সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
সারা দেশে বর্তমানে যে সংখ্যালঘু নির্যাতন হচ্ছে, তা খুবই দুঃখজনক ও অপ্রত্যাশিত। বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে এ ধরনের ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। কারা এর পেছনে জড়িত, এটা আশা করি তদন্তের মাধ্যমে বেরিয়ে আসবে। কিন্তু সবচেয়ে বিপজ্জনক বিষয় হলো, মানুষের যেকোনো গুজবের পেছনে ছুটে চলা। গুজব ছড়ানোর জন্য যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করা হচ্ছে, এটাও আরেকটা ভয়ংকর বিষয়। এখন একটা মিথ্যে কথা বলে দিলেই হয়ে যায়।
তার মানে হচ্ছে, মানুষ এখন খুব ক্ষিপ্ত অবস্থায় আছে। সমাজে বেকারত্ব ও হতাশার ভাব দেখা দিয়েছে। দেখা যাচ্ছে, মাদ্রাসা থেকে পড়াশোনা করে যারা বেরিয়ে আসছে, কিন্তু কাজ পায় না। অন্যদিকে মানুষের নিরাপত্তা নেই, জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, কর্মহীনতা বাড়ছে। এসব কারণে মানুষ ক্ষুব্ধ, আর এ ক্ষোভ তারা প্রকাশের সুযোগ পেলেই ব্যবহার করে। তার কোনো ক্ষমতা নেই। যখন সে গণমিলনের মাধ্যমে ক্ষমতা পেয়ে যায়, তখন সেটা ব্যবহার করে।
আরেকটা বিষয় হলো, এখানে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই। একই সঙ্গে এখানে সুস্থ সংস্কৃতির চর্চা নেই। এটাকে আমি সবচেয়ে বড় অসুবিধা মনে করব। আগে সমাজে অল্প হলেও যে ধরনের সাংস্কৃতিক চর্চা ছিল, সেটা এখন একদম নেই। বিশেষ করে দেখা গেছে, সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনাগুলোয় কিশোরেরা বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছে। এই কিশোরদের জীবনে কোনো রকম সুস্থ বিনোদনের চর্চা নেই। এরা সারা দিন একা একা থাকে এবং বেশির ভাগ সময় মোবাইলে ব্যস্ত থাকে। এ ছাড়া তাদের জন্য সামাজিক কোনো সুযোগ নেই।
এই যে কিশোরেরা এই কাজগুলোর সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে তার অর্থ হলো, আমরা কিশোরদের সঠিক পথে পরিচালনা করতে পারছি না। সমাজে কোনো কিশোর সংগঠন নেই, কোনো কিশোর আন্দোলন নেই, পাঠাগার নেই, নাটক নেই, মিলন নেই। এ যেন এক ভয়াবহ পরিস্থিতি।
দেশব্যাপী সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনায় সবার এটা প্রত্যাশা ছিল যে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথাযথভাবে কর্তব্য পালন করবে। তারা ঘটনাস্থলে থাকবে। সরকারি গোয়েন্দা বাহিনীর তো এসব ঘটনা জানার কথা। কিন্তু সে রকম কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কুমিল্লায় যদি এ ঘটনার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হতো, তাহলে এই ঘটনা দেশব্যাপী ছড়াত না। কিশোরেরা বিপথগামী হলে কিন্তু আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। সুস্থ সংস্কৃতির চর্চা না হওয়ায় কিশোরেরা গুজবে কান দিচ্ছে।
সারা দেশে বর্তমানে যে সংখ্যালঘু নির্যাতন হচ্ছে, তা খুবই দুঃখজনক ও অপ্রত্যাশিত। বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে এ ধরনের ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। কারা এর পেছনে জড়িত, এটা আশা করি তদন্তের মাধ্যমে বেরিয়ে আসবে। কিন্তু সবচেয়ে বিপজ্জনক বিষয় হলো, মানুষের যেকোনো গুজবের পেছনে ছুটে চলা। গুজব ছড়ানোর জন্য যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করা হচ্ছে, এটাও আরেকটা ভয়ংকর বিষয়। এখন একটা মিথ্যে কথা বলে দিলেই হয়ে যায়।
তার মানে হচ্ছে, মানুষ এখন খুব ক্ষিপ্ত অবস্থায় আছে। সমাজে বেকারত্ব ও হতাশার ভাব দেখা দিয়েছে। দেখা যাচ্ছে, মাদ্রাসা থেকে পড়াশোনা করে যারা বেরিয়ে আসছে, কিন্তু কাজ পায় না। অন্যদিকে মানুষের নিরাপত্তা নেই, জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, কর্মহীনতা বাড়ছে। এসব কারণে মানুষ ক্ষুব্ধ, আর এ ক্ষোভ তারা প্রকাশের সুযোগ পেলেই ব্যবহার করে। তার কোনো ক্ষমতা নেই। যখন সে গণমিলনের মাধ্যমে ক্ষমতা পেয়ে যায়, তখন সেটা ব্যবহার করে।
আরেকটা বিষয় হলো, এখানে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই। একই সঙ্গে এখানে সুস্থ সংস্কৃতির চর্চা নেই। এটাকে আমি সবচেয়ে বড় অসুবিধা মনে করব। আগে সমাজে অল্প হলেও যে ধরনের সাংস্কৃতিক চর্চা ছিল, সেটা এখন একদম নেই। বিশেষ করে দেখা গেছে, সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনাগুলোয় কিশোরেরা বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছে। এই কিশোরদের জীবনে কোনো রকম সুস্থ বিনোদনের চর্চা নেই। এরা সারা দিন একা একা থাকে এবং বেশির ভাগ সময় মোবাইলে ব্যস্ত থাকে। এ ছাড়া তাদের জন্য সামাজিক কোনো সুযোগ নেই।
এই যে কিশোরেরা এই কাজগুলোর সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে তার অর্থ হলো, আমরা কিশোরদের সঠিক পথে পরিচালনা করতে পারছি না। সমাজে কোনো কিশোর সংগঠন নেই, কোনো কিশোর আন্দোলন নেই, পাঠাগার নেই, নাটক নেই, মিলন নেই। এ যেন এক ভয়াবহ পরিস্থিতি।
দেশব্যাপী সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনায় সবার এটা প্রত্যাশা ছিল যে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথাযথভাবে কর্তব্য পালন করবে। তারা ঘটনাস্থলে থাকবে। সরকারি গোয়েন্দা বাহিনীর তো এসব ঘটনা জানার কথা। কিন্তু সে রকম কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কুমিল্লায় যদি এ ঘটনার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হতো, তাহলে এই ঘটনা দেশব্যাপী ছড়াত না। কিশোরেরা বিপথগামী হলে কিন্তু আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। সুস্থ সংস্কৃতির চর্চা না হওয়ায় কিশোরেরা গুজবে কান দিচ্ছে।
আমি দুই মাস আগেই বলেছিলাম, নভেম্বরে পরিস্থিতি খারাপ হবে। আমি সেটা দেশের বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখার মাধ্যমে তুলে ধরেছিলাম। এবারের ডেঙ্গু পরিস্থিতিটা আগের বছরগুলোর মতো না। অন্যান্য বছরে নভেম্বরের দিকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি কমে আসতে শুরু করে।
১৫ ঘণ্টা আগেআজ ১৭ নভেম্বর, মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যুদিবস। ১৯৭৬ সালের এ দিনে তিনি এক বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের ইতিহাস পেছনে ফেলে পরলোকগমন করেন। আজীবন সংগ্রামী ভাসানী কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে সোচ্চার থাকার পাশাপাশি বাংলাদেশের স্বাধীনতারও ছিলেন প্রথম প্রবক্তা।
১৫ ঘণ্টা আগেসকালের আলোয় মনটা অকারণে আনমনা হয়ে যায়। মনের কোণে হঠাৎ বেজে ওঠে চেনা গানের সুর—‘কোন পুরাতন প্রাণের টানে...।’ মন ছুটে যায় সেই ছেলেবেলায়, যখন ঋতুবদল ঘটত গানের সুরেই।
১৬ ঘণ্টা আগেজুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশে শেখ হাসিনার দীর্ঘস্থায়ী দুঃশাসনের অবসান হয়েছে। ক্ষমতা পেয়েছে অন্তর্বর্তী এক সরকার, যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন অরাজনৈতিক অথচ বিশ্বখ্যাত ব্যক্তি, বাংলাদেশের একমাত্র নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
১৬ ঘণ্টা আগে