বিরস
পাকিস্তানের সাবেক সামরিক শাসক জেনারেল জিয়াউল হক সার্ক সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য ভারত যাবেন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে তাঁর ব্যক্তিগত নাপিত অসুস্থ। তিনি আবার ক্লিন শেভড না হলে কোনো আলোচনায় মন বসাতে পারেন না। তখন তার অসুস্থ নাপিত জানাল, ‘স্যার আপনি ভাববেন না, ওখানে আমার এক পরিচিত জ্ঞাতি ভাই আছে, সেও ভালো নাপিত। তাঁকে আমি খবর দিয়ে দিয়েছি, সে আপনাকে ক্লিন শেভড করে দেবে আমার মতোই।’
প্রেসিডেন্ট জিয়া নিশ্চিত হয়ে রওনা হলেন ভারতে। ওখানে পৌঁছে ক্লিন শেভড হতেও সমস্যা হলো না। ভালো শেভ করল সেই জ্ঞাতি ভাই। পরে জিয়াউল হকের ব্যক্তিগত নাপিত তাঁর জ্ঞাতি ভাইকে একদিন ফোনে জিজ্ঞেস করল—
‘তুমি আসলে কীভাবে আমাদের প্রেসিডেন্টের ক্লিন শেভড করলে?’
জ্ঞাতি ভাইয়ের জবাব, ‘কেন, তুমি যেভাবে করতে।’
‘আমি কীভাবে করি সেটা তুমি জানলে কেমন করে?’
‘তুমি একদিন কথা প্রসঙ্গে আমাকে বলেছিলে যে “নির্বাচন কবে দিচ্ছেন?” এই প্রশ্ন করলেই তোমাদের প্রেসিডেন্টের সব দাড়ি-গোঁফের গোড়া শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে যায়। আমিও তাঁকে সে প্রশ্ন করায় একই প্রতিক্রিয়া হলো এবং তখন আমি আরামসে ক্ষুর চালিয়ে কাজ শেষ করি।’
খ. একজন চোরকে পাকড়াও করে থানায় ফেরার পথে হঠাৎ প্রবল বাতাসে পুলিশের মাথার টুপি উড়ে দূরে গিয়ে পড়ে। তখন চোর বলে: স্যার, আপনি অনুমতি দিলে আমি এক দৌড়ে আপনার টুপিটা এনে দিতে পারি।
চোরের কথা শুনে পুলিশের তাৎক্ষণিক জবাব: ব্যাটা তো ভারি চালাক। আমাকে বোকা ভেবেছিস? তুই টুপি আনার কথা বলে দৌড়ে পালাতে চাস? তোর চালাকি আমি ধরতে পারিনি ভেবেছিস? ব্যাটা চালাকের বিচি, এখানে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাক। আমি টুপিটা নিয়ে আসছি।
গ. এলাকার এক নামকরা সন্ত্রাসী ঘটা করে একটি রাজনৈতিক দলে যোগ দিল। এ উপলক্ষে একটি সংবর্ধনা সভার আয়োজন করা হলো। তবে সভায় তেমন জনসমাগম হলো না। সাকল্যে শখানেক মানুষ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বসে আছে। গলায় কাগজের ফুলের মালা ঝুলিয়ে বুক ফুলিয়ে সন্ত্রাসী-কাম রাজনীতিক বক্তৃতা দিতে ওঠামাত্র হঠাৎ বোমা ফাটার বিকট শব্দ। ভয়ে শ্রোতাদের অর্ধেক দৌড়ে পালাল। সন্ত্রাসী নেতা গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে উঠলেন: বোমা ফাটিয়ে আমাকে ভয় দেখানো যাবে না। অস্ত্র আমার কাছেও আছে। দলে ঢুকেছি, কিন্তু অস্ত্র ছাড়িনি। একাত্তরে মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন হওয়ার পর অস্ত্র জমা দিয়েছিলেন, ট্রেনিং জমা দেননি। আমি ট্রেনিং এবং অস্ত্রসমেত রাজনীতিতে ঢুকেছি। তারপর কোমর থেকে পিস্তল বের করে দুই রাউন্ড গুলি ছুড়তেই বাকি শ্রোতারাও ভেগে গেল। এরপর মাঠ ফাঁকা। ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়ার বন্দোবস্ত পাকা।
ঘ. শিবরাম চক্রবর্তী ছিলেন রসের রাজা। তাঁর লেখা যেমন রসে ঠাসা, তেমনি চলনে বলনেও তিনি ছিলেন মজার মানুষ। একবার এক নেমন্তন্ন বাড়িতে খেতে খেতে শিবরাম বললেন, খাসির মাংসটা সুস্বাদু হওয়ায় একটু বেশি খেয়েছি। প্রেশারটা হাই হয়ে গেল মনে হচ্ছে’। বলেই পকেট থেকে বের করে কয়েকটি ট্যাবলেট টপাটপ খেয়ে নিয়ে আবার মাংস খেতে শুরু করলেন। একজন তাঁর দিকে সবিস্ময়ে তাকাতেই বললেন, ‘ওষুধ খেয়ে মনে হলো প্রেশারটা লো হয়ে গেল। তাই আরও কয়েক টুকরা মাংস খেয়ে প্রেশারটা নরমাল করে নিচ্ছি।’
ঙ. একজন শিক্ষার্থী তার সহপাঠীকে জিজ্ঞেস করল, হিটলার কেন আত্মহত্যা করেছিল জানিস?
-‘জানি, আইখম্যানের কারণে।’
-‘কেন আইখম্যান কি করেছিল?’
-‘গ্যাস চেম্বারের বিল দাখিল করেছিল হিটলারের কাছে। বিলে অঙ্ক দেখেই হিটলার...’
পাকিস্তানের সাবেক সামরিক শাসক জেনারেল জিয়াউল হক সার্ক সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য ভারত যাবেন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে তাঁর ব্যক্তিগত নাপিত অসুস্থ। তিনি আবার ক্লিন শেভড না হলে কোনো আলোচনায় মন বসাতে পারেন না। তখন তার অসুস্থ নাপিত জানাল, ‘স্যার আপনি ভাববেন না, ওখানে আমার এক পরিচিত জ্ঞাতি ভাই আছে, সেও ভালো নাপিত। তাঁকে আমি খবর দিয়ে দিয়েছি, সে আপনাকে ক্লিন শেভড করে দেবে আমার মতোই।’
প্রেসিডেন্ট জিয়া নিশ্চিত হয়ে রওনা হলেন ভারতে। ওখানে পৌঁছে ক্লিন শেভড হতেও সমস্যা হলো না। ভালো শেভ করল সেই জ্ঞাতি ভাই। পরে জিয়াউল হকের ব্যক্তিগত নাপিত তাঁর জ্ঞাতি ভাইকে একদিন ফোনে জিজ্ঞেস করল—
‘তুমি আসলে কীভাবে আমাদের প্রেসিডেন্টের ক্লিন শেভড করলে?’
জ্ঞাতি ভাইয়ের জবাব, ‘কেন, তুমি যেভাবে করতে।’
‘আমি কীভাবে করি সেটা তুমি জানলে কেমন করে?’
‘তুমি একদিন কথা প্রসঙ্গে আমাকে বলেছিলে যে “নির্বাচন কবে দিচ্ছেন?” এই প্রশ্ন করলেই তোমাদের প্রেসিডেন্টের সব দাড়ি-গোঁফের গোড়া শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে যায়। আমিও তাঁকে সে প্রশ্ন করায় একই প্রতিক্রিয়া হলো এবং তখন আমি আরামসে ক্ষুর চালিয়ে কাজ শেষ করি।’
খ. একজন চোরকে পাকড়াও করে থানায় ফেরার পথে হঠাৎ প্রবল বাতাসে পুলিশের মাথার টুপি উড়ে দূরে গিয়ে পড়ে। তখন চোর বলে: স্যার, আপনি অনুমতি দিলে আমি এক দৌড়ে আপনার টুপিটা এনে দিতে পারি।
চোরের কথা শুনে পুলিশের তাৎক্ষণিক জবাব: ব্যাটা তো ভারি চালাক। আমাকে বোকা ভেবেছিস? তুই টুপি আনার কথা বলে দৌড়ে পালাতে চাস? তোর চালাকি আমি ধরতে পারিনি ভেবেছিস? ব্যাটা চালাকের বিচি, এখানে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাক। আমি টুপিটা নিয়ে আসছি।
গ. এলাকার এক নামকরা সন্ত্রাসী ঘটা করে একটি রাজনৈতিক দলে যোগ দিল। এ উপলক্ষে একটি সংবর্ধনা সভার আয়োজন করা হলো। তবে সভায় তেমন জনসমাগম হলো না। সাকল্যে শখানেক মানুষ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বসে আছে। গলায় কাগজের ফুলের মালা ঝুলিয়ে বুক ফুলিয়ে সন্ত্রাসী-কাম রাজনীতিক বক্তৃতা দিতে ওঠামাত্র হঠাৎ বোমা ফাটার বিকট শব্দ। ভয়ে শ্রোতাদের অর্ধেক দৌড়ে পালাল। সন্ত্রাসী নেতা গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে উঠলেন: বোমা ফাটিয়ে আমাকে ভয় দেখানো যাবে না। অস্ত্র আমার কাছেও আছে। দলে ঢুকেছি, কিন্তু অস্ত্র ছাড়িনি। একাত্তরে মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন হওয়ার পর অস্ত্র জমা দিয়েছিলেন, ট্রেনিং জমা দেননি। আমি ট্রেনিং এবং অস্ত্রসমেত রাজনীতিতে ঢুকেছি। তারপর কোমর থেকে পিস্তল বের করে দুই রাউন্ড গুলি ছুড়তেই বাকি শ্রোতারাও ভেগে গেল। এরপর মাঠ ফাঁকা। ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়ার বন্দোবস্ত পাকা।
ঘ. শিবরাম চক্রবর্তী ছিলেন রসের রাজা। তাঁর লেখা যেমন রসে ঠাসা, তেমনি চলনে বলনেও তিনি ছিলেন মজার মানুষ। একবার এক নেমন্তন্ন বাড়িতে খেতে খেতে শিবরাম বললেন, খাসির মাংসটা সুস্বাদু হওয়ায় একটু বেশি খেয়েছি। প্রেশারটা হাই হয়ে গেল মনে হচ্ছে’। বলেই পকেট থেকে বের করে কয়েকটি ট্যাবলেট টপাটপ খেয়ে নিয়ে আবার মাংস খেতে শুরু করলেন। একজন তাঁর দিকে সবিস্ময়ে তাকাতেই বললেন, ‘ওষুধ খেয়ে মনে হলো প্রেশারটা লো হয়ে গেল। তাই আরও কয়েক টুকরা মাংস খেয়ে প্রেশারটা নরমাল করে নিচ্ছি।’
ঙ. একজন শিক্ষার্থী তার সহপাঠীকে জিজ্ঞেস করল, হিটলার কেন আত্মহত্যা করেছিল জানিস?
-‘জানি, আইখম্যানের কারণে।’
-‘কেন আইখম্যান কি করেছিল?’
-‘গ্যাস চেম্বারের বিল দাখিল করেছিল হিটলারের কাছে। বিলে অঙ্ক দেখেই হিটলার...’
আমি দুই মাস আগেই বলেছিলাম, নভেম্বরে পরিস্থিতি খারাপ হবে। আমি সেটা দেশের বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখার মাধ্যমে তুলে ধরেছিলাম। এবারের ডেঙ্গু পরিস্থিতিটা আগের বছরগুলোর মতো না। অন্যান্য বছরে নভেম্বরের দিকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি কমে আসতে শুরু করে।
১৬ ঘণ্টা আগেআজ ১৭ নভেম্বর, মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যুদিবস। ১৯৭৬ সালের এ দিনে তিনি এক বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের ইতিহাস পেছনে ফেলে পরলোকগমন করেন। আজীবন সংগ্রামী ভাসানী কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে সোচ্চার থাকার পাশাপাশি বাংলাদেশের স্বাধীনতারও ছিলেন প্রথম প্রবক্তা।
১৬ ঘণ্টা আগেসকালের আলোয় মনটা অকারণে আনমনা হয়ে যায়। মনের কোণে হঠাৎ বেজে ওঠে চেনা গানের সুর—‘কোন পুরাতন প্রাণের টানে...।’ মন ছুটে যায় সেই ছেলেবেলায়, যখন ঋতুবদল ঘটত গানের সুরেই।
১৬ ঘণ্টা আগেজুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশে শেখ হাসিনার দীর্ঘস্থায়ী দুঃশাসনের অবসান হয়েছে। ক্ষমতা পেয়েছে অন্তর্বর্তী এক সরকার, যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন অরাজনৈতিক অথচ বিশ্বখ্যাত ব্যক্তি, বাংলাদেশের একমাত্র নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
১৬ ঘণ্টা আগে