শরিফুল হাসান
দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা হলো আট বিভাগে। ১ অক্টোবর ক-ইউনিটের মাধ্যমে এবারকার ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়। এক লাখের বেশি পরীক্ষার্থী এই পরীক্ষা দিয়েছেন।
তবে ঢাকায় আসতে হয়নি বলে ভোগান্তি ছিল কম, স্বস্তিতে ছিলেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। অবশ্য ভর্তি পরীক্ষায় এমন স্বস্তি হলেও লেখাপড়া শেষ করে চাকরির পরীক্ষায় নামা শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির শেষ নেই। কারণ, চাকরির পরীক্ষা মানেই ছুটতে হবে ঢাকায়। অধিকাংশ পরীক্ষা যেহেতু শুক্র-শনিবার হয়, দেখা যায় একই দিনে একাধিক পরীক্ষা পড়েছে।
৮ অক্টোবর এমনই একটা দিন। গত কয়েক দিনে চাকরিপ্রার্থী অসংখ্য তরুণ-তরুণী জানিয়েছেন, ওই দিন বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) ও বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) সহকারী পরিচালক পদে পরীক্ষা আছে। জাতীয় গোয়েন্দা পরিদপ্তরের সহকারী পরিচালক, গবেষণা কর্মকর্তা ও ফিল্ড অফিসারের পরীক্ষাও এদিন। এ ছাড়া জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন, তিতাস গ্যাস, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, জাতীয় জাদুঘরসহ আরও কয়েকটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের নানা পদে পরীক্ষা আছে।
এর আগে ২৪ ও ২৫ সেপ্টেম্বরও একই কাণ্ড ঘটেছে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ কেব্ল শিল্প লিমিটেড, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ, কৃষি মন্ত্রণালয়, তিন ব্যাংক, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি, তুলা উন্নয়ন বোর্ড, প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক, ট্যারিফ কমিশন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট, জুডিশিয়াল সার্ভিসসহ বিভিন্ন দপ্তরের পরীক্ষা ছিল এই দুই দিনে। ফলে অনেকেই অনেক পরীক্ষা দিতে পারেননি।
চাকরিপ্রার্থীরা বলছেন, একেকটি পরীক্ষার জন্য বেকারদের কাছ থেকে আবেদন ফি হিসেবে কখনো ৫০০, কখনো ৭০০ কখনোবা ১০০০ টাকা করে নেওয়া হয়। ধারদেনা করে এত টাকা দিয়ে যাঁরা আবেদন করেন, তাঁরা চান প্রতিটা পরীক্ষা দিতে। কিন্তু একই দিনে একাধিক পরীক্ষা হলে সেই সুযোগ আর থাকে না। ফলে তাঁদের টাকাগুলো নষ্ট হয়। ভীষণ যন্ত্রণায় থাকেন তাঁরা।
একজন চাকরিপ্রার্থী ফেসবুকে লিখেছেন, ‘সর্বমোট ২ হাজার ১৯৭ টাকা আবেদন ফি খরচ হয়েছে। সারা বছর খবর নেই। এখন সব পরীক্ষা এক দিনে। বেকারদের সঙ্গে এই প্রহসন কেন? সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সমন্বয় করে কি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করতে পারে না?’ আরেকজন পরীক্ষার্থী আমাকে লিখেছেন, করোনার শুরুতে বয়স ছিল ২৮। তখন নবম ও দশম গ্রেডের সব পরীক্ষায় আবেদন করেছেন। করোনার কারণে খুব একটা সার্কুলার হয়নি। এখন বয়স শেষ। সব কটি পরীক্ষা দিতে না পারলে তো বেকার থাকতে হবে?
এক দিনে একাধিক পরীক্ষা নিয়ে ছেলেমেয়েরা যেমন ভোগান্তিতে থাকেন, তেমনি সব পরীক্ষা ঢাকায় হয় বলেও চাকরিপ্রার্থীদের কষ্টের শেষ নেই। বিশেষ করে নারী প্রার্থীদের দুর্ভোগ হয় সবচেয়ে বেশি। কারণ, একেকটা পরীক্ষা দেওয়া মানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঢাকায় ছুটে আসা। এই শহরের বড় বড় কলেজের সামনে রোজ শুক্রবার সকাল থেকেই দেখা যায় চাকরিপ্রার্থীদের ভিড়। খেয়ে না-খেয়ে তাঁরা ঢাকায় আসেন। এভাবে তাঁদের ছোটাছুটি চলতেই থাকে। এটি একদিকে যেমন খরচের, অন্যদিকে ভোগান্তির। মহামারির এই সময়ে সেটি বেশ ঝুঁকিরও। এর বদলে ঢাকার বাইরে পরীক্ষা নেওয়া হলে ছেলেমেয়েদের কষ্ট কম হতো। খরচও বেঁচে যেত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় সেই সুফলও দেখা গেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ও রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা হয়েছে।
বিসিএসের পরীক্ষাগুলোও এখন বিভাগীয় শহরে হচ্ছে। এভাবে অঞ্চলভিত্তিক পরীক্ষা হওয়ায় ভোগান্তি অনেক কমেছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। সব চাকরির পরীক্ষা এভাবে অঞ্চলভিত্তিক নেওয়ার জন্য বহুদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন পরীক্ষার্থীরা। কিন্তু বিসিএস বাদে প্রায় সব চাকরির পরীক্ষাই হচ্ছে ঢাকায়। ফলে ভোগান্তি কমছে না। আর এই ভোগান্তি লাখ লাখ ছেলেমেয়ের। বছরের পর বছর এভাবেই চলছে। কিন্তু চাকরিপ্রার্থীদের সমস্যার কথা কেউ ভাবেন না।
দেশে ৪০টির বেশি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, অধিভুক্ত ও অঙ্গীভূত কলেজ/মাদ্রাসায় ৩০-৩৫ লাখ ছেলেমেয়ে পড়ে। শুধু সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ধরলেও সংখ্যাটা পাঁচ লাখেরও ওপরে। এঁদের একটা বড় অংশই লেখাপড়া শেষ করে চাকরির পরীক্ষা দেন। ৪৩তম বিসিএসে ৪ লাখ ৩৫ হাজার প্রার্থী আবেদন করেছেন। পৃথিবীর অনেক শহরে এত লোক নেই। এই বিপুলসংখ্যক ছেলেমেয়ের অধিকাংশকেই ধারদেনা করে পরীক্ষার ফি জমা দিতে হয়। অনেকে আবার ছাত্র পড়িয়ে টাকা জোগাড় করেন। এসব বিষয় বিবেচনা করা উচিত।
চাকরিপ্রার্থীরা বলছেন, সরকারি নিয়োগ পরীক্ষার সংখ্যা কমিয়ে আনা উচিত। নয়তো এই সমস্যার সমাধান হবে না। কারণ, চাকরির পরীক্ষাগুলো সাধারণত শুক্র ও শনিবারে হয়। আর প্রতি মাসে আট-নয়টি শুক্র-শনিবার থাকে। সেই হিসাবে বছরে এক শ দিনের বেশি পাওয়া যায় না। আবার করোনা মহামারির কারণে বহুদিন পরীক্ষা নেওয়া যায়নি। কাজেই সামনের দিনগুলোয় প্রায়ই দেখা যাবে একই ছুটির দিনে একাধিক পরীক্ষা পড়েছে। সমস্যার সমাধানে সরকারের বিভিন্ন দপ্তর যেন পরস্পরের মধ্যে সমন্বয় করে। নিয়োগ পরীক্ষার সংখ্যাও কমিয়ে আনা উচিত। এমনভাবে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া উচিত, যাতে একটা পরীক্ষা দিয়েই বহু দপ্তরে নিয়োগ দেওয়া যায়।
পরীক্ষার্থীরা বলছেন, এখন যেমন বিসিএস পরীক্ষা নিয়ে নন-ক্যাডারের নানা পদে নিয়োগ দেওয়া হয়, ব্যাংকগুলো যেভাবে সমন্বিত পরীক্ষা নিচ্ছে—সরকারের নানা বিভাগ ও দপ্তর সমন্বয় করে পরীক্ষার সংখ্যা কমিয়ে আনতে পারে। সাধারণত নবম গ্রেডের কর্মকর্তা পদ দিয়ে সরকারি চাকরি শুরু হয়। কাজেই সরকারের বিভিন্ন বিভাগকে কয়েক ভাগে ভাগ করে কয়েকটি পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ ও অপেক্ষমাণ তালিকা প্রকাশ করে রাখা যেতে পারে।
চাকরিপ্রার্থীরা বলছেন, শুধু এই পদ নয়, এর নিচের সব পদেও স্বচ্ছভাবে পরীক্ষা হওয়া উচিত। সে ক্ষেত্রে বছরে পদের ধরন অনুযায়ী জাতীয়ভাবে ৫-১০টি নিয়োগ পরীক্ষা হতে পারে। এরপর অপেক্ষমাণ তালিকা বা প্যানেল করে নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে। এতে ছেলেমেয়েদের দুর্ভোগ কমবে। অবশ্য দুর্ভোগ কমাতে হলে তো আগে চাকরিপ্রার্থী ও বেকারদের কষ্টটা বুঝতে হবে। কিন্তু আফসোস—কেউ তাঁদের কষ্ট বোঝেন না।
দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা হলো আট বিভাগে। ১ অক্টোবর ক-ইউনিটের মাধ্যমে এবারকার ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়। এক লাখের বেশি পরীক্ষার্থী এই পরীক্ষা দিয়েছেন।
তবে ঢাকায় আসতে হয়নি বলে ভোগান্তি ছিল কম, স্বস্তিতে ছিলেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। অবশ্য ভর্তি পরীক্ষায় এমন স্বস্তি হলেও লেখাপড়া শেষ করে চাকরির পরীক্ষায় নামা শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির শেষ নেই। কারণ, চাকরির পরীক্ষা মানেই ছুটতে হবে ঢাকায়। অধিকাংশ পরীক্ষা যেহেতু শুক্র-শনিবার হয়, দেখা যায় একই দিনে একাধিক পরীক্ষা পড়েছে।
৮ অক্টোবর এমনই একটা দিন। গত কয়েক দিনে চাকরিপ্রার্থী অসংখ্য তরুণ-তরুণী জানিয়েছেন, ওই দিন বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) ও বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) সহকারী পরিচালক পদে পরীক্ষা আছে। জাতীয় গোয়েন্দা পরিদপ্তরের সহকারী পরিচালক, গবেষণা কর্মকর্তা ও ফিল্ড অফিসারের পরীক্ষাও এদিন। এ ছাড়া জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন, তিতাস গ্যাস, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, জাতীয় জাদুঘরসহ আরও কয়েকটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের নানা পদে পরীক্ষা আছে।
এর আগে ২৪ ও ২৫ সেপ্টেম্বরও একই কাণ্ড ঘটেছে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ কেব্ল শিল্প লিমিটেড, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ, কৃষি মন্ত্রণালয়, তিন ব্যাংক, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি, তুলা উন্নয়ন বোর্ড, প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক, ট্যারিফ কমিশন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট, জুডিশিয়াল সার্ভিসসহ বিভিন্ন দপ্তরের পরীক্ষা ছিল এই দুই দিনে। ফলে অনেকেই অনেক পরীক্ষা দিতে পারেননি।
চাকরিপ্রার্থীরা বলছেন, একেকটি পরীক্ষার জন্য বেকারদের কাছ থেকে আবেদন ফি হিসেবে কখনো ৫০০, কখনো ৭০০ কখনোবা ১০০০ টাকা করে নেওয়া হয়। ধারদেনা করে এত টাকা দিয়ে যাঁরা আবেদন করেন, তাঁরা চান প্রতিটা পরীক্ষা দিতে। কিন্তু একই দিনে একাধিক পরীক্ষা হলে সেই সুযোগ আর থাকে না। ফলে তাঁদের টাকাগুলো নষ্ট হয়। ভীষণ যন্ত্রণায় থাকেন তাঁরা।
একজন চাকরিপ্রার্থী ফেসবুকে লিখেছেন, ‘সর্বমোট ২ হাজার ১৯৭ টাকা আবেদন ফি খরচ হয়েছে। সারা বছর খবর নেই। এখন সব পরীক্ষা এক দিনে। বেকারদের সঙ্গে এই প্রহসন কেন? সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সমন্বয় করে কি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করতে পারে না?’ আরেকজন পরীক্ষার্থী আমাকে লিখেছেন, করোনার শুরুতে বয়স ছিল ২৮। তখন নবম ও দশম গ্রেডের সব পরীক্ষায় আবেদন করেছেন। করোনার কারণে খুব একটা সার্কুলার হয়নি। এখন বয়স শেষ। সব কটি পরীক্ষা দিতে না পারলে তো বেকার থাকতে হবে?
এক দিনে একাধিক পরীক্ষা নিয়ে ছেলেমেয়েরা যেমন ভোগান্তিতে থাকেন, তেমনি সব পরীক্ষা ঢাকায় হয় বলেও চাকরিপ্রার্থীদের কষ্টের শেষ নেই। বিশেষ করে নারী প্রার্থীদের দুর্ভোগ হয় সবচেয়ে বেশি। কারণ, একেকটা পরীক্ষা দেওয়া মানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঢাকায় ছুটে আসা। এই শহরের বড় বড় কলেজের সামনে রোজ শুক্রবার সকাল থেকেই দেখা যায় চাকরিপ্রার্থীদের ভিড়। খেয়ে না-খেয়ে তাঁরা ঢাকায় আসেন। এভাবে তাঁদের ছোটাছুটি চলতেই থাকে। এটি একদিকে যেমন খরচের, অন্যদিকে ভোগান্তির। মহামারির এই সময়ে সেটি বেশ ঝুঁকিরও। এর বদলে ঢাকার বাইরে পরীক্ষা নেওয়া হলে ছেলেমেয়েদের কষ্ট কম হতো। খরচও বেঁচে যেত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় সেই সুফলও দেখা গেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ও রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা হয়েছে।
বিসিএসের পরীক্ষাগুলোও এখন বিভাগীয় শহরে হচ্ছে। এভাবে অঞ্চলভিত্তিক পরীক্ষা হওয়ায় ভোগান্তি অনেক কমেছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। সব চাকরির পরীক্ষা এভাবে অঞ্চলভিত্তিক নেওয়ার জন্য বহুদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন পরীক্ষার্থীরা। কিন্তু বিসিএস বাদে প্রায় সব চাকরির পরীক্ষাই হচ্ছে ঢাকায়। ফলে ভোগান্তি কমছে না। আর এই ভোগান্তি লাখ লাখ ছেলেমেয়ের। বছরের পর বছর এভাবেই চলছে। কিন্তু চাকরিপ্রার্থীদের সমস্যার কথা কেউ ভাবেন না।
দেশে ৪০টির বেশি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, অধিভুক্ত ও অঙ্গীভূত কলেজ/মাদ্রাসায় ৩০-৩৫ লাখ ছেলেমেয়ে পড়ে। শুধু সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ধরলেও সংখ্যাটা পাঁচ লাখেরও ওপরে। এঁদের একটা বড় অংশই লেখাপড়া শেষ করে চাকরির পরীক্ষা দেন। ৪৩তম বিসিএসে ৪ লাখ ৩৫ হাজার প্রার্থী আবেদন করেছেন। পৃথিবীর অনেক শহরে এত লোক নেই। এই বিপুলসংখ্যক ছেলেমেয়ের অধিকাংশকেই ধারদেনা করে পরীক্ষার ফি জমা দিতে হয়। অনেকে আবার ছাত্র পড়িয়ে টাকা জোগাড় করেন। এসব বিষয় বিবেচনা করা উচিত।
চাকরিপ্রার্থীরা বলছেন, সরকারি নিয়োগ পরীক্ষার সংখ্যা কমিয়ে আনা উচিত। নয়তো এই সমস্যার সমাধান হবে না। কারণ, চাকরির পরীক্ষাগুলো সাধারণত শুক্র ও শনিবারে হয়। আর প্রতি মাসে আট-নয়টি শুক্র-শনিবার থাকে। সেই হিসাবে বছরে এক শ দিনের বেশি পাওয়া যায় না। আবার করোনা মহামারির কারণে বহুদিন পরীক্ষা নেওয়া যায়নি। কাজেই সামনের দিনগুলোয় প্রায়ই দেখা যাবে একই ছুটির দিনে একাধিক পরীক্ষা পড়েছে। সমস্যার সমাধানে সরকারের বিভিন্ন দপ্তর যেন পরস্পরের মধ্যে সমন্বয় করে। নিয়োগ পরীক্ষার সংখ্যাও কমিয়ে আনা উচিত। এমনভাবে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া উচিত, যাতে একটা পরীক্ষা দিয়েই বহু দপ্তরে নিয়োগ দেওয়া যায়।
পরীক্ষার্থীরা বলছেন, এখন যেমন বিসিএস পরীক্ষা নিয়ে নন-ক্যাডারের নানা পদে নিয়োগ দেওয়া হয়, ব্যাংকগুলো যেভাবে সমন্বিত পরীক্ষা নিচ্ছে—সরকারের নানা বিভাগ ও দপ্তর সমন্বয় করে পরীক্ষার সংখ্যা কমিয়ে আনতে পারে। সাধারণত নবম গ্রেডের কর্মকর্তা পদ দিয়ে সরকারি চাকরি শুরু হয়। কাজেই সরকারের বিভিন্ন বিভাগকে কয়েক ভাগে ভাগ করে কয়েকটি পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ ও অপেক্ষমাণ তালিকা প্রকাশ করে রাখা যেতে পারে।
চাকরিপ্রার্থীরা বলছেন, শুধু এই পদ নয়, এর নিচের সব পদেও স্বচ্ছভাবে পরীক্ষা হওয়া উচিত। সে ক্ষেত্রে বছরে পদের ধরন অনুযায়ী জাতীয়ভাবে ৫-১০টি নিয়োগ পরীক্ষা হতে পারে। এরপর অপেক্ষমাণ তালিকা বা প্যানেল করে নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে। এতে ছেলেমেয়েদের দুর্ভোগ কমবে। অবশ্য দুর্ভোগ কমাতে হলে তো আগে চাকরিপ্রার্থী ও বেকারদের কষ্টটা বুঝতে হবে। কিন্তু আফসোস—কেউ তাঁদের কষ্ট বোঝেন না।
আমি দুই মাস আগেই বলেছিলাম, নভেম্বরে পরিস্থিতি খারাপ হবে। আমি সেটা দেশের বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখার মাধ্যমে তুলে ধরেছিলাম। এবারের ডেঙ্গু পরিস্থিতিটা আগের বছরগুলোর মতো না। অন্যান্য বছরে নভেম্বরের দিকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি কমে আসতে শুরু করে।
২১ ঘণ্টা আগেআজ ১৭ নভেম্বর, মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যুদিবস। ১৯৭৬ সালের এ দিনে তিনি এক বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের ইতিহাস পেছনে ফেলে পরলোকগমন করেন। আজীবন সংগ্রামী ভাসানী কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে সোচ্চার থাকার পাশাপাশি বাংলাদেশের স্বাধীনতারও ছিলেন প্রথম প্রবক্তা।
২১ ঘণ্টা আগেসকালের আলোয় মনটা অকারণে আনমনা হয়ে যায়। মনের কোণে হঠাৎ বেজে ওঠে চেনা গানের সুর—‘কোন পুরাতন প্রাণের টানে...।’ মন ছুটে যায় সেই ছেলেবেলায়, যখন ঋতুবদল ঘটত গানের সুরেই।
১ দিন আগেজুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশে শেখ হাসিনার দীর্ঘস্থায়ী দুঃশাসনের অবসান হয়েছে। ক্ষমতা পেয়েছে অন্তর্বর্তী এক সরকার, যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন অরাজনৈতিক অথচ বিশ্বখ্যাত ব্যক্তি, বাংলাদেশের একমাত্র নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
১ দিন আগে