নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সংস্কারের অজুহাতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে চাচ্ছে বলে দাবি করেছে দলটি। এক বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ বলেছে, ‘কোনো বিচারিক প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই ড. ইউনূসের সরকার ছাত্রলীগের ওপর সাম্প্রতিক সময়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যা দেশের প্রাচীনতম দলটিকে সংস্কারের অজুহাতে ধ্বংস করার এবং জুলাই-আগস্টের সহিংসতায় চলমান বিচার প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করার ইচ্ছার প্রতিফলন।’
আজ বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বিবৃতিটি পোস্ট করা হয়। ব্রিটিশ গণমাধ্যমকে দেওয়া প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎকারের বিষয়টি তুলে ধরে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই বিবৃতি তখনই এসেছে, যখন আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শত শত নাগরিক অধিকার লঙ্ঘনের শিকার হচ্ছেন, যার মধ্যে লিঞ্চিং, হত্যা এবং শারীরিক নির্যাতনের মতো ঘটনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা ড. ইউনূস দেশের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে চলছে।’
বিবৃতিতে দলীয় নেতা-কর্মীদের উপর হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট করা হয়েছে উল্লেখ করে বলা হয়, ‘এমনকি আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে অভিযোগ করে সাংবাদিক, অধিকারকর্মী, মুক্তচিন্তাবিদ ও লেখকদেরও নির্যাতন করা হয়েছে এবং এই ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচারের অধিকার পদদলিত হয়েছে।’
যাতে আরও বলা হয়, ‘গত দুই মাস ধরে ড. ইউনূস ৮ আগস্টের পর সংঘটিত এই ভয়াবহ নির্যাতনগুলো অস্বীকার করেছেন। আমরা বিশ্বাস করি যে এই ইচ্ছাকৃত অস্বীকৃতি ড. ইউনূসের একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ার দাবির বিপরীতে স্পষ্ট দ্বিমুখিতার বহিঃপ্রকাশ।’
বিবৃতি বলা হয়, ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনগুলো স্বীকার না করে এবং অগণিত ভুক্তভোগীর জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত না করে আওয়ামী লীগকে দানব হিসেবে উপস্থাপন করার ড. ইউনূসের প্রচেষ্টা আসলে সহিংসতার এক দুষ্টচক্রকে উসকে দেওয়ার, হামলাকারীদের আড়াল করার এবং তার শাসনামলে সংঘটিত সব নির্যাতনে তার জড়িত থাকার বিষয়টি প্রকাশ করার একটি নির্লজ্জ প্রচেষ্টা।’
এতে বলা হয়, ব্যাপক শুদ্ধি অভিযানের পর, ড. ইউনূসের চোখের সামনে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে ভিন্ন রাজনৈতিক মতাবলম্বীদের দমন করতে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার মাধ্যমে মিথ্যা হত্যা মামলা দায়ের হতে দায়মুক্তি, ইচ্ছেমতো গ্রেপ্তার এবং সাজানো অভিযোগের ভিত্তিতে নাগরিকদের অবৈধভাবে বন্দী করা—এসব ঘটনা অধিকার সংগঠন ও সাংবাদিকদের নিন্দার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানা গেছে।
এতে আরও বলা হয়, ড. ইউনূস জুলাই-আগস্টের সহিংসতায় বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত এই গুরুতর অধিকার লঙ্ঘন থামাতে ব্যর্থ হয়েছেন, যা নিহত ও আহত ভুক্তভোগীদের জন্য ন্যায়সংগত বিচার নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতির বিপরীতে তার দ্বিচারিতার আরেকটি উদাহরণ।
সাম্প্রদায়িক হামলাকে ‘প্রধান উপদেষ্টা তুচ্ছ করে দেখছেন’ বলে আওয়ামী লীগের বিবৃতিতে দাবি করা হয়। সেখানে বলা হয়, ‘হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে আওয়ামী লীগের সমর্থক হিসেবে চিহ্নিত করছেন ড. ইউনূস, কিন্তু অপরাধীদের বিরুদ্ধে তার আইনি পদক্ষেপের অভাবটি উদ্বেগজনক ও বিপজ্জনক। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলাকে আওয়ামী লীগের সমর্থক বলে চিহ্নিত করার ড. ইউনূসের এই পরিকল্পিত প্রচেষ্টা সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তাকে আরও ঝুঁকির মধ্যে ফেলে, হামলাকারীদের সাহস জোগায় এবং ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করার এক ফ্যাসিবাদী শাসনের চিহ্ন বহন করে।’
এতে আরও বলা হয়, বিচার বিভাগে ব্যাপক শুদ্ধি অভিযানের মাধ্যমে সমস্ত সহিংসতাকে আওয়ামী লীগের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, যা ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচারের জন্য একটি প্রহসন মাত্র।
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়, রাজনৈতিক মতাদর্শ নির্বিশেষে জুলাই-আগস্টের সহিংসতার সঙ্গে যুক্ত সবার বিরুদ্ধে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করতে চাই। তবে আমরা এটাও বলব যে, ড. ইউনূসের আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে হতাশাব্যঞ্জক প্রচেষ্টা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মতামত গঠনের জন্য এক চেষ্টার অংশ, যা শুধু্র তার প্রহসনমূলক বিচার প্রক্রিয়া আয়োজনের হতাশা প্রকাশ করে না, বরং বিভাজনের ঊর্ধ্বে উঠতে তাঁর অক্ষমতা এবং আত্ম-স্বার্থে পরিচালিত প্রতিশোধমূলক দৃষ্টিভঙ্গিও প্রকাশ করে।
সংস্কারের অজুহাতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে চাচ্ছে বলে দাবি করেছে দলটি। এক বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ বলেছে, ‘কোনো বিচারিক প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই ড. ইউনূসের সরকার ছাত্রলীগের ওপর সাম্প্রতিক সময়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যা দেশের প্রাচীনতম দলটিকে সংস্কারের অজুহাতে ধ্বংস করার এবং জুলাই-আগস্টের সহিংসতায় চলমান বিচার প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করার ইচ্ছার প্রতিফলন।’
আজ বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বিবৃতিটি পোস্ট করা হয়। ব্রিটিশ গণমাধ্যমকে দেওয়া প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎকারের বিষয়টি তুলে ধরে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই বিবৃতি তখনই এসেছে, যখন আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শত শত নাগরিক অধিকার লঙ্ঘনের শিকার হচ্ছেন, যার মধ্যে লিঞ্চিং, হত্যা এবং শারীরিক নির্যাতনের মতো ঘটনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা ড. ইউনূস দেশের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে চলছে।’
বিবৃতিতে দলীয় নেতা-কর্মীদের উপর হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট করা হয়েছে উল্লেখ করে বলা হয়, ‘এমনকি আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে অভিযোগ করে সাংবাদিক, অধিকারকর্মী, মুক্তচিন্তাবিদ ও লেখকদেরও নির্যাতন করা হয়েছে এবং এই ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচারের অধিকার পদদলিত হয়েছে।’
যাতে আরও বলা হয়, ‘গত দুই মাস ধরে ড. ইউনূস ৮ আগস্টের পর সংঘটিত এই ভয়াবহ নির্যাতনগুলো অস্বীকার করেছেন। আমরা বিশ্বাস করি যে এই ইচ্ছাকৃত অস্বীকৃতি ড. ইউনূসের একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ার দাবির বিপরীতে স্পষ্ট দ্বিমুখিতার বহিঃপ্রকাশ।’
বিবৃতি বলা হয়, ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনগুলো স্বীকার না করে এবং অগণিত ভুক্তভোগীর জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত না করে আওয়ামী লীগকে দানব হিসেবে উপস্থাপন করার ড. ইউনূসের প্রচেষ্টা আসলে সহিংসতার এক দুষ্টচক্রকে উসকে দেওয়ার, হামলাকারীদের আড়াল করার এবং তার শাসনামলে সংঘটিত সব নির্যাতনে তার জড়িত থাকার বিষয়টি প্রকাশ করার একটি নির্লজ্জ প্রচেষ্টা।’
এতে বলা হয়, ব্যাপক শুদ্ধি অভিযানের পর, ড. ইউনূসের চোখের সামনে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে ভিন্ন রাজনৈতিক মতাবলম্বীদের দমন করতে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার মাধ্যমে মিথ্যা হত্যা মামলা দায়ের হতে দায়মুক্তি, ইচ্ছেমতো গ্রেপ্তার এবং সাজানো অভিযোগের ভিত্তিতে নাগরিকদের অবৈধভাবে বন্দী করা—এসব ঘটনা অধিকার সংগঠন ও সাংবাদিকদের নিন্দার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানা গেছে।
এতে আরও বলা হয়, ড. ইউনূস জুলাই-আগস্টের সহিংসতায় বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত এই গুরুতর অধিকার লঙ্ঘন থামাতে ব্যর্থ হয়েছেন, যা নিহত ও আহত ভুক্তভোগীদের জন্য ন্যায়সংগত বিচার নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতির বিপরীতে তার দ্বিচারিতার আরেকটি উদাহরণ।
সাম্প্রদায়িক হামলাকে ‘প্রধান উপদেষ্টা তুচ্ছ করে দেখছেন’ বলে আওয়ামী লীগের বিবৃতিতে দাবি করা হয়। সেখানে বলা হয়, ‘হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে আওয়ামী লীগের সমর্থক হিসেবে চিহ্নিত করছেন ড. ইউনূস, কিন্তু অপরাধীদের বিরুদ্ধে তার আইনি পদক্ষেপের অভাবটি উদ্বেগজনক ও বিপজ্জনক। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলাকে আওয়ামী লীগের সমর্থক বলে চিহ্নিত করার ড. ইউনূসের এই পরিকল্পিত প্রচেষ্টা সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তাকে আরও ঝুঁকির মধ্যে ফেলে, হামলাকারীদের সাহস জোগায় এবং ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করার এক ফ্যাসিবাদী শাসনের চিহ্ন বহন করে।’
এতে আরও বলা হয়, বিচার বিভাগে ব্যাপক শুদ্ধি অভিযানের মাধ্যমে সমস্ত সহিংসতাকে আওয়ামী লীগের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, যা ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচারের জন্য একটি প্রহসন মাত্র।
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়, রাজনৈতিক মতাদর্শ নির্বিশেষে জুলাই-আগস্টের সহিংসতার সঙ্গে যুক্ত সবার বিরুদ্ধে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করতে চাই। তবে আমরা এটাও বলব যে, ড. ইউনূসের আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে হতাশাব্যঞ্জক প্রচেষ্টা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মতামত গঠনের জন্য এক চেষ্টার অংশ, যা শুধু্র তার প্রহসনমূলক বিচার প্রক্রিয়া আয়োজনের হতাশা প্রকাশ করে না, বরং বিভাজনের ঊর্ধ্বে উঠতে তাঁর অক্ষমতা এবং আত্ম-স্বার্থে পরিচালিত প্রতিশোধমূলক দৃষ্টিভঙ্গিও প্রকাশ করে।
চায়ের আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত মেগান বোল্ডিনের বাসভবনে গেলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
১২ ঘণ্টা আগেজুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলন সফল হওয়ার পেছনে খোদ আওয়ামী লীগের সাধারণ সমর্থকদেরও ভূমিকা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল রিসার্চ (বিআইএসআর) ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. খুরশিদ আলম। তিনি ২০০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়নকারী ও নীতিমালা প্রস্তুতকারী ছিলেন
১৩ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে যাওয়ার পরবর্তী তিন মাস ‘মবের মুল্লুক’ মনে হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারে যারা আছেন তাঁরা চেষ্টা করছেন সংস্কার করার। তাঁদের সফলতা-ব্যর্থতা নিয়ে এখনই মন্তব্য করা ঠিক হবে না। সময় দিতে হবে।’
১৩ ঘণ্টা আগেসংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল চেয়েছেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে জারি করা রুলের শুনানিতে তিনি বলেন, ‘সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ এক ধরনের বাক্স্বাধীনতাকে খর্ব করে। এ জন্য ৭০ অনুচ্ছেদ আমরা বাতিল চাই।’
১৪ ঘণ্টা আগে