তানিয়া ফেরদৌস
আজ কিছুক্ষণ আগে নিম্ন আদালতে আবরার হত্যা মামলার রায় হলো। গত রাতে ঘুম হয়নি ঠিকঠাক। ভোর থেকে অনিশ্চয়তার দোলাচল মনে নিয়েই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলাম। হত্যা তো কতই হচ্ছে, হিসাব রাখা কঠিন। তবু এত অস্থির হয়ে আছে কেন মন, তাই ভাবছিলাম। আমার ছোট ভাই আবরারকে যেভাবে আমার বুয়েটেরই একদল ছেলে নিষ্ঠুরতম কায়দায় ঠান্ডা মাথায় সারা রাত পিটিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলল—তা বিশ্বাস করতেই খুব কষ্ট হয়। আর এখন এই রায় বের হওয়ার পরে অঝোরে শুধু কেঁদেই যাচ্ছি। এই কান্না আবরারের জন্য, নাকি আমার বুয়েট ছাত্রজীবনে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ভগ্নিসম বন্ধু সনির জন্য, নাকি আমার প্রাণপ্রিয় বুয়েটের জন্য? বোধগম্য হচ্ছে না।
মনটা ফিরে যাচ্ছে সেই ২০০২ সালের উচ্ছল দুপুরটাতে। সকালে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা উপলক্ষে স্বেচ্ছা ক্লাস বর্জন এবং তার পর শিশুসুলভ উল্লাস ও উচ্ছ্বাস প্রকাশের পর আমরা সবাই জড়ো হই বুয়েট ক্যাফেটেরিয়ায়। দ্বিতীয় বর্ষে পা দেওয়া আমাদের ৯৯ ব্যাচ, বর্ষপূর্তিতে নিজেরাই নিজেদের নাম দিয়েছিল স্বাপ্নিক ব্যাচ। আমাদের মধ্যে যে কয়জনের মধ্যে এই অদম্য স্বপন, অধ্যবসায় আর মেধার তুখোড় সম্মিলন ছিল, তাদেরই একজন আমার বন্ধু সাবেকুন্নাহার সনি। একই অনুষদে পড়তাম আমরা, যা কিনা কেমিকৌশল অনুষদ বলে পরিচিত। আগের একদিন চটজলদি কুইজের জন্য ধার নেওয়া আমার ক্যালকুলেটরটা ফেরত দিয়ে যখন হলে বিশ্রাম নিতে গেল সনি, সেই সকালে আমি যে কেন তাকে জোর করে আটকে রাখলাম না! ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়া তৎকালীন ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠনের দুটি গ্রুপ টেন্ডার নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। এ ব্যাপারে কিছুই জানত না সনি। হল থেকে বেরিয়ে আমাদের কলকাকলীতে যোগ দিতে রওনা হওয়া সনি গুলিবিদ্ধ হয় এর মধ্যেই। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল আমাদেরই দুই বন্ধু। ততক্ষণে সব শেষ। বেশির ভাগ সময়ে বিচার না হওয়া বহু ক্যাম্পাস হত্যাকাণ্ডের মতোই সনি হত্যার বিচার পাইনি আমরা। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হওয়ার সুবিধা পেয়ে কোনো খুনি এখন প্রবাসে, কেউ আছে বহাল তবিয়তে। ধান ভানতে কি শিবের গীত গাইছি? কিন্তু সনিও যে আমার। আবরারও।
আবরারকে দেখিনি কোনো দিন। চিনতাম না। ২০০৫ সালে পাস করে বের হওয়ার পর আমার প্রাণের বুয়েটকে কীভাবে ঘুণপোকা ভেতরে-ভেতরে নষ্ট করে ফেলেছে, তা জানতামও না আমরা। র্যাগিং, রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার, অন্যায়, অবিচার—এই সবই আস্তে আস্তে গ্রাস করছিল বুয়েটের শিক্ষার্থীসমাজকে। আমাদের সময়ে এর ধারেকাছেও কিছুই দেখিনি, এ কথা হলফ করে বলতে পারি। আবরারকে হত্যা করার নিদারুণ বর্ণনা বহু রাত ঘুমাতে দেয়নি আমায়। সেজদায় অথবা দুঃস্বপ্নে কেঁদে উঠেছি। আমার ছোট ছেলেটারও যে খুব শখ মায়ের মতো বুয়েটে পড়ার। একবার মনে হচ্ছিল ভাই হারিয়েছি, একবার সন্তান। বুয়েট শহীদ মিনারে প্রতিবাদ জানাতে আসা আমরা প্রাক্তন বুয়েট শিক্ষার্থীরা একজন–আরেকজনের দিকে তাকাতে পারছিলাম। না। বোবা বেদনায় চেয়ে ছিলাম শূন্য দৃষ্টিতে। বুয়েটেরই একদল ছেলে তাদের বন্ধুকে, ছোট ভাইকে এইভাবে মেরে ফেলল—তা কোনোভাবেই মানতে পারছিলাম না। একটা ছেলে বড় হয়ে বুয়েটে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে এল কতটা পথ পাড়ি দিয়ে, সে কথা ভেবে দেখেছে কেউ? তার বাবার মুখটা আমার বন্ধু সনির বাবার মুখের সঙ্গে কেমন মিলে যাচ্ছিল। ঝাপসা চোখে হয়তো ভুল দেখছিলাম। সেদিন অনেকক্ষণ অবাক হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম চিরচেনা শেরে বাংলা হলের সামনে। আজও ভাবছি বুয়েটে গিয়ে চুপটি করে কাঁদব বসে একা একাই।
তবে কি এই কান্না বুয়েটের জন্য? পারিবারিক সূত্রে বুয়েট আমার খুব বেশিই আপন আসলে। নানা, বাবা যখন বুয়েটে সহকারী প্রভোস্ট, প্রভোস্ট, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অথবা উপাচার্য ছিলেন, সে সময়ে তাঁদের দেখেছি উত্তাল সময়ে, সামরিক জান্তার শাসনামলে শিক্ষার্থীদের আগলে রাখতে। এখনকার বুয়েট প্রশাসন কি সেই দায়িত্ব পালন করেছে?আবরার হত্যার দায়ভার কি সত্যিই এড়াতে পারবে তারা?
পূর্বাভাস তো নিশ্চয়ই গিয়েছিল তাদের কাছে। নয় তো এই বিষবৃক্ষ কি রাতারাতি মহীরূহ হয়েছে? নাকি সনি ও আবরারের রক্তের অদৃশ্য দাগ তাদের হাতেও আছে?
কেন হলো এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড দেশের অন্যতম প্রধান ও অগ্রগণ্য বিদ্যাপীঠে? রাজনৈতিক পচনই এর মূল কারণ হয়ে বেরিয়ে যে আসবে, সে কথা সবাই জানে। আসামিরা খুন করার মুচলেকা দিয়ে নিশ্চয়ই অত্যন্ত কঠিন ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে বুয়েটে ভর্তি হয়নি। কিন্তু ভেবে দেখার বিষয় হচ্ছে, পরিবার বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিবেকবোধ গড়ে তোলার জন্য কি আদৌ কোনো উদ্যোগ আছে? নয়তো তথাকথিত মেধাবী এই ছেলেগুলো কীভাবে অর্থ বা ক্ষমতার লোভে এমন ভয়ংকর নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডে অংশ নিতে পারল! মূল্যবোধের অবক্ষয় হয়তো একেই বলে।
নিম্ন আদালতের রায় বেরিয়েছে। বেশ কয়েকজনের ফাঁসির আদেশ হয়েছে। বাকিদের যাবজ্জীবন। এখনো উচ্চ আদালত, আপিল বিভাগের চৌকাঠ পেরিয়ে রায় কার্যকর হওয়া–অনেকটা পথ বাকি। প্রিজন ভ্যানে আসামিদের অনুশোচনাবিহীন নিশ্চিন্ত মুখগুলো আমাকে খুব বিচলিত করছে। টিয়ার শেল আর লাঠিপেটার আঘাত সয়ে, ছাত্রজীবন থেকে একটি বছর খুইয়েছি আমরা। কিন্তু বন্ধু সনি হত্যার বিচার পাইনি। তারপরও স্বাপ্নিক ৯৯ ব্যাচের এই আমার খুব আশাবাদী হতে ইচ্ছা করে। আমার বুয়েট, আমার প্রাণের বুয়েট বিষমুক্ত হোক। আর কোনো সনি, কোনো আবরার যেন এভাবে হারিয়ে না যায়।
লেখক: বুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থী
আজ কিছুক্ষণ আগে নিম্ন আদালতে আবরার হত্যা মামলার রায় হলো। গত রাতে ঘুম হয়নি ঠিকঠাক। ভোর থেকে অনিশ্চয়তার দোলাচল মনে নিয়েই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলাম। হত্যা তো কতই হচ্ছে, হিসাব রাখা কঠিন। তবু এত অস্থির হয়ে আছে কেন মন, তাই ভাবছিলাম। আমার ছোট ভাই আবরারকে যেভাবে আমার বুয়েটেরই একদল ছেলে নিষ্ঠুরতম কায়দায় ঠান্ডা মাথায় সারা রাত পিটিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলল—তা বিশ্বাস করতেই খুব কষ্ট হয়। আর এখন এই রায় বের হওয়ার পরে অঝোরে শুধু কেঁদেই যাচ্ছি। এই কান্না আবরারের জন্য, নাকি আমার বুয়েট ছাত্রজীবনে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ভগ্নিসম বন্ধু সনির জন্য, নাকি আমার প্রাণপ্রিয় বুয়েটের জন্য? বোধগম্য হচ্ছে না।
মনটা ফিরে যাচ্ছে সেই ২০০২ সালের উচ্ছল দুপুরটাতে। সকালে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা উপলক্ষে স্বেচ্ছা ক্লাস বর্জন এবং তার পর শিশুসুলভ উল্লাস ও উচ্ছ্বাস প্রকাশের পর আমরা সবাই জড়ো হই বুয়েট ক্যাফেটেরিয়ায়। দ্বিতীয় বর্ষে পা দেওয়া আমাদের ৯৯ ব্যাচ, বর্ষপূর্তিতে নিজেরাই নিজেদের নাম দিয়েছিল স্বাপ্নিক ব্যাচ। আমাদের মধ্যে যে কয়জনের মধ্যে এই অদম্য স্বপন, অধ্যবসায় আর মেধার তুখোড় সম্মিলন ছিল, তাদেরই একজন আমার বন্ধু সাবেকুন্নাহার সনি। একই অনুষদে পড়তাম আমরা, যা কিনা কেমিকৌশল অনুষদ বলে পরিচিত। আগের একদিন চটজলদি কুইজের জন্য ধার নেওয়া আমার ক্যালকুলেটরটা ফেরত দিয়ে যখন হলে বিশ্রাম নিতে গেল সনি, সেই সকালে আমি যে কেন তাকে জোর করে আটকে রাখলাম না! ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়া তৎকালীন ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠনের দুটি গ্রুপ টেন্ডার নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। এ ব্যাপারে কিছুই জানত না সনি। হল থেকে বেরিয়ে আমাদের কলকাকলীতে যোগ দিতে রওনা হওয়া সনি গুলিবিদ্ধ হয় এর মধ্যেই। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল আমাদেরই দুই বন্ধু। ততক্ষণে সব শেষ। বেশির ভাগ সময়ে বিচার না হওয়া বহু ক্যাম্পাস হত্যাকাণ্ডের মতোই সনি হত্যার বিচার পাইনি আমরা। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হওয়ার সুবিধা পেয়ে কোনো খুনি এখন প্রবাসে, কেউ আছে বহাল তবিয়তে। ধান ভানতে কি শিবের গীত গাইছি? কিন্তু সনিও যে আমার। আবরারও।
আবরারকে দেখিনি কোনো দিন। চিনতাম না। ২০০৫ সালে পাস করে বের হওয়ার পর আমার প্রাণের বুয়েটকে কীভাবে ঘুণপোকা ভেতরে-ভেতরে নষ্ট করে ফেলেছে, তা জানতামও না আমরা। র্যাগিং, রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার, অন্যায়, অবিচার—এই সবই আস্তে আস্তে গ্রাস করছিল বুয়েটের শিক্ষার্থীসমাজকে। আমাদের সময়ে এর ধারেকাছেও কিছুই দেখিনি, এ কথা হলফ করে বলতে পারি। আবরারকে হত্যা করার নিদারুণ বর্ণনা বহু রাত ঘুমাতে দেয়নি আমায়। সেজদায় অথবা দুঃস্বপ্নে কেঁদে উঠেছি। আমার ছোট ছেলেটারও যে খুব শখ মায়ের মতো বুয়েটে পড়ার। একবার মনে হচ্ছিল ভাই হারিয়েছি, একবার সন্তান। বুয়েট শহীদ মিনারে প্রতিবাদ জানাতে আসা আমরা প্রাক্তন বুয়েট শিক্ষার্থীরা একজন–আরেকজনের দিকে তাকাতে পারছিলাম। না। বোবা বেদনায় চেয়ে ছিলাম শূন্য দৃষ্টিতে। বুয়েটেরই একদল ছেলে তাদের বন্ধুকে, ছোট ভাইকে এইভাবে মেরে ফেলল—তা কোনোভাবেই মানতে পারছিলাম না। একটা ছেলে বড় হয়ে বুয়েটে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে এল কতটা পথ পাড়ি দিয়ে, সে কথা ভেবে দেখেছে কেউ? তার বাবার মুখটা আমার বন্ধু সনির বাবার মুখের সঙ্গে কেমন মিলে যাচ্ছিল। ঝাপসা চোখে হয়তো ভুল দেখছিলাম। সেদিন অনেকক্ষণ অবাক হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম চিরচেনা শেরে বাংলা হলের সামনে। আজও ভাবছি বুয়েটে গিয়ে চুপটি করে কাঁদব বসে একা একাই।
তবে কি এই কান্না বুয়েটের জন্য? পারিবারিক সূত্রে বুয়েট আমার খুব বেশিই আপন আসলে। নানা, বাবা যখন বুয়েটে সহকারী প্রভোস্ট, প্রভোস্ট, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অথবা উপাচার্য ছিলেন, সে সময়ে তাঁদের দেখেছি উত্তাল সময়ে, সামরিক জান্তার শাসনামলে শিক্ষার্থীদের আগলে রাখতে। এখনকার বুয়েট প্রশাসন কি সেই দায়িত্ব পালন করেছে?আবরার হত্যার দায়ভার কি সত্যিই এড়াতে পারবে তারা?
পূর্বাভাস তো নিশ্চয়ই গিয়েছিল তাদের কাছে। নয় তো এই বিষবৃক্ষ কি রাতারাতি মহীরূহ হয়েছে? নাকি সনি ও আবরারের রক্তের অদৃশ্য দাগ তাদের হাতেও আছে?
কেন হলো এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড দেশের অন্যতম প্রধান ও অগ্রগণ্য বিদ্যাপীঠে? রাজনৈতিক পচনই এর মূল কারণ হয়ে বেরিয়ে যে আসবে, সে কথা সবাই জানে। আসামিরা খুন করার মুচলেকা দিয়ে নিশ্চয়ই অত্যন্ত কঠিন ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে বুয়েটে ভর্তি হয়নি। কিন্তু ভেবে দেখার বিষয় হচ্ছে, পরিবার বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিবেকবোধ গড়ে তোলার জন্য কি আদৌ কোনো উদ্যোগ আছে? নয়তো তথাকথিত মেধাবী এই ছেলেগুলো কীভাবে অর্থ বা ক্ষমতার লোভে এমন ভয়ংকর নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডে অংশ নিতে পারল! মূল্যবোধের অবক্ষয় হয়তো একেই বলে।
নিম্ন আদালতের রায় বেরিয়েছে। বেশ কয়েকজনের ফাঁসির আদেশ হয়েছে। বাকিদের যাবজ্জীবন। এখনো উচ্চ আদালত, আপিল বিভাগের চৌকাঠ পেরিয়ে রায় কার্যকর হওয়া–অনেকটা পথ বাকি। প্রিজন ভ্যানে আসামিদের অনুশোচনাবিহীন নিশ্চিন্ত মুখগুলো আমাকে খুব বিচলিত করছে। টিয়ার শেল আর লাঠিপেটার আঘাত সয়ে, ছাত্রজীবন থেকে একটি বছর খুইয়েছি আমরা। কিন্তু বন্ধু সনি হত্যার বিচার পাইনি। তারপরও স্বাপ্নিক ৯৯ ব্যাচের এই আমার খুব আশাবাদী হতে ইচ্ছা করে। আমার বুয়েট, আমার প্রাণের বুয়েট বিষমুক্ত হোক। আর কোনো সনি, কোনো আবরার যেন এভাবে হারিয়ে না যায়।
লেখক: বুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থী
আমি দুই মাস আগেই বলেছিলাম, নভেম্বরে পরিস্থিতি খারাপ হবে। আমি সেটা দেশের বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখার মাধ্যমে তুলে ধরেছিলাম। এবারের ডেঙ্গু পরিস্থিতিটা আগের বছরগুলোর মতো না। অন্যান্য বছরে নভেম্বরের দিকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি কমে আসতে শুরু করে।
৫ ঘণ্টা আগেআজ ১৭ নভেম্বর, মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যুদিবস। ১৯৭৬ সালের এ দিনে তিনি এক বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের ইতিহাস পেছনে ফেলে পরলোকগমন করেন। আজীবন সংগ্রামী ভাসানী কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে সোচ্চার থাকার পাশাপাশি বাংলাদেশের স্বাধীনতারও ছিলেন প্রথম প্রবক্তা।
৫ ঘণ্টা আগেসকালের আলোয় মনটা অকারণে আনমনা হয়ে যায়। মনের কোণে হঠাৎ বেজে ওঠে চেনা গানের সুর—‘কোন পুরাতন প্রাণের টানে...।’ মন ছুটে যায় সেই ছেলেবেলায়, যখন ঋতুবদল ঘটত গানের সুরেই।
৫ ঘণ্টা আগেজুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশে শেখ হাসিনার দীর্ঘস্থায়ী দুঃশাসনের অবসান হয়েছে। ক্ষমতা পেয়েছে অন্তর্বর্তী এক সরকার, যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন অরাজনৈতিক অথচ বিশ্বখ্যাত ব্যক্তি, বাংলাদেশের একমাত্র নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৫ ঘণ্টা আগে