশীলতা ও শৃঙ্খলার মধ্যে থেকে কাজ করতে দলের নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘এই যুদ্ধ জারি রাখতে হবে, এই সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। তা না হলে আমরা কিন্তু অনেক বিপদে পড়ে যাব। এক ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করেছি আমরা। নব্য ফ্যাসিবাদ যেন না আসতে পারে, তার জন্য আমাদের সজাগ থাকতে হবে।’
দলের চেয়ারপারসনের অনুষ্ঠানে নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি কম দেখে ফখরুল বলেন, ‘আজকে ম্যাডামের জন্মদিনের অনুষ্ঠান না? কতজন এসেছেন? কালকে আপনাদের প্রোগ্রাম ছিল না? কজন আসছিলেন? সেভাবে আসে নাই...অনেক কম, আজকেও কম। কী জন্য? জয় হয়ে গেছে?’
তিনি বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ লড়াই করেছি...তারপরে যদি মনে করেন যে আমাদের লড়াই শেষ হয়ে গেছে, তাহলে ভুল করবেন। এখন দেশ অত্যন্ত একটা ভাসমান অবস্থায় আছে। ভারতে বসে আছেন শেখ হাসিনা, যে কোনো মুহূর্তে তিনি তাঁর সুযোগ গ্রহণ করতে পারেন...ইতিমধ্যে চক্রান্ত শুরু করেছে, সেই চক্রান্ত প্রতিরোধ করাই আমাদের কাজ।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা বিএনপি ১৭ বছর ধরে লড়াই করে তার একটা ভিত্তি তৈরি করেছি। সেই ভিত্তির ওপরে দাঁড়িয়ে আমাদের ছেলেরা, তরুণ-যুবক-ছাত্ররা আন্দোলনকে বিজয় পর্যায়ে নিয়ে গেছে...বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছে। আবু সাঈদ থেকে শুরু করে আরও অনেকে...প্রায় হাজার খানেক ছাত্র-শিক্ষার্থী প্রাণ দিয়েছে।’
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, ‘কখনো সংঘাত সৃষ্টি করা যাবে না। সবাইকে এক হয়ে এখন কাজ করতে হবে। উপাসনালয়-মন্দির-গির্জা পাহারায় শান্তি ব্রিগেড তৈরি করুন।’
তিনি বলেন, ‘সাম্প্রদায়িকতা, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচার, এসব কথা বলছেন না...এটা একটা চক্রান্ত। এই কথা বলে ধুয়া তুলে তারা (আওয়ামী লীগ) আরেকটা ঝগড়া করতে চায়। আপনাদের দায়িত্ব প্রত্যেকের নিজ নিজ এলাকায় নিজেরা শান্তি ব্রিগেড তৈরি করেন, শান্তি ব্রিগেড তৈরি করে পাহারা দেবেন। সমস্ত সংখ্যালঘুদের উপাসনালয়, মন্দির, গির্জা এ সমস্ত পাহারা দেবেন...তাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, তাদের জীবন-মালের দায়িত্ব কিন্তু আপনাদের।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা যখন সোশ্যাল মিডিয়ায়, পত্র-পত্রিকায় বিরূপ খবর দেখি, তখন কিন্তু আমরা আতঙ্কিত হই। আবার কোনো নতুন ষড়যন্ত্র শুরু হচ্ছে! জনগণের ভোটকে জনগণের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার জন্য আবার কোনো নব্য ফ্যাসিবাদ এসে উপস্থিত হচ্ছে কি না। এ দিক থেকে সজাগ থাকতে হবে।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর পরিচালনায় এই দোয়া মাহফিলে স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আজম খান, আসাদুজ্জামান রিপন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালামসহ আরও অনেকে অংশ নেন।
চায়ের আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত মেগান বোল্ডিনের বাসভবনে গেলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
১৪ ঘণ্টা আগেজুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলন সফল হওয়ার পেছনে খোদ আওয়ামী লীগের সাধারণ সমর্থকদেরও ভূমিকা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল রিসার্চ (বিআইএসআর) ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. খুরশিদ আলম। তিনি ২০০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়নকারী ও নীতিমালা প্রস্তুতকারী ছিলেন
১৫ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে যাওয়ার পরবর্তী তিন মাস ‘মবের মুল্লুক’ মনে হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারে যারা আছেন তাঁরা চেষ্টা করছেন সংস্কার করার। তাঁদের সফলতা-ব্যর্থতা নিয়ে এখনই মন্তব্য করা ঠিক হবে না। সময় দিতে হবে।’
১৫ ঘণ্টা আগেসংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল চেয়েছেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে জারি করা রুলের শুনানিতে তিনি বলেন, ‘সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ এক ধরনের বাক্স্বাধীনতাকে খর্ব করে। এ জন্য ৭০ অনুচ্ছেদ আমরা বাতিল চাই।’
১৬ ঘণ্টা আগে