ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
সেন্ট মার্টিন ও নাফ নদীতে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের যুদ্ধজাহাজের অবস্থান বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপর বড় হুমকি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিন যেতে যেভাবে গোলাগুলি করা হচ্ছে, তা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপর প্রচণ্ড রকম হুমকি। এমনকি সেন্ট মার্টিন দ্বীপ থেকে সাগরে দেখা যাচ্ছে, মিয়ানমারের বড় বড় যুদ্ধজাহাজ। দুর্ভাগ্যের কথা হচ্ছে, বর্তমানে অনির্বাচিত সরকার, দখলদারি সরকার, যারা জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে, এদের মধ্যে দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে কোনো চিন্তা নেই।’
আজ রোববার দুপুরে ঠাকুরগাঁও শহরের কালীবাড়ি এলাকায় নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মহাসচিব এসব মন্তব্য করেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি সমুদ্র সীমানার যে পথ—ওই পথে আমরা যাতায়াত করতে পারছি না। সেখানে একটা ভিন্ন দেশ থেকে গোলাগুলি করে যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। অথচ সরকার এখন পর্যন্ত একটা সিরিয়াস স্টেটমেন্ট আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তুলে ধরতে পারেনি। আমাদের সার্বভৌমত্বের প্রতি আঘাত হানছে, আর তারা (সরকার) বলছে, “আমরা দেখছি।”’
বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, ‘এই সরকারের প্রতি আমাদের আস্থাটা কী করে থাকবে? এই দেশের জনগণ সরকারের কাছে আশা করে তাঁদের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে, স্বাধীনতা রক্ষা করবে, সেখানে মিয়ানমার ইস্যুতে কোনো রকম কথায় আমরা শুনতে পাচ্ছি না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা মনে করি, এই সরকার দুর্বল একটি সরকার, যাদের ওপর জনগণের ম্যান্ডেট নাই। এটা একটা নতজানু সরকার। বিদেশের ওপর নির্ভর করে তাঁরা ক্ষমতায় টিকে আছে। যে কারণে তাঁরা মিয়ানমার সম্পর্কে একটা কথা পর্যন্ত বলতে সাহস পায় না। মিয়ানমার থেকে গুলি হচ্ছে, মারাও গেছে লোক। অথচ এ নিয়ে সরকার কোনো কথা বলে না। এটা আমরা তীব্রভাবে নিন্দা জানাই। আমরা মনে করি, এই ইস্যুতে সরকার পদত্যাগ করা উচিত।’
বর্তমান সরকারের অব্যবস্থাপনা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এবার ঈদ সাধারণ মানুষের জন্য অত্যন্ত খারাপভাবে এসেছে। মুদ্রাস্ফীতি যেভাবে বেড়েছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। সেটা লক্ষ করা যাচ্ছে কোরবানির পশুর হাটগুলোতে গেলে। সেখানে মানুষ পশু কিনতে পারছে না। হাটবাজারে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, যেসব জিনিসের দাম অনেক কম ছিল, সেগুলোর দামও এখন আকাশচুম্বী। ঢাকাতে পশুর হাটে কোনো লোক নেই। এটার কারণ একটাই—তা হচ্ছে মানুষের আর্থিক অবস্থা চরমভাবে খারাপ হচ্ছে। এই সরকার দেশের সমস্ত সম্পদ লুট করে বিদেশে পাচার করে দিয়েছে। ব্যাংকগুলোকে লুট করে শেষ করে দিয়েছে। অর্থনীতিকে চরম খারাপ অবস্থায় নিয়ে এসেছে। দেশের প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ ও নাজুক।’
সাবেক পুলিশের প্রধান বেনজীর ও সাবেক সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ সম্পর্কে বিএনপির এই প্রবীণ নেতা বলেন, ‘যে সমস্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মনে করছেন, আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে লুটপাট করে তাঁরা টিকে থাকতে পারবেন, আলটিমেটলি টিকে থাকা যায় না। আজিজ এবং বেনজীর তার একটি প্রমাণ। লুট করলে, চুরি করলে, অন্ধের মতো অজনপ্রিয় ম্যান্ডেটবিহীন সরকারকে সমর্থন করলে, সেখানে টিকে থাকা যায় না। দেখেন ওই সরকারই তাঁদের আজ বলির পাঠা বানিয়েছে। আজকে পত্রিকায় দেখলাম, ঢাকার ডিএমপির সাবেক কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়ার বিশাল ফিরিস্তি বের হয়েছে। এইগুলা সব এক এক করে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসছে।’
ফখরুল আরও বলেন, ‘আমরা বহুদিন থেকে বলে আসছি, এই সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে, সরকারি কর্মকর্তাদের ব্যবহার করে তাঁদের সব চুরির সুযোগ করে দিচ্ছে। সেই সুযোগে এ ঘটনাগুলো ঘটছে। এখন সরকার তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। সরকারের উচিত এই মুহূর্তে পদত্যাগ করা। কারণ, তারা রাষ্ট্র পরিচালনা করতে পুরোপুরি ব্যর্থ। আওয়ামী লীগ আজ দেশটাকে লুটপাট করে পুরোপুরি শেষ করে দিয়েছে।’
এ সময় ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন, যুগ্ম সম্পাদক পয়গাম আলী, অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদ ও অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিমসহ দলের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সেন্ট মার্টিন ও নাফ নদীতে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের যুদ্ধজাহাজের অবস্থান বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপর বড় হুমকি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিন যেতে যেভাবে গোলাগুলি করা হচ্ছে, তা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপর প্রচণ্ড রকম হুমকি। এমনকি সেন্ট মার্টিন দ্বীপ থেকে সাগরে দেখা যাচ্ছে, মিয়ানমারের বড় বড় যুদ্ধজাহাজ। দুর্ভাগ্যের কথা হচ্ছে, বর্তমানে অনির্বাচিত সরকার, দখলদারি সরকার, যারা জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে, এদের মধ্যে দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে কোনো চিন্তা নেই।’
আজ রোববার দুপুরে ঠাকুরগাঁও শহরের কালীবাড়ি এলাকায় নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মহাসচিব এসব মন্তব্য করেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি সমুদ্র সীমানার যে পথ—ওই পথে আমরা যাতায়াত করতে পারছি না। সেখানে একটা ভিন্ন দেশ থেকে গোলাগুলি করে যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। অথচ সরকার এখন পর্যন্ত একটা সিরিয়াস স্টেটমেন্ট আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তুলে ধরতে পারেনি। আমাদের সার্বভৌমত্বের প্রতি আঘাত হানছে, আর তারা (সরকার) বলছে, “আমরা দেখছি।”’
বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, ‘এই সরকারের প্রতি আমাদের আস্থাটা কী করে থাকবে? এই দেশের জনগণ সরকারের কাছে আশা করে তাঁদের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে, স্বাধীনতা রক্ষা করবে, সেখানে মিয়ানমার ইস্যুতে কোনো রকম কথায় আমরা শুনতে পাচ্ছি না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা মনে করি, এই সরকার দুর্বল একটি সরকার, যাদের ওপর জনগণের ম্যান্ডেট নাই। এটা একটা নতজানু সরকার। বিদেশের ওপর নির্ভর করে তাঁরা ক্ষমতায় টিকে আছে। যে কারণে তাঁরা মিয়ানমার সম্পর্কে একটা কথা পর্যন্ত বলতে সাহস পায় না। মিয়ানমার থেকে গুলি হচ্ছে, মারাও গেছে লোক। অথচ এ নিয়ে সরকার কোনো কথা বলে না। এটা আমরা তীব্রভাবে নিন্দা জানাই। আমরা মনে করি, এই ইস্যুতে সরকার পদত্যাগ করা উচিত।’
বর্তমান সরকারের অব্যবস্থাপনা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এবার ঈদ সাধারণ মানুষের জন্য অত্যন্ত খারাপভাবে এসেছে। মুদ্রাস্ফীতি যেভাবে বেড়েছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। সেটা লক্ষ করা যাচ্ছে কোরবানির পশুর হাটগুলোতে গেলে। সেখানে মানুষ পশু কিনতে পারছে না। হাটবাজারে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, যেসব জিনিসের দাম অনেক কম ছিল, সেগুলোর দামও এখন আকাশচুম্বী। ঢাকাতে পশুর হাটে কোনো লোক নেই। এটার কারণ একটাই—তা হচ্ছে মানুষের আর্থিক অবস্থা চরমভাবে খারাপ হচ্ছে। এই সরকার দেশের সমস্ত সম্পদ লুট করে বিদেশে পাচার করে দিয়েছে। ব্যাংকগুলোকে লুট করে শেষ করে দিয়েছে। অর্থনীতিকে চরম খারাপ অবস্থায় নিয়ে এসেছে। দেশের প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ ও নাজুক।’
সাবেক পুলিশের প্রধান বেনজীর ও সাবেক সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ সম্পর্কে বিএনপির এই প্রবীণ নেতা বলেন, ‘যে সমস্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মনে করছেন, আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে লুটপাট করে তাঁরা টিকে থাকতে পারবেন, আলটিমেটলি টিকে থাকা যায় না। আজিজ এবং বেনজীর তার একটি প্রমাণ। লুট করলে, চুরি করলে, অন্ধের মতো অজনপ্রিয় ম্যান্ডেটবিহীন সরকারকে সমর্থন করলে, সেখানে টিকে থাকা যায় না। দেখেন ওই সরকারই তাঁদের আজ বলির পাঠা বানিয়েছে। আজকে পত্রিকায় দেখলাম, ঢাকার ডিএমপির সাবেক কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়ার বিশাল ফিরিস্তি বের হয়েছে। এইগুলা সব এক এক করে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসছে।’
ফখরুল আরও বলেন, ‘আমরা বহুদিন থেকে বলে আসছি, এই সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে, সরকারি কর্মকর্তাদের ব্যবহার করে তাঁদের সব চুরির সুযোগ করে দিচ্ছে। সেই সুযোগে এ ঘটনাগুলো ঘটছে। এখন সরকার তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। সরকারের উচিত এই মুহূর্তে পদত্যাগ করা। কারণ, তারা রাষ্ট্র পরিচালনা করতে পুরোপুরি ব্যর্থ। আওয়ামী লীগ আজ দেশটাকে লুটপাট করে পুরোপুরি শেষ করে দিয়েছে।’
এ সময় ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন, যুগ্ম সম্পাদক পয়গাম আলী, অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদ ও অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিমসহ দলের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
চায়ের আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত মেগান বোল্ডিনের বাসভবনে গেলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
১০ ঘণ্টা আগেজুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলন সফল হওয়ার পেছনে খোদ আওয়ামী লীগের সাধারণ সমর্থকদেরও ভূমিকা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল রিসার্চ (বিআইএসআর) ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. খুরশিদ আলম। তিনি ২০০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়নকারী ও নীতিমালা প্রস্তুতকারী ছিলেন
১১ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে যাওয়ার পরবর্তী তিন মাস ‘মবের মুল্লুক’ মনে হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারে যারা আছেন তাঁরা চেষ্টা করছেন সংস্কার করার। তাঁদের সফলতা-ব্যর্থতা নিয়ে এখনই মন্তব্য করা ঠিক হবে না। সময় দিতে হবে।’
১১ ঘণ্টা আগেসংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল চেয়েছেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে জারি করা রুলের শুনানিতে তিনি বলেন, ‘সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ এক ধরনের বাক্স্বাধীনতাকে খর্ব করে। এ জন্য ৭০ অনুচ্ছেদ আমরা বাতিল চাই।’
১২ ঘণ্টা আগে