ঢাবি প্রতিনিধি
জনসংহতি সমিতি বর্তমান সময়ে শুধু প্রাসঙ্গিক দল নয়, আমাদের দেশের গণতান্ত্রিক ধারার উন্নয়নের জন্য একটি প্রাগ্রসর রাজনৈতিক দল। শুধু আঞ্চলিক দল হিসেবে না থেকে জাতীয় স্বার্থে কাজ করার জন্য মূলধারার রাজনীতিতে অংশগ্রহণ প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।
আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর বাংলামোটরে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের মিলনায়তনে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘পাহাড়ে অশান্তি সৃষ্টির কারণ হিসেবে জনসংহতি সমিতির দিকে আঙুল তোলা হয়, কিন্তু আমাদের অভিজ্ঞতা বলে ভিন্ন কথা। পাহাড়ে শান্তি সৃষ্টির জন্য কাজ করে যাচ্ছে জনসংহতি সমিতি। পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন করার জন্য ২৫ বছর ধরে লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে এই সমিতি।’
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সদস্য সাধুরাম ত্রিপুরার সভাপতিত্বে ও সংগঠনটির স্টাফ সদস্য মনিরা ত্রিপুরার সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন—বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, লেখক সাংবাদিক আবু সাইদ খান, ঐক্য ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ তারেক, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সহসাধারণ সম্পাদক ডা. গজেন্দ্রনাথ মাহাতো প্রমুখ।
রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘পাহাড়ে জনগোষ্ঠীদের মাঝে বিভেদ তৈরি করার জন্য রাষ্ট্র থেকে শুরু করে বিভিন্ন পক্ষ থেকে ইন্ধন দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু আমাদের সজাগ থাকতে হবে। পাহাড়ি জনগোষ্ঠীদের মৌলিক অধিকারের জন্য লড়াইকে আমাদের জাতীয় রাজনীতি ও রাজনৈতিক দলগুলোর অন্যতম মৌলিক এজেন্ডা হিসেবে রাখা দরকার। আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রয়োজন। তাঁদের স্বীকৃতির লড়াই আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে জড়িত, আমাদের অগ্রগতির জন্য জড়িত।’
অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল বলেন, ‘আদিবাসী এখন ভাশুরের নাম হয়ে গেছে, মুখে নেওয়া যাবে না। সংবিধানের একটি ধারায় আদিবাসীদের স্বীকৃতি দেওয়া হয়, অন্য একটি ধারা দিয়ে অস্বীকার করা হয়। এত দোটানা কেন! বহুজাতির মাধ্যমে বাঙালি জাতির সৃষ্টি, বাঙালিদের শেকড় খুঁজতে হলে আদিবাসীদের কাছে ফিরে যেতে হবে। সব ধরনের কাজে আদিবাসীদের অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদান করা দরকার।’
আঞ্চলিক দলগুলো জাতীয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করতে পারে না, কে বলেছে বাংলাদেশে গণতন্ত্র আছে? প্রশ্ন তোলেন মেসবাহ কামাল।
মেসবাহ কামাল আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে আঞ্চলিক দলগুলোকে জাতীয় রাজনীতিতে, জাতীয় নির্বাচনে অংশ গ্রহণের স্বাধীনতা দেওয়া হয় না। আঞ্চলিক দল থেকে ভারতে অনেকে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, কিন্তু বাংলাদেশে সেই সুযোগ নেই। জনসংহতি সমিতি তরুণদের পড়ালেখার বিষয়ে গুরুত্ব দেয়, শিক্ষাকে রাজনৈতিক দায়িত্ব মনে করে। বাংলাদেশে শিক্ষাকে রাজনৈতিক দলের অন্যতম দায়িত্ব মনে করে এ রকম কোনো রাজনৈতিক দল নেই।’
জনসংহতি সমিতি না থাকলে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীদের পাঁচ কিংবা সাত শতাংশের বেশি শিক্ষার হার হতো না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জুম লিটারেচার অ্যান্ড কালচারাল সোসাইটির জাতীয় ও দলীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে আলোচনা সভার শুরু হয়। আলোচনা সভায় প্রারম্ভিক বক্তব্য রাখেন জনসংহতি সমিতির তথ্য ও প্রচার বিভাগের সদস্য দীপায়ন খীসা, ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক জগদীশ চাকমা।
জনসংহতি সমিতি বর্তমান সময়ে শুধু প্রাসঙ্গিক দল নয়, আমাদের দেশের গণতান্ত্রিক ধারার উন্নয়নের জন্য একটি প্রাগ্রসর রাজনৈতিক দল। শুধু আঞ্চলিক দল হিসেবে না থেকে জাতীয় স্বার্থে কাজ করার জন্য মূলধারার রাজনীতিতে অংশগ্রহণ প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।
আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর বাংলামোটরে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের মিলনায়তনে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘পাহাড়ে অশান্তি সৃষ্টির কারণ হিসেবে জনসংহতি সমিতির দিকে আঙুল তোলা হয়, কিন্তু আমাদের অভিজ্ঞতা বলে ভিন্ন কথা। পাহাড়ে শান্তি সৃষ্টির জন্য কাজ করে যাচ্ছে জনসংহতি সমিতি। পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন করার জন্য ২৫ বছর ধরে লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে এই সমিতি।’
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সদস্য সাধুরাম ত্রিপুরার সভাপতিত্বে ও সংগঠনটির স্টাফ সদস্য মনিরা ত্রিপুরার সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন—বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, লেখক সাংবাদিক আবু সাইদ খান, ঐক্য ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ তারেক, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সহসাধারণ সম্পাদক ডা. গজেন্দ্রনাথ মাহাতো প্রমুখ।
রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘পাহাড়ে জনগোষ্ঠীদের মাঝে বিভেদ তৈরি করার জন্য রাষ্ট্র থেকে শুরু করে বিভিন্ন পক্ষ থেকে ইন্ধন দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু আমাদের সজাগ থাকতে হবে। পাহাড়ি জনগোষ্ঠীদের মৌলিক অধিকারের জন্য লড়াইকে আমাদের জাতীয় রাজনীতি ও রাজনৈতিক দলগুলোর অন্যতম মৌলিক এজেন্ডা হিসেবে রাখা দরকার। আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রয়োজন। তাঁদের স্বীকৃতির লড়াই আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে জড়িত, আমাদের অগ্রগতির জন্য জড়িত।’
অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল বলেন, ‘আদিবাসী এখন ভাশুরের নাম হয়ে গেছে, মুখে নেওয়া যাবে না। সংবিধানের একটি ধারায় আদিবাসীদের স্বীকৃতি দেওয়া হয়, অন্য একটি ধারা দিয়ে অস্বীকার করা হয়। এত দোটানা কেন! বহুজাতির মাধ্যমে বাঙালি জাতির সৃষ্টি, বাঙালিদের শেকড় খুঁজতে হলে আদিবাসীদের কাছে ফিরে যেতে হবে। সব ধরনের কাজে আদিবাসীদের অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদান করা দরকার।’
আঞ্চলিক দলগুলো জাতীয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করতে পারে না, কে বলেছে বাংলাদেশে গণতন্ত্র আছে? প্রশ্ন তোলেন মেসবাহ কামাল।
মেসবাহ কামাল আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে আঞ্চলিক দলগুলোকে জাতীয় রাজনীতিতে, জাতীয় নির্বাচনে অংশ গ্রহণের স্বাধীনতা দেওয়া হয় না। আঞ্চলিক দল থেকে ভারতে অনেকে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, কিন্তু বাংলাদেশে সেই সুযোগ নেই। জনসংহতি সমিতি তরুণদের পড়ালেখার বিষয়ে গুরুত্ব দেয়, শিক্ষাকে রাজনৈতিক দায়িত্ব মনে করে। বাংলাদেশে শিক্ষাকে রাজনৈতিক দলের অন্যতম দায়িত্ব মনে করে এ রকম কোনো রাজনৈতিক দল নেই।’
জনসংহতি সমিতি না থাকলে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীদের পাঁচ কিংবা সাত শতাংশের বেশি শিক্ষার হার হতো না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জুম লিটারেচার অ্যান্ড কালচারাল সোসাইটির জাতীয় ও দলীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে আলোচনা সভার শুরু হয়। আলোচনা সভায় প্রারম্ভিক বক্তব্য রাখেন জনসংহতি সমিতির তথ্য ও প্রচার বিভাগের সদস্য দীপায়ন খীসা, ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক জগদীশ চাকমা।
চায়ের আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত মেগান বোল্ডিনের বাসভবনে গেলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
১৩ ঘণ্টা আগেজুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলন সফল হওয়ার পেছনে খোদ আওয়ামী লীগের সাধারণ সমর্থকদেরও ভূমিকা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল রিসার্চ (বিআইএসআর) ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. খুরশিদ আলম। তিনি ২০০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়নকারী ও নীতিমালা প্রস্তুতকারী ছিলেন
১৪ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে যাওয়ার পরবর্তী তিন মাস ‘মবের মুল্লুক’ মনে হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারে যারা আছেন তাঁরা চেষ্টা করছেন সংস্কার করার। তাঁদের সফলতা-ব্যর্থতা নিয়ে এখনই মন্তব্য করা ঠিক হবে না। সময় দিতে হবে।’
১৪ ঘণ্টা আগেসংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল চেয়েছেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে জারি করা রুলের শুনানিতে তিনি বলেন, ‘সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ এক ধরনের বাক্স্বাধীনতাকে খর্ব করে। এ জন্য ৭০ অনুচ্ছেদ আমরা বাতিল চাই।’
১৫ ঘণ্টা আগে