অধ্যাপক আসিফ নজরুল
যাঁরা আন্দোলন করছেন তাঁদের নানি-দাদির বয়সী হচ্ছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। উনি রাষ্ট্রের অভিভাবক। উনি যেভাবে কথাটা বলেছেন সেটা কি ওনার বয়স, অবস্থানের সঙ্গে মানানসই কি না সে প্রশ্ন আগে করতে হবে। এরপর ছাত্রছাত্রীরা যে স্লোগান দিয়েছে, সেটা যৌক্তিক কি না সে প্রশ্ন আসবে।
ছাত্রছাত্রীদের স্লোগানের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ভিন্নভাবে দেখা যাবে না। এটাকে কন্ট্রাসচুয়ালি দেখতে হবে। সে ক্ষেত্রে সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা বেদনাহত হয়ে, দুঃখ পেয়ে, হতাশ হয়ে কথাটা বলেছে। তাঁরা ‘আমি রাজাকার’ নিজেকে পরিচয় দেওয়ার জন্য বলেননি। কোনোদিন কেউ এ স্লোগান দেননি। এ স্লোগান শুনতে ভালো লাগার কথা নয়।
কিন্তু যখন একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী এভাবে বলেন, তখন সেটার প্রতিক্রিয়া হিসেবে এভাবে আসছে। এটাকে এভাবেই দেখতে হবে। এখানে খামাখা ছাত্রছাত্রীদের এককভাবে দোষ দেওয়া যাবে না। এখন প্রশ্ন তোলা যায়, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে এতটা প্রতিক্রিয়া দেখানো উচিত হয়েছে কি না। তবে সেটা আলাদা বিষয়। যদি একদম নির্দিষ্ট করে বলা যায়, তবে এ স্লোগানটা শুনতে খুবই খারাপ লাগে। কিন্তু এটার প্রেক্ষাপট নির্মিত হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে।
সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের ওপর ছাত্রলীগের নেতৃত্বে যে হামলা হয়েছে, সেটা গুরুতর ফৌজদারি অপরাধ। এই অপরাধ করতে ছাত্রলীগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং লেলিয়ে দিয়েছেন সরকারের কিছু মন্ত্রী। এই গুরুতর ফৌজদারি অপরাধে তাঁরাও অপরাধী। দেশে যদি আইন থাকে, বিচার থাকে অবশ্যই তাঁদের বিচার হওয়া উচিত।
প্রেক্ষাপট বাদ দিয়ে স্লোগানকে পুঁজি করে অপপ্রচার চালানো হয়েছে। এটা করা হয়েছে, এ ধরনের হামলার প্রেক্ষাপট রচনার জন্য।
লেখক: অধ্যাপক আসিফ নজরুল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক
যাঁরা আন্দোলন করছেন তাঁদের নানি-দাদির বয়সী হচ্ছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। উনি রাষ্ট্রের অভিভাবক। উনি যেভাবে কথাটা বলেছেন সেটা কি ওনার বয়স, অবস্থানের সঙ্গে মানানসই কি না সে প্রশ্ন আগে করতে হবে। এরপর ছাত্রছাত্রীরা যে স্লোগান দিয়েছে, সেটা যৌক্তিক কি না সে প্রশ্ন আসবে।
ছাত্রছাত্রীদের স্লোগানের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ভিন্নভাবে দেখা যাবে না। এটাকে কন্ট্রাসচুয়ালি দেখতে হবে। সে ক্ষেত্রে সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা বেদনাহত হয়ে, দুঃখ পেয়ে, হতাশ হয়ে কথাটা বলেছে। তাঁরা ‘আমি রাজাকার’ নিজেকে পরিচয় দেওয়ার জন্য বলেননি। কোনোদিন কেউ এ স্লোগান দেননি। এ স্লোগান শুনতে ভালো লাগার কথা নয়।
কিন্তু যখন একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী এভাবে বলেন, তখন সেটার প্রতিক্রিয়া হিসেবে এভাবে আসছে। এটাকে এভাবেই দেখতে হবে। এখানে খামাখা ছাত্রছাত্রীদের এককভাবে দোষ দেওয়া যাবে না। এখন প্রশ্ন তোলা যায়, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে এতটা প্রতিক্রিয়া দেখানো উচিত হয়েছে কি না। তবে সেটা আলাদা বিষয়। যদি একদম নির্দিষ্ট করে বলা যায়, তবে এ স্লোগানটা শুনতে খুবই খারাপ লাগে। কিন্তু এটার প্রেক্ষাপট নির্মিত হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে।
সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের ওপর ছাত্রলীগের নেতৃত্বে যে হামলা হয়েছে, সেটা গুরুতর ফৌজদারি অপরাধ। এই অপরাধ করতে ছাত্রলীগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং লেলিয়ে দিয়েছেন সরকারের কিছু মন্ত্রী। এই গুরুতর ফৌজদারি অপরাধে তাঁরাও অপরাধী। দেশে যদি আইন থাকে, বিচার থাকে অবশ্যই তাঁদের বিচার হওয়া উচিত।
প্রেক্ষাপট বাদ দিয়ে স্লোগানকে পুঁজি করে অপপ্রচার চালানো হয়েছে। এটা করা হয়েছে, এ ধরনের হামলার প্রেক্ষাপট রচনার জন্য।
লেখক: অধ্যাপক আসিফ নজরুল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক
আমি দুই মাস আগেই বলেছিলাম, নভেম্বরে পরিস্থিতি খারাপ হবে। আমি সেটা দেশের বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখার মাধ্যমে তুলে ধরেছিলাম। এবারের ডেঙ্গু পরিস্থিতিটা আগের বছরগুলোর মতো না। অন্যান্য বছরে নভেম্বরের দিকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি কমে আসতে শুরু করে।
৮ ঘণ্টা আগেআজ ১৭ নভেম্বর, মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যুদিবস। ১৯৭৬ সালের এ দিনে তিনি এক বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের ইতিহাস পেছনে ফেলে পরলোকগমন করেন। আজীবন সংগ্রামী ভাসানী কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে সোচ্চার থাকার পাশাপাশি বাংলাদেশের স্বাধীনতারও ছিলেন প্রথম প্রবক্তা।
৯ ঘণ্টা আগেসকালের আলোয় মনটা অকারণে আনমনা হয়ে যায়। মনের কোণে হঠাৎ বেজে ওঠে চেনা গানের সুর—‘কোন পুরাতন প্রাণের টানে...।’ মন ছুটে যায় সেই ছেলেবেলায়, যখন ঋতুবদল ঘটত গানের সুরেই।
৯ ঘণ্টা আগেজুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশে শেখ হাসিনার দীর্ঘস্থায়ী দুঃশাসনের অবসান হয়েছে। ক্ষমতা পেয়েছে অন্তর্বর্তী এক সরকার, যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন অরাজনৈতিক অথচ বিশ্বখ্যাত ব্যক্তি, বাংলাদেশের একমাত্র নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৯ ঘণ্টা আগে