নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সঙ্গে বৈঠকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদচ্যুতির বিষয়ে বিএনপি সিদ্ধান্ত জানায়নি। দলীয় ফোরামে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহকে জানিয়েছেন নেতারা।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ ও যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী অংশ নেন। সেখানে হাসনাতসহ দুই সংগঠনের ৭ জন নেতা ছিলেন।
দেড় ঘণ্টার বৈঠক শেষে সন্ধ্যা ৭টায় বেরিয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে তারা (বিএনপি নেতারা) আমাদের বক্তব্য জেনেছেন। খুবই ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে, তারা আমাদের সব কথাই শুনেছেন। এ বিষয়ে তারা তাদের ফোরামে কথা বলে সিদ্ধান্ত জানাবেন। আশা করি, তারা সেই জায়গাটা স্পষ্ট করবেন।’
বৈঠকের আলোচনা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে হাসনাত বলেন, ‘আমরা তিনটি বিষয় নিয়ে মূলত আলোচনা করেছি— প্রক্লেমেশন অব সেকেন্ড রিপাবলিক। সেটা কীভাবে করা যায় এবং ঘোষণা দেব, সে বিষয়ে আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। দ্বিতীয়ত চুপ্পুর অপসারণটা কীভাবে আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে করতে পারি এবং সেক্ষেত্রে যে কোনো ধরণের সংকট কীভাবে এড়ানো যায়, সে ব্যাপারে আমরা আলোচনা করেছি। তৃতীয়ত, জাতীয় ঐক্য ধরে রেখে এই সরকারের কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা কীভাবে অব্যাহত রাখা যায়, সে বিষয়টি নিয়ে আমরা কথা বলেছি। বিএনপির নেতৃবৃন্দ আমাদের সব কথা শুনেছেন। তারা জানিয়েছেন আমাদের কাছ থেকে পাওয়া বার্তা নিয়ে তারা তাদের ফোরামে কথা বলবেন।’
বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটি
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ ব্যবস্থা বিলোপের প্রথম ধাপ ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতন আমরা ঘটিয়েছি। এখন এই ফ্যাসিবাদ ব্যবস্থা পূর্ণাঙ্গ বিলোপের ক্ষেত্রে আরেকটি যে বাধা আমাদের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে-চুপ্পুর (রাষ্ট্রপতি) অপসারণ এবং আমাদের যে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত, এসব বিষয় নিয়ে আমরা গত দুই দিন ধরে দেশের প্রধান যে রাজনৈতিক দলগুলো রয়েছে, যারা আমাদের নেতৃত্বে গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করেছেন, ফ্যাসিবাদ বিলোপে অংশগ্রহণ করেছে, তাদের সঙ্গে আমরা আলাপ চালিয়েছি। আজকে আমরা বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করেছি।’
হাসনাত বলেন, ‘গত দুই দিনে বিএনপির পাশাপাশি আমরা জামায়াতের সঙ্গে বসেছিলাম। ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তাদের সঙ্গেও আমরা এ বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেছি। জামায়াতের জায়গা থেকে তারা এ বিষয়ে একমত প্রকাশ করেছে। ইতিমধ্যে তারা তাদের জায়গা থেকে বক্তব্য স্পষ্ট করেছেন যে, নৈতিক জায়গা থেকেই চুপ্পুর আর পদে থাকার গ্রহণযোগ্যতা নেই। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, তারাও একই কথা বলেছে। দ্রুততম সময়ে জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে তারা চুপ্পুর অপসারণ চায়।’
এ সময় জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ‘আমরা যে কথাটা বলতে চাই, চুপ্পু মাস্ট গো। আমরা টাইম ফ্রেম বেঁধে দিচ্ছি না। তবে বাংলাদেশের স্বার্থের জন্য অবশ্যই করতে হবে। জনগণের এই দাবি নিয়ে আমরা মাঠে থাকব। নাগরিক কমিটি ছাত্রদের দাবিতে সমর্থন দিয়েছে এবং আমরা তাদের পাশে থাকব।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সঙ্গে বৈঠকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদচ্যুতির বিষয়ে বিএনপি সিদ্ধান্ত জানায়নি। দলীয় ফোরামে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহকে জানিয়েছেন নেতারা।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ ও যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী অংশ নেন। সেখানে হাসনাতসহ দুই সংগঠনের ৭ জন নেতা ছিলেন।
দেড় ঘণ্টার বৈঠক শেষে সন্ধ্যা ৭টায় বেরিয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে তারা (বিএনপি নেতারা) আমাদের বক্তব্য জেনেছেন। খুবই ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে, তারা আমাদের সব কথাই শুনেছেন। এ বিষয়ে তারা তাদের ফোরামে কথা বলে সিদ্ধান্ত জানাবেন। আশা করি, তারা সেই জায়গাটা স্পষ্ট করবেন।’
বৈঠকের আলোচনা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে হাসনাত বলেন, ‘আমরা তিনটি বিষয় নিয়ে মূলত আলোচনা করেছি— প্রক্লেমেশন অব সেকেন্ড রিপাবলিক। সেটা কীভাবে করা যায় এবং ঘোষণা দেব, সে বিষয়ে আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। দ্বিতীয়ত চুপ্পুর অপসারণটা কীভাবে আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে করতে পারি এবং সেক্ষেত্রে যে কোনো ধরণের সংকট কীভাবে এড়ানো যায়, সে ব্যাপারে আমরা আলোচনা করেছি। তৃতীয়ত, জাতীয় ঐক্য ধরে রেখে এই সরকারের কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা কীভাবে অব্যাহত রাখা যায়, সে বিষয়টি নিয়ে আমরা কথা বলেছি। বিএনপির নেতৃবৃন্দ আমাদের সব কথা শুনেছেন। তারা জানিয়েছেন আমাদের কাছ থেকে পাওয়া বার্তা নিয়ে তারা তাদের ফোরামে কথা বলবেন।’
বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটি
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ ব্যবস্থা বিলোপের প্রথম ধাপ ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতন আমরা ঘটিয়েছি। এখন এই ফ্যাসিবাদ ব্যবস্থা পূর্ণাঙ্গ বিলোপের ক্ষেত্রে আরেকটি যে বাধা আমাদের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে-চুপ্পুর (রাষ্ট্রপতি) অপসারণ এবং আমাদের যে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত, এসব বিষয় নিয়ে আমরা গত দুই দিন ধরে দেশের প্রধান যে রাজনৈতিক দলগুলো রয়েছে, যারা আমাদের নেতৃত্বে গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করেছেন, ফ্যাসিবাদ বিলোপে অংশগ্রহণ করেছে, তাদের সঙ্গে আমরা আলাপ চালিয়েছি। আজকে আমরা বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করেছি।’
হাসনাত বলেন, ‘গত দুই দিনে বিএনপির পাশাপাশি আমরা জামায়াতের সঙ্গে বসেছিলাম। ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তাদের সঙ্গেও আমরা এ বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেছি। জামায়াতের জায়গা থেকে তারা এ বিষয়ে একমত প্রকাশ করেছে। ইতিমধ্যে তারা তাদের জায়গা থেকে বক্তব্য স্পষ্ট করেছেন যে, নৈতিক জায়গা থেকেই চুপ্পুর আর পদে থাকার গ্রহণযোগ্যতা নেই। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, তারাও একই কথা বলেছে। দ্রুততম সময়ে জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে তারা চুপ্পুর অপসারণ চায়।’
এ সময় জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ‘আমরা যে কথাটা বলতে চাই, চুপ্পু মাস্ট গো। আমরা টাইম ফ্রেম বেঁধে দিচ্ছি না। তবে বাংলাদেশের স্বার্থের জন্য অবশ্যই করতে হবে। জনগণের এই দাবি নিয়ে আমরা মাঠে থাকব। নাগরিক কমিটি ছাত্রদের দাবিতে সমর্থন দিয়েছে এবং আমরা তাদের পাশে থাকব।’
চায়ের আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত মেগান বোল্ডিনের বাসভবনে গেলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
৯ ঘণ্টা আগেজুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলন সফল হওয়ার পেছনে খোদ আওয়ামী লীগের সাধারণ সমর্থকদেরও ভূমিকা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল রিসার্চ (বিআইএসআর) ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. খুরশিদ আলম। তিনি ২০০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়নকারী ও নীতিমালা প্রস্তুতকারী ছিলেন
১০ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে যাওয়ার পরবর্তী তিন মাস ‘মবের মুল্লুক’ মনে হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারে যারা আছেন তাঁরা চেষ্টা করছেন সংস্কার করার। তাঁদের সফলতা-ব্যর্থতা নিয়ে এখনই মন্তব্য করা ঠিক হবে না। সময় দিতে হবে।’
১১ ঘণ্টা আগেসংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল চেয়েছেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে জারি করা রুলের শুনানিতে তিনি বলেন, ‘সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ এক ধরনের বাক্স্বাধীনতাকে খর্ব করে। এ জন্য ৭০ অনুচ্ছেদ আমরা বাতিল চাই।’
১১ ঘণ্টা আগে