নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম তিন সংগঠনের একই দিনে পাল্টাপাল্টি সমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘাতের শঙ্কা পুলিশের। তাই সংঘাত ঠেকাতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এরই মধ্যে রাজধানীতে প্রবেশ মুখগুলোতে তল্লাশি, গ্রেপ্তার ও এলাকাভিত্তিক পুলিশের তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। একই দিনে দুই দলের সমাবেশের ঘোষণা দেওয়ায় নগরবাসীর মধ্যে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়েছে।
বিএনপির মহাসমাবেশ ছিল বৃহস্পতিবার একই দিনে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছিল যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ। তবে স্থান জটিলতা ও সংঘাত এড়াতে মহাসমাবেশ একদিন পিছিয়ে শুক্রবার নয়াপল্টনে করার ঘোষণা দেয় বিএনপি। তাদের ঘোষণা পরই আওয়ামী লীগও তাদের সমাবেশ একদিন পিছিয়ে শুক্রবার দিয়েছে।
পুলিশের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা প্রতিবেদন অনুযায়ী তারা আশঙ্কা করছে সমাবেশস্থলে অবস্থান নিয়ে পুরো শহরে নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বিএনপির।
আশঙ্কা থেকে বুধবার সকাল থেকে ঢাকার কেরানীগঞ্জের কদমতলী, সাভারের আমিনবাজার, গাজীপুরের টঙ্গী এবং নারায়ণগঞ্জের কাচপুর ব্রিজ, চিটাগাং রোডে এবং ঢাকা সিলেট রোডে পুলিশের তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে। ঢাকার ভেতরে থানা-পুলিশ বিভিন্ন সড়কে তল্লাশি চৌকি বসায়। এছাড়াও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের বিভিন্ন বিভাগ সাদা পোশাকে শহরে টহল কার্যক্রম বৃদ্ধি করেছে। বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেও পুলিশ বাড়ানো হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ডিএমপি বিএনপির ৫৩ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। যাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সন্ধ্যার পর ডেমরা থেকে আরও ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সকাল থেকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের পোস্তগোলা ব্রিজের গোড়ায়, বাবুবাজার ব্রিজের মুখে কদমতলী গোলচত্বর ও বসিলা সেতুর দক্ষিণ প্রান্ত ঘাটারচরে তল্লাশি চৌকি বসায় পুলিশ। এ সময় তারা বিভিন্ন যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশি চালায়। যাত্রীদের কাছে পুলিশ নাম পরিচয় ও গন্তব্য জানতে চেয়েছে।
ঢাকা জেলা পুলিশ ছাড়াও সাভার ও আমিন বাজারেও টহল পুলিশ বাড়ানো হয়েছে। টঙ্গী ও আব্দুল্লাহপুরে পুলিশের তল্লাশি চৌকি বসিয়ে পথচারীদের তল্লাশি করা হয়েছে।
পাল্টাপাল্টি সমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকায় নাগরিকদের মধ্যে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার তৈরি হয়েছে। বুধবার দুপুরের পর থেকে ঢাকায় যাত্রীবাহী বাসও কমে আসে। বিএনপির সমাবেশের ঘোষণার দিন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম তিন সংগঠন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে। তাদের নেতা-কর্মীরাও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে সমাবেশে অংশ নেবেন।
এদিকে, বিএনপির নেতা–কর্মীরা সড়কে বসে পড়তে পারে এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে দলটিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বা নয়াপল্টন এলাকায় সমাবেশের অনুমতি দেয়নি ডিএমপি।
পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএনপির পক্ষ থেকে জেলা পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের ঢাকায় সমাবেশে এসে বসে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। পুরোনো চাদর, কাপড় আর কিছু শুকনো খাবারও সঙ্গে আনতে বলা হয়।
পুলিশ আশঙ্কা করছে, সমাবেশস্থলে অবস্থান নিয়ে পুরো শহরে নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বিএনপির। প্রয়োজনে তারা নাশকতার পথও বেছে নিতে পারে।
পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, গোলাপবাগে বিএনপি সমাবেশ না করলে, নতুন করে আবেদন করতে হবে। এরপর পরিবেশ-পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
এর আগে বুধবার সকালে পবিত্র আশুরা পালন ও তাজিয়া মিছিল উপলক্ষে লালবাগে হোসাইনী দালান ইমামবাড়ার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে পুলিশ কমিশনার বলেন, ভবিষ্যতে কর্মদিবসে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করা থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করব। এতে করে কয়েক লাখ জনগণ রাস্তায় যানজটে আটকা পড়ে ও ঢাকা মহানগর স্থির হয়ে যায়।
অন্যদিকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমাবেশ ঘিরে যেকোনো ধরনের নাশকতা এড়াতে রাজধানী ঢাকার প্রবেশপথগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে র্যাব। র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ঢাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের নিয়মিত পেট্রোলিং চলছে। ঢাকার প্রবেশদ্বারগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। যাতে কেউ অবৈধ অস্ত্র নিয়ে বা নাশকতা সৃষ্টির মতো কোনো ধরনের কোনো সামগ্রী নিয়ে ঢাকায় প্রবেশ করতে না পারে। তাই চেকপোস্ট স্থাপন করে প্রবেশদ্বারে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
রাজধানীতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম তিন সংগঠনের একই দিনে পাল্টাপাল্টি সমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘাতের শঙ্কা পুলিশের। তাই সংঘাত ঠেকাতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এরই মধ্যে রাজধানীতে প্রবেশ মুখগুলোতে তল্লাশি, গ্রেপ্তার ও এলাকাভিত্তিক পুলিশের তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। একই দিনে দুই দলের সমাবেশের ঘোষণা দেওয়ায় নগরবাসীর মধ্যে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়েছে।
বিএনপির মহাসমাবেশ ছিল বৃহস্পতিবার একই দিনে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছিল যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ। তবে স্থান জটিলতা ও সংঘাত এড়াতে মহাসমাবেশ একদিন পিছিয়ে শুক্রবার নয়াপল্টনে করার ঘোষণা দেয় বিএনপি। তাদের ঘোষণা পরই আওয়ামী লীগও তাদের সমাবেশ একদিন পিছিয়ে শুক্রবার দিয়েছে।
পুলিশের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা প্রতিবেদন অনুযায়ী তারা আশঙ্কা করছে সমাবেশস্থলে অবস্থান নিয়ে পুরো শহরে নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বিএনপির।
আশঙ্কা থেকে বুধবার সকাল থেকে ঢাকার কেরানীগঞ্জের কদমতলী, সাভারের আমিনবাজার, গাজীপুরের টঙ্গী এবং নারায়ণগঞ্জের কাচপুর ব্রিজ, চিটাগাং রোডে এবং ঢাকা সিলেট রোডে পুলিশের তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে। ঢাকার ভেতরে থানা-পুলিশ বিভিন্ন সড়কে তল্লাশি চৌকি বসায়। এছাড়াও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের বিভিন্ন বিভাগ সাদা পোশাকে শহরে টহল কার্যক্রম বৃদ্ধি করেছে। বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেও পুলিশ বাড়ানো হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ডিএমপি বিএনপির ৫৩ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। যাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সন্ধ্যার পর ডেমরা থেকে আরও ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সকাল থেকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের পোস্তগোলা ব্রিজের গোড়ায়, বাবুবাজার ব্রিজের মুখে কদমতলী গোলচত্বর ও বসিলা সেতুর দক্ষিণ প্রান্ত ঘাটারচরে তল্লাশি চৌকি বসায় পুলিশ। এ সময় তারা বিভিন্ন যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশি চালায়। যাত্রীদের কাছে পুলিশ নাম পরিচয় ও গন্তব্য জানতে চেয়েছে।
ঢাকা জেলা পুলিশ ছাড়াও সাভার ও আমিন বাজারেও টহল পুলিশ বাড়ানো হয়েছে। টঙ্গী ও আব্দুল্লাহপুরে পুলিশের তল্লাশি চৌকি বসিয়ে পথচারীদের তল্লাশি করা হয়েছে।
পাল্টাপাল্টি সমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকায় নাগরিকদের মধ্যে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার তৈরি হয়েছে। বুধবার দুপুরের পর থেকে ঢাকায় যাত্রীবাহী বাসও কমে আসে। বিএনপির সমাবেশের ঘোষণার দিন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম তিন সংগঠন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে। তাদের নেতা-কর্মীরাও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে সমাবেশে অংশ নেবেন।
এদিকে, বিএনপির নেতা–কর্মীরা সড়কে বসে পড়তে পারে এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে দলটিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বা নয়াপল্টন এলাকায় সমাবেশের অনুমতি দেয়নি ডিএমপি।
পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএনপির পক্ষ থেকে জেলা পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের ঢাকায় সমাবেশে এসে বসে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। পুরোনো চাদর, কাপড় আর কিছু শুকনো খাবারও সঙ্গে আনতে বলা হয়।
পুলিশ আশঙ্কা করছে, সমাবেশস্থলে অবস্থান নিয়ে পুরো শহরে নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বিএনপির। প্রয়োজনে তারা নাশকতার পথও বেছে নিতে পারে।
পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, গোলাপবাগে বিএনপি সমাবেশ না করলে, নতুন করে আবেদন করতে হবে। এরপর পরিবেশ-পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
এর আগে বুধবার সকালে পবিত্র আশুরা পালন ও তাজিয়া মিছিল উপলক্ষে লালবাগে হোসাইনী দালান ইমামবাড়ার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে পুলিশ কমিশনার বলেন, ভবিষ্যতে কর্মদিবসে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করা থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করব। এতে করে কয়েক লাখ জনগণ রাস্তায় যানজটে আটকা পড়ে ও ঢাকা মহানগর স্থির হয়ে যায়।
অন্যদিকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমাবেশ ঘিরে যেকোনো ধরনের নাশকতা এড়াতে রাজধানী ঢাকার প্রবেশপথগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে র্যাব। র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ঢাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের নিয়মিত পেট্রোলিং চলছে। ঢাকার প্রবেশদ্বারগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। যাতে কেউ অবৈধ অস্ত্র নিয়ে বা নাশকতা সৃষ্টির মতো কোনো ধরনের কোনো সামগ্রী নিয়ে ঢাকায় প্রবেশ করতে না পারে। তাই চেকপোস্ট স্থাপন করে প্রবেশদ্বারে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
অভ্যন্তরীণ হস্তক্ষেপ না করার মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এগোতে পারে বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আজ শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পানি বণ্টন সংকটের মীমাংসা খুঁজতে ‘অভিন্ন নদীর পানি ও ভারত...
১৫ ঘণ্টা আগেসুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন আয়োজন করাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান।
১৬ ঘণ্টা আগেআওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা যদি ভালো হয়ে যেতে চান, তাহলে সকল সহযোগিতা থাকবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের
১৭ ঘণ্টা আগেদেশে গণ-অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী বিপ্লবী সরকার গঠিত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম। তিনি বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের শক্তির ওপর দাঁড়িয়ে অন্তর্বর্তীকালীন বিপ্লবী সরকার গঠিত হয়নি। ফলে শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে পেরেছেন
২১ ঘণ্টা আগে