নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
হরতালের নামে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে তৎপর হওয়া হেফাজতে ইসলামকে চাপে রাখতে চায় সরকার। এমন মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিভিন্ন ধর্মীয় ইস্যুতে মাঠে আন্দোলন করছে হেফাজত। তাদের কয়েকটি দাবিদাওয়াও মেনে নিয়েছে সরকার। কিন্তু তারপরও তারা সরকারবিরোধী আন্দোলনে মাঠে আছে। দেশের সুশীল সমাজের একটি পক্ষ বলছে, সরকারের সুযোগ-সুবিধার কারণেই হেফাজতের আস্ফালন বেড়েছে। তাদের মোকাবিলা করতে না পারায় দেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনার মূল্যবোধ নষ্ট হচ্ছে। এই দায়ভার থেকে আওয়ামী লীগ মুক্ত হতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন দলটির অধিকাংশ নেতা।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্য বলেন, এদের (হেফাজতকে) চাপে রাখতে হবে। চাপে রাখা ছাড়া তাদের নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। এ জন্য দলের পাশাপশি সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থাসহ অনেক উপাদান রয়েছে।
এরই মধ্যে হেফাজতকে চাপে রাখার কৌশল হিসেবে সংগঠনটির আমির-মহাসচিবসহ শীর্ষ ৫৪ নেতার ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে। অতীতে সংগঠনটির নেতাদের নামে সহিংসতার অভিযোগে হওয়া মামলাগুলোও সচল হচ্ছে। সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে এরই মধ্যে সারা দেশে নানা আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। অবশ্য সে ঘটনায় মামুনুল হক দাবি, তিনি তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের একটি রিসোর্টে সময় কাটাতে গিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সেখানে তাঁকে হেনস্তা করে। এ নিয়ে হেফাজতের পক্ষে থেকে মামলাও করা হয়েছে।
হেফজতের বর্তমান কর্মকাণ্ড ও সরকারের অবস্থান সম্পর্কে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘হেফাজতের কর্মকাণ্ডে আমরা ব্যথিত। কিন্তু এত সহজে এদের ছাড় দেব, তা ভাবার কোনো কারণ নেই। আমরা তাদের রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করব। তাদের সহিংসতার জন্য সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যবস্থা নেবে।’
তবে হেফাজত ইস্যুতে দলের অবস্থান নিয়ে এখনো অন্ধকারে আছেন আওয়ামী লীগের অনেক কেন্দ্রীয় নেতা। তাঁরা বলছেন, হেফাজতের বিরুদ্ধে করণীয় কী, তার কোনো সঠিক দিকনির্দেশনা পাচ্ছেন না তাঁরা। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই তাঁরা বুঝতে পারছেন না কী করতে হবে বা বলতে হবে।
যদিও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতায় করা হেফাজতের বিক্ষোভের পরিক্ষিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এই উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকিস্বরুপ। মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে টার্গেট করেই তারা তাদের পুরোনো পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে চায়। ধর্মীয় এই অপশক্তিকে প্রতিহত ও পরাজিত করার জন্য মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল দেশপ্রেমিক জনগণকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাই।’
তারপরও দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা দলটির অনেক নেতার কাছেই হেফাজতকে প্রশ্নে দলের অবস্থান স্পষ্ট নয়। এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্য বলেন, ‘সবাই বলে হেফাজত আমাদের বন্ধু। কিন্তু আমাদের বন্ধুর পক্ষে দেখি ডিফেন্ড করছে বিএনপিসহ সরকারবিরোধী সব রাজনৈতিক দল। এখন দেখি মামুনুল হকের পক্ষে বিএনপি, বামপন্থী দলের নেতাকর্মীরাও কথা বলছেন।’
তবে মামুনুল ইস্যুতে হেফাজত তাদের আগের অবস্থান থেকে সরে আসবে বলে মনে করেন না আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা। তাঁরা বলছেন, হেফাজত অতীতে বিভিন্ন সময় সহিংসতা করেছে। এখনও করছে। তাদের নেতার অপকর্মের পক্ষেও সাফাই দিচ্ছে তারা। এতে মনে হচ্ছে তারা তাদের অবস্থান থেকে সরবে না। এ ক্ষেত্রে দলীয় নানা কর্মসূচি গ্রহণেরও পরিকল্পনা করছে দলটি।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান বলেন, ‘হেফাজতের নাশকতা ও নারী কেলেঙ্কারি বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করতে হবে। এ জন্য পাড়া মহল্লায় রাজনৈতিক কর্মসূচি বাড়াতে হবে। প্রচারের মাধ্যমে তাদের ধর্ম নিয়ে ব্যাবসা বন্ধ করতে হবে।
হেফাজতে ইসলামের এক কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ‘আমরা সরকারের চাপে আছি। আমাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এর মধ্যে মামুনুল হকের ঘটনাটি একটি উটকো ঝামেলা তৈরি করেছে।’
সংগঠনটির সহকারী প্রচার সম্পাদক এম ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘আমদেরকে চাপে ফেলার জন্য সরকার ষড়যন্ত্র করছে।’
হরতালের নামে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে তৎপর হওয়া হেফাজতে ইসলামকে চাপে রাখতে চায় সরকার। এমন মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিভিন্ন ধর্মীয় ইস্যুতে মাঠে আন্দোলন করছে হেফাজত। তাদের কয়েকটি দাবিদাওয়াও মেনে নিয়েছে সরকার। কিন্তু তারপরও তারা সরকারবিরোধী আন্দোলনে মাঠে আছে। দেশের সুশীল সমাজের একটি পক্ষ বলছে, সরকারের সুযোগ-সুবিধার কারণেই হেফাজতের আস্ফালন বেড়েছে। তাদের মোকাবিলা করতে না পারায় দেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনার মূল্যবোধ নষ্ট হচ্ছে। এই দায়ভার থেকে আওয়ামী লীগ মুক্ত হতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন দলটির অধিকাংশ নেতা।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্য বলেন, এদের (হেফাজতকে) চাপে রাখতে হবে। চাপে রাখা ছাড়া তাদের নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। এ জন্য দলের পাশাপশি সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থাসহ অনেক উপাদান রয়েছে।
এরই মধ্যে হেফাজতকে চাপে রাখার কৌশল হিসেবে সংগঠনটির আমির-মহাসচিবসহ শীর্ষ ৫৪ নেতার ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে। অতীতে সংগঠনটির নেতাদের নামে সহিংসতার অভিযোগে হওয়া মামলাগুলোও সচল হচ্ছে। সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে এরই মধ্যে সারা দেশে নানা আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। অবশ্য সে ঘটনায় মামুনুল হক দাবি, তিনি তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের একটি রিসোর্টে সময় কাটাতে গিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সেখানে তাঁকে হেনস্তা করে। এ নিয়ে হেফাজতের পক্ষে থেকে মামলাও করা হয়েছে।
হেফজতের বর্তমান কর্মকাণ্ড ও সরকারের অবস্থান সম্পর্কে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘হেফাজতের কর্মকাণ্ডে আমরা ব্যথিত। কিন্তু এত সহজে এদের ছাড় দেব, তা ভাবার কোনো কারণ নেই। আমরা তাদের রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করব। তাদের সহিংসতার জন্য সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যবস্থা নেবে।’
তবে হেফাজত ইস্যুতে দলের অবস্থান নিয়ে এখনো অন্ধকারে আছেন আওয়ামী লীগের অনেক কেন্দ্রীয় নেতা। তাঁরা বলছেন, হেফাজতের বিরুদ্ধে করণীয় কী, তার কোনো সঠিক দিকনির্দেশনা পাচ্ছেন না তাঁরা। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই তাঁরা বুঝতে পারছেন না কী করতে হবে বা বলতে হবে।
যদিও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতায় করা হেফাজতের বিক্ষোভের পরিক্ষিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এই উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকিস্বরুপ। মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে টার্গেট করেই তারা তাদের পুরোনো পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে চায়। ধর্মীয় এই অপশক্তিকে প্রতিহত ও পরাজিত করার জন্য মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল দেশপ্রেমিক জনগণকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাই।’
তারপরও দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা দলটির অনেক নেতার কাছেই হেফাজতকে প্রশ্নে দলের অবস্থান স্পষ্ট নয়। এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্য বলেন, ‘সবাই বলে হেফাজত আমাদের বন্ধু। কিন্তু আমাদের বন্ধুর পক্ষে দেখি ডিফেন্ড করছে বিএনপিসহ সরকারবিরোধী সব রাজনৈতিক দল। এখন দেখি মামুনুল হকের পক্ষে বিএনপি, বামপন্থী দলের নেতাকর্মীরাও কথা বলছেন।’
তবে মামুনুল ইস্যুতে হেফাজত তাদের আগের অবস্থান থেকে সরে আসবে বলে মনে করেন না আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা। তাঁরা বলছেন, হেফাজত অতীতে বিভিন্ন সময় সহিংসতা করেছে। এখনও করছে। তাদের নেতার অপকর্মের পক্ষেও সাফাই দিচ্ছে তারা। এতে মনে হচ্ছে তারা তাদের অবস্থান থেকে সরবে না। এ ক্ষেত্রে দলীয় নানা কর্মসূচি গ্রহণেরও পরিকল্পনা করছে দলটি।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান বলেন, ‘হেফাজতের নাশকতা ও নারী কেলেঙ্কারি বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করতে হবে। এ জন্য পাড়া মহল্লায় রাজনৈতিক কর্মসূচি বাড়াতে হবে। প্রচারের মাধ্যমে তাদের ধর্ম নিয়ে ব্যাবসা বন্ধ করতে হবে।
হেফাজতে ইসলামের এক কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ‘আমরা সরকারের চাপে আছি। আমাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এর মধ্যে মামুনুল হকের ঘটনাটি একটি উটকো ঝামেলা তৈরি করেছে।’
সংগঠনটির সহকারী প্রচার সম্পাদক এম ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘আমদেরকে চাপে ফেলার জন্য সরকার ষড়যন্ত্র করছে।’
অভ্যন্তরীণ হস্তক্ষেপ না করার মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এগোতে পারে বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আজ শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পানি বণ্টন সংকটের মীমাংসা খুঁজতে ‘অভিন্ন নদীর পানি ও ভারত...
২০ ঘণ্টা আগেসুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন আয়োজন করাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান।
২১ ঘণ্টা আগেআওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা যদি ভালো হয়ে যেতে চান, তাহলে সকল সহযোগিতা থাকবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের
১ দিন আগেদেশে গণ-অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী বিপ্লবী সরকার গঠিত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম। তিনি বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের শক্তির ওপর দাঁড়িয়ে অন্তর্বর্তীকালীন বিপ্লবী সরকার গঠিত হয়নি। ফলে শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে পেরেছেন
১ দিন আগে