নাদেরা সুলতানা নদী
গানের ভাষায় বলতে গেলে ‘যখন সময় থমকে দাঁড়ায়, নিরাশার পাখি দুহাত বাড়ায়’। আমি যা মনে করি, নিশ্চিত কিছু বিষয়ের অভাব হচ্ছে বিষণ্ণতার অন্যতম কারণ।
বিত্ত, চিত্ত ও শরীর, স্বাস্থ্য—এগুলোর সুসমন্বয় যদি জীবনে না থাকে, আমরা কষ্ট পাই, মন খারাপ হয় এবং লম্বা সময় ধরে এ-জাতীয় যেকোনোটি মোকাবিলা করতে গিয়ে আমাদের হয় বিষণ্ণতা বা ডিপ্রেশন এবং এটি জীবনের কোনো অস্বাভাবিক অধ্যায় নয়। কম বা বেশি আমাদের সবাইকে দেখতে হয় এমন বিষণ্ণ নীল সময়, যাকে আমরা বলি স্তব্ধ বা থমকে যাওয়া সময়!
গত বছর থেকে পুরো বিশ্বেই এ বিষয়টির ভয়াবহতা বেড়েছে। বাংলাদেশে একটা সময় প্রচার করে বলতে হতো, ‘বিষণ্ণতা একটি রোগ’। মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে, পরামর্শ নিতে। কারণ এ নিয়ে আমাদের পরিষ্কার কোনো ধারণা ছিল না। মনেরও যে অসুখ হতে পারে, এ ধারণা এখনো অনেকেরই জানা নেই। আমি আমার একান্ত অভিজ্ঞতা থেকে ছোট করেই কিছু বলছি আজ।
বিষণ্ণ হলে আমরা কে কেমন করে তা কাটিয়ে উঠি, এটা অনেকটাই নির্ভর করে আমরা কে কেমন জীবনযাপন পদ্ধতি বা লাইফস্টাইলে অভ্যস্ত।
যাদের আছে একান্ত নিজস্ব একটা পৃথিবী, পরিবার, পরিজন নিয়ে ভালোবাসাময়, আছে কাজ করার তীব্র আগ্রহ, সময়কে কাজে লাগানোর তাগিদ বা অন্য কোনো শখ, তাদের পক্ষে এমন দুঃসময় হলে পরে তা কাটিয়ে ওঠা একটু সহজ হয়।
এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা মনে করেন এমন হলে পরে সারাক্ষণ শুধু ধর্মচর্চা করলেই ভালো থাকা সম্ভব, এটিও নির্ভর করে সেই ব্যক্তি-মানুষের একান্ত মনোজগতের ওপর। বিষণ্ণ হলে, ডিপ্রেশড হলে ঠিক কী কী অনুভূতি হয়...
সবার আগে যা হয়, জগৎসংসারের কোনো কিছুই টানে না জীবনে...
বিরক্তি আসে, খাওয়া, ঘুম বা অন্য স্বাভাবিক কোনো কাজই আকর্ষণ করে না সাময়িকভাবে।
নিজেকে শুধুই মনে হয় ব্যর্থ এক মানুষ। তাই হতাশা জেঁকে বসে মনে, কখনো কখনো অন্যদের প্রতি তীব্র বিদ্বেষ আসে, হিংসে হয়, রাগ হয়—প্রতিহিংসাপরায়ণও হয়ে যায় কেউ কেউ এবং তীব্রতর পরিণতি হচ্ছে, শুধু লুকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করে কোথাও, বেঁচে থাকতে ইচ্ছে করে না।
এটা ঠিক, জীবনে বেঁচে থাকার জন্য যে মৌলিক চাহিদা, সেই সবই যদি না থাকে, তবে যে ডিপ্রেশন হয়, সেটা ভয়াবহতম এবং কুৎসিত এক পরিণতি ডেকে আনতে পারে।
কেউ কেউ শুধু কোনো কারণে বা অকারণে অসম্মানিত হলেই এই অনুভূতি ভুলে আর স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে না।
আমি অনেকবার এমন বিষণ্ণ সময় পার করেছি, আবার পুরো উদ্যম নিয়ে জীবনে ফিরেছি। হয়তো সকালে উঠে কাজের জায়গায় বসে এক কাপ চা বা কফি হাতে নিয়ে এক জানালা থেকে আকাশের দিকে তাকিয়েছি, আর তখন হঠাৎই মনে হয়েছে, না, জীবন শেষ হয়ে যাওয়ার আগেই তো থেমে যাওয়া যাবে না। লম্বা সময় নষ্ট করব, কী পেলাম, কী পেলাম না, কেন পেলাম না—এ ভাবনার জন্য সময় কোথায়!
বলে নিই, আমি কাজ নিয়ে খুব ব্যস্ত থাকি। এটির সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে, লম্বা সময় মন খারাপ করে বসে থাকার উপায় নেই—থাকে একের পর এক কাজ। কাজের পর কাজ। ঘড়ির সঙ্গে চলি এবং এ পথে চলাই আনন্দ। তবে এত কিছুর পর কোনো কোনো দিন আসে...
‘কেন মেঘ আসে, তোমারে দেখিতে দেয় না’ বা ‘তুই ফেলে এসেছিস কারে মন মনরে আমার’ এমন অনুভব নিয়ে।
সকাল থেকে রাত কোনো কিছুই মনের মতো হয়ে ওঠে না, শান্তি মেলে না কিছুতেই...
কাছের মানুষের জন্য মন কাঁদে, মন পোড়ে, হাহাকার করে বুক, শূন্য শূন্য লাগে সব! এমন অবস্থায় আমি লিখি এবং এই লেখাটাও এমন সময়েরই একটা প্রকাশ।
লেখক: শিক্ষা ও সমাজ বিশ্লেষক
গানের ভাষায় বলতে গেলে ‘যখন সময় থমকে দাঁড়ায়, নিরাশার পাখি দুহাত বাড়ায়’। আমি যা মনে করি, নিশ্চিত কিছু বিষয়ের অভাব হচ্ছে বিষণ্ণতার অন্যতম কারণ।
বিত্ত, চিত্ত ও শরীর, স্বাস্থ্য—এগুলোর সুসমন্বয় যদি জীবনে না থাকে, আমরা কষ্ট পাই, মন খারাপ হয় এবং লম্বা সময় ধরে এ-জাতীয় যেকোনোটি মোকাবিলা করতে গিয়ে আমাদের হয় বিষণ্ণতা বা ডিপ্রেশন এবং এটি জীবনের কোনো অস্বাভাবিক অধ্যায় নয়। কম বা বেশি আমাদের সবাইকে দেখতে হয় এমন বিষণ্ণ নীল সময়, যাকে আমরা বলি স্তব্ধ বা থমকে যাওয়া সময়!
গত বছর থেকে পুরো বিশ্বেই এ বিষয়টির ভয়াবহতা বেড়েছে। বাংলাদেশে একটা সময় প্রচার করে বলতে হতো, ‘বিষণ্ণতা একটি রোগ’। মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে, পরামর্শ নিতে। কারণ এ নিয়ে আমাদের পরিষ্কার কোনো ধারণা ছিল না। মনেরও যে অসুখ হতে পারে, এ ধারণা এখনো অনেকেরই জানা নেই। আমি আমার একান্ত অভিজ্ঞতা থেকে ছোট করেই কিছু বলছি আজ।
বিষণ্ণ হলে আমরা কে কেমন করে তা কাটিয়ে উঠি, এটা অনেকটাই নির্ভর করে আমরা কে কেমন জীবনযাপন পদ্ধতি বা লাইফস্টাইলে অভ্যস্ত।
যাদের আছে একান্ত নিজস্ব একটা পৃথিবী, পরিবার, পরিজন নিয়ে ভালোবাসাময়, আছে কাজ করার তীব্র আগ্রহ, সময়কে কাজে লাগানোর তাগিদ বা অন্য কোনো শখ, তাদের পক্ষে এমন দুঃসময় হলে পরে তা কাটিয়ে ওঠা একটু সহজ হয়।
এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা মনে করেন এমন হলে পরে সারাক্ষণ শুধু ধর্মচর্চা করলেই ভালো থাকা সম্ভব, এটিও নির্ভর করে সেই ব্যক্তি-মানুষের একান্ত মনোজগতের ওপর। বিষণ্ণ হলে, ডিপ্রেশড হলে ঠিক কী কী অনুভূতি হয়...
সবার আগে যা হয়, জগৎসংসারের কোনো কিছুই টানে না জীবনে...
বিরক্তি আসে, খাওয়া, ঘুম বা অন্য স্বাভাবিক কোনো কাজই আকর্ষণ করে না সাময়িকভাবে।
নিজেকে শুধুই মনে হয় ব্যর্থ এক মানুষ। তাই হতাশা জেঁকে বসে মনে, কখনো কখনো অন্যদের প্রতি তীব্র বিদ্বেষ আসে, হিংসে হয়, রাগ হয়—প্রতিহিংসাপরায়ণও হয়ে যায় কেউ কেউ এবং তীব্রতর পরিণতি হচ্ছে, শুধু লুকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করে কোথাও, বেঁচে থাকতে ইচ্ছে করে না।
এটা ঠিক, জীবনে বেঁচে থাকার জন্য যে মৌলিক চাহিদা, সেই সবই যদি না থাকে, তবে যে ডিপ্রেশন হয়, সেটা ভয়াবহতম এবং কুৎসিত এক পরিণতি ডেকে আনতে পারে।
কেউ কেউ শুধু কোনো কারণে বা অকারণে অসম্মানিত হলেই এই অনুভূতি ভুলে আর স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে না।
আমি অনেকবার এমন বিষণ্ণ সময় পার করেছি, আবার পুরো উদ্যম নিয়ে জীবনে ফিরেছি। হয়তো সকালে উঠে কাজের জায়গায় বসে এক কাপ চা বা কফি হাতে নিয়ে এক জানালা থেকে আকাশের দিকে তাকিয়েছি, আর তখন হঠাৎই মনে হয়েছে, না, জীবন শেষ হয়ে যাওয়ার আগেই তো থেমে যাওয়া যাবে না। লম্বা সময় নষ্ট করব, কী পেলাম, কী পেলাম না, কেন পেলাম না—এ ভাবনার জন্য সময় কোথায়!
বলে নিই, আমি কাজ নিয়ে খুব ব্যস্ত থাকি। এটির সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে, লম্বা সময় মন খারাপ করে বসে থাকার উপায় নেই—থাকে একের পর এক কাজ। কাজের পর কাজ। ঘড়ির সঙ্গে চলি এবং এ পথে চলাই আনন্দ। তবে এত কিছুর পর কোনো কোনো দিন আসে...
‘কেন মেঘ আসে, তোমারে দেখিতে দেয় না’ বা ‘তুই ফেলে এসেছিস কারে মন মনরে আমার’ এমন অনুভব নিয়ে।
সকাল থেকে রাত কোনো কিছুই মনের মতো হয়ে ওঠে না, শান্তি মেলে না কিছুতেই...
কাছের মানুষের জন্য মন কাঁদে, মন পোড়ে, হাহাকার করে বুক, শূন্য শূন্য লাগে সব! এমন অবস্থায় আমি লিখি এবং এই লেখাটাও এমন সময়েরই একটা প্রকাশ।
লেখক: শিক্ষা ও সমাজ বিশ্লেষক
দলীয় রাজনৈতিক সরকারের সঙ্গে একটি অন্তর্বর্তী সরকারের তুলনা হতে পারে কি না, সেই প্রশ্ন পাশে রেখেই ইউনূস সরকারের কাজের মূল্যায়ন হচ্ছে এর ১০০ দিন পেরিয়ে যাওয়ার সময়টায়। তবে সাধারণ মানুষ মনে হয় প্রতিদিনই তার জীবনে সরকারের ভূমিকা বিচার করে দেখছে।
২০ ঘণ্টা আগেশেখ হাসিনা সরকারের পতনের ১০০ দিন পার হয়ে গেছে। ১০০ দিনে অন্তর্বর্তী সরকারের সাফল্য-ব্যর্থতা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা কিছু যে হয়নি, তা নয়। তবে দেশ পরিচালনার দায়িত্বে যাঁরা আছেন, তাঁদের মধ্যে অস্থিরতার লক্ষণ অস্পষ্ট নয়। এর মধ্যেই তিন দফায় উপদেষ্টার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।
২০ ঘণ্টা আগেবাংলা ভাষায় অতিপরিচিত একটি শব্দবন্ধ হলো ‘খোলনলচে’। যাপিত জীবনে কমবেশি আমরা সবাই শব্দবন্ধটি প্রয়োগ করেছি। বাংলা বাগধারায় আমরা পড়েছি ‘খোলনলচে পালটানো’। বাংলা অভিধানে খোল শব্দের একাধিক অর্থ রয়েছে।
২০ ঘণ্টা আগেঅফিসে যাতায়াতের সময় স্টাফ বাসে পরিচয়ের সূত্রে ফারজানা আক্তার আজিমপুরে নিজের বাসায় সাবলেট দিয়েছিলেন ফাতেমা আক্তার শাপলা নামের এক নারীকে। কিন্তু ফাতেমা যে একটি প্রতারক চক্রের সদস্য, সেটা তাঁর জানা ছিল না।
২০ ঘণ্টা আগে