ঢাবি প্রতিনিধি
আওয়ামী লীগ-জাতীয় পার্টিকে রাজনৈতিকভাবে পুনর্বাসিত করার আগে দল দুটিকে পলিটিক্যাল ডায়ালাইসিস করাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। আজ শুক্রবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মুজাফফর আহমদ চৌধুরী মিলনায়তনে বাংলাদেশ স্টাডি ফোরামের আয়োজনে ‘গণহত্যার বিচার কোন পথে’ শীর্ষক নাগরিক সংলাপে বক্তব্য প্রদানকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
নাগরিক সংলাপে আরও বক্তব্য দেন বীর প্রতীক লে. কর্নেল হাসিনুর রহমান, মেজর (অব.) ব্যারিস্টার সরওয়ার, নাগরিক সংগঠন স্পিক বাংলাদেশের বিশেষ মুখপাত্র আলী নাছের খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব লর শিক্ষক মো. মোস্তফা হোছাইন ও মায়ের ডাকের সংগঠক সানজিদা ইসলাম তুলি।
আসাদুজ্জামান বলেন, ‘সুশীলতা কিন্তু ফ্যাসিবাদ, এটা মাথায় রাখতে হবে। এই বাংলাদেশে যা কিছু সুশীল, এটাই ফ্যাসিবাদ। সুশীল আর ফ্যাসিবাদ এক জিনিস, বাংলাদেশে কোনো পার্থক্য নাই। আওয়ামী লীগ-জাতীয় পার্টিকে পলিটিক্যাল রিহেবিলিটেশন করার আগে পলিটিক্যাল ডায়ালাইসিস করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের জন্য আবার একটি কমিশন করতে হবে, পাবলিক কমিশন। সবাই মতামত দেবে। মতামত কয়েকভাবে হতে পারে। প্রথম হচ্ছে, জার্মানি-ইতালি মডেলে নিষিদ্ধ করা। দ্বিতীয় মডেল হচ্ছে, সাউথ আফ্রিকার মডেল, ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন প্রক্রিয়ায় (মানবাধিকার লঙ্ঘনের গণশুনানি) যাওয়া। তৃতীয় হচ্ছে, দলগুলো যেহেতু গণহত্যার সঙ্গে জড়িত, আইসিটি-গুম কমিশন এসব বিষয় তদন্ত করছে, তারা (আইসিটি-গুম কমিশন) মতামত দেবে দল আকারে কারা কারা আসতে পারবে। জাতীয় পার্টি ও ১৪ দিল মিলে যেহেতু তিনটা নির্বাচন থেকে বঞ্চিত করেছে, ন্যূনতম তাদের তিনটা নির্বাচন থেকে বঞ্চিত করতে হবে, এটা চতুর্থ মডেল। তারা আমাদের ইলেকটোরাল প্রসেস থেকে বঞ্চিত করেছে, তাদেরও ইলেকটোরাল প্রসেস থেকে বঞ্চিত করতে হবে। পঞ্চম মডেল হচ্ছে, গত তিনটা নির্বাচনে যারা আওয়ামী লীগ থেকে সুবিধা নিয়েছে, তাদেরকে বাদ দিয়ে, শেখ পরিবারকে বাদ দিয়ে নতুনভাবে আওয়ামী লীগকে আসতে হবে।’
সংলাপে বীর প্রতীক লে. কর্নেল হাসিনুর রহমান বলেন, ‘আমরা ৫ আগস্টের বিপ্লবের পর নতুন স্বাধীনতা পেয়েছি সত্য, কিন্তু সবকিছুই চলছে ধীরগতিতে। মেডিকেলে যান দেখবেন, যোদ্ধারা বেডে শুয়ে কাতরাচ্ছে আর তার বউ হাত পাততেছে খাওয়ার জন্য। এর চেয়ে লজ্জার আর কিছু আছে? যে রিকশাওয়ালারা আমাদের একটা স্বাধীনতা এনে দিয়েছে তারা আজ রাস্তায়। তাদের পাশে কেউ নাই। কেউ এদের কাছে এগিয়ে আসছে না। আমরা দেখছি একটা ধীরে চলা নীতি। যা মোটেই কাম্য নয়। আমি অনুরোধ করব সবাই এগিয়ে আসুন দেশটাকে একটু সামনে এগিয়ে নিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে, তার বিচার ও পুনর্বাসনের জন্য আলাদা একটা উপদেষ্টা প্রয়োজন। আমি আশাবাদী যে আমাদের মাহমুদুর রহমান (আমার দেশ পত্রিকার সাবেক সম্পাদক) ভাই ফিরে এসেছেন। তাঁকে যদি দায়িত্ব দেওয়া হয়, তাহলে একটা পরিবর্তন আসতে পারে।’
স্পিক বাংলাদেশের বিশেষ মুখপাত্র আলী নাছের খান বলেন, ‘ফ্যাসিজমের সব উপাদান এখনো রয়েছে, সেগুলো দূর করতে হবে। তার কোনো প্রদর্শন দেখছি না। যারা আহত হয়েছে, যারা কাতরাচ্ছে, তাদের চিকিৎসা নিচ্ছে, তাদের ক্ষেত্রেও অবহেলা দেখছি। নিহতদের স্মরণে কোনো মেমোরিয়াল দেখছি না। কোনো কিছুর উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। ৫৩ বছরের বাংলাদেশ আর এখনকার বাংলাদেশকে আলাদা করতে হবে, আলাদা না হলে বিপ্লবের স্পিরিট নষ্ট হয়ে যাবে।’
আইন উপদেষ্টার কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘৭২-এর সংবিধানে ফ্যাসিবাদের সব উপাদান ছিল, সেগুলো অপসারণ করতে হবে। বিভিন্ন জায়গায় খুবই আনফিট লোক দিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। জুলাই-আগস্টের গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। রন্ধ্রে রন্ধ্রে যে ফ্যাসিবাদ ছিল, সেগুলো উপড়ে ফেলতে হবে। অনেক সময়ক্ষেপণ হয়েছে, আর নয়।’
সংলাপে মেজর (অব.) ব্যারিস্টার সরওয়ার বলেন, ‘সংস্কার শুরু হয়েছে, আরও সংস্কার দরকার। আপনি ১২ জন কিংবা ১৫ জন উপদেষ্টা দিয়ে পারছেন না, আপনি ৫০ জন উপদেষ্টা আনছেন না কেন? শুধু যোগাযোগ মন্ত্রণালয়েই তো আমার মতে পাঁচজন দরকার। যেভাবে বাংলাদেশে যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, এখান থেকে উত্তরণের উপায় কী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তো বড় দায়িত্ব। একজন উপদেষ্টা কীভাবে পারবে, এটার জন্য তো দু–তিনজন দরকার। স্বৈরাচারীদের ১০টি ট্রাইব্যুনাল গঠন করে বিচার করতে হবে। দুর্বৃত্তায়নের সঙ্গে জড়িত পুরো প্রশাসনকে বাদ দিয়ে যারা বিপ্লবের স্পিরিট ধারণ করে, তাদের তিন মাসের ট্রেনিং দিয়ে কাজে ঢোকাতে হবে, আমাদের অনেক বেকার আছে। এটা এক বছরে করা সম্ভব।’
আওয়ামী লীগ-জাতীয় পার্টিকে রাজনৈতিকভাবে পুনর্বাসিত করার আগে দল দুটিকে পলিটিক্যাল ডায়ালাইসিস করাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। আজ শুক্রবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মুজাফফর আহমদ চৌধুরী মিলনায়তনে বাংলাদেশ স্টাডি ফোরামের আয়োজনে ‘গণহত্যার বিচার কোন পথে’ শীর্ষক নাগরিক সংলাপে বক্তব্য প্রদানকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
নাগরিক সংলাপে আরও বক্তব্য দেন বীর প্রতীক লে. কর্নেল হাসিনুর রহমান, মেজর (অব.) ব্যারিস্টার সরওয়ার, নাগরিক সংগঠন স্পিক বাংলাদেশের বিশেষ মুখপাত্র আলী নাছের খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব লর শিক্ষক মো. মোস্তফা হোছাইন ও মায়ের ডাকের সংগঠক সানজিদা ইসলাম তুলি।
আসাদুজ্জামান বলেন, ‘সুশীলতা কিন্তু ফ্যাসিবাদ, এটা মাথায় রাখতে হবে। এই বাংলাদেশে যা কিছু সুশীল, এটাই ফ্যাসিবাদ। সুশীল আর ফ্যাসিবাদ এক জিনিস, বাংলাদেশে কোনো পার্থক্য নাই। আওয়ামী লীগ-জাতীয় পার্টিকে পলিটিক্যাল রিহেবিলিটেশন করার আগে পলিটিক্যাল ডায়ালাইসিস করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের জন্য আবার একটি কমিশন করতে হবে, পাবলিক কমিশন। সবাই মতামত দেবে। মতামত কয়েকভাবে হতে পারে। প্রথম হচ্ছে, জার্মানি-ইতালি মডেলে নিষিদ্ধ করা। দ্বিতীয় মডেল হচ্ছে, সাউথ আফ্রিকার মডেল, ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন প্রক্রিয়ায় (মানবাধিকার লঙ্ঘনের গণশুনানি) যাওয়া। তৃতীয় হচ্ছে, দলগুলো যেহেতু গণহত্যার সঙ্গে জড়িত, আইসিটি-গুম কমিশন এসব বিষয় তদন্ত করছে, তারা (আইসিটি-গুম কমিশন) মতামত দেবে দল আকারে কারা কারা আসতে পারবে। জাতীয় পার্টি ও ১৪ দিল মিলে যেহেতু তিনটা নির্বাচন থেকে বঞ্চিত করেছে, ন্যূনতম তাদের তিনটা নির্বাচন থেকে বঞ্চিত করতে হবে, এটা চতুর্থ মডেল। তারা আমাদের ইলেকটোরাল প্রসেস থেকে বঞ্চিত করেছে, তাদেরও ইলেকটোরাল প্রসেস থেকে বঞ্চিত করতে হবে। পঞ্চম মডেল হচ্ছে, গত তিনটা নির্বাচনে যারা আওয়ামী লীগ থেকে সুবিধা নিয়েছে, তাদেরকে বাদ দিয়ে, শেখ পরিবারকে বাদ দিয়ে নতুনভাবে আওয়ামী লীগকে আসতে হবে।’
সংলাপে বীর প্রতীক লে. কর্নেল হাসিনুর রহমান বলেন, ‘আমরা ৫ আগস্টের বিপ্লবের পর নতুন স্বাধীনতা পেয়েছি সত্য, কিন্তু সবকিছুই চলছে ধীরগতিতে। মেডিকেলে যান দেখবেন, যোদ্ধারা বেডে শুয়ে কাতরাচ্ছে আর তার বউ হাত পাততেছে খাওয়ার জন্য। এর চেয়ে লজ্জার আর কিছু আছে? যে রিকশাওয়ালারা আমাদের একটা স্বাধীনতা এনে দিয়েছে তারা আজ রাস্তায়। তাদের পাশে কেউ নাই। কেউ এদের কাছে এগিয়ে আসছে না। আমরা দেখছি একটা ধীরে চলা নীতি। যা মোটেই কাম্য নয়। আমি অনুরোধ করব সবাই এগিয়ে আসুন দেশটাকে একটু সামনে এগিয়ে নিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে, তার বিচার ও পুনর্বাসনের জন্য আলাদা একটা উপদেষ্টা প্রয়োজন। আমি আশাবাদী যে আমাদের মাহমুদুর রহমান (আমার দেশ পত্রিকার সাবেক সম্পাদক) ভাই ফিরে এসেছেন। তাঁকে যদি দায়িত্ব দেওয়া হয়, তাহলে একটা পরিবর্তন আসতে পারে।’
স্পিক বাংলাদেশের বিশেষ মুখপাত্র আলী নাছের খান বলেন, ‘ফ্যাসিজমের সব উপাদান এখনো রয়েছে, সেগুলো দূর করতে হবে। তার কোনো প্রদর্শন দেখছি না। যারা আহত হয়েছে, যারা কাতরাচ্ছে, তাদের চিকিৎসা নিচ্ছে, তাদের ক্ষেত্রেও অবহেলা দেখছি। নিহতদের স্মরণে কোনো মেমোরিয়াল দেখছি না। কোনো কিছুর উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। ৫৩ বছরের বাংলাদেশ আর এখনকার বাংলাদেশকে আলাদা করতে হবে, আলাদা না হলে বিপ্লবের স্পিরিট নষ্ট হয়ে যাবে।’
আইন উপদেষ্টার কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘৭২-এর সংবিধানে ফ্যাসিবাদের সব উপাদান ছিল, সেগুলো অপসারণ করতে হবে। বিভিন্ন জায়গায় খুবই আনফিট লোক দিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। জুলাই-আগস্টের গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। রন্ধ্রে রন্ধ্রে যে ফ্যাসিবাদ ছিল, সেগুলো উপড়ে ফেলতে হবে। অনেক সময়ক্ষেপণ হয়েছে, আর নয়।’
সংলাপে মেজর (অব.) ব্যারিস্টার সরওয়ার বলেন, ‘সংস্কার শুরু হয়েছে, আরও সংস্কার দরকার। আপনি ১২ জন কিংবা ১৫ জন উপদেষ্টা দিয়ে পারছেন না, আপনি ৫০ জন উপদেষ্টা আনছেন না কেন? শুধু যোগাযোগ মন্ত্রণালয়েই তো আমার মতে পাঁচজন দরকার। যেভাবে বাংলাদেশে যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, এখান থেকে উত্তরণের উপায় কী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তো বড় দায়িত্ব। একজন উপদেষ্টা কীভাবে পারবে, এটার জন্য তো দু–তিনজন দরকার। স্বৈরাচারীদের ১০টি ট্রাইব্যুনাল গঠন করে বিচার করতে হবে। দুর্বৃত্তায়নের সঙ্গে জড়িত পুরো প্রশাসনকে বাদ দিয়ে যারা বিপ্লবের স্পিরিট ধারণ করে, তাদের তিন মাসের ট্রেনিং দিয়ে কাজে ঢোকাতে হবে, আমাদের অনেক বেকার আছে। এটা এক বছরে করা সম্ভব।’
চায়ের আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত মেগান বোল্ডিনের বাসভবনে গেলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
১১ ঘণ্টা আগেজুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলন সফল হওয়ার পেছনে খোদ আওয়ামী লীগের সাধারণ সমর্থকদেরও ভূমিকা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল রিসার্চ (বিআইএসআর) ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. খুরশিদ আলম। তিনি ২০০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়নকারী ও নীতিমালা প্রস্তুতকারী ছিলেন
১২ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে যাওয়ার পরবর্তী তিন মাস ‘মবের মুল্লুক’ মনে হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারে যারা আছেন তাঁরা চেষ্টা করছেন সংস্কার করার। তাঁদের সফলতা-ব্যর্থতা নিয়ে এখনই মন্তব্য করা ঠিক হবে না। সময় দিতে হবে।’
১৩ ঘণ্টা আগেসংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল চেয়েছেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে জারি করা রুলের শুনানিতে তিনি বলেন, ‘সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ এক ধরনের বাক্স্বাধীনতাকে খর্ব করে। এ জন্য ৭০ অনুচ্ছেদ আমরা বাতিল চাই।’
১৪ ঘণ্টা আগে