গোলাম ওয়াদুদ, ঢাকা
আগামীকাল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তার এক দিন আগে ঢাকায় বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুনের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন চারজন। আরও আটজনের শ্বাসনালি পুড়ে গেছে, তাঁদের জীবন শঙ্কায় রয়েছে। এই ঘটনায় সরকার ও বিরোধী দল বিএনপি একে অপরকে দায়ী করছে।
সরকারের অভিযোগ, নির্বাচন বানচালের লক্ষ্যে নাশকতার পরিকল্পনার অংশ এই আগুন। পাল্টা অভিযোগ করে বিএনপি বলছে, সরকারই এসব করে বিএনপির কাঁধে দায় চাপাচ্ছে। শুধু গতকালকের এই ঘটনা নয়, বিগত দিনে যত দুর্ঘটনা বা নাশকতা ঘটেছে, সেগুলোর দায় নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগই শুধু হয়েছে। বেশির ভাগ ঘটনায় এখনো বস্তুনিষ্ঠ তথ্য উঠে আসেনি। সংবিধান অনুযায়ী, জনগণের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। কিন্তু রাষ্ট্র এখানে নীরব দর্শক। কারণ, তার চোখ ছাড়া বাকি সবকিছু গ্রাস করেছে সরকার। তাহলে প্রশ্ন ওঠে, জীবনের নিরাপত্তার সব দায় কি জনগণকে নিতে হবে, নাকি জনগণ শুধু অকাতরে প্রাণ খুইয়েই যাবে।
এ দেশের ক্ষমতার রাজনীতিতে সব সময় বলি হয় জনগণ। রাজনৈতিক দল—সেটা ক্ষমতাসীন অথবা বিরোধী—সবাই জনগণকে নিয়েই খেলে। জনগণকে দাবার গুটিতে পরিণত করেছে এই রাষ্ট্রব্যবস্থা। সংবিধান অনুযায়ী নাগরিকদের মৌলিক অধিকারগুলো অর্ধশতাব্দীতেও নিশ্চিত না হওয়ায় এই পরিস্থিতি অব্যাহত আছে। জনগণ চেতনে-অবচেতনে দলগুলোর দ্বারা ব্যবহৃত হচ্ছে।
একটা ঘটনা ঘটে, আর কিছু সাধারণ মানুষের প্রাণ যায়। সরকার বাহাদুর তদন্ত কমিটি করে দেন। সেই তদন্ত চলে অনন্তকাল। মুখে মুখে বলা হয়, এটা বিরোধীরা করেছে। তারপর কি আর ঘটনার কূলকিনারা পাওয়ার আশা করা যায়? সেই ঘটনা ভুলতে না ভুলতে ঘটে যায় আরও ঘটনা; আরও মানুষ মরে। সরকার বাহাদুরও বড় বড় কথা বলেন, কিন্তু কাজ হয় না।
একের পর এক অপঘাতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে, কোনো বিচার হচ্ছে না, ঘটনার কূলকিনারা মিলছে না। হতাশ জনতা শুধু জীবন দিয়েই যাবে, ঘটনার আসল বা সঠিক বিচার চাওয়ার ইচ্ছা দেখা যায় না। জনগণের প্রাণের ওপর ভর করে ক্ষমতায় থাকে একদল, অন্য দল সেই প্রাণের ওপর করে রাজনীতি। এভাবেই চলছে এ দেশের নোংরা রাজনৈতিক সংস্কৃতি। এই চর্চাকেই যেন নিয়তি হিসেবে মেনে নিয়েছে সবাই, যেন এমনটাই স্বাভাবিক!
এমন ভাবার কারণ কী? বিভিন্নভাবে বিষয়টি ব্যাখ্যা করা যায়। তবে জনগণের প্রাণ নিয়ে খেলার প্রতিবাদ করতে না পারার প্রধান কারণ ভয়ের সংস্কৃতি। প্রতিবাদ বা বিচারের জন্য কণ্ঠস্বর উঁচু করলে পাছে না নিজের প্রাণটাই যায়—এমন ভীতি জনগণের মধ্যে বিরাজ করছে। এটা সব দিকের ভয় হতে পারে। ক্ষমতাসীন বা বিরোধীপক্ষ বা অন্য কোনো অদৃশ্যমান ভয়। তাই দিনের পর দিন ইচ্ছাকৃত ক্ষমতা দীর্ঘায়িত বা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য জনগণের জীবন বলি দিতে দুবার ভাবেন না সেই মানুষরূপী কিছু দুর্বৃত্ত।
১৯ ডিসেম্বরের কথা বেমালুম ভুলে গেছে জনগণ। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছিল সেদিন। আগুন পুড়ে মা-শিশুসহ ৪টি তাজা প্রাণ চলে যায়। কিছু হয়েছে? উত্তর হয়নি। জনগণ কথা বলেছে? উত্তর, বলেনি।
সেই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ঘটনার ১৮ দিন পেরিয়েও গেলেও কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় ঢাকা রেলওয়ে থানায় হওয়া হত্যা মামলাটির থানা-পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), র্যাবসহ বিভিন্ন ইউনিট ছায়াতদন্ত করছে। তবে আজও তদন্তের সঙ্গে যুক্ত কোনো ইউনিটই ট্রেনে আগুনের ঘটনায় জড়িত কাউকে শনাক্তের কথা জানাতে পারেনি।
এর আগে ২১ ডিসেম্বর সন্দেহভাজন নয়জনকে আটকের কথা জানায় র্যাব-১। তবে এ ঘটনায় তারা জড়িত কি না বা যারা আগুন দিয়েছে, তাদের চেনে কি না, সেসব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে র্যাব জানিয়েছিল, ট্রেনে আগুন দেওয়ার এ ঘটনায় তাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।
এত এত গোয়েন্দা সংস্থা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, তবু কাউকে খুঁজে না পাওয়ার কারণ কী? গাফিলতি নাকি সাধারণ জনগণের প্রাণের মূল্য দেয় না তারা। নাকি এর পেছনে অন্য কারণ আছে। যে কারণই থাক না কেন, সাধারণ জনগণ এখানে মূল্যহীন। তাদের জন্মই হয়েছে এই রাজনীতির জন্য জীবন উৎসর্গ করা। কিন্তু তাদের জীবন উৎসর্গের পরও তাদের কোনো সম্মান নেই। দুর্ঘটনা ঘটলেও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের তেমন গায়ে লাগে বলে মনে হয় না। তথাকথিত রীতি মেনে তাঁরা ত্বরিত শোকও প্রকাশ করেন না। কারণ, অপঘাতে গরিবের মৃত্যুই যেন নিয়তি।
গতকাল শুক্রবার প্রথম আলোর প্রতিবেদনে র্যাব-১-এর পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মোশতাক আহমেদ বক্তব্য দেখছিলাম। আগুনের বিষয়টি নিয়ে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল। জবাবে তিনি বললেন, ‘গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে র্যাব-১ নির্বাচনের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে ব্যস্ত। নির্বাচন শেষে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ট্রেনের আগুন দেওয়ার এ ঘটনার আবার তদন্ত করবেন।’
নির্বাচনের আগে এসব তদন্ত হবে না। তারা আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে ব্যস্ত। তাহলে গত রাতে ট্রেনে আগুনের ঘটনা কীভাবে ঘটল? তারা তো আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে ব্যস্ত। এত বড় ঘটনা ঘটল কীভাবে? তারা আসলে কী রক্ষায় ব্যস্ত ছিলেন—এমন প্রশ্ন জনগণের মনে জাগতেই পারে।
র্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকর আল মঈন গতকাল গণমাধ্যমে বলছিলেন, ট্রেনে আগুনের বিষয়ে তাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল। এখন সেটাই কিনা তদন্ত করে দেখা হবে। গোয়েন্দা তথ্য থাকলে আগে থেকে সতর্কতা কোথায়? নাকি এই দায়ও জনগণের ওপরই দিয়ে তারা আনন্দচিত্তে থাকতে চান। সব দায় যেন আমজনতার; কেন তাদের এমন সময় ট্রেনে যেতে হলো, ঘরে বসে থাকলেই হয়তো আজ এত প্রাণ চলে যেত না।
সম্প্রতি আরও অনেক ঘটনা ঘটেছে, যার কোনো কূলকিনারা এখনো হয়নি; হয়নি শনাক্ত বা সঠিক বিচার। কেউ যেহেতু দায় নেবে না, তাহলে সব দায় কি জনগণের, সব দায় জনসাধারণের...
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা
আগামীকাল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তার এক দিন আগে ঢাকায় বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুনের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন চারজন। আরও আটজনের শ্বাসনালি পুড়ে গেছে, তাঁদের জীবন শঙ্কায় রয়েছে। এই ঘটনায় সরকার ও বিরোধী দল বিএনপি একে অপরকে দায়ী করছে।
সরকারের অভিযোগ, নির্বাচন বানচালের লক্ষ্যে নাশকতার পরিকল্পনার অংশ এই আগুন। পাল্টা অভিযোগ করে বিএনপি বলছে, সরকারই এসব করে বিএনপির কাঁধে দায় চাপাচ্ছে। শুধু গতকালকের এই ঘটনা নয়, বিগত দিনে যত দুর্ঘটনা বা নাশকতা ঘটেছে, সেগুলোর দায় নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগই শুধু হয়েছে। বেশির ভাগ ঘটনায় এখনো বস্তুনিষ্ঠ তথ্য উঠে আসেনি। সংবিধান অনুযায়ী, জনগণের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। কিন্তু রাষ্ট্র এখানে নীরব দর্শক। কারণ, তার চোখ ছাড়া বাকি সবকিছু গ্রাস করেছে সরকার। তাহলে প্রশ্ন ওঠে, জীবনের নিরাপত্তার সব দায় কি জনগণকে নিতে হবে, নাকি জনগণ শুধু অকাতরে প্রাণ খুইয়েই যাবে।
এ দেশের ক্ষমতার রাজনীতিতে সব সময় বলি হয় জনগণ। রাজনৈতিক দল—সেটা ক্ষমতাসীন অথবা বিরোধী—সবাই জনগণকে নিয়েই খেলে। জনগণকে দাবার গুটিতে পরিণত করেছে এই রাষ্ট্রব্যবস্থা। সংবিধান অনুযায়ী নাগরিকদের মৌলিক অধিকারগুলো অর্ধশতাব্দীতেও নিশ্চিত না হওয়ায় এই পরিস্থিতি অব্যাহত আছে। জনগণ চেতনে-অবচেতনে দলগুলোর দ্বারা ব্যবহৃত হচ্ছে।
একটা ঘটনা ঘটে, আর কিছু সাধারণ মানুষের প্রাণ যায়। সরকার বাহাদুর তদন্ত কমিটি করে দেন। সেই তদন্ত চলে অনন্তকাল। মুখে মুখে বলা হয়, এটা বিরোধীরা করেছে। তারপর কি আর ঘটনার কূলকিনারা পাওয়ার আশা করা যায়? সেই ঘটনা ভুলতে না ভুলতে ঘটে যায় আরও ঘটনা; আরও মানুষ মরে। সরকার বাহাদুরও বড় বড় কথা বলেন, কিন্তু কাজ হয় না।
একের পর এক অপঘাতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে, কোনো বিচার হচ্ছে না, ঘটনার কূলকিনারা মিলছে না। হতাশ জনতা শুধু জীবন দিয়েই যাবে, ঘটনার আসল বা সঠিক বিচার চাওয়ার ইচ্ছা দেখা যায় না। জনগণের প্রাণের ওপর ভর করে ক্ষমতায় থাকে একদল, অন্য দল সেই প্রাণের ওপর করে রাজনীতি। এভাবেই চলছে এ দেশের নোংরা রাজনৈতিক সংস্কৃতি। এই চর্চাকেই যেন নিয়তি হিসেবে মেনে নিয়েছে সবাই, যেন এমনটাই স্বাভাবিক!
এমন ভাবার কারণ কী? বিভিন্নভাবে বিষয়টি ব্যাখ্যা করা যায়। তবে জনগণের প্রাণ নিয়ে খেলার প্রতিবাদ করতে না পারার প্রধান কারণ ভয়ের সংস্কৃতি। প্রতিবাদ বা বিচারের জন্য কণ্ঠস্বর উঁচু করলে পাছে না নিজের প্রাণটাই যায়—এমন ভীতি জনগণের মধ্যে বিরাজ করছে। এটা সব দিকের ভয় হতে পারে। ক্ষমতাসীন বা বিরোধীপক্ষ বা অন্য কোনো অদৃশ্যমান ভয়। তাই দিনের পর দিন ইচ্ছাকৃত ক্ষমতা দীর্ঘায়িত বা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য জনগণের জীবন বলি দিতে দুবার ভাবেন না সেই মানুষরূপী কিছু দুর্বৃত্ত।
১৯ ডিসেম্বরের কথা বেমালুম ভুলে গেছে জনগণ। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছিল সেদিন। আগুন পুড়ে মা-শিশুসহ ৪টি তাজা প্রাণ চলে যায়। কিছু হয়েছে? উত্তর হয়নি। জনগণ কথা বলেছে? উত্তর, বলেনি।
সেই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ঘটনার ১৮ দিন পেরিয়েও গেলেও কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় ঢাকা রেলওয়ে থানায় হওয়া হত্যা মামলাটির থানা-পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), র্যাবসহ বিভিন্ন ইউনিট ছায়াতদন্ত করছে। তবে আজও তদন্তের সঙ্গে যুক্ত কোনো ইউনিটই ট্রেনে আগুনের ঘটনায় জড়িত কাউকে শনাক্তের কথা জানাতে পারেনি।
এর আগে ২১ ডিসেম্বর সন্দেহভাজন নয়জনকে আটকের কথা জানায় র্যাব-১। তবে এ ঘটনায় তারা জড়িত কি না বা যারা আগুন দিয়েছে, তাদের চেনে কি না, সেসব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে র্যাব জানিয়েছিল, ট্রেনে আগুন দেওয়ার এ ঘটনায় তাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।
এত এত গোয়েন্দা সংস্থা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, তবু কাউকে খুঁজে না পাওয়ার কারণ কী? গাফিলতি নাকি সাধারণ জনগণের প্রাণের মূল্য দেয় না তারা। নাকি এর পেছনে অন্য কারণ আছে। যে কারণই থাক না কেন, সাধারণ জনগণ এখানে মূল্যহীন। তাদের জন্মই হয়েছে এই রাজনীতির জন্য জীবন উৎসর্গ করা। কিন্তু তাদের জীবন উৎসর্গের পরও তাদের কোনো সম্মান নেই। দুর্ঘটনা ঘটলেও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের তেমন গায়ে লাগে বলে মনে হয় না। তথাকথিত রীতি মেনে তাঁরা ত্বরিত শোকও প্রকাশ করেন না। কারণ, অপঘাতে গরিবের মৃত্যুই যেন নিয়তি।
গতকাল শুক্রবার প্রথম আলোর প্রতিবেদনে র্যাব-১-এর পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মোশতাক আহমেদ বক্তব্য দেখছিলাম। আগুনের বিষয়টি নিয়ে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল। জবাবে তিনি বললেন, ‘গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে র্যাব-১ নির্বাচনের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে ব্যস্ত। নির্বাচন শেষে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ট্রেনের আগুন দেওয়ার এ ঘটনার আবার তদন্ত করবেন।’
নির্বাচনের আগে এসব তদন্ত হবে না। তারা আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে ব্যস্ত। তাহলে গত রাতে ট্রেনে আগুনের ঘটনা কীভাবে ঘটল? তারা তো আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে ব্যস্ত। এত বড় ঘটনা ঘটল কীভাবে? তারা আসলে কী রক্ষায় ব্যস্ত ছিলেন—এমন প্রশ্ন জনগণের মনে জাগতেই পারে।
র্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকর আল মঈন গতকাল গণমাধ্যমে বলছিলেন, ট্রেনে আগুনের বিষয়ে তাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল। এখন সেটাই কিনা তদন্ত করে দেখা হবে। গোয়েন্দা তথ্য থাকলে আগে থেকে সতর্কতা কোথায়? নাকি এই দায়ও জনগণের ওপরই দিয়ে তারা আনন্দচিত্তে থাকতে চান। সব দায় যেন আমজনতার; কেন তাদের এমন সময় ট্রেনে যেতে হলো, ঘরে বসে থাকলেই হয়তো আজ এত প্রাণ চলে যেত না।
সম্প্রতি আরও অনেক ঘটনা ঘটেছে, যার কোনো কূলকিনারা এখনো হয়নি; হয়নি শনাক্ত বা সঠিক বিচার। কেউ যেহেতু দায় নেবে না, তাহলে সব দায় কি জনগণের, সব দায় জনসাধারণের...
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা
আমি দুই মাস আগেই বলেছিলাম, নভেম্বরে পরিস্থিতি খারাপ হবে। আমি সেটা দেশের বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখার মাধ্যমে তুলে ধরেছিলাম। এবারের ডেঙ্গু পরিস্থিতিটা আগের বছরগুলোর মতো না। অন্যান্য বছরে নভেম্বরের দিকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি কমে আসতে শুরু করে।
৩১ মিনিট আগেআজ ১৭ নভেম্বর, মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যুদিবস। ১৯৭৬ সালের এ দিনে তিনি এক বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের ইতিহাস পেছনে ফেলে পরলোকগমন করেন। আজীবন সংগ্রামী ভাসানী কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে সোচ্চার থাকার পাশাপাশি বাংলাদেশের স্বাধীনতারও ছিলেন প্রথম প্রবক্তা।
৩৮ মিনিট আগেসকালের আলোয় মনটা অকারণে আনমনা হয়ে যায়। মনের কোণে হঠাৎ বেজে ওঠে চেনা গানের সুর—‘কোন পুরাতন প্রাণের টানে...।’ মন ছুটে যায় সেই ছেলেবেলায়, যখন ঋতুবদল ঘটত গানের সুরেই।
১ ঘণ্টা আগেজুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশে শেখ হাসিনার দীর্ঘস্থায়ী দুঃশাসনের অবসান হয়েছে। ক্ষমতা পেয়েছে অন্তর্বর্তী এক সরকার, যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন অরাজনৈতিক অথচ বিশ্বখ্যাত ব্যক্তি, বাংলাদেশের একমাত্র নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
১ ঘণ্টা আগে