আবু সালেহ মোহাম্মদ মুসা
স্বামী-সংসার, পরিবার-পরিজন হারিয়ে রহিমা বেগম আজ দিশেহারা। চারদিকে যেন অন্ধকার আর অন্ধকার, কোথাও আলো নেই। কীভাবে দিন যাবে, তার কোনো কূলকিনারা নেই। একসময় বাপের ভিটা ছেড়ে স্বামীর হাত ধরে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন আর দশটা মেয়ের মতো। ঘরসংসার সামলিয়ে ছেলেমেয়ে মানুষ করেছেন। বিয়েশাদি দিয়ে জামাতা, বউমা, নাতি-নাতনি, পোতা-পুতনি মানুষ করে আজ বয়সের ভারে নতজানু। স্বামীর বয়স হয়েছে, আগের মতো খাটতে পারেন না। তাই আয়ও কমে গেছে।
এখন আর কারও মন ভরাতে পারেন না, তাই বুড়োবুড়ির সংসার। ধীরে ধীরে, বিশেষ করে ছেলেদের কাছে বোঝা হয়ে গেছেন। মেয়েরা পরের ঘর করতে গিয়ে দিশেহারা। বুড়ো মা-বাবার জন্য অনেকেরই করার সুযোগ কম। তারপর নিজের সংসারে যদি থাকে টানাটানি অবস্থা, তখন কিছুই করতে পারেন না।
জীবনের এই কঠিন সময়ে সবার কাছে যেন এক বোঝা হয়ে গেছে। দুটো পয়সার জন্য, দুমুঠো ভাতের জন্য হাত পাততে হবে—এ কথা কখনো ভাবেননি। অথচ আজ ভিক্ষা করতে পথে পথে, মানুষের দ্বারে দ্বারে। ঠিক এমনই এক পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার শুরু করে বয়স্ক ভাতা। এই ভাতা বয়স্ক মানুষের সোজা হয়ে দাঁড়ানোর শক্তি জুগিয়েছে।
সেই বুড়োবুড়ি বয়স্ক ভাতা পেয়ে আবারও স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। বয়স্ক ভাতার টাকা দিয়ে তাঁরা ওষুধ কিনবেন, সংসার চালিয়ে দুমুঠো খেতে পারবেন, মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হবে না। তাঁরা আজীবন কিছু টাকা পেয়ে দুটো ডাল-ভাত হলেও খেতে পারবেন।
সরকারের সমাজসেবা মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত বয়স্ক ভাতা প্রচলনের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য হচ্ছে–দেশের বয়োজ্যেষ্ঠ দুস্থ ও স্বল্প উপার্জনক্ষম অথবা উপার্জনে অক্ষম বয়স্ক জনগোষ্ঠীর সামাজিক নিরাপত্তা বিধানে পরিবার ও সমাজে মর্যাদা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৯৯৭-৯৮ অর্থবছরে ‘বয়স্ক ভাতা’ কর্মসূচি প্রবর্তন করা হয়। প্রাথমিকভাবে দেশের সব ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিটি ওয়ার্ডে ৫ জন পুরুষ, ৫ জন নারীসহ ১০ জন দরিদ্র বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিকে প্রতি মাসে ১০০ টাকা হারে ভাতা প্রদানের আওতায় আনা হয়। পরে দেশের সব পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনকে এই কর্মসূচির আওতাভুক্ত করা হয়।
বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের অঙ্গীকার হিসেবে ২০২১ সালের মধ্যে বয়স্ক ভাতাভোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে ক্ষমতা গ্রহণোত্তর ২০০৯-১০ অর্থবছরে বয়স্ক ভাতাভোগীর সংখ্যা ২০ লাখ থেকে বৃদ্ধি করে ২২ লাখ ৫০ হাজার এবং জনপ্রতি মাসিক ভাতার হার ২৫০ থেকে বৃদ্ধি করে ৩০০ টাকায় উন্নীত করা হয়। ২০২১-২২ অর্থবছরে ৫৭ লাখ ১ হাজার বয়স্ক ব্যক্তিকে জনপ্রতি মাসিক ৫০০ টাকা হারে ভাতা প্রদান করা হবে। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ রয়েছে ৩৪৪৪.৫৪ কোটি টাকা। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নিবিড় তদারকি এবং সমাজসেবা অধিদপ্তরের সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিরলস পরিশ্রমে গত চার বছরে বয়স্ক ভাতা বিতরণে প্রায় শতভাগ সাফল্য অর্জিত হয়েছে।
২০১৩ সালে প্রণীত বাস্তবায়ন নীতিমালা সংশোধন করে যুগোপযোগীকরণ, অধিকসংখ্যক নারীকে ভাতা কার্যক্রমের আওতায় অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে তাঁদের বয়স ৬৫ বছর থেকে কমিয়ে ৬২ বছর নির্ধারণ, উপকারভোগী নির্বাচনে স্থানীয় সাংসদসহ অন্য জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্তকরণ, ডেটাবেইস প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ এবং ১০ টাকার বিনিময়ে সব ভাতাভোগীর নিজ নামে ব্যাংক হিসাব খুলে ভাতার অর্থ পরিশোধ করা হচ্ছে।
করোনাকালে সরকার সবার সুবিধার্থে এই টাকা যাতে বাড়িতে বসে পেতে পারে, এ জন্য মোবাইল ব্যাংকিংয়ের আওতায় ‘নগদ’ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময় অন্তর টাকা পাঠিয়ে থাকে। সরকারি এই উদ্যোগকে লাখ লাখ ভুক্তভোগী পরম আনন্দের সঙ্গে উপভোগ করছেন।
স্বামী-সংসার, পরিবার-পরিজন হারিয়ে রহিমা বেগম আজ দিশেহারা। চারদিকে যেন অন্ধকার আর অন্ধকার, কোথাও আলো নেই। কীভাবে দিন যাবে, তার কোনো কূলকিনারা নেই। একসময় বাপের ভিটা ছেড়ে স্বামীর হাত ধরে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন আর দশটা মেয়ের মতো। ঘরসংসার সামলিয়ে ছেলেমেয়ে মানুষ করেছেন। বিয়েশাদি দিয়ে জামাতা, বউমা, নাতি-নাতনি, পোতা-পুতনি মানুষ করে আজ বয়সের ভারে নতজানু। স্বামীর বয়স হয়েছে, আগের মতো খাটতে পারেন না। তাই আয়ও কমে গেছে।
এখন আর কারও মন ভরাতে পারেন না, তাই বুড়োবুড়ির সংসার। ধীরে ধীরে, বিশেষ করে ছেলেদের কাছে বোঝা হয়ে গেছেন। মেয়েরা পরের ঘর করতে গিয়ে দিশেহারা। বুড়ো মা-বাবার জন্য অনেকেরই করার সুযোগ কম। তারপর নিজের সংসারে যদি থাকে টানাটানি অবস্থা, তখন কিছুই করতে পারেন না।
জীবনের এই কঠিন সময়ে সবার কাছে যেন এক বোঝা হয়ে গেছে। দুটো পয়সার জন্য, দুমুঠো ভাতের জন্য হাত পাততে হবে—এ কথা কখনো ভাবেননি। অথচ আজ ভিক্ষা করতে পথে পথে, মানুষের দ্বারে দ্বারে। ঠিক এমনই এক পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার শুরু করে বয়স্ক ভাতা। এই ভাতা বয়স্ক মানুষের সোজা হয়ে দাঁড়ানোর শক্তি জুগিয়েছে।
সেই বুড়োবুড়ি বয়স্ক ভাতা পেয়ে আবারও স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। বয়স্ক ভাতার টাকা দিয়ে তাঁরা ওষুধ কিনবেন, সংসার চালিয়ে দুমুঠো খেতে পারবেন, মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হবে না। তাঁরা আজীবন কিছু টাকা পেয়ে দুটো ডাল-ভাত হলেও খেতে পারবেন।
সরকারের সমাজসেবা মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত বয়স্ক ভাতা প্রচলনের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য হচ্ছে–দেশের বয়োজ্যেষ্ঠ দুস্থ ও স্বল্প উপার্জনক্ষম অথবা উপার্জনে অক্ষম বয়স্ক জনগোষ্ঠীর সামাজিক নিরাপত্তা বিধানে পরিবার ও সমাজে মর্যাদা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৯৯৭-৯৮ অর্থবছরে ‘বয়স্ক ভাতা’ কর্মসূচি প্রবর্তন করা হয়। প্রাথমিকভাবে দেশের সব ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিটি ওয়ার্ডে ৫ জন পুরুষ, ৫ জন নারীসহ ১০ জন দরিদ্র বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিকে প্রতি মাসে ১০০ টাকা হারে ভাতা প্রদানের আওতায় আনা হয়। পরে দেশের সব পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনকে এই কর্মসূচির আওতাভুক্ত করা হয়।
বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের অঙ্গীকার হিসেবে ২০২১ সালের মধ্যে বয়স্ক ভাতাভোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে ক্ষমতা গ্রহণোত্তর ২০০৯-১০ অর্থবছরে বয়স্ক ভাতাভোগীর সংখ্যা ২০ লাখ থেকে বৃদ্ধি করে ২২ লাখ ৫০ হাজার এবং জনপ্রতি মাসিক ভাতার হার ২৫০ থেকে বৃদ্ধি করে ৩০০ টাকায় উন্নীত করা হয়। ২০২১-২২ অর্থবছরে ৫৭ লাখ ১ হাজার বয়স্ক ব্যক্তিকে জনপ্রতি মাসিক ৫০০ টাকা হারে ভাতা প্রদান করা হবে। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ রয়েছে ৩৪৪৪.৫৪ কোটি টাকা। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নিবিড় তদারকি এবং সমাজসেবা অধিদপ্তরের সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিরলস পরিশ্রমে গত চার বছরে বয়স্ক ভাতা বিতরণে প্রায় শতভাগ সাফল্য অর্জিত হয়েছে।
২০১৩ সালে প্রণীত বাস্তবায়ন নীতিমালা সংশোধন করে যুগোপযোগীকরণ, অধিকসংখ্যক নারীকে ভাতা কার্যক্রমের আওতায় অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে তাঁদের বয়স ৬৫ বছর থেকে কমিয়ে ৬২ বছর নির্ধারণ, উপকারভোগী নির্বাচনে স্থানীয় সাংসদসহ অন্য জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্তকরণ, ডেটাবেইস প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ এবং ১০ টাকার বিনিময়ে সব ভাতাভোগীর নিজ নামে ব্যাংক হিসাব খুলে ভাতার অর্থ পরিশোধ করা হচ্ছে।
করোনাকালে সরকার সবার সুবিধার্থে এই টাকা যাতে বাড়িতে বসে পেতে পারে, এ জন্য মোবাইল ব্যাংকিংয়ের আওতায় ‘নগদ’ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময় অন্তর টাকা পাঠিয়ে থাকে। সরকারি এই উদ্যোগকে লাখ লাখ ভুক্তভোগী পরম আনন্দের সঙ্গে উপভোগ করছেন।
আমি দুই মাস আগেই বলেছিলাম, নভেম্বরে পরিস্থিতি খারাপ হবে। আমি সেটা দেশের বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখার মাধ্যমে তুলে ধরেছিলাম। এবারের ডেঙ্গু পরিস্থিতিটা আগের বছরগুলোর মতো না। অন্যান্য বছরে নভেম্বরের দিকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি কমে আসতে শুরু করে।
১২ ঘণ্টা আগেআজ ১৭ নভেম্বর, মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যুদিবস। ১৯৭৬ সালের এ দিনে তিনি এক বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের ইতিহাস পেছনে ফেলে পরলোকগমন করেন। আজীবন সংগ্রামী ভাসানী কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে সোচ্চার থাকার পাশাপাশি বাংলাদেশের স্বাধীনতারও ছিলেন প্রথম প্রবক্তা।
১২ ঘণ্টা আগেসকালের আলোয় মনটা অকারণে আনমনা হয়ে যায়। মনের কোণে হঠাৎ বেজে ওঠে চেনা গানের সুর—‘কোন পুরাতন প্রাণের টানে...।’ মন ছুটে যায় সেই ছেলেবেলায়, যখন ঋতুবদল ঘটত গানের সুরেই।
১২ ঘণ্টা আগেজুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশে শেখ হাসিনার দীর্ঘস্থায়ী দুঃশাসনের অবসান হয়েছে। ক্ষমতা পেয়েছে অন্তর্বর্তী এক সরকার, যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন অরাজনৈতিক অথচ বিশ্বখ্যাত ব্যক্তি, বাংলাদেশের একমাত্র নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
১২ ঘণ্টা আগে