সৈয়দ রুহুল আমিন
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় তৎকালীন পূর্ববঙ্গের ফরিদপুর জেলার মাদারীপুরে ১৯৩৪ সনের ৭ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। জন্মগত কাব্য প্রতিভার কারণে কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে ১৯৫৩ সালে কৃত্তিবাস নামের কবিতা পত্রিকা প্রকাশ করে আধুনিক কবিগোষ্ঠী হিসেবে নিজেদের স্থান করে নেন। পরে ১৯৬৬ সালে শারদীয় সংখ্যা দেশ পত্রিকায় প্রথম উপন্যাস ‘আত্মপ্রকাশ’ প্রকাশ করে ঔপন্যাসিক হিসেবে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।
যদিও গদ্য সাহিত্য সুনীলের বিপুল খ্যাতি এবং পাঠকপ্রিয়তা এনে দেয়, তবুও তিনি নিজকে কবি ভাবতে ভালোবাসতেন।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কথা বলতে গেলে আরও কিছু কথা এসে যায়। আমার পরম সৌভাগ্য যে তারাপদ রায়; অর্থাৎ, আমাদের অগ্রজপ্রতিম তারাপদদার কল্যাণে তাঁদের একান্ত ঘরোয়া আড্ডা ‘বুধসন্ধ্যা’য় তাঁদের সান্নিধ্য লাভ করে পরমানন্দ লাভ করি।
কোনো এক আড্ডায় স্বাতী গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রস্তাবে এবং কয়েকজন সমমনা ব্যক্তির সহযোগিতায় সংস্থাটির জন্ম ১৯৮২ সালে। প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের মধ্যে ছিলেন রঞ্জিত গুহ, ডা. ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়, ডা. জয়ন্ত সেন, সুরঞ্জিত ঘোষ, কল্যাণ মজুমদার এবং অবশ্যই স্বাতী ও সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। ক্রমে এর সঙ্গে যুক্ত হন সাগরময় ঘোষ, সমরেশ বসু, সুবিনয় রায়, সমরেন্দ্র সেনগুপ্ত, উৎপলকুমার বসু, নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, দিব্যেন্দু পালিত, বিজয়া ও শরৎ মুখোপাধ্যায়, পবিত্র সরকার, বুদ্ধদেব গুহ প্রমুখ। পরবর্তী সময়ে প্রবীণ ও নবীন লেখক, কবি, বুদ্ধিজীবী সমাজের নানা স্তরের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গও এই সংস্থায় যুক্ত হন।
আসলে বুধসন্ধ্যা ছিল সমমনা কয়েকজনের অন্দরমহল। বুধসন্ধ্যার আসর প্রথমে বসত এই সংগঠনের জ্যেষ্ঠ সদস্য কল্যাণ চৌধুরীর অ্যাম্বাসি অ্যাপার্টমেন্টে। ওটা হচ্ছে এ সি মার্কেটের উল্টোদিকে। আমি যখন বুধসন্ধ্যায় যেতে শুরু করি, তখন তা হচ্ছিল জাস্টিস বিমল বসাকের দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুরের বিশাল ভবনের দোতলায় একটি বিশাল হলরুমে। বিমল বসাকের আদি বাড়ি ঢাকায়, আর তাঁর স্ত্রী সুনন্দার বাড়ি আমাদের সিলেটের হবিগঞ্জে।
সেই বিশাল হলরুমের একদিকে ছিল তাকিয়া বালিশসমেত বিছানা পাতা, অন্যদিকে চেয়ারের ব্যবস্থা। আমি আর ন্যান্সি অসংখ্যবার তারাপদদা, আর মিনতি বৌদির সাথে বুধসন্ধার আসরে গিয়েছি; কিন্তু কোনো দিনই সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়কে চেয়ারে বসতে দেখিনি। তিনি সব সময় তাকিয়ায় হেলান দিয়ে আধশোয়া হয়ে গল্পগুজব করতেন, কখনো কবিতা আবৃত্তি করতেন। একদিন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কণ্ঠে গান শুনে আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। শুনলাম ওই গান তাঁরই রচনা। আরও জানতে পারলাম তাঁর লেখা ‘রাধাকৃষ্ণ’ উপন্যাস নিয়ে শিবাজি রায় যে ছবিটা তৈরি করছেন, এই গান সেই ছবির জন্যই তিনি লিখেছেন।
এই বুধসন্ধ্যার আসরেই আমি পরিচিত হই স্বাতীদির বড়ভাই দেবব্রতদা ও তাঁর স্ত্রী বাণীদি, স্বাতীদির ছোট বোন খুকু ও তাঁর স্বামী পার্থ মুখার্জি, স্বাতীদির মামাতো বোন মিনাদি ও তাঁর স্বামী শিতলদা, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বিশিষ্ট বন্ধু ভাস্কর দত্তসহ আরও অনেকের সঙ্গে।
বুধসন্ধ্যার কল্যাণে আমার প্রিয় কয়েকজন লেখকের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সৌভাগ্য লাভ করি। যেমন সমরেশ বসু, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, কল্যাণ মজুমদার, বুদ্ধদেব গুহসহ আরও কয়েকজন।
স্বাতীদির দাদা দেবব্রতদা এবং তাঁর স্ত্রী বাণীদির কথা আমাদের সব সময় মনে থাকবে। এই সহৃদয় দম্পতি কলকাতার সব বনেদি ক্লাবের সদস্য ছিলেন। আমরা যতবারই গিয়েছি, তাঁরা প্রতিবারই আমাকে ও ন্যান্সিকে ওই সব ক্লাবে নিয়ে খুব ভালো করে খাইয়েছেন, উপহারও দিয়েছেন। আজ দুজনই প্রয়াত; সৃষ্টিকর্তা তাঁদের মঙ্গল করুন।
পরিচয় পর্বে আমি কল্যাণ মজুমদারকে খুব অবাক করে দিয়েছিলাম। তিনি তাঁর নাম বলার সঙ্গে সঙ্গে আমি প্রশ্নের ভঙ্গিতে বলেছিলাম, ‘ময়ূর এয়ারলাইনস?’
তাঁর মুখটা খুশিতে ভরে উঠল—‘তুমি পড়েছ? ভালো লেগেছে?’
-আমি বললাম, খুব।
ভালো লাগার মতো এই গল্পটা অন্য পরিসরে আপনাদেরকে জানাব।
কল্যাণদা বহুদিন ঢাকায় এয়ার ইন্ডিয়ার ম্যানেজার হিসেবে ছিলেন। ঢাকা নিয়ে অনেক কথা বলার পর তিনি কিছুটা উদাস হয়ে গেলেন। তারপর বললেন, জানো আমি এখনো ঢাকা খুব মিস করি।
ইলিশ দুপুর
ঢাকায় আমরা ইলিশকে যতই মাছের রাজা বলি না কেন, বাস্তবতা হলো ইলিশকে রাজকীয় মর্যাদা দিয়েছিলেন বুধসন্ধ্যার সদস্যেরা। বিশাল হলরুম ভাড়া করে মহাসমারোহে ইলিশ মাছের বিভিন্ন পদ রন্ধন ও ভোজন হতো। সেই মহোৎসবের নামটিও ছিল ভারী সুন্দর—ইলিশ দুপুর।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় সংবর্ধনা, সম্মান এবং পাঠকদের শ্রদ্ধা, ভালোবাসা পেয়েছেন প্রচুর। সেই শ্রদ্ধা, ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে এই মহান সাহিত্যিক চলে গিয়েছিলেন না ফেরার দেশে আজকের এই দিনে ২০১২ সালে।
সুনীল-শক্তি-তারাপদ—এই তিন বন্ধু তো চলে গেছেন অনেক আগে। আরও চলে গেছেন দাদা শিতলদা, ধ্রুবজ্যোতিদা, সৌমিত্র, বুদ্ধদেবসহ আরও কতজন। মিনতি বৌদি, বাণীদি কেউই নেই আর।
কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা করি, যারা চলে গেছেন, মঙ্গলময় তাঁদের মঙ্গলালোকে শান্তিতে রাখুন; আর যারা আছেন, তাঁদের কল্যাণ হোক।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় তৎকালীন পূর্ববঙ্গের ফরিদপুর জেলার মাদারীপুরে ১৯৩৪ সনের ৭ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। জন্মগত কাব্য প্রতিভার কারণে কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে ১৯৫৩ সালে কৃত্তিবাস নামের কবিতা পত্রিকা প্রকাশ করে আধুনিক কবিগোষ্ঠী হিসেবে নিজেদের স্থান করে নেন। পরে ১৯৬৬ সালে শারদীয় সংখ্যা দেশ পত্রিকায় প্রথম উপন্যাস ‘আত্মপ্রকাশ’ প্রকাশ করে ঔপন্যাসিক হিসেবে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।
যদিও গদ্য সাহিত্য সুনীলের বিপুল খ্যাতি এবং পাঠকপ্রিয়তা এনে দেয়, তবুও তিনি নিজকে কবি ভাবতে ভালোবাসতেন।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কথা বলতে গেলে আরও কিছু কথা এসে যায়। আমার পরম সৌভাগ্য যে তারাপদ রায়; অর্থাৎ, আমাদের অগ্রজপ্রতিম তারাপদদার কল্যাণে তাঁদের একান্ত ঘরোয়া আড্ডা ‘বুধসন্ধ্যা’য় তাঁদের সান্নিধ্য লাভ করে পরমানন্দ লাভ করি।
কোনো এক আড্ডায় স্বাতী গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রস্তাবে এবং কয়েকজন সমমনা ব্যক্তির সহযোগিতায় সংস্থাটির জন্ম ১৯৮২ সালে। প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের মধ্যে ছিলেন রঞ্জিত গুহ, ডা. ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়, ডা. জয়ন্ত সেন, সুরঞ্জিত ঘোষ, কল্যাণ মজুমদার এবং অবশ্যই স্বাতী ও সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। ক্রমে এর সঙ্গে যুক্ত হন সাগরময় ঘোষ, সমরেশ বসু, সুবিনয় রায়, সমরেন্দ্র সেনগুপ্ত, উৎপলকুমার বসু, নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, দিব্যেন্দু পালিত, বিজয়া ও শরৎ মুখোপাধ্যায়, পবিত্র সরকার, বুদ্ধদেব গুহ প্রমুখ। পরবর্তী সময়ে প্রবীণ ও নবীন লেখক, কবি, বুদ্ধিজীবী সমাজের নানা স্তরের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গও এই সংস্থায় যুক্ত হন।
আসলে বুধসন্ধ্যা ছিল সমমনা কয়েকজনের অন্দরমহল। বুধসন্ধ্যার আসর প্রথমে বসত এই সংগঠনের জ্যেষ্ঠ সদস্য কল্যাণ চৌধুরীর অ্যাম্বাসি অ্যাপার্টমেন্টে। ওটা হচ্ছে এ সি মার্কেটের উল্টোদিকে। আমি যখন বুধসন্ধ্যায় যেতে শুরু করি, তখন তা হচ্ছিল জাস্টিস বিমল বসাকের দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুরের বিশাল ভবনের দোতলায় একটি বিশাল হলরুমে। বিমল বসাকের আদি বাড়ি ঢাকায়, আর তাঁর স্ত্রী সুনন্দার বাড়ি আমাদের সিলেটের হবিগঞ্জে।
সেই বিশাল হলরুমের একদিকে ছিল তাকিয়া বালিশসমেত বিছানা পাতা, অন্যদিকে চেয়ারের ব্যবস্থা। আমি আর ন্যান্সি অসংখ্যবার তারাপদদা, আর মিনতি বৌদির সাথে বুধসন্ধার আসরে গিয়েছি; কিন্তু কোনো দিনই সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়কে চেয়ারে বসতে দেখিনি। তিনি সব সময় তাকিয়ায় হেলান দিয়ে আধশোয়া হয়ে গল্পগুজব করতেন, কখনো কবিতা আবৃত্তি করতেন। একদিন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কণ্ঠে গান শুনে আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। শুনলাম ওই গান তাঁরই রচনা। আরও জানতে পারলাম তাঁর লেখা ‘রাধাকৃষ্ণ’ উপন্যাস নিয়ে শিবাজি রায় যে ছবিটা তৈরি করছেন, এই গান সেই ছবির জন্যই তিনি লিখেছেন।
এই বুধসন্ধ্যার আসরেই আমি পরিচিত হই স্বাতীদির বড়ভাই দেবব্রতদা ও তাঁর স্ত্রী বাণীদি, স্বাতীদির ছোট বোন খুকু ও তাঁর স্বামী পার্থ মুখার্জি, স্বাতীদির মামাতো বোন মিনাদি ও তাঁর স্বামী শিতলদা, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বিশিষ্ট বন্ধু ভাস্কর দত্তসহ আরও অনেকের সঙ্গে।
বুধসন্ধ্যার কল্যাণে আমার প্রিয় কয়েকজন লেখকের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সৌভাগ্য লাভ করি। যেমন সমরেশ বসু, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, কল্যাণ মজুমদার, বুদ্ধদেব গুহসহ আরও কয়েকজন।
স্বাতীদির দাদা দেবব্রতদা এবং তাঁর স্ত্রী বাণীদির কথা আমাদের সব সময় মনে থাকবে। এই সহৃদয় দম্পতি কলকাতার সব বনেদি ক্লাবের সদস্য ছিলেন। আমরা যতবারই গিয়েছি, তাঁরা প্রতিবারই আমাকে ও ন্যান্সিকে ওই সব ক্লাবে নিয়ে খুব ভালো করে খাইয়েছেন, উপহারও দিয়েছেন। আজ দুজনই প্রয়াত; সৃষ্টিকর্তা তাঁদের মঙ্গল করুন।
পরিচয় পর্বে আমি কল্যাণ মজুমদারকে খুব অবাক করে দিয়েছিলাম। তিনি তাঁর নাম বলার সঙ্গে সঙ্গে আমি প্রশ্নের ভঙ্গিতে বলেছিলাম, ‘ময়ূর এয়ারলাইনস?’
তাঁর মুখটা খুশিতে ভরে উঠল—‘তুমি পড়েছ? ভালো লেগেছে?’
-আমি বললাম, খুব।
ভালো লাগার মতো এই গল্পটা অন্য পরিসরে আপনাদেরকে জানাব।
কল্যাণদা বহুদিন ঢাকায় এয়ার ইন্ডিয়ার ম্যানেজার হিসেবে ছিলেন। ঢাকা নিয়ে অনেক কথা বলার পর তিনি কিছুটা উদাস হয়ে গেলেন। তারপর বললেন, জানো আমি এখনো ঢাকা খুব মিস করি।
ইলিশ দুপুর
ঢাকায় আমরা ইলিশকে যতই মাছের রাজা বলি না কেন, বাস্তবতা হলো ইলিশকে রাজকীয় মর্যাদা দিয়েছিলেন বুধসন্ধ্যার সদস্যেরা। বিশাল হলরুম ভাড়া করে মহাসমারোহে ইলিশ মাছের বিভিন্ন পদ রন্ধন ও ভোজন হতো। সেই মহোৎসবের নামটিও ছিল ভারী সুন্দর—ইলিশ দুপুর।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় সংবর্ধনা, সম্মান এবং পাঠকদের শ্রদ্ধা, ভালোবাসা পেয়েছেন প্রচুর। সেই শ্রদ্ধা, ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে এই মহান সাহিত্যিক চলে গিয়েছিলেন না ফেরার দেশে আজকের এই দিনে ২০১২ সালে।
সুনীল-শক্তি-তারাপদ—এই তিন বন্ধু তো চলে গেছেন অনেক আগে। আরও চলে গেছেন দাদা শিতলদা, ধ্রুবজ্যোতিদা, সৌমিত্র, বুদ্ধদেবসহ আরও কতজন। মিনতি বৌদি, বাণীদি কেউই নেই আর।
কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা করি, যারা চলে গেছেন, মঙ্গলময় তাঁদের মঙ্গলালোকে শান্তিতে রাখুন; আর যারা আছেন, তাঁদের কল্যাণ হোক।
আমি দুই মাস আগেই বলেছিলাম, নভেম্বরে পরিস্থিতি খারাপ হবে। আমি সেটা দেশের বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখার মাধ্যমে তুলে ধরেছিলাম। এবারের ডেঙ্গু পরিস্থিতিটা আগের বছরগুলোর মতো না। অন্যান্য বছরে নভেম্বরের দিকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি কমে আসতে শুরু করে।
১৪ ঘণ্টা আগেআজ ১৭ নভেম্বর, মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যুদিবস। ১৯৭৬ সালের এ দিনে তিনি এক বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের ইতিহাস পেছনে ফেলে পরলোকগমন করেন। আজীবন সংগ্রামী ভাসানী কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে সোচ্চার থাকার পাশাপাশি বাংলাদেশের স্বাধীনতারও ছিলেন প্রথম প্রবক্তা।
১৪ ঘণ্টা আগেসকালের আলোয় মনটা অকারণে আনমনা হয়ে যায়। মনের কোণে হঠাৎ বেজে ওঠে চেনা গানের সুর—‘কোন পুরাতন প্রাণের টানে...।’ মন ছুটে যায় সেই ছেলেবেলায়, যখন ঋতুবদল ঘটত গানের সুরেই।
১৪ ঘণ্টা আগেজুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশে শেখ হাসিনার দীর্ঘস্থায়ী দুঃশাসনের অবসান হয়েছে। ক্ষমতা পেয়েছে অন্তর্বর্তী এক সরকার, যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন অরাজনৈতিক অথচ বিশ্বখ্যাত ব্যক্তি, বাংলাদেশের একমাত্র নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
১৪ ঘণ্টা আগে