‘মেজর হাফিজকে নিয়ে গণমাধ্যমে যেটি এসেছে, সেটি সরকারের ব্যর্থ প্রকল্পের বহিঃপ্রকাশ’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২৪, ১৪: ২৫
আপডেট : ১৮ মার্চ ২০২৪, ১৪: ৪০

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেছেন, সরকার এই নির্বাচনের আগে একটি প্রকল্প নিয়েছিল, তারপর সে প্রকল্পে ব্যর্থ হয়ে আরও প্রকল্প নিয়েছিল। হাফিজ সাহেবকে (মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজ উদ্দিন আহমেদ) নিয়ে গণমাধ্যমে যেটি এসেছে সেটি সরকারে ব্যর্থ প্রকল্পের বহিঃপ্রকাশ। 

আজ সোমবার সদ্য কারামুক্ত বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলম রবির বাসায় গিয়ে খোঁজখবর নিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। এর আগে তিনি সদ্য কারামুক্ত ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ারের বাসায় যান। 

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর অব. হাফিজ উদ্দিন আহমেদ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মঈন খান বলেন, সরকার যে অপচেষ্টা করেছিল সেটি সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। সেটি প্রমাণিত হয়েছে। সরকার এই নির্বাচনের আগে একটি প্রকল্প নিয়েছিল, তারপর সে প্রকল্পে ফেল করলে আরও একটি প্রকল্প নিয়েছিল। হাফিজ সাহেবকে নিয়ে গণমাধ্যমে যেটি এসেছে, সেটি সরকারের ব্যর্থ প্রকল্পের বহিঃপ্রকাশ। 

মঈন খান বলেন, সরকার একটা প্রহসন করে, একটা নির্বাচনের নাটক মঞ্চায়িত করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে আত্মস্বীকৃত নির্বাচন বলে প্রমাণ হয়ে গেল। 

‘আমাদের বন্ধু রাষ্ট্রের সহায়তা তো আমরাও চাই’—এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যদি আমাদের বন্ধু রাষ্ট্রের সহায়তা চায় একটি একদলীয় শাসনের জন্য, আমরা কিন্তু বন্ধু রাষ্ট্রের সহায়তা চাই একটি ভিন্ন কারণে, সেটি হলো বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক সরকার গঠনের জন্য। আমরা তো কারও সঙ্গে কোনো শত্রুতা চাই না।’ 

বাংলাদেশের মানুষের একটি আকাঙ্ক্ষা হলো গণতন্ত্র, এ ছাড়া দ্বিতীয় কোনো আকাঙ্ক্ষা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, সে কথা সরকার স্বীকার করুক আর নাই করুক। 

সদ্য কারামুক্ত ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ারের বাসায় মঈন খান বলেন, সরকার যদি মনে করে থাকে এভাবে চিরদিন বন্দুক, টিয়ার গ্যাস, গ্রেনেড দিয়ে ক্ষমতায় থাকবে, এটা একটা দুরাশা মাত্র। মরীচিকার স্বপ্ন নিয়ে সরকার বাংলাদেশে টিকে থাকতে পারবে না। এ দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবে, ইনশা আল্লাহ। 

কারাগারের চিত্র তুলে ধরে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রবিউল ইসলাম রবি বলেন, ‘আমি এই সরকারের আমলে ৯ বার কারাগারে গিয়েছি। তবে এবারের বিষয়টা ব্যতিক্রম। কারাগারে আইসোলেশন ছিল ২৪ ঘণ্টা। লকআপে রাখা হয়েছে, সেলের বাইরে কাউকে যেতে দেওয়া হয়নি। এবারের মতো কারাবাস আমি কখনো করিনি আর পৃথিবীর এমন কোথাও আছে কি না, আমার জানা নেই।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত