নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশে বর্তমানে ফ্যাসিস্ট শাসন চলছে উল্লেখ করে দুর্নীতি, দুঃশাসন, সন্ত্রাসমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গড়তে কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই। আজ বুধবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত ‘বহুমুখী সংকট উদ্ঘাটন ও নিরসনকল্পে কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা’—শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক নেতারা এমন কথা বলেছেন।
সামগ্রিক সংকট নিরসনে নতুন করে ভাবতে হবে জানিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ‘সবকিছুকে পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে। মতাদর্শিক অবস্থান থেকে ঊর্ধ্বে উঠে নিরপেক্ষভাবে রাজনীতি, সমাজনীতি, শিক্ষা, সংস্কৃতি, আমাদের কর্মকাণ্ড, কৌশল, নীতি ও পন্থা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করতে হবে।’
ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির বলেন, ‘এই অবস্থায়ই সমাধান হতে পারে বাংলার হাজার বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্য সমর্থিত মানবতার মুক্তির পথ কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। দুর্নীতি, দুঃশাসন, সন্ত্রাস মুক্ত, সুখী সমৃদ্ধ কল্যাণ রাষ্ট্রই সকল শ্রেণি পেশা ও ধর্মের মানুষের রাজনৈতিক, নাগরিক ও ধর্মীয় অধিকার নিশ্চিত করতে পারে। সময়ের একান্ত প্রয়োজন কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা।’
বৈঠকে ‘দেশের গণতন্ত্র আজ নির্বাসিত নয়, সমাহিত’—উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘দলমত-নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যারা সরকারের উচ্ছিষ্টভোগী তারা আমাদের সঙ্গে আসবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মনের ঐক্য হয়ে গেছে। কিন্তু জনগণের সামনে আমরা ঐক্যটা দৃশ্যমান করতে পারছি না। জনগণ আমাদের আহ্বানে সাড়াও দিচ্ছে। সরকারকে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ দেখি না।’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘দেশের বহুমুখী সংকটের কেন্দ্রে রাজনৈতিক সংকট। আর রাজনৈতিক সংকটের কেন্দ্রে নির্বাচন নিয়ে সংকট।’
জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ‘আজ শুধু আওয়ামী লীগ নয়, আমাদের পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের যে মেকানিজম তার বিরুদ্ধেও আমরা লড়াই করছি। মিয়ানমার সীমান্তেও লড়াই চলছে। সরকার আজ একই সঙ্গে চীন ও ভারতের ফ্লার্টিং করছে। তাই বাংলাদেশের এই অবস্থা।’
এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেন, ‘আজ বাংলাদেশকে একটা কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করা আমাদের দায়িত্ব।’ এলডিপির সহসভাপতি নেয়ামুল বশির বলেন, ‘আমরা আজ দিশেহারা, আমাদের কাছে গণতন্ত্র, সুশাসন, ন্যায়বিচার কিছুই নেই। সব হারিয়ে আমরা আজ নিঃস্ব।’
এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘আমাদের যে রাষ্ট্র, বিচার ব্যবস্থা, সংবিধান আছে সেখানে ধর্ষণ, টাকা পাচারকে কোথাও বৈধতা দেয়নি। বর্তমান সংবিধান দিয়েই আমরা একটা কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারি।’
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সদস্যসচিব ফারুক হাসান বলেন, ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও আগ্রাসন আজ বাংলাদেশকে অক্টোপাসের মতো আঁকড়ে ধরেছে। অনেকে মনে করে, ভারতের দাদাবাবুদের তেল না দিয়ে ক্ষমতায় আসা যাবে না।’
বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন—বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের যুগ্ম মহাসচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী, খেলাফত মজলিশ মহাসচিব অধ্যাপক আহমদ আবদুল কাদের, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. নাকিব মুহাম্মাদ নাসরুল্লাহ, শিক্ষাবিদ প্রফেসর ইয়াকুব আলী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, মসজিদ মিশনের সেক্রেটারি খলিলুর রহমান মাদানী প্রমুখ।
দেশে বর্তমানে ফ্যাসিস্ট শাসন চলছে উল্লেখ করে দুর্নীতি, দুঃশাসন, সন্ত্রাসমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গড়তে কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই। আজ বুধবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত ‘বহুমুখী সংকট উদ্ঘাটন ও নিরসনকল্পে কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা’—শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক নেতারা এমন কথা বলেছেন।
সামগ্রিক সংকট নিরসনে নতুন করে ভাবতে হবে জানিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ‘সবকিছুকে পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে। মতাদর্শিক অবস্থান থেকে ঊর্ধ্বে উঠে নিরপেক্ষভাবে রাজনীতি, সমাজনীতি, শিক্ষা, সংস্কৃতি, আমাদের কর্মকাণ্ড, কৌশল, নীতি ও পন্থা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করতে হবে।’
ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির বলেন, ‘এই অবস্থায়ই সমাধান হতে পারে বাংলার হাজার বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্য সমর্থিত মানবতার মুক্তির পথ কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। দুর্নীতি, দুঃশাসন, সন্ত্রাস মুক্ত, সুখী সমৃদ্ধ কল্যাণ রাষ্ট্রই সকল শ্রেণি পেশা ও ধর্মের মানুষের রাজনৈতিক, নাগরিক ও ধর্মীয় অধিকার নিশ্চিত করতে পারে। সময়ের একান্ত প্রয়োজন কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা।’
বৈঠকে ‘দেশের গণতন্ত্র আজ নির্বাসিত নয়, সমাহিত’—উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘দলমত-নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যারা সরকারের উচ্ছিষ্টভোগী তারা আমাদের সঙ্গে আসবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মনের ঐক্য হয়ে গেছে। কিন্তু জনগণের সামনে আমরা ঐক্যটা দৃশ্যমান করতে পারছি না। জনগণ আমাদের আহ্বানে সাড়াও দিচ্ছে। সরকারকে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ দেখি না।’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘দেশের বহুমুখী সংকটের কেন্দ্রে রাজনৈতিক সংকট। আর রাজনৈতিক সংকটের কেন্দ্রে নির্বাচন নিয়ে সংকট।’
জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ‘আজ শুধু আওয়ামী লীগ নয়, আমাদের পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের যে মেকানিজম তার বিরুদ্ধেও আমরা লড়াই করছি। মিয়ানমার সীমান্তেও লড়াই চলছে। সরকার আজ একই সঙ্গে চীন ও ভারতের ফ্লার্টিং করছে। তাই বাংলাদেশের এই অবস্থা।’
এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেন, ‘আজ বাংলাদেশকে একটা কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করা আমাদের দায়িত্ব।’ এলডিপির সহসভাপতি নেয়ামুল বশির বলেন, ‘আমরা আজ দিশেহারা, আমাদের কাছে গণতন্ত্র, সুশাসন, ন্যায়বিচার কিছুই নেই। সব হারিয়ে আমরা আজ নিঃস্ব।’
এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘আমাদের যে রাষ্ট্র, বিচার ব্যবস্থা, সংবিধান আছে সেখানে ধর্ষণ, টাকা পাচারকে কোথাও বৈধতা দেয়নি। বর্তমান সংবিধান দিয়েই আমরা একটা কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারি।’
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সদস্যসচিব ফারুক হাসান বলেন, ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও আগ্রাসন আজ বাংলাদেশকে অক্টোপাসের মতো আঁকড়ে ধরেছে। অনেকে মনে করে, ভারতের দাদাবাবুদের তেল না দিয়ে ক্ষমতায় আসা যাবে না।’
বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন—বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের যুগ্ম মহাসচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী, খেলাফত মজলিশ মহাসচিব অধ্যাপক আহমদ আবদুল কাদের, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. নাকিব মুহাম্মাদ নাসরুল্লাহ, শিক্ষাবিদ প্রফেসর ইয়াকুব আলী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, মসজিদ মিশনের সেক্রেটারি খলিলুর রহমান মাদানী প্রমুখ।
চায়ের আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত মেগান বোল্ডিনের বাসভবনে গেলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
১৩ ঘণ্টা আগেজুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলন সফল হওয়ার পেছনে খোদ আওয়ামী লীগের সাধারণ সমর্থকদেরও ভূমিকা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল রিসার্চ (বিআইএসআর) ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. খুরশিদ আলম। তিনি ২০০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়নকারী ও নীতিমালা প্রস্তুতকারী ছিলেন
১৩ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে যাওয়ার পরবর্তী তিন মাস ‘মবের মুল্লুক’ মনে হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারে যারা আছেন তাঁরা চেষ্টা করছেন সংস্কার করার। তাঁদের সফলতা-ব্যর্থতা নিয়ে এখনই মন্তব্য করা ঠিক হবে না। সময় দিতে হবে।’
১৪ ঘণ্টা আগেসংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল চেয়েছেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে জারি করা রুলের শুনানিতে তিনি বলেন, ‘সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ এক ধরনের বাক্স্বাধীনতাকে খর্ব করে। এ জন্য ৭০ অনুচ্ছেদ আমরা বাতিল চাই।’
১৫ ঘণ্টা আগে