নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সমস্যার সমাধান না করে লুটপাটের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মানুষকে বিপদে ফেলেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাঁর দাবি, আওয়ামী লীগই এখন দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা এবং তাদের হাত থেকে জনগণ পরিত্রাণ পেতে চায়।
রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শনিবার বিকেলে এক সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব এ কথা বলেন। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি এই সমাবেশের আয়োজন করে।
দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন বৃদ্ধিতে উদ্বেগ জানিয়ে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সরকারের কর্মকাণ্ডের কঠোর সমালোচনা করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘এই সরকারের আমলে এমন কোনো জায়গা নাই, যেখানে লুটপাট হচ্ছে না। প্রতিটি ক্ষেত্রে কী করে লুট করা যায়, কী করে মানুষের পকেট কাটা যায়, সেই ব্যবস্থাই তারা (সরকার) করছে। মানুষের কোনো সমস্যার সমাধান তারা করতে পারছে না। উল্টো তারা মানুষকে আরও বিপদে ফেলছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে সমগ্র বাংলাদেশের একটাই সমস্যা। সমস্যা হচ্ছে আওয়ামী লীগ। মানুষ এখন আওয়ামী লীগকে তাদের সবচেয়ে বড় শত্রু মনে করতে শুরু করেছে। সবাই বলে এই সরকার আর কত দিন থাকবে? এটা সব মানুষের কথা। সবাই বলে, সবখানে আজ একই আওয়াজ, হাসিনা তুমি বিদায় হও, এই জনগণকে তুমি মুক্তি দাও।’
ভর্তুকি দেওয়া সম্ভব নয় বলে প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তার সমালোচনাও করেন বিএনপির মহাসচিব। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘না, দরকার হবে না তো (ভর্তুকির)। চুরি বন্ধ করেন, লুট বন্ধ করেন। ভর্তুকি দিতে হবে না। চুরি করছেন, লুট করছেন বলেই আজ ভর্তুকি দিতে হয়।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণভাবে একটা লুটপাটের দলে পরিণত হয়েছে। লুটপাট করে, সম্পদ লুট করে, বিদেশে পাচার করে তারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। ছোটবেলায় ঘুম পাড়াত আমাদের মা “ছেলে ঘুমাল, পাড়া জুড়াল বর্গি এলো দেশে।” বর্গীরা লুট করে নিয়ে যেত, সেভাবেই এই সরকার লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের সবকিছু, যা ভালো, লুট করে নিয়ে গেছে এই সরকার। জনগণের ট্যাক্সের টাকা দিয়ে আজকে লবিস্ট নিয়োগ করে জনগণের গুম-খুন-অত্যাচারকে হালাল করতে চাচ্ছে। ঢাকতে চাচ্ছে, আড়াল করতে চাচ্ছে। এই সরকারকে দেশের জনগণ কোনো দিন ক্ষমা করবে না।’
সংকট সমাধানে সরকারকে পরামর্শ দিয়ে ফখরুল বলেন, ‘এখনো সময় আছে। আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দীকে মুক্তি দিন। নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের প্রতিনিধিত্বমূলক একটি সরকার গঠন করুন। তবেই কেবল সংকটের সমাধান হবে।’
সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা পথে নেমেছি, রাস্তায় নেমেছি। জনগণের কাছে আবেদন জানাতে চাই, আসুন আপনারা শরিক হোন। তরুণ যুবকদের আহ্বান জানাই। জেগে উঠুন, দেশকে রক্ষা করার জন্য। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্য সবাই একযোগে নেমে পড়ি।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকারের দুর্নীতির মাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমন কোনো দ্রব্য নেই, যার মূল্য বৃদ্ধি পায়নি। সংকটের সমাধান করতে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে, রাস্তায় নামতে হবে। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। এই লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, আজকে এই সরকার তাদের পকেট ভর্তি করতে নির্লজ্জের মতো দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করেছে। সরকারকে হুশিয়ার করে তিনি বলেন, ‘আজকে দেশের মানুষ জেগে উঠেছে। আপনাদের যাওয়ার সময় হয়েছে।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।
সমস্যার সমাধান না করে লুটপাটের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মানুষকে বিপদে ফেলেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাঁর দাবি, আওয়ামী লীগই এখন দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা এবং তাদের হাত থেকে জনগণ পরিত্রাণ পেতে চায়।
রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শনিবার বিকেলে এক সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব এ কথা বলেন। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি এই সমাবেশের আয়োজন করে।
দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন বৃদ্ধিতে উদ্বেগ জানিয়ে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সরকারের কর্মকাণ্ডের কঠোর সমালোচনা করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘এই সরকারের আমলে এমন কোনো জায়গা নাই, যেখানে লুটপাট হচ্ছে না। প্রতিটি ক্ষেত্রে কী করে লুট করা যায়, কী করে মানুষের পকেট কাটা যায়, সেই ব্যবস্থাই তারা (সরকার) করছে। মানুষের কোনো সমস্যার সমাধান তারা করতে পারছে না। উল্টো তারা মানুষকে আরও বিপদে ফেলছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে সমগ্র বাংলাদেশের একটাই সমস্যা। সমস্যা হচ্ছে আওয়ামী লীগ। মানুষ এখন আওয়ামী লীগকে তাদের সবচেয়ে বড় শত্রু মনে করতে শুরু করেছে। সবাই বলে এই সরকার আর কত দিন থাকবে? এটা সব মানুষের কথা। সবাই বলে, সবখানে আজ একই আওয়াজ, হাসিনা তুমি বিদায় হও, এই জনগণকে তুমি মুক্তি দাও।’
ভর্তুকি দেওয়া সম্ভব নয় বলে প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তার সমালোচনাও করেন বিএনপির মহাসচিব। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘না, দরকার হবে না তো (ভর্তুকির)। চুরি বন্ধ করেন, লুট বন্ধ করেন। ভর্তুকি দিতে হবে না। চুরি করছেন, লুট করছেন বলেই আজ ভর্তুকি দিতে হয়।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণভাবে একটা লুটপাটের দলে পরিণত হয়েছে। লুটপাট করে, সম্পদ লুট করে, বিদেশে পাচার করে তারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। ছোটবেলায় ঘুম পাড়াত আমাদের মা “ছেলে ঘুমাল, পাড়া জুড়াল বর্গি এলো দেশে।” বর্গীরা লুট করে নিয়ে যেত, সেভাবেই এই সরকার লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের সবকিছু, যা ভালো, লুট করে নিয়ে গেছে এই সরকার। জনগণের ট্যাক্সের টাকা দিয়ে আজকে লবিস্ট নিয়োগ করে জনগণের গুম-খুন-অত্যাচারকে হালাল করতে চাচ্ছে। ঢাকতে চাচ্ছে, আড়াল করতে চাচ্ছে। এই সরকারকে দেশের জনগণ কোনো দিন ক্ষমা করবে না।’
সংকট সমাধানে সরকারকে পরামর্শ দিয়ে ফখরুল বলেন, ‘এখনো সময় আছে। আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দীকে মুক্তি দিন। নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের প্রতিনিধিত্বমূলক একটি সরকার গঠন করুন। তবেই কেবল সংকটের সমাধান হবে।’
সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা পথে নেমেছি, রাস্তায় নেমেছি। জনগণের কাছে আবেদন জানাতে চাই, আসুন আপনারা শরিক হোন। তরুণ যুবকদের আহ্বান জানাই। জেগে উঠুন, দেশকে রক্ষা করার জন্য। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্য সবাই একযোগে নেমে পড়ি।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকারের দুর্নীতির মাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমন কোনো দ্রব্য নেই, যার মূল্য বৃদ্ধি পায়নি। সংকটের সমাধান করতে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে, রাস্তায় নামতে হবে। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। এই লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, আজকে এই সরকার তাদের পকেট ভর্তি করতে নির্লজ্জের মতো দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করেছে। সরকারকে হুশিয়ার করে তিনি বলেন, ‘আজকে দেশের মানুষ জেগে উঠেছে। আপনাদের যাওয়ার সময় হয়েছে।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।
অভ্যন্তরীণ হস্তক্ষেপ না করার মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এগোতে পারে বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আজ শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পানি বণ্টন সংকটের মীমাংসা খুঁজতে ‘অভিন্ন নদীর পানি ও ভারত...
১৬ ঘণ্টা আগেসুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন আয়োজন করাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান।
১৮ ঘণ্টা আগেআওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা যদি ভালো হয়ে যেতে চান, তাহলে সকল সহযোগিতা থাকবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের
১৯ ঘণ্টা আগেদেশে গণ-অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী বিপ্লবী সরকার গঠিত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম। তিনি বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের শক্তির ওপর দাঁড়িয়ে অন্তর্বর্তীকালীন বিপ্লবী সরকার গঠিত হয়নি। ফলে শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে পেরেছেন
১ দিন আগে