নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কোনো সুযোগ নেই। বর্তমান নির্বাচন কমিশন দিয়েও সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়।
আজ শনিবার সকালে পুরানা পল্টনের মুক্তি ভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে বাম গণতান্ত্রিক জোট আয়োজিত ‘সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিসহ নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কার-সুষ্ঠু নির্বাচন ও নির্দলীয় তদারকি সরকার’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, জনগণের ম্যান্ডেটবিহীন বর্তমান জাতীয় সংসদ বহাল রেখে সকল দল ও জনগণের জন্য নির্বাচনের সমান সুযোগও তৈরি হবে না। তাই দ্বাদশ জাতীয় সংসদের তফসিল ঘোষণার আগে জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, সকল দল ও সমাজের অপরাপর অংশের মানুষের মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ তদারকি সরকার গঠন, নতুন করে নির্বাচন কমিশনের পুনর্গঠন এবং সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা প্রবর্তনসহ গোটা নির্বাচনী ব্যবস্থার আমূল সংস্কার অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।
সভায় সরকারের প্রতি অবিলম্বে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তদারকি সরকারের রূপরেখা প্রণয়নের আলোচনা শুরুর আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ।
মতবিনিময় সভার লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘দেশে এখনো অবাধ, নিরপেক্ষ, প্রতিনিধিত্বশীল ও অর্থবহ নির্বাচনের স্থায়ী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। যারাই ক্ষমতায় এসেছে, ক্ষমতায় থাকতে নির্বাচনের নামে প্রহসন করেছে। মানুষের ন্যূনতম ভোটের গণতান্ত্রিক অধিকার ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে অনিশ্চয়তা, অচলাবস্থা ও নৈরাজ্য। এমতাবস্থায় আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের জন্য সুনির্দিষ্ট কতগুলো বিষয় আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ জরুরি হয়ে পড়েছে।’
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য প্রত্যেক নাগরিকের সমান সুযোগ এবং অবাধ-ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি বাছাইয়ের নিশ্চয়তা বিধান হলো একটি অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও অর্থবহ নির্বাচনের প্রাথমিক ও মৌলিক উপাদান জানিয়ে প্রিন্স বলেন, ‘আমাদের দেশের জনগণকে এই ন্যূনতম সুযোগটি থেকেও বারবার বঞ্চিত করা হয়েছে। নির্বাচনকে এক কুৎসিত ‘টাকার খেলা’, ‘পেশিশক্তির প্রতিযোগিতা’, ‘প্রশাসনিক কারসাজি’ ও ‘সাম্প্রদায়িকতা আঞ্চলিকতার বিভাজন সৃষ্টির ওস্তাদি’তে পরিণত করা হয়েছে। জনমত নয় বরং দেশি-বিদেশি শাসকগোষ্ঠীর ইচ্ছা এবং অর্থ-অস্ত্র নির্বাচনের ফলাফলের ক্ষেত্রে নিয়ামক হয়ে উঠেছে।’
ইভিএম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ইভিএম বিতর্কিত এবং অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ইভিএম ব্যবহারের বিরুদ্ধে। সারা বিশ্বের অভিজ্ঞতা ও দেশের মানুষের বাস্তবতা বিবেচনা করে আমরা মনে করি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের প্রয়োজন নেই।’
দেশে আজ গণতন্ত্র নেই উল্লেখ করে সভায় সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘জনগণের ভোটাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। দলীয় সরকারের অধীনে পরিচালিত নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু এবং অবাধ নির্বাচনে বারবার ব্যর্থ হয়েছে। কারচুপি করার জন্য ইভিএম একটি সহায়ক পদ্ধতি। যদি ফলাফল নিয়ে চ্যালেঞ্জ করেন তার বিপরীতে পরীক্ষা করার জন্য কোনো ব্যবস্থা এ পদ্ধতিতে নেই। এতে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দ্বারা ফলাফল প্রভাবিত করা খুবই সহজ।’
ঐক্য ন্যাপের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট এস এম এ সবুর বলেন, ‘সরকার যেকোনো পন্থায় ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করছে। মানুষের ভোটের অধিকার যদি নিশ্চিত করতে না পারি তাহলে মুক্তিযুদ্ধের সার্থকতাই বিফলে যাবে। জনগণের সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কার করতে হবে।’
বাংলাদেশ জাসদের কেন্দ্রীয় নেতা ডা. মোশতাক হোসেন বলেন, ‘২০১৪ বা ২০১৮ সালে যে নির্বাচন হয়েছে তাতে নির্বাচনের প্রাসঙ্গিকতা হারিয়ে গেছে। যে কথা বলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান বাতিল করা হলো তা গ্রহণযোগ্য নয়।’
সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করছি। গণ-আন্দোলন, গণসংগ্রাম গড়ে তুলে দাবি আদায় করতে হবে।’
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, বাসদের (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী জোটের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম সবুজসহ প্রমুখ।
দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কোনো সুযোগ নেই। বর্তমান নির্বাচন কমিশন দিয়েও সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়।
আজ শনিবার সকালে পুরানা পল্টনের মুক্তি ভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে বাম গণতান্ত্রিক জোট আয়োজিত ‘সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিসহ নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কার-সুষ্ঠু নির্বাচন ও নির্দলীয় তদারকি সরকার’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, জনগণের ম্যান্ডেটবিহীন বর্তমান জাতীয় সংসদ বহাল রেখে সকল দল ও জনগণের জন্য নির্বাচনের সমান সুযোগও তৈরি হবে না। তাই দ্বাদশ জাতীয় সংসদের তফসিল ঘোষণার আগে জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, সকল দল ও সমাজের অপরাপর অংশের মানুষের মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ তদারকি সরকার গঠন, নতুন করে নির্বাচন কমিশনের পুনর্গঠন এবং সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা প্রবর্তনসহ গোটা নির্বাচনী ব্যবস্থার আমূল সংস্কার অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।
সভায় সরকারের প্রতি অবিলম্বে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তদারকি সরকারের রূপরেখা প্রণয়নের আলোচনা শুরুর আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ।
মতবিনিময় সভার লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘দেশে এখনো অবাধ, নিরপেক্ষ, প্রতিনিধিত্বশীল ও অর্থবহ নির্বাচনের স্থায়ী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। যারাই ক্ষমতায় এসেছে, ক্ষমতায় থাকতে নির্বাচনের নামে প্রহসন করেছে। মানুষের ন্যূনতম ভোটের গণতান্ত্রিক অধিকার ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে অনিশ্চয়তা, অচলাবস্থা ও নৈরাজ্য। এমতাবস্থায় আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের জন্য সুনির্দিষ্ট কতগুলো বিষয় আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ জরুরি হয়ে পড়েছে।’
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য প্রত্যেক নাগরিকের সমান সুযোগ এবং অবাধ-ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি বাছাইয়ের নিশ্চয়তা বিধান হলো একটি অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও অর্থবহ নির্বাচনের প্রাথমিক ও মৌলিক উপাদান জানিয়ে প্রিন্স বলেন, ‘আমাদের দেশের জনগণকে এই ন্যূনতম সুযোগটি থেকেও বারবার বঞ্চিত করা হয়েছে। নির্বাচনকে এক কুৎসিত ‘টাকার খেলা’, ‘পেশিশক্তির প্রতিযোগিতা’, ‘প্রশাসনিক কারসাজি’ ও ‘সাম্প্রদায়িকতা আঞ্চলিকতার বিভাজন সৃষ্টির ওস্তাদি’তে পরিণত করা হয়েছে। জনমত নয় বরং দেশি-বিদেশি শাসকগোষ্ঠীর ইচ্ছা এবং অর্থ-অস্ত্র নির্বাচনের ফলাফলের ক্ষেত্রে নিয়ামক হয়ে উঠেছে।’
ইভিএম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ইভিএম বিতর্কিত এবং অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ইভিএম ব্যবহারের বিরুদ্ধে। সারা বিশ্বের অভিজ্ঞতা ও দেশের মানুষের বাস্তবতা বিবেচনা করে আমরা মনে করি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের প্রয়োজন নেই।’
দেশে আজ গণতন্ত্র নেই উল্লেখ করে সভায় সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘জনগণের ভোটাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। দলীয় সরকারের অধীনে পরিচালিত নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু এবং অবাধ নির্বাচনে বারবার ব্যর্থ হয়েছে। কারচুপি করার জন্য ইভিএম একটি সহায়ক পদ্ধতি। যদি ফলাফল নিয়ে চ্যালেঞ্জ করেন তার বিপরীতে পরীক্ষা করার জন্য কোনো ব্যবস্থা এ পদ্ধতিতে নেই। এতে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দ্বারা ফলাফল প্রভাবিত করা খুবই সহজ।’
ঐক্য ন্যাপের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট এস এম এ সবুর বলেন, ‘সরকার যেকোনো পন্থায় ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করছে। মানুষের ভোটের অধিকার যদি নিশ্চিত করতে না পারি তাহলে মুক্তিযুদ্ধের সার্থকতাই বিফলে যাবে। জনগণের সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কার করতে হবে।’
বাংলাদেশ জাসদের কেন্দ্রীয় নেতা ডা. মোশতাক হোসেন বলেন, ‘২০১৪ বা ২০১৮ সালে যে নির্বাচন হয়েছে তাতে নির্বাচনের প্রাসঙ্গিকতা হারিয়ে গেছে। যে কথা বলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান বাতিল করা হলো তা গ্রহণযোগ্য নয়।’
সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করছি। গণ-আন্দোলন, গণসংগ্রাম গড়ে তুলে দাবি আদায় করতে হবে।’
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, বাসদের (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী জোটের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম সবুজসহ প্রমুখ।
চায়ের আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত মেগান বোল্ডিনের বাসভবনে গেলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
১৩ ঘণ্টা আগেজুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলন সফল হওয়ার পেছনে খোদ আওয়ামী লীগের সাধারণ সমর্থকদেরও ভূমিকা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল রিসার্চ (বিআইএসআর) ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. খুরশিদ আলম। তিনি ২০০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়নকারী ও নীতিমালা প্রস্তুতকারী ছিলেন
১৪ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে যাওয়ার পরবর্তী তিন মাস ‘মবের মুল্লুক’ মনে হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারে যারা আছেন তাঁরা চেষ্টা করছেন সংস্কার করার। তাঁদের সফলতা-ব্যর্থতা নিয়ে এখনই মন্তব্য করা ঠিক হবে না। সময় দিতে হবে।’
১৫ ঘণ্টা আগেসংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল চেয়েছেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে জারি করা রুলের শুনানিতে তিনি বলেন, ‘সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ এক ধরনের বাক্স্বাধীনতাকে খর্ব করে। এ জন্য ৭০ অনুচ্ছেদ আমরা বাতিল চাই।’
১৫ ঘণ্টা আগে