অলোক বসু, নাট্যকার
গত কদিনে সাম্প্রদায়িক হামলার কারণে এ দেশের অসাম্প্রদায়িক, মানবিক, বিবেকবান মানুষের মনে নিদারুণ এক ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন, মন্দির ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ওপর যে অন্যায় আক্রমণ চলেছে দেশের বিভিন্ন স্থানে, তা হিন্দু সম্প্রদায়সহ অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের যেমন আতঙ্কিত করেছে, তেমনি আতঙ্কিত করছে ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায়নির্বিশেষে এ দেশের অগণিত সংবেদনশীল উদার মনের অসাম্প্রদায়িক মানুষকে। তাদের হৃদয়ে যে ক্ষরণ চলছে, তার প্রশমন বুঝি খুব সহজে হওয়ার নয়।
কিন্তু কেন এমনটা ঘটল, এসবের জন্য দায়ী কারা? এসব কি সত্যি সত্যি প্রশাসনের কোনো তদন্তে বেরিয়ে আসবে কোনো দিন? প্রকৃত অপরাধীর কি সত্যি সত্যিই কোনো দিন শাস্তি হবে? প্রশ্নগুলো সহজ, আর উত্তরও সবার জানা।
আজ পর্যন্ত এ ধরনের কোনো ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক কোনো বিচার বা শাস্তির কথা আমাদের জানা নেই। ঘটনার পরে প্রতিবার প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ দায়িত্বশীল লোকজন বলে থাকেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীকে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনা হবে। যেকোনো অপকর্মের পরে গৎবাঁধা এ বুলি আমরা শুনতে অভ্যস্ত। কিন্তু এর পরেই যে ঘটনাটা ঘটে তা হলো, এসব ঘটনাকে ইস্যু তৈরি করে রাজনৈতিক দলগুলো একে অপরকে ঘায়েল করতে, ফায়দা লুটতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এই রাজনৈতিক কূটকৌশলের খেলায় বল যার পায়ে যায়, সে-ই গোল দেওয়ার চেষ্টা করে। ফলে আসল ঘটনা লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যায়। অপরাধের সুষ্ঠু বিচার হয় না। আর সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনাগুলো একসময় আড়ালে চলে যায়। নাকি আড়াল করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়?
সংঘটিত কোনো একটি সাম্প্রদায়িক হামলার সুষ্ঠু বিচার যদি হতো, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি যদি হতো, তাহলে হয়তো এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করা যেত। কিন্তু তা হচ্ছে না। এ ধরনের ঘটনায় কারা লাভবান হন কিংবা এ ধরনের বিষয় সমাজে, দেশে, রাষ্ট্রে জিইয়ে রেখে কারা ফায়দা লোটার চেষ্টা করেন কিংবা রাষ্ট্র বা প্রশাসন কেন বারবার ব্যর্থ হচ্ছে–এসব একটু খতিয়ে দেখার দরকার রয়েছে।
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশের সংবিধানের চার মূলনীতির অন্যতম ছিল ধর্মনিরপেক্ষতা। পরবর্তীকালে এরশাদ শাহি অবৈধভাবে সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা সরিয়ে দিয়ে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংযোজন করেন। পরবর্তীকালে আদালত এ বিধানকে অবৈধ ঘোষণা করার পরও তা সংবিধান থেকে অপসৃত না হয়ে, নতুন কৌশলে টিকে রয়েছে। নানা কৌশলে রাজনীতিতে ধর্মের অপব্যবহার হতে দেখছি আমরা।
ধর্মকে অস্ত্র হিসেবে সুকৌশলে ব্যবহার করে ক্ষমতা ধরে রাখা কিংবা ক্ষমতায় যাওয়ার যে অপরাজনীতি চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে, তা যে কতটা ক্ষতি করেছে বাংলাদেশের, তা যেকোনো বিবেকবান মানুষ আজ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ থেকে অনেক দূরে সরে গেছি। আমরা মুখে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা বললেও, বাস্তবে তা তলানিতে গিয়ে পৌঁছেছে।
রাজনীতিতে ধর্ম আজ সবচেয়ে শক্তিশালী ও কার্যকর উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলোর কোনোটিই এর ভয়াবহ পরিণামের কথা ভাবছে না। ধর্মীয়ভাবে স্থিতিশীল ও শান্তিপ্রিয় একটি রাষ্ট্র থেকে আমরা যে ক্রমাগত অসহিষ্ণু, অস্থিতিশীল ও উগ্রতার দিকে এগিয়ে চলেছি তা কি আমাদের দেশের দায়িত্বশীল বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলো অনুধাবন করতে পারছে না? নিশ্চয়ই পারছে। না পারার কথা নয়। আশপাশের যেসব দেশে রাজনীতিতে ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে, সেসব দেশের পরিণতি তারা দেখেছে। আমাদের দেশের বড় বড় দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের মধ্যে এখনো তো অনেকে জীবিত আছেন, যাঁরা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, তাঁরা তো জানেন পাকিস্তানের ধর্মীয় বিভাজনের রাজনীতি থেকে কীভাবে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ। তাহলে আবার কেন আপনারা পুরোনো অশনিসংকেতের চোরাগলির পথে হাঁটা থেকে বেরিয়ে আসছেন না? এ ক্ষেত্রে আমি বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কথা বলব বেশি করে। আপনাদের দায়দায়িত্ব সবচেয়ে বেশি। আপনাদের নেতৃত্বে স্বাধীন হয়েছিল বাংলাদেশ। ত্রিশ লাখ মানুষের রক্ত ও চার লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে যে স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়েছিল, ১৯৭২ সালে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য যে অনন্য সংবিধান তৈরি হয়েছিল, তার থেকে দূরে সরে গিয়ে আপনারা দেশের কল্যাণ করতে পারবেন না। মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতার চেতনা-আদর্শ পরিপূর্ণভাবে লালনের মধ্য দিয়ে এ দেশের মানুষের জন্য যে কল্যাণকর পথ বাতলে দেওয়া আছে’ ৭২-এর সংবিধানে, তার থেকে বিচ্যুত হয়ে এ দেশ ও দেশের মানুষের সার্বিক মঙ্গলসাধন কোনোমতেই সম্ভব নয়।
ধর্মনিরপেক্ষতা থেকে সরে গিয়ে যে ধর্মের রাজনীতি প্রোথিত হয়েছে দেশে-সমাজে, তার থেকে ক্রমাগতভাবে সৃষ্টি হচ্ছে ধর্মীয় বিভাজন, হিংসা, বিদ্বেষ ও সংঘাতের রাজনীতি। সৃষ্টি হচ্ছে অসহিষ্ণুতা, অনুদার সংকীর্ণতা, অস্থিতিশীলতা ও সংঘাত। দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও দেশ ও জাতির প্রধান সম্পদ মানবসম্পদ রয়ে যাচ্ছে অন্ধকারে, থেকে যাচ্ছে অনুন্নত।
দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে জনগণের বা মানবসম্পদের প্রকৃত উন্নয়নের জন্য বিজ্ঞানভিত্তিক আধুনিক শিক্ষার গুরুত্ব যেমন অপরিসীম, তেমনি একটি সভ্য, উন্নত ও আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হলে রাজনীতি থেকে ধর্মকে বিযুক্ত করতে হবে। রাষ্ট্র ধর্মের পরিবর্তে ধর্মনিরপেক্ষতার পথে ফিরে যাওয়ার বিকল্প নেই। স্বাধীন, সভ্য, স্থিতিশীল ও আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে ভবিষ্যতের বাংলাদেশকে দেখতে চাইলে আমাদের এখনই সংবিধান থেকে হাওয়া হয়ে যাওয়া ধর্মনিরপেক্ষতাকে আবার ফিরিয়ে আনতে হবে এবং রাষ্ট্র পরিচালনা তার আলোকেই করতে হবে। এর বাইরে আর কোনো পথ নেই।
অলোক বসু: নাট্যকার
গত কদিনে সাম্প্রদায়িক হামলার কারণে এ দেশের অসাম্প্রদায়িক, মানবিক, বিবেকবান মানুষের মনে নিদারুণ এক ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন, মন্দির ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ওপর যে অন্যায় আক্রমণ চলেছে দেশের বিভিন্ন স্থানে, তা হিন্দু সম্প্রদায়সহ অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের যেমন আতঙ্কিত করেছে, তেমনি আতঙ্কিত করছে ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায়নির্বিশেষে এ দেশের অগণিত সংবেদনশীল উদার মনের অসাম্প্রদায়িক মানুষকে। তাদের হৃদয়ে যে ক্ষরণ চলছে, তার প্রশমন বুঝি খুব সহজে হওয়ার নয়।
কিন্তু কেন এমনটা ঘটল, এসবের জন্য দায়ী কারা? এসব কি সত্যি সত্যি প্রশাসনের কোনো তদন্তে বেরিয়ে আসবে কোনো দিন? প্রকৃত অপরাধীর কি সত্যি সত্যিই কোনো দিন শাস্তি হবে? প্রশ্নগুলো সহজ, আর উত্তরও সবার জানা।
আজ পর্যন্ত এ ধরনের কোনো ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক কোনো বিচার বা শাস্তির কথা আমাদের জানা নেই। ঘটনার পরে প্রতিবার প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ দায়িত্বশীল লোকজন বলে থাকেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীকে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনা হবে। যেকোনো অপকর্মের পরে গৎবাঁধা এ বুলি আমরা শুনতে অভ্যস্ত। কিন্তু এর পরেই যে ঘটনাটা ঘটে তা হলো, এসব ঘটনাকে ইস্যু তৈরি করে রাজনৈতিক দলগুলো একে অপরকে ঘায়েল করতে, ফায়দা লুটতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এই রাজনৈতিক কূটকৌশলের খেলায় বল যার পায়ে যায়, সে-ই গোল দেওয়ার চেষ্টা করে। ফলে আসল ঘটনা লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যায়। অপরাধের সুষ্ঠু বিচার হয় না। আর সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনাগুলো একসময় আড়ালে চলে যায়। নাকি আড়াল করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়?
সংঘটিত কোনো একটি সাম্প্রদায়িক হামলার সুষ্ঠু বিচার যদি হতো, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি যদি হতো, তাহলে হয়তো এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করা যেত। কিন্তু তা হচ্ছে না। এ ধরনের ঘটনায় কারা লাভবান হন কিংবা এ ধরনের বিষয় সমাজে, দেশে, রাষ্ট্রে জিইয়ে রেখে কারা ফায়দা লোটার চেষ্টা করেন কিংবা রাষ্ট্র বা প্রশাসন কেন বারবার ব্যর্থ হচ্ছে–এসব একটু খতিয়ে দেখার দরকার রয়েছে।
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশের সংবিধানের চার মূলনীতির অন্যতম ছিল ধর্মনিরপেক্ষতা। পরবর্তীকালে এরশাদ শাহি অবৈধভাবে সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা সরিয়ে দিয়ে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংযোজন করেন। পরবর্তীকালে আদালত এ বিধানকে অবৈধ ঘোষণা করার পরও তা সংবিধান থেকে অপসৃত না হয়ে, নতুন কৌশলে টিকে রয়েছে। নানা কৌশলে রাজনীতিতে ধর্মের অপব্যবহার হতে দেখছি আমরা।
ধর্মকে অস্ত্র হিসেবে সুকৌশলে ব্যবহার করে ক্ষমতা ধরে রাখা কিংবা ক্ষমতায় যাওয়ার যে অপরাজনীতি চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে, তা যে কতটা ক্ষতি করেছে বাংলাদেশের, তা যেকোনো বিবেকবান মানুষ আজ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ থেকে অনেক দূরে সরে গেছি। আমরা মুখে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা বললেও, বাস্তবে তা তলানিতে গিয়ে পৌঁছেছে।
রাজনীতিতে ধর্ম আজ সবচেয়ে শক্তিশালী ও কার্যকর উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলোর কোনোটিই এর ভয়াবহ পরিণামের কথা ভাবছে না। ধর্মীয়ভাবে স্থিতিশীল ও শান্তিপ্রিয় একটি রাষ্ট্র থেকে আমরা যে ক্রমাগত অসহিষ্ণু, অস্থিতিশীল ও উগ্রতার দিকে এগিয়ে চলেছি তা কি আমাদের দেশের দায়িত্বশীল বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলো অনুধাবন করতে পারছে না? নিশ্চয়ই পারছে। না পারার কথা নয়। আশপাশের যেসব দেশে রাজনীতিতে ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে, সেসব দেশের পরিণতি তারা দেখেছে। আমাদের দেশের বড় বড় দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের মধ্যে এখনো তো অনেকে জীবিত আছেন, যাঁরা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, তাঁরা তো জানেন পাকিস্তানের ধর্মীয় বিভাজনের রাজনীতি থেকে কীভাবে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ। তাহলে আবার কেন আপনারা পুরোনো অশনিসংকেতের চোরাগলির পথে হাঁটা থেকে বেরিয়ে আসছেন না? এ ক্ষেত্রে আমি বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কথা বলব বেশি করে। আপনাদের দায়দায়িত্ব সবচেয়ে বেশি। আপনাদের নেতৃত্বে স্বাধীন হয়েছিল বাংলাদেশ। ত্রিশ লাখ মানুষের রক্ত ও চার লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে যে স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়েছিল, ১৯৭২ সালে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য যে অনন্য সংবিধান তৈরি হয়েছিল, তার থেকে দূরে সরে গিয়ে আপনারা দেশের কল্যাণ করতে পারবেন না। মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতার চেতনা-আদর্শ পরিপূর্ণভাবে লালনের মধ্য দিয়ে এ দেশের মানুষের জন্য যে কল্যাণকর পথ বাতলে দেওয়া আছে’ ৭২-এর সংবিধানে, তার থেকে বিচ্যুত হয়ে এ দেশ ও দেশের মানুষের সার্বিক মঙ্গলসাধন কোনোমতেই সম্ভব নয়।
ধর্মনিরপেক্ষতা থেকে সরে গিয়ে যে ধর্মের রাজনীতি প্রোথিত হয়েছে দেশে-সমাজে, তার থেকে ক্রমাগতভাবে সৃষ্টি হচ্ছে ধর্মীয় বিভাজন, হিংসা, বিদ্বেষ ও সংঘাতের রাজনীতি। সৃষ্টি হচ্ছে অসহিষ্ণুতা, অনুদার সংকীর্ণতা, অস্থিতিশীলতা ও সংঘাত। দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও দেশ ও জাতির প্রধান সম্পদ মানবসম্পদ রয়ে যাচ্ছে অন্ধকারে, থেকে যাচ্ছে অনুন্নত।
দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে জনগণের বা মানবসম্পদের প্রকৃত উন্নয়নের জন্য বিজ্ঞানভিত্তিক আধুনিক শিক্ষার গুরুত্ব যেমন অপরিসীম, তেমনি একটি সভ্য, উন্নত ও আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হলে রাজনীতি থেকে ধর্মকে বিযুক্ত করতে হবে। রাষ্ট্র ধর্মের পরিবর্তে ধর্মনিরপেক্ষতার পথে ফিরে যাওয়ার বিকল্প নেই। স্বাধীন, সভ্য, স্থিতিশীল ও আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে ভবিষ্যতের বাংলাদেশকে দেখতে চাইলে আমাদের এখনই সংবিধান থেকে হাওয়া হয়ে যাওয়া ধর্মনিরপেক্ষতাকে আবার ফিরিয়ে আনতে হবে এবং রাষ্ট্র পরিচালনা তার আলোকেই করতে হবে। এর বাইরে আর কোনো পথ নেই।
অলোক বসু: নাট্যকার
আমি দুই মাস আগেই বলেছিলাম, নভেম্বরে পরিস্থিতি খারাপ হবে। আমি সেটা দেশের বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখার মাধ্যমে তুলে ধরেছিলাম। এবারের ডেঙ্গু পরিস্থিতিটা আগের বছরগুলোর মতো না। অন্যান্য বছরে নভেম্বরের দিকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি কমে আসতে শুরু করে।
১৪ ঘণ্টা আগেআজ ১৭ নভেম্বর, মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যুদিবস। ১৯৭৬ সালের এ দিনে তিনি এক বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের ইতিহাস পেছনে ফেলে পরলোকগমন করেন। আজীবন সংগ্রামী ভাসানী কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে সোচ্চার থাকার পাশাপাশি বাংলাদেশের স্বাধীনতারও ছিলেন প্রথম প্রবক্তা।
১৪ ঘণ্টা আগেসকালের আলোয় মনটা অকারণে আনমনা হয়ে যায়। মনের কোণে হঠাৎ বেজে ওঠে চেনা গানের সুর—‘কোন পুরাতন প্রাণের টানে...।’ মন ছুটে যায় সেই ছেলেবেলায়, যখন ঋতুবদল ঘটত গানের সুরেই।
১৪ ঘণ্টা আগেজুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশে শেখ হাসিনার দীর্ঘস্থায়ী দুঃশাসনের অবসান হয়েছে। ক্ষমতা পেয়েছে অন্তর্বর্তী এক সরকার, যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন অরাজনৈতিক অথচ বিশ্বখ্যাত ব্যক্তি, বাংলাদেশের একমাত্র নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
১৪ ঘণ্টা আগে