নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিগত কয়েক দিন ধরেই রাজনৈতিক মহলে আলোচনা চললেও অবশেষে জাতীয় পার্টির রওশনপন্থীদের সঙ্গে প্রকাশ্যে এসেছেন দলটির কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ ও সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা। আজ রোববার দুপুরে এই দুজনকে আসন্ন সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক ও কো-আহ্বায়ক করে সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটি ঘোষণা করেছেন দলের চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ।
রোববার দলের চেয়ারম্যানের গুলশানের বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রওশন এরশাদ বলেন, আগামী ৯ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় পার্টির দশম জাতীয় সম্মেলন সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত জাতীয় পার্টির সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন কাজী ফিরোজ রশীদ, কো-আহ্বায়ক থাকবেন সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, যুগ্ম-আহ্বায়ক থাকবেন গোলাম সরোয়ার মিলন, সদস্যসচিব থাকবেন সফিকুল ইসলাম সেন্টু এবং কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা।
একটি রাজনৈতিক দলে গণতন্ত্র চর্চার প্রধান ক্ষেত্র হচ্ছে সময়মতো পার্টির জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠান উল্লেখ করে রওশন এরশাদ আরও বলেন, ‘জাতীয় পার্টির সম্মেলন আয়োজনের মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। এখন আমরা জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠানের যে ঘোষণা দিয়েছি, সেই সম্মেলন সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য এই সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করেছি।’
জাতীয় পার্টি এখন চরম বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছে জানিয়ে রওশন বলেন, ‘এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য এবং পার্টিকে আবার সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে নেতা-কর্মীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমি পার্টির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করে আগামী ৯ মার্চ ২০২৪ তারিখে পার্টির দশম জাতীয় কাউন্সিল আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছি। আমরা সবাই মিলে সুন্দর একটি জাতীয় সম্মেলন উপহার দিয়ে জাতীয় পার্টিতে আবার প্রাণশক্তি ফিরিয়ে আনতে চাই। কারণ দেশ ও জাতির জন্য রাজনীতির অঙ্গনে জাতীয় পার্টির প্রয়োজনীয়তা এখন অপরিহার্য।’
সংবাদ সম্মেলনে দলের কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেন, ‘পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ প্রতিষ্ঠিত জাতীয় পার্টি এই দেশের তৃতীয় বৃহত্তম দল। তাঁর যে স্বপ্ন, আশা বাস্তবায়নের জন্য যার ওপর দায়িত্ব দিয়েছিলেন, তাঁর থেকে তিনি দলকে যোজন যোজন দূরে নিয়ে গেছেন। তাই আমরা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান রওশন এরশাদের নেতৃত্বে গণতন্ত্র সুসংহত করতে, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে যে কাউন্সিল হচ্ছে তাতে প্রত্যেক জেলা, উপজেলা, মহানগর থেকে নেতা-কর্মীদের নিয়ে জাতীয় পার্টিকে আরও বিকশিত করব। নতুন ও পুরোনো নেতাদের সমন্বয়ে আমরা এই পার্টিকে দেশের বৃহত্তম পার্টি হিসেবে গড়ে তুলব। জাতীয় পার্টির অবস্থা—দেশের থেকে দল বড়, দলের চেয়ে ব্যক্তি বড়, ব্যক্তির চেয়ে বউ বড়।’
সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক ও দলের কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘সংসদে যাওয়া বড় কথা না, দান-দক্ষিণা নিয়ে কতটুকু পেলাম তা রাজনীতি না। জনগণের দাবি নিয়ে কথা বলা রাজনীতি। আগামী ৯ তারিখ যে কাউন্সিল হবে, তাতে আমরা একটা দিকনির্দেশনা পাব, এটা জাতীয় পার্টির জন্য একটা টার্নিং পয়েন্ট হবে।’
দলের মহাসচিব কাজী মামুনুর রশীদ বলেন, ‘জাতীয় পার্টিকে যারা কলুষিত করেছে, নেতা-কর্মীদের মনে আঘাত করেছে, তাদের বলব, দলের সব নেতা-কর্মীর কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করুন। আপনারা জাতির কাছে ক্ষমা চান।’
নির্বাচন কমিশনে কমিটির চিঠি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে মামুনুর রশীদ বলেন, ‘যেকোনো সরকারি অফিসে কোনো চিঠি দিলে তা নিষ্পত্তিতে সময় লাগে। তারা এখনো আমাদের কিছু জানায়নি।’
জি এম কাদের ও মুজিবুল হক চুন্নু প্রসঙ্গে মামুনুর রশীদ বলেন, জি এম কাদের ও চুন্নু সাহেবকে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়। তাঁদের কার্যক্রমের কারণে তাঁদের শীর্ষ পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
দলীয় কার্যালয় প্রসঙ্গে মামুনুর রশীদ বলেন, ‘কাকরাইলের ভবন দলীয় অফিস। সেটা জি এম কাদের বা চুন্নু সাহেবের অফিস না। যখন আমাদের দরকার হবে তখনই আমরা সেখানে যাব।’
রওশন এরশাদের অনুসারী কেউ সংসদে আছেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে বাবলা বলেন, ‘দেখুন, দেখতে থাকুন। আমরা জনগণের জন্য, দেশের জন্য রাজনীতি করব।’
বিগত কয়েক দিন ধরেই রাজনৈতিক মহলে আলোচনা চললেও অবশেষে জাতীয় পার্টির রওশনপন্থীদের সঙ্গে প্রকাশ্যে এসেছেন দলটির কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ ও সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা। আজ রোববার দুপুরে এই দুজনকে আসন্ন সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক ও কো-আহ্বায়ক করে সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটি ঘোষণা করেছেন দলের চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ।
রোববার দলের চেয়ারম্যানের গুলশানের বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রওশন এরশাদ বলেন, আগামী ৯ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় পার্টির দশম জাতীয় সম্মেলন সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত জাতীয় পার্টির সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন কাজী ফিরোজ রশীদ, কো-আহ্বায়ক থাকবেন সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, যুগ্ম-আহ্বায়ক থাকবেন গোলাম সরোয়ার মিলন, সদস্যসচিব থাকবেন সফিকুল ইসলাম সেন্টু এবং কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা।
একটি রাজনৈতিক দলে গণতন্ত্র চর্চার প্রধান ক্ষেত্র হচ্ছে সময়মতো পার্টির জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠান উল্লেখ করে রওশন এরশাদ আরও বলেন, ‘জাতীয় পার্টির সম্মেলন আয়োজনের মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। এখন আমরা জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠানের যে ঘোষণা দিয়েছি, সেই সম্মেলন সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য এই সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করেছি।’
জাতীয় পার্টি এখন চরম বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছে জানিয়ে রওশন বলেন, ‘এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য এবং পার্টিকে আবার সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে নেতা-কর্মীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমি পার্টির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করে আগামী ৯ মার্চ ২০২৪ তারিখে পার্টির দশম জাতীয় কাউন্সিল আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছি। আমরা সবাই মিলে সুন্দর একটি জাতীয় সম্মেলন উপহার দিয়ে জাতীয় পার্টিতে আবার প্রাণশক্তি ফিরিয়ে আনতে চাই। কারণ দেশ ও জাতির জন্য রাজনীতির অঙ্গনে জাতীয় পার্টির প্রয়োজনীয়তা এখন অপরিহার্য।’
সংবাদ সম্মেলনে দলের কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেন, ‘পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ প্রতিষ্ঠিত জাতীয় পার্টি এই দেশের তৃতীয় বৃহত্তম দল। তাঁর যে স্বপ্ন, আশা বাস্তবায়নের জন্য যার ওপর দায়িত্ব দিয়েছিলেন, তাঁর থেকে তিনি দলকে যোজন যোজন দূরে নিয়ে গেছেন। তাই আমরা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান রওশন এরশাদের নেতৃত্বে গণতন্ত্র সুসংহত করতে, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে যে কাউন্সিল হচ্ছে তাতে প্রত্যেক জেলা, উপজেলা, মহানগর থেকে নেতা-কর্মীদের নিয়ে জাতীয় পার্টিকে আরও বিকশিত করব। নতুন ও পুরোনো নেতাদের সমন্বয়ে আমরা এই পার্টিকে দেশের বৃহত্তম পার্টি হিসেবে গড়ে তুলব। জাতীয় পার্টির অবস্থা—দেশের থেকে দল বড়, দলের চেয়ে ব্যক্তি বড়, ব্যক্তির চেয়ে বউ বড়।’
সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক ও দলের কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘সংসদে যাওয়া বড় কথা না, দান-দক্ষিণা নিয়ে কতটুকু পেলাম তা রাজনীতি না। জনগণের দাবি নিয়ে কথা বলা রাজনীতি। আগামী ৯ তারিখ যে কাউন্সিল হবে, তাতে আমরা একটা দিকনির্দেশনা পাব, এটা জাতীয় পার্টির জন্য একটা টার্নিং পয়েন্ট হবে।’
দলের মহাসচিব কাজী মামুনুর রশীদ বলেন, ‘জাতীয় পার্টিকে যারা কলুষিত করেছে, নেতা-কর্মীদের মনে আঘাত করেছে, তাদের বলব, দলের সব নেতা-কর্মীর কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করুন। আপনারা জাতির কাছে ক্ষমা চান।’
নির্বাচন কমিশনে কমিটির চিঠি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে মামুনুর রশীদ বলেন, ‘যেকোনো সরকারি অফিসে কোনো চিঠি দিলে তা নিষ্পত্তিতে সময় লাগে। তারা এখনো আমাদের কিছু জানায়নি।’
জি এম কাদের ও মুজিবুল হক চুন্নু প্রসঙ্গে মামুনুর রশীদ বলেন, জি এম কাদের ও চুন্নু সাহেবকে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়। তাঁদের কার্যক্রমের কারণে তাঁদের শীর্ষ পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
দলীয় কার্যালয় প্রসঙ্গে মামুনুর রশীদ বলেন, ‘কাকরাইলের ভবন দলীয় অফিস। সেটা জি এম কাদের বা চুন্নু সাহেবের অফিস না। যখন আমাদের দরকার হবে তখনই আমরা সেখানে যাব।’
রওশন এরশাদের অনুসারী কেউ সংসদে আছেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে বাবলা বলেন, ‘দেখুন, দেখতে থাকুন। আমরা জনগণের জন্য, দেশের জন্য রাজনীতি করব।’
চায়ের আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত মেগান বোল্ডিনের বাসভবনে গেলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
১৪ ঘণ্টা আগেজুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলন সফল হওয়ার পেছনে খোদ আওয়ামী লীগের সাধারণ সমর্থকদেরও ভূমিকা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল রিসার্চ (বিআইএসআর) ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. খুরশিদ আলম। তিনি ২০০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়নকারী ও নীতিমালা প্রস্তুতকারী ছিলেন
১৪ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে যাওয়ার পরবর্তী তিন মাস ‘মবের মুল্লুক’ মনে হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারে যারা আছেন তাঁরা চেষ্টা করছেন সংস্কার করার। তাঁদের সফলতা-ব্যর্থতা নিয়ে এখনই মন্তব্য করা ঠিক হবে না। সময় দিতে হবে।’
১৫ ঘণ্টা আগেসংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল চেয়েছেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে জারি করা রুলের শুনানিতে তিনি বলেন, ‘সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ এক ধরনের বাক্স্বাধীনতাকে খর্ব করে। এ জন্য ৭০ অনুচ্ছেদ আমরা বাতিল চাই।’
১৬ ঘণ্টা আগে