নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিএনপির সঙ্গে যুগপৎভাবে সরকারবিরোধী আন্দোলনে যোগ দিয়ে দলটির ১১ জানুয়ারির গণ-অবস্থানে মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে চারটি বাম দলের জোট গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য।
আজ মঙ্গলবার নয়াপল্টনে যুগপৎ আন্দোলনে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে জোটের সমন্বয়ক হারুন চৌধুরী এই সিদ্ধান্ত জানান।
বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের (মার্ক্সবাদী-লেনিনবাদী) সাধারণ সম্পাদক হারুন বলেন, ‘বিএনপির ২৭ দফা কর্মসূচি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দেখে আমাদের একটা বিশ্বাস হয়েছে যে, বিএনপি রাষ্ট্র মেরামতের জন্য যে ২৭ দফা দিয়েছে, তাতে দেশের কৃষক-শ্রমিক-মজুর, ছাত্র, নারী ও পুরুষ—সবার জন্য ইতিবাচক বক্তব্য আছে। সেই কথাগুলো আমরা বিশ্বাস করেছি। রাষ্ট্রের এ মেরামতগুলো যদি হয়ে যায়, তাহলে আজকে বাংলাদেশ যে অবস্থায় আছে, সারা পৃথিবীর রাষ্ট্রদূতদের কাছে আমরা যেভাবে অপমানিত অবস্থায় আছি, আমি মনে করি, সেটা আর থাকবে না। তাই দেশের স্বার্থে আগামীতে বিএনপির যেকোনো আন্দোলন-সংগ্রামের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের প্রস্তুতি নিয়ে আজকে তৃতীয়বার ওনাদের সঙ্গে বৈঠক করেছি, বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে।
‘আগামীতে রাজপথ যত কঠিনই হোক, পিছপা হব না। আগামী ১১ জানুয়ারি যে কর্মসূচি হবে, সেটার সঙ্গেও আমরা একাত্মতা ঘোষণা করে রাজপথে থাকব। ইনশা আল্লাহ আমরা একত্র হয়ে আন্দোলন করে এ সরকারকে পরাজিত করে ২০২৩ সালে নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য একটা নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করব। সেই নির্বাচনে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।’
বৈঠকে বিএনপির পক্ষে ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লা বুলু ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল উপস্থিত ছিলেন। আর গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের নেতাদের মধ্যে হারুন চৌধুরী ছাড়াও সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম ও প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের মহাসচিব হারুন আল রশীদ।
গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সঙ্গে বিএনপির ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে জানিয়ে বরকত উল্লা বুলু বলেন, রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের যুগপৎ আন্দোলনে আমাদের যে ২৭ দফা, তার সঙ্গে উনারা ঐক্যবদ্ধ এবং রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে উনারা থাকবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় কাঠামো মেরামতের লক্ষ্যে বিএনপি যে ২৭ দফা দিয়েছে, তার ভিত্তিতে রাজপথে বিএনপি ও বাম গণতান্ত্রিক ঐক্য একসঙ্গে আন্দোলন-সংগ্রাম করবে।
বাম ঐক্যের নেতারা ২৭ দফার মধ্যে কিছু যোগ-বিয়োগের কথা জানিয়েছেন উল্লেখ করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আমাদের দলের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন, আগামীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে যে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনে যারা ক্ষমতায় আসবে, তাদের নিয়ে একটি জাতীয় সরকার হবে। সেই জাতীয় সরকারের অধীনে এই ২৭ দফাসহ সব প্রস্তাব একসঙ্গে নিয়ে একটি জাতীয় সনদ জাতির সামনে উপস্থাপন করব।’
সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে ‘রেইনবো ন্যাশন’ প্রতিষ্ঠা ও ‘নির্বাচনকালীন দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ ব্যবস্থা প্রবর্তনসহ রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের জন্য গত ১৯ ডিসেম্বর ২৭ দফা রূপরেখা ঘোষণা করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার নির্বাহী ক্ষমতায় ভারসাম্য আনার বিষয়কেও প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
এতে প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের রাজনীতির বিপরীতে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ‘রেইনবো’ প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে ‘ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশন কমিশন’ গঠন করা এবং সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করার বিষয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখার প্রস্তাব রয়েছে।
২০১৭ সালে সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টি, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (মার্ক্সবাদী-লেনিনবাদী) ও প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের সমন্বয়ে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য গঠিত হয়।
সরকারবিরোধী আন্দোলনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সমন্বয়ের জন্য সাত সদস্যের লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করেছে বিএনপি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে এই কমিটির সদস্যরা হলেন বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লা বুলু, মো. শাহজাহান, আবদুল আউয়াল মিন্টু ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
বিএনপির সঙ্গে যুগপৎভাবে সরকারবিরোধী আন্দোলনে যোগ দিয়ে দলটির ১১ জানুয়ারির গণ-অবস্থানে মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে চারটি বাম দলের জোট গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য।
আজ মঙ্গলবার নয়াপল্টনে যুগপৎ আন্দোলনে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে জোটের সমন্বয়ক হারুন চৌধুরী এই সিদ্ধান্ত জানান।
বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের (মার্ক্সবাদী-লেনিনবাদী) সাধারণ সম্পাদক হারুন বলেন, ‘বিএনপির ২৭ দফা কর্মসূচি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দেখে আমাদের একটা বিশ্বাস হয়েছে যে, বিএনপি রাষ্ট্র মেরামতের জন্য যে ২৭ দফা দিয়েছে, তাতে দেশের কৃষক-শ্রমিক-মজুর, ছাত্র, নারী ও পুরুষ—সবার জন্য ইতিবাচক বক্তব্য আছে। সেই কথাগুলো আমরা বিশ্বাস করেছি। রাষ্ট্রের এ মেরামতগুলো যদি হয়ে যায়, তাহলে আজকে বাংলাদেশ যে অবস্থায় আছে, সারা পৃথিবীর রাষ্ট্রদূতদের কাছে আমরা যেভাবে অপমানিত অবস্থায় আছি, আমি মনে করি, সেটা আর থাকবে না। তাই দেশের স্বার্থে আগামীতে বিএনপির যেকোনো আন্দোলন-সংগ্রামের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের প্রস্তুতি নিয়ে আজকে তৃতীয়বার ওনাদের সঙ্গে বৈঠক করেছি, বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে।
‘আগামীতে রাজপথ যত কঠিনই হোক, পিছপা হব না। আগামী ১১ জানুয়ারি যে কর্মসূচি হবে, সেটার সঙ্গেও আমরা একাত্মতা ঘোষণা করে রাজপথে থাকব। ইনশা আল্লাহ আমরা একত্র হয়ে আন্দোলন করে এ সরকারকে পরাজিত করে ২০২৩ সালে নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য একটা নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করব। সেই নির্বাচনে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।’
বৈঠকে বিএনপির পক্ষে ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লা বুলু ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল উপস্থিত ছিলেন। আর গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের নেতাদের মধ্যে হারুন চৌধুরী ছাড়াও সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম ও প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের মহাসচিব হারুন আল রশীদ।
গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সঙ্গে বিএনপির ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে জানিয়ে বরকত উল্লা বুলু বলেন, রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের যুগপৎ আন্দোলনে আমাদের যে ২৭ দফা, তার সঙ্গে উনারা ঐক্যবদ্ধ এবং রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে উনারা থাকবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় কাঠামো মেরামতের লক্ষ্যে বিএনপি যে ২৭ দফা দিয়েছে, তার ভিত্তিতে রাজপথে বিএনপি ও বাম গণতান্ত্রিক ঐক্য একসঙ্গে আন্দোলন-সংগ্রাম করবে।
বাম ঐক্যের নেতারা ২৭ দফার মধ্যে কিছু যোগ-বিয়োগের কথা জানিয়েছেন উল্লেখ করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আমাদের দলের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন, আগামীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে যে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনে যারা ক্ষমতায় আসবে, তাদের নিয়ে একটি জাতীয় সরকার হবে। সেই জাতীয় সরকারের অধীনে এই ২৭ দফাসহ সব প্রস্তাব একসঙ্গে নিয়ে একটি জাতীয় সনদ জাতির সামনে উপস্থাপন করব।’
সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে ‘রেইনবো ন্যাশন’ প্রতিষ্ঠা ও ‘নির্বাচনকালীন দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ ব্যবস্থা প্রবর্তনসহ রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের জন্য গত ১৯ ডিসেম্বর ২৭ দফা রূপরেখা ঘোষণা করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার নির্বাহী ক্ষমতায় ভারসাম্য আনার বিষয়কেও প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
এতে প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের রাজনীতির বিপরীতে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ‘রেইনবো’ প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে ‘ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশন কমিশন’ গঠন করা এবং সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করার বিষয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখার প্রস্তাব রয়েছে।
২০১৭ সালে সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টি, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (মার্ক্সবাদী-লেনিনবাদী) ও প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের সমন্বয়ে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য গঠিত হয়।
সরকারবিরোধী আন্দোলনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সমন্বয়ের জন্য সাত সদস্যের লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করেছে বিএনপি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে এই কমিটির সদস্যরা হলেন বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লা বুলু, মো. শাহজাহান, আবদুল আউয়াল মিন্টু ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
চায়ের আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত মেগান বোল্ডিনের বাসভবনে গেলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
১৪ ঘণ্টা আগেজুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলন সফল হওয়ার পেছনে খোদ আওয়ামী লীগের সাধারণ সমর্থকদেরও ভূমিকা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল রিসার্চ (বিআইএসআর) ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. খুরশিদ আলম। তিনি ২০০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়নকারী ও নীতিমালা প্রস্তুতকারী ছিলেন
১৫ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে যাওয়ার পরবর্তী তিন মাস ‘মবের মুল্লুক’ মনে হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারে যারা আছেন তাঁরা চেষ্টা করছেন সংস্কার করার। তাঁদের সফলতা-ব্যর্থতা নিয়ে এখনই মন্তব্য করা ঠিক হবে না। সময় দিতে হবে।’
১৫ ঘণ্টা আগেসংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল চেয়েছেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে জারি করা রুলের শুনানিতে তিনি বলেন, ‘সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ এক ধরনের বাক্স্বাধীনতাকে খর্ব করে। এ জন্য ৭০ অনুচ্ছেদ আমরা বাতিল চাই।’
১৬ ঘণ্টা আগে