নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
২০২৪-২৫ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কৃষক, শ্রমিক এবং প্রবাসীদের জন্য কিছু নেই বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। ‘আমি এবং ডামি’র সংসদ, সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের কল্যাণের বাজেট কখনোই করবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত ‘নৈতিকতাহীন অর্থনীতির সালতামামি’—শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, দেশের অর্থনীতি তিনটি ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। কৃষি, পোশাক এবং প্রবাসী আয়। তাঁরাই অর্থনীতির প্রধান উৎস। কিন্তু এই বাজেটে কৃষক শ্রমিক এবং প্রবাসীদের জন্য কিছু নেই।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য, শিল্প, খাদ্য সব ক্ষেত্রে বৈষম্য বাড়ছে। ধনীরা আরও ধনী হচ্ছে। একটি রিপোর্টে দেখা গেছে, বাংলাদেশে অতি ধনীর পরিমাণ চীনের চেয়ে বেশি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, এই সরকারের সাবেক সেনাপ্রধান, পুলিশ প্রধান এবং জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে দুর্নীতি, চোরাচালানের অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, এই সরকার কৃষক, শ্রমিক, উৎপাদক, ভোক্তা কারও না। সংখ্যাগরিষ্ঠকে এই সরকার সন্তুষ্ট করার কোনো প্রয়োজন মনে করে না। কারণ তাঁদের ভোটের কোনো দরকার নেই।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকিব বলেন, সরকার এই বাজেটে গত ১৬ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো স্বীকার করেছে, দেশে একটা অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে। বাজেটে অর্থাভাবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ন্যূনতম ভিত্তির ওপর দাঁড়াচ্ছে না। অন্যদিকে মেগা প্রজেক্ট করতে পুরো জাতিকে ঋণের জালে আটকে ফেলা হয়েছে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, পুরো অর্থনীতি একটা দুর্বৃত্ত, লুটেরা, মাফিয়া নির্ভর। এই বাজেট দেশকে আরও গভীর বিপদের দিকে নিয়ে যাবে। এতে মানুষের উদ্বেগ কমানোর কোনো উদ্যোগ নেই। এই সরকার যত দিন থাকবে তত দিন এই লুটেরাদের পক্ষেই বাজেট প্রণয়ন করবে।
সভাপতির বক্তব্যে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী বলেছেন ছয় মাসের মধ্যে জিনিসপত্রের দাম কমিয়ে আনবেন। কিন্তু এই বাজেটের মধ্য দিয়ে জিনিসপত্রের দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। আমাদের রিজার্ভ সর্বশেষ জানামতে ১২ বিলিয়নের নিচে। এর মধ্যে সরকার আমদানির ওপর নানা নিষেধ জারি করেছে। করলেই বা কী? কয়েক দিন পর আর আমদানির অবস্থাই থাকবে না। এর মধ্যে ব্যাংকগুলো ধ্বংসপ্রাপ্ত, সরকারের অলিগার্করা লুটপাটে ব্যস্ত।’
সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন—গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, আমার বাংলাদেশ পার্টির সদস্যসচিব আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক হারুন চৌধুরী প্রমুখ।
২০২৪-২৫ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কৃষক, শ্রমিক এবং প্রবাসীদের জন্য কিছু নেই বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। ‘আমি এবং ডামি’র সংসদ, সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের কল্যাণের বাজেট কখনোই করবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত ‘নৈতিকতাহীন অর্থনীতির সালতামামি’—শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, দেশের অর্থনীতি তিনটি ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। কৃষি, পোশাক এবং প্রবাসী আয়। তাঁরাই অর্থনীতির প্রধান উৎস। কিন্তু এই বাজেটে কৃষক শ্রমিক এবং প্রবাসীদের জন্য কিছু নেই।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য, শিল্প, খাদ্য সব ক্ষেত্রে বৈষম্য বাড়ছে। ধনীরা আরও ধনী হচ্ছে। একটি রিপোর্টে দেখা গেছে, বাংলাদেশে অতি ধনীর পরিমাণ চীনের চেয়ে বেশি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, এই সরকারের সাবেক সেনাপ্রধান, পুলিশ প্রধান এবং জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে দুর্নীতি, চোরাচালানের অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, এই সরকার কৃষক, শ্রমিক, উৎপাদক, ভোক্তা কারও না। সংখ্যাগরিষ্ঠকে এই সরকার সন্তুষ্ট করার কোনো প্রয়োজন মনে করে না। কারণ তাঁদের ভোটের কোনো দরকার নেই।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকিব বলেন, সরকার এই বাজেটে গত ১৬ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো স্বীকার করেছে, দেশে একটা অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে। বাজেটে অর্থাভাবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ন্যূনতম ভিত্তির ওপর দাঁড়াচ্ছে না। অন্যদিকে মেগা প্রজেক্ট করতে পুরো জাতিকে ঋণের জালে আটকে ফেলা হয়েছে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, পুরো অর্থনীতি একটা দুর্বৃত্ত, লুটেরা, মাফিয়া নির্ভর। এই বাজেট দেশকে আরও গভীর বিপদের দিকে নিয়ে যাবে। এতে মানুষের উদ্বেগ কমানোর কোনো উদ্যোগ নেই। এই সরকার যত দিন থাকবে তত দিন এই লুটেরাদের পক্ষেই বাজেট প্রণয়ন করবে।
সভাপতির বক্তব্যে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী বলেছেন ছয় মাসের মধ্যে জিনিসপত্রের দাম কমিয়ে আনবেন। কিন্তু এই বাজেটের মধ্য দিয়ে জিনিসপত্রের দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। আমাদের রিজার্ভ সর্বশেষ জানামতে ১২ বিলিয়নের নিচে। এর মধ্যে সরকার আমদানির ওপর নানা নিষেধ জারি করেছে। করলেই বা কী? কয়েক দিন পর আর আমদানির অবস্থাই থাকবে না। এর মধ্যে ব্যাংকগুলো ধ্বংসপ্রাপ্ত, সরকারের অলিগার্করা লুটপাটে ব্যস্ত।’
সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন—গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, আমার বাংলাদেশ পার্টির সদস্যসচিব আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক হারুন চৌধুরী প্রমুখ।
চায়ের আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত মেগান বোল্ডিনের বাসভবনে গেলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
১২ ঘণ্টা আগেজুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলন সফল হওয়ার পেছনে খোদ আওয়ামী লীগের সাধারণ সমর্থকদেরও ভূমিকা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল রিসার্চ (বিআইএসআর) ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. খুরশিদ আলম। তিনি ২০০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়নকারী ও নীতিমালা প্রস্তুতকারী ছিলেন
১৩ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে যাওয়ার পরবর্তী তিন মাস ‘মবের মুল্লুক’ মনে হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারে যারা আছেন তাঁরা চেষ্টা করছেন সংস্কার করার। তাঁদের সফলতা-ব্যর্থতা নিয়ে এখনই মন্তব্য করা ঠিক হবে না। সময় দিতে হবে।’
১৪ ঘণ্টা আগেসংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল চেয়েছেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে জারি করা রুলের শুনানিতে তিনি বলেন, ‘সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ এক ধরনের বাক্স্বাধীনতাকে খর্ব করে। এ জন্য ৭০ অনুচ্ছেদ আমরা বাতিল চাই।’
১৪ ঘণ্টা আগে