দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি। এই বিষয়ে জাতীয় সংসদে দাবি তুলেছেন দলটির সাংসদরা। এমনকি তাঁরা সংসদ থেকে পদত্যাগের কথাও বলেছেন। 

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে দিনের কার্যসূচি শেষে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে বগুড়া-৬ আসনের গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সংসদে থাকা সম্ভব নাও হতে পারে। পরে আইনমন্ত্রী উত্তরে বলেছেন, আইনের বাইরে সরকারের যাওয়ার সুযোগ নেই। 

গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ বলেন, ‘আমরা ছয়জন (বিএনপি দলীয়) এই সংসদে আছি। আওয়ামী লীগের বন্ধুরা বলে থাকেন এটা এই সংসদের জন্য অলংকার। আজকে তাই বলতে চাই যদি আমরা সত্যিকারভাবেই অলংকার হয়ে থাকি, তাহলে এই সংসদ অলংকারবিহীন করবেন না। ম্যাডামের শারীরিক অবস্থার যদি অবনতি হয়, তাহলে আমাদের এই সংসদে থাকা সম্ভব নাও হতে পারে।’ 

গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ তাঁর বক্তব্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করতে চাই সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দু-এক দিনের মধ্যে জামিন দিয়ে বিদেশে পাঠানো হোক। অন্যথায় কিছু একটা হয়ে গেলে এর দায় আওয়ামী লীগকে আজীবন বহন করতে হবে। 

গতকাল বুধবার সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শপথ নিয়েছিলেন, তিনি রাগ বিরাগের বশবর্তী হবেন না। কিন্তু গতকাল বুধবার ওনার বক্তব্যের সঙ্গে শপথের ভাষা সাংঘর্ষিক মনে হয়েছে। 

এর আগে দলটির আরেক সাংসদ মোশারফ হোসেন বলেন, ‘আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কিডনি, লিভার, ফুসফুস, উচ্চ রক্তচাপ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। প্রধানমন্ত্রী অনেক মানবতা দেখিয়েছে। আরেকটু মানবতা আমরা প্রত্যাশা করি।’ 

এর আগে গতকাল বুধবার সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য তিনি নির্বাহী ক্ষমতায় যা করার ছিল তা করেছেন। বাকিটা আইনের ব্যাপার। বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে নিজের ওপর হামলা-ষড়যন্ত্রের ঘটনাগুলো তুলে ধরে তিনি বলেন, যে এত বড় অমানবিক তাকেও আমরা মানবিকতা দেখিয়েছি।