রেজা করিম, ঢাকা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে সব মিশন ব্যর্থ হওয়ার পর নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে বিএনপি। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাইছে না দলটি। তার আগেই তারা সরকারকে হটিয়ে মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে চায়। এ বিষয়ে সরাসরি কিছু না বললেও তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন দলটির নেতারা।
বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের একাধিক নেতা জানান, এখন চাওয়া একটাই—স্বল্পতম সময়ের মধ্যে এই সরকারকে হটিয়ে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা। ‘মধ্যবর্তী’ বা ‘অন্তর্বর্তীকালীন’ যে নামেই ডাকা হোক না কেন, তেমন একটি নির্বাচনের পরিস্থিতি সৃষ্টিরই পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে আন্দোলন পুনর্গঠনের কাজ চলছে। চলতি বছরের মধ্যেই নতুন কর্মসূচি নিয়ে পূর্ণোদ্যমে মাঠে নামা হবে। সেভাবেই দলকে প্রস্তুত করা হচ্ছে।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব থেকে সম্প্রতি দলীয় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হয়েছেন সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা স্বল্পতম সময়ের মধ্যেই সরকারের পতন ঘটিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে চাই। জনগণ এই সরকারের ওপর চরমভাবে ক্ষুব্ধ।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান অবশ্য এ বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলতে চাননি। তবে আকারে-ইঙ্গিতে তিনি বলেন, ‘আমাদের চিন্তাভাবনা যা-ই থাকুক না কেন, এই সরকার যা করেছে, তাদের নিজেদেরই তো পদত্যাগ করা উচিত। সময় কখন কোন গতিতে যাবে, সেটা তো বলতে পারছি না। সরকার পতনের আন্দোলন চলমান আছে। এর মাঝে কখন কী হবে, সেটা সময়ই বলে দেবে।’
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নতুন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সংসদ নির্বাচনের পরই দল গোছানোর কাজে হাত দিয়েছে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব। এরই মধ্যে দলের ঢাকাসহ চার মহানগর কমিটি এবং যুবদলের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। ব্যাপক রদবদল আনা হয়েছে দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে। সহযোগী সংগঠনগুলোর দিকেও মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণার পর তাঁতী দল, মহিলা দল, শ্রমিক দলের কমিটি বিলুপ্ত করে ঢেলে সাজানোর প্রক্রিয়া চলমান। যুগপৎ আন্দোলনে গতি আনতে শরিকদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো হয়েছে। আন্দোলনের তেজ বাড়াতে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে। এ ছাড়া কূটনৈতিক পরিমণ্ডলেও তৎপরতা বাড়ানোর পাশাপাশি জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে প্রচারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কোনো কারণে স্বল্পতম সময়ে এই মিশন বাস্তবায়ন সম্ভব না হলে আরও গোছানোভাবে ‘প্ল্যান বি’ নিয়ে এগোনোর চিন্তাও আছে বিএনপিসহ মিত্রদের।
যুগপৎ আন্দোলনে যুক্ত বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘স্বল্পতম সময়ের মধ্যেই বড় চাপ সৃষ্টি করে সরকারকে বিদায় করতে চাই, যাতে দেশে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। নির্বাচনের নামটা “মধ্যবর্তী” হবে কি না, বলতে পারছি না।’
গত বছরের ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে মহাসমাবেশ ঘিরে প্রাণঘাতী সংঘর্ষের পর বিপর্যয়ে পড়ে বিএনপি। সেই বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করলেও দলটি এখনো ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। নির্বাচনের পর এখনো মাঠে গড়ায়নি যুগপৎ আন্দোলন। এই অবস্থায় দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে নেতা-কর্মীরা হতাশ। স্বস্তিতে নেই নীতিনির্ধারকেরাও। এমন বিপর্যস্ত দশা কাটিয়ে নতুন মিশন সফল করা কতটা সম্ভব, সে নিয়ে সংশয় আছে বিএনপির ভেতরেই।
তবে এ বিষয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে রাজি নন কেউ। সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের কথায় এর কিছুটা আভাস মেলে। তিনি বলেন, বিক্ষুব্ধ জনগণকে অধিকার রক্ষার আন্দোলনে সম্পৃক্ত করাটাই এখানে বড় চ্যালেঞ্জ। সেই কাজটা কতটা দক্ষতার সঙ্গে করা যায়, সেটাই বিষয়।
বিএনপির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন নেতার অভিযোগ, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর বলয়ই সুষ্ঠুভাবে দল পরিচালনার পথে বড় প্রতিবন্ধক। তারেক রহমানের বলয় ঘিরে দলের সিনিয়র নেতাদের মধ্যেও অস্বস্তি ও অসন্তোষ অনেকটাই খোলামেলা বিষয়। তারেকের অনিচ্ছায়ই জাতীয় কাউন্সিল হচ্ছে না। কাউন্সিল না করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কমিটিতে পছন্দসই লোক ঢোকানো হচ্ছে।
দলের অপর অংশের নেতাদের দাবি, তারুণ্যনির্ভর নেতৃত্ব তৈরি করতে কেন্দ্রীয় কমিটিতে অপেক্ষাকৃত তরুণ যোগ্য নেতাদের অন্তর্ভুক্ত করছেন তারেক রহমান। আর কাউন্সিল অনুষ্ঠানের উপযুক্ত পরিবেশ না থাকায় বাধ্য হয়েই সংবাদ বিজ্ঞপ্তির ওপর ভরসা করতে হচ্ছে।
এদিকে তারেক রহমানের সঙ্গে দলের জ্যেষ্ঠ অনেক নেতার দ্বন্দ্বের বিষয়টিও বেশ পুরোনো। একটি পক্ষ একে সরাসরি ‘দ্বন্দ্ব’ বললেও আরেক পক্ষ ‘পারস্পরিক বোঝাপড়ার ঘাটতি’ বলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। জানা গেছে, কেন্দ্রীয় কমিটিতে বড় রদবদলের পর সেই ‘দ্বন্দ্ব’ বা ‘পারস্পরিক বোঝাপড়ার ঘাটতি’ আরও বেড়েছে।
এভাবে কোন্দল, সমন্বয়হীনতা, নেতৃত্বের সংকটসহ নানা সমস্যা নিয়ে বছরের পর বছর ধরে চলছে বিএনপি। সে কারণে নতুন মিশনেও আশার আলো দেখছেন না দলের অনেক নেতা-কর্মী। তাঁদের মতে, দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। অনেক নেতা-কর্মী রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ারও চিন্তা করছেন, কেউ পাড়ি দিচ্ছেন বিদেশে। বিএনপির জেলা পর্যায়ের এক দায়িত্বশীল নেতা হতাশার সুরে বলেন, ‘আমি কোনো আশার আলো দেখছি না।’
রাজধানীতে সমাবেশ আজ
দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে তিন দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপি আজ শনিবার রাজধানীতে সমাবেশ করবে। নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বেলা আড়াইটায় এই সমাবেশ হবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে সব মিশন ব্যর্থ হওয়ার পর নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে বিএনপি। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাইছে না দলটি। তার আগেই তারা সরকারকে হটিয়ে মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে চায়। এ বিষয়ে সরাসরি কিছু না বললেও তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন দলটির নেতারা।
বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের একাধিক নেতা জানান, এখন চাওয়া একটাই—স্বল্পতম সময়ের মধ্যে এই সরকারকে হটিয়ে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা। ‘মধ্যবর্তী’ বা ‘অন্তর্বর্তীকালীন’ যে নামেই ডাকা হোক না কেন, তেমন একটি নির্বাচনের পরিস্থিতি সৃষ্টিরই পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে আন্দোলন পুনর্গঠনের কাজ চলছে। চলতি বছরের মধ্যেই নতুন কর্মসূচি নিয়ে পূর্ণোদ্যমে মাঠে নামা হবে। সেভাবেই দলকে প্রস্তুত করা হচ্ছে।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব থেকে সম্প্রতি দলীয় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হয়েছেন সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা স্বল্পতম সময়ের মধ্যেই সরকারের পতন ঘটিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে চাই। জনগণ এই সরকারের ওপর চরমভাবে ক্ষুব্ধ।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান অবশ্য এ বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলতে চাননি। তবে আকারে-ইঙ্গিতে তিনি বলেন, ‘আমাদের চিন্তাভাবনা যা-ই থাকুক না কেন, এই সরকার যা করেছে, তাদের নিজেদেরই তো পদত্যাগ করা উচিত। সময় কখন কোন গতিতে যাবে, সেটা তো বলতে পারছি না। সরকার পতনের আন্দোলন চলমান আছে। এর মাঝে কখন কী হবে, সেটা সময়ই বলে দেবে।’
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নতুন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সংসদ নির্বাচনের পরই দল গোছানোর কাজে হাত দিয়েছে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব। এরই মধ্যে দলের ঢাকাসহ চার মহানগর কমিটি এবং যুবদলের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। ব্যাপক রদবদল আনা হয়েছে দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে। সহযোগী সংগঠনগুলোর দিকেও মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণার পর তাঁতী দল, মহিলা দল, শ্রমিক দলের কমিটি বিলুপ্ত করে ঢেলে সাজানোর প্রক্রিয়া চলমান। যুগপৎ আন্দোলনে গতি আনতে শরিকদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো হয়েছে। আন্দোলনের তেজ বাড়াতে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে। এ ছাড়া কূটনৈতিক পরিমণ্ডলেও তৎপরতা বাড়ানোর পাশাপাশি জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে প্রচারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কোনো কারণে স্বল্পতম সময়ে এই মিশন বাস্তবায়ন সম্ভব না হলে আরও গোছানোভাবে ‘প্ল্যান বি’ নিয়ে এগোনোর চিন্তাও আছে বিএনপিসহ মিত্রদের।
যুগপৎ আন্দোলনে যুক্ত বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘স্বল্পতম সময়ের মধ্যেই বড় চাপ সৃষ্টি করে সরকারকে বিদায় করতে চাই, যাতে দেশে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। নির্বাচনের নামটা “মধ্যবর্তী” হবে কি না, বলতে পারছি না।’
গত বছরের ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে মহাসমাবেশ ঘিরে প্রাণঘাতী সংঘর্ষের পর বিপর্যয়ে পড়ে বিএনপি। সেই বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করলেও দলটি এখনো ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। নির্বাচনের পর এখনো মাঠে গড়ায়নি যুগপৎ আন্দোলন। এই অবস্থায় দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে নেতা-কর্মীরা হতাশ। স্বস্তিতে নেই নীতিনির্ধারকেরাও। এমন বিপর্যস্ত দশা কাটিয়ে নতুন মিশন সফল করা কতটা সম্ভব, সে নিয়ে সংশয় আছে বিএনপির ভেতরেই।
তবে এ বিষয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে রাজি নন কেউ। সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের কথায় এর কিছুটা আভাস মেলে। তিনি বলেন, বিক্ষুব্ধ জনগণকে অধিকার রক্ষার আন্দোলনে সম্পৃক্ত করাটাই এখানে বড় চ্যালেঞ্জ। সেই কাজটা কতটা দক্ষতার সঙ্গে করা যায়, সেটাই বিষয়।
বিএনপির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন নেতার অভিযোগ, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর বলয়ই সুষ্ঠুভাবে দল পরিচালনার পথে বড় প্রতিবন্ধক। তারেক রহমানের বলয় ঘিরে দলের সিনিয়র নেতাদের মধ্যেও অস্বস্তি ও অসন্তোষ অনেকটাই খোলামেলা বিষয়। তারেকের অনিচ্ছায়ই জাতীয় কাউন্সিল হচ্ছে না। কাউন্সিল না করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কমিটিতে পছন্দসই লোক ঢোকানো হচ্ছে।
দলের অপর অংশের নেতাদের দাবি, তারুণ্যনির্ভর নেতৃত্ব তৈরি করতে কেন্দ্রীয় কমিটিতে অপেক্ষাকৃত তরুণ যোগ্য নেতাদের অন্তর্ভুক্ত করছেন তারেক রহমান। আর কাউন্সিল অনুষ্ঠানের উপযুক্ত পরিবেশ না থাকায় বাধ্য হয়েই সংবাদ বিজ্ঞপ্তির ওপর ভরসা করতে হচ্ছে।
এদিকে তারেক রহমানের সঙ্গে দলের জ্যেষ্ঠ অনেক নেতার দ্বন্দ্বের বিষয়টিও বেশ পুরোনো। একটি পক্ষ একে সরাসরি ‘দ্বন্দ্ব’ বললেও আরেক পক্ষ ‘পারস্পরিক বোঝাপড়ার ঘাটতি’ বলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। জানা গেছে, কেন্দ্রীয় কমিটিতে বড় রদবদলের পর সেই ‘দ্বন্দ্ব’ বা ‘পারস্পরিক বোঝাপড়ার ঘাটতি’ আরও বেড়েছে।
এভাবে কোন্দল, সমন্বয়হীনতা, নেতৃত্বের সংকটসহ নানা সমস্যা নিয়ে বছরের পর বছর ধরে চলছে বিএনপি। সে কারণে নতুন মিশনেও আশার আলো দেখছেন না দলের অনেক নেতা-কর্মী। তাঁদের মতে, দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। অনেক নেতা-কর্মী রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ারও চিন্তা করছেন, কেউ পাড়ি দিচ্ছেন বিদেশে। বিএনপির জেলা পর্যায়ের এক দায়িত্বশীল নেতা হতাশার সুরে বলেন, ‘আমি কোনো আশার আলো দেখছি না।’
রাজধানীতে সমাবেশ আজ
দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে তিন দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপি আজ শনিবার রাজধানীতে সমাবেশ করবে। নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বেলা আড়াইটায় এই সমাবেশ হবে।
চায়ের আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত মেগান বোল্ডিনের বাসভবনে গেলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
১৪ ঘণ্টা আগেজুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলন সফল হওয়ার পেছনে খোদ আওয়ামী লীগের সাধারণ সমর্থকদেরও ভূমিকা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল রিসার্চ (বিআইএসআর) ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. খুরশিদ আলম। তিনি ২০০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়নকারী ও নীতিমালা প্রস্তুতকারী ছিলেন
১৫ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে যাওয়ার পরবর্তী তিন মাস ‘মবের মুল্লুক’ মনে হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারে যারা আছেন তাঁরা চেষ্টা করছেন সংস্কার করার। তাঁদের সফলতা-ব্যর্থতা নিয়ে এখনই মন্তব্য করা ঠিক হবে না। সময় দিতে হবে।’
১৫ ঘণ্টা আগেসংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল চেয়েছেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে জারি করা রুলের শুনানিতে তিনি বলেন, ‘সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ এক ধরনের বাক্স্বাধীনতাকে খর্ব করে। এ জন্য ৭০ অনুচ্ছেদ আমরা বাতিল চাই।’
১৬ ঘণ্টা আগে