নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিএনপির ভারতীয় পণ্য বর্জন ডাকের সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘দলটির (বিএনপি) নেতারা বাসায় গিয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ালে ভারতীয় পণ্য বর্জনের বিষয়টি বিশ্বাস হবে।’
আজ বুধবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটা কথা না বলে পারলাম না। বিএনপির এক নেতা চাদর খুলে পোড়াল। যে নেতারা বলছেন ভারতীয় পণ্য বর্জন করবেন, তাদের বউদের কয়খানা ভারতীয় শাড়ি আছে, আমি জানি। ঈদের আগে দেখতাম বিএনপির মন্ত্রীদের বউয়েরা ভারত থেকে শাড়ি এনে বিক্রি করত।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি এখন বলব, বিএনপির নেতারা যদি বাসায় গিয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান, তাহলে বিশ্বাস করব আপনারা সত্যি ভারতীয় শাড়ি বর্জন করলেন। ভারতীয় মসলা তারা খেতে পারবে কি না, এই উত্তরও তাদের দিতে হবে। আপনারা এই পণ্য সত্যিই বর্জন করছেন কি না, এই কথাটাই আমরা জানতে চাই।’
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বেতনভুক্ত কর্মচারী ছিলেন বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, ‘আজকের যে দলটি বড় বড় কথা বলে যে ২৫ মার্চ আওয়ামী লীগের সবাই পালিয়ে গেছে! আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে যুদ্ধ পরিচালনা করল, সশস্ত্র বাহিনীর গড়ে তোলা হলো। বিভিন্ন সেক্টরে বাংলাদেশকে ভাগ করা হলো। একেকটা সেক্টরের দায়িত্ব দেওয়া হলো। সেক্টরের যিনি দায়িত্ব ছিলেন, তিনি আহত হওয়ার পর জিয়াউর রহমান দায়িত্ব পায়, জিয়াউর রহমান একটা বেতনভুক্ত কর্মচারী হিসেবে কাজ করেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বেতনভুক্ত কর্মচারী ছিল জিয়াউর রহমান। এ কথা নিশ্চয়ই তাদের ভুলে গেলে চলবে না। এটাও ভুললে চলবে না যে, স্বাধীনতার পর তিনি ছিলেন একজন মেজর।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতার পর জিয়াউর রহমান মেজর থেকে মেজর জেনারেল হলো, এই প্রমোশনগুলা একে একে কে দিয়েছে? এটাও তো আওয়ামী লীগ সরকার দিয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব দিয়েছে। এই অকৃতজ্ঞরা সেটাও ভুলে যায়।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘পাকিস্তান হানাদার বাহিনী যখন এখানে (ঢাকায়) গণহত্যা শুরু করে, তারা কিন্তু চট্টগ্রামেও হত্যাকাণ্ড শুরু করেছিল। যারা জাতির পিতার আহ্বানে সাড়া দিয়ে ব্যারিকেড দিচ্ছিল, তাদের ওপর গুলি চালিয়েছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর দায়িত্বে জিয়াউর রহমান ছিল। সেই সময় যারা ব্যারিকেড দিয়েছে, জিয়াউর রহমানও তাদের ওপর গুলি চালিয়েছে। শুধু তাই নয়, সোয়াদ জাহাজ এসেছে পাকিস্তান থেকে অস্ত্র নিয়ে, সেই অস্ত্র খালাস করতে গিয়েছিল জিয়াউর রহমান। ২৫ মার্চ এই পাকিস্তান হানাদার বাহিনী যে আক্রমণ চালায়, সেই আক্রমণকারী একজন কিন্তু জিয়াউর রহমান।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘ইতিহাস বিকৃত করে এখনো ভাঙা রেকর্ডের মতো বলে যাচ্ছে। ওদের কখনো আক্কেল সেলামি হবে না! এখন তারা মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে, তখন তারা কে কোথায় ছিল? যিনি বলেন যে ২৫ মার্চ পালিয়ে গিয়েছিল, তার বাবা কে ছিল? স্বাধীনতার পর ’৭৪ সালে যে দুর্ভিক্ষ হয়, তখন খাদ্যসচিব ছিল, এই খাদ্যসচিব বেইমানি করে ভ্রান্ত তথ্য দিয়ে দুর্ভিক্ষ ঘটিয়েছিল। জিয়াউর রহমান যখন অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে, তখন পুরস্কার পেয়েছিল। তাঁকে মন্ত্রীর মর্যাদায় উপদেষ্টা বানিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ দেশে মানুষের মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছে। সেই দল ক্ষমতায় থাকলে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়, সেটা তো আজকে প্রমাণিত। ক্ষমতা দখলকারীরা, অর্থাৎ টেলিভিশনে ঘোষণা দিয়ে আমি রাষ্ট্রপতি হলাম, এই ‘হলাম’ পার্টিরা যখন ক্ষমতা ছিল, এ দেশের মানুষের ভাগ্যে কী ছিল? ক্ষুধা, দারিদ্র্য, অশিক্ষা, চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই; শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অস্ত্রের ঝনঝনানি, সেশনজট—এই তো অবস্থাটা ছিল।’
তিনি বলেন, ‘আজকে যাঁরা প্রশ্ন করেন আওয়ামী লীগ কোথায় ছিল। আমি জিজ্ঞেস করি, আপনারা কোথায় ছিলেন, সেটাও একটু বলেন। জবাব দিন।’
এই অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোশাররফ হোসেন, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমেদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি প্রমুখ।
বিএনপির ভারতীয় পণ্য বর্জন ডাকের সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘দলটির (বিএনপি) নেতারা বাসায় গিয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ালে ভারতীয় পণ্য বর্জনের বিষয়টি বিশ্বাস হবে।’
আজ বুধবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটা কথা না বলে পারলাম না। বিএনপির এক নেতা চাদর খুলে পোড়াল। যে নেতারা বলছেন ভারতীয় পণ্য বর্জন করবেন, তাদের বউদের কয়খানা ভারতীয় শাড়ি আছে, আমি জানি। ঈদের আগে দেখতাম বিএনপির মন্ত্রীদের বউয়েরা ভারত থেকে শাড়ি এনে বিক্রি করত।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি এখন বলব, বিএনপির নেতারা যদি বাসায় গিয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান, তাহলে বিশ্বাস করব আপনারা সত্যি ভারতীয় শাড়ি বর্জন করলেন। ভারতীয় মসলা তারা খেতে পারবে কি না, এই উত্তরও তাদের দিতে হবে। আপনারা এই পণ্য সত্যিই বর্জন করছেন কি না, এই কথাটাই আমরা জানতে চাই।’
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বেতনভুক্ত কর্মচারী ছিলেন বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, ‘আজকের যে দলটি বড় বড় কথা বলে যে ২৫ মার্চ আওয়ামী লীগের সবাই পালিয়ে গেছে! আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে যুদ্ধ পরিচালনা করল, সশস্ত্র বাহিনীর গড়ে তোলা হলো। বিভিন্ন সেক্টরে বাংলাদেশকে ভাগ করা হলো। একেকটা সেক্টরের দায়িত্ব দেওয়া হলো। সেক্টরের যিনি দায়িত্ব ছিলেন, তিনি আহত হওয়ার পর জিয়াউর রহমান দায়িত্ব পায়, জিয়াউর রহমান একটা বেতনভুক্ত কর্মচারী হিসেবে কাজ করেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বেতনভুক্ত কর্মচারী ছিল জিয়াউর রহমান। এ কথা নিশ্চয়ই তাদের ভুলে গেলে চলবে না। এটাও ভুললে চলবে না যে, স্বাধীনতার পর তিনি ছিলেন একজন মেজর।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতার পর জিয়াউর রহমান মেজর থেকে মেজর জেনারেল হলো, এই প্রমোশনগুলা একে একে কে দিয়েছে? এটাও তো আওয়ামী লীগ সরকার দিয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব দিয়েছে। এই অকৃতজ্ঞরা সেটাও ভুলে যায়।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘পাকিস্তান হানাদার বাহিনী যখন এখানে (ঢাকায়) গণহত্যা শুরু করে, তারা কিন্তু চট্টগ্রামেও হত্যাকাণ্ড শুরু করেছিল। যারা জাতির পিতার আহ্বানে সাড়া দিয়ে ব্যারিকেড দিচ্ছিল, তাদের ওপর গুলি চালিয়েছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর দায়িত্বে জিয়াউর রহমান ছিল। সেই সময় যারা ব্যারিকেড দিয়েছে, জিয়াউর রহমানও তাদের ওপর গুলি চালিয়েছে। শুধু তাই নয়, সোয়াদ জাহাজ এসেছে পাকিস্তান থেকে অস্ত্র নিয়ে, সেই অস্ত্র খালাস করতে গিয়েছিল জিয়াউর রহমান। ২৫ মার্চ এই পাকিস্তান হানাদার বাহিনী যে আক্রমণ চালায়, সেই আক্রমণকারী একজন কিন্তু জিয়াউর রহমান।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘ইতিহাস বিকৃত করে এখনো ভাঙা রেকর্ডের মতো বলে যাচ্ছে। ওদের কখনো আক্কেল সেলামি হবে না! এখন তারা মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে, তখন তারা কে কোথায় ছিল? যিনি বলেন যে ২৫ মার্চ পালিয়ে গিয়েছিল, তার বাবা কে ছিল? স্বাধীনতার পর ’৭৪ সালে যে দুর্ভিক্ষ হয়, তখন খাদ্যসচিব ছিল, এই খাদ্যসচিব বেইমানি করে ভ্রান্ত তথ্য দিয়ে দুর্ভিক্ষ ঘটিয়েছিল। জিয়াউর রহমান যখন অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে, তখন পুরস্কার পেয়েছিল। তাঁকে মন্ত্রীর মর্যাদায় উপদেষ্টা বানিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ দেশে মানুষের মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছে। সেই দল ক্ষমতায় থাকলে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়, সেটা তো আজকে প্রমাণিত। ক্ষমতা দখলকারীরা, অর্থাৎ টেলিভিশনে ঘোষণা দিয়ে আমি রাষ্ট্রপতি হলাম, এই ‘হলাম’ পার্টিরা যখন ক্ষমতা ছিল, এ দেশের মানুষের ভাগ্যে কী ছিল? ক্ষুধা, দারিদ্র্য, অশিক্ষা, চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই; শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অস্ত্রের ঝনঝনানি, সেশনজট—এই তো অবস্থাটা ছিল।’
তিনি বলেন, ‘আজকে যাঁরা প্রশ্ন করেন আওয়ামী লীগ কোথায় ছিল। আমি জিজ্ঞেস করি, আপনারা কোথায় ছিলেন, সেটাও একটু বলেন। জবাব দিন।’
এই অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোশাররফ হোসেন, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমেদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি প্রমুখ।
চায়ের আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত মেগান বোল্ডিনের বাসভবনে গেলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
১২ ঘণ্টা আগেজুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলন সফল হওয়ার পেছনে খোদ আওয়ামী লীগের সাধারণ সমর্থকদেরও ভূমিকা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল রিসার্চ (বিআইএসআর) ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. খুরশিদ আলম। তিনি ২০০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়নকারী ও নীতিমালা প্রস্তুতকারী ছিলেন
১৩ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে যাওয়ার পরবর্তী তিন মাস ‘মবের মুল্লুক’ মনে হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারে যারা আছেন তাঁরা চেষ্টা করছেন সংস্কার করার। তাঁদের সফলতা-ব্যর্থতা নিয়ে এখনই মন্তব্য করা ঠিক হবে না। সময় দিতে হবে।’
১৩ ঘণ্টা আগেসংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল চেয়েছেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে জারি করা রুলের শুনানিতে তিনি বলেন, ‘সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ এক ধরনের বাক্স্বাধীনতাকে খর্ব করে। এ জন্য ৭০ অনুচ্ছেদ আমরা বাতিল চাই।’
১৪ ঘণ্টা আগে